ইনসাইড বাংলাদেশ

৬০ ঘন্টা পর আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিট থেকে সরবরাহ শুরু

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ৬০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার ( জুলাই) ভোর ৫টায় ইউনিটটি পুনরায় চালু হয়।

বাংলাদেশে আদানির জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশে আদানির জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, কারিগরি ত্রুটি সারানো হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে ৫১০ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয় এবং বেলা ১১টার দিকে তা বেড়ে ৭০২ মেগাওয়াটে পৌঁছায়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে। দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিল, কিন্তু শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। এখন উৎপাদনে ফেরায় সরবরাহ বেড়েছে বিদ্যুতের।

এর আগে ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদনসক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। এর কিছুদিন পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। এতে ওই সময় কয়েক দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল।


বিদ্যুৎকেন্দ্র   সরবরাহ   আদানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরের কাটাখালি যুদ্ধ দিবস আজ

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ জুলাই শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এইদিনে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে একই পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন।

 

স্বাধীনতা অর্জনের পর শহীদ নাজমুলের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল, নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা্ হয়েছে। শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতবছর কাটাখালীতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ব্রিজের পাশে শহীদ নাজমুল পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

 

সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুলকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়েঅপারেশন কাটাখালি রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে।

 

মুক্তিয্রদ্ধা স্থানীয়দের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের জুলাই রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা ডিনামাইট ফিট করে ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের কাটাখালি ব্রিজ উড়িয়ে দেন। অপারেশনের নেতৃত্বে প্রদান করেন, কোম্পানি কমান্ডার নাজমুল আহসান। সফল অপারেশন শেষ করতে ভোর হয়ে যাওয়ায় এবং দিনের আলো ফুটে উঠায় পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেন নাজমুল আহসানসহ মুক্তিযোদ্ধারা। কোথাও বের হওয়া নিরাপদ মনে না করে পরিশ্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের দালাল জালাল মিস্ত্রী পাক বাহিনীর স্থানীয় হেড কোয়ার্টার আহাম্মদনগর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবরটি পৌঁছে দেন।

 

সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী জুলাই সকালে স্থানীয় রাজাকার, আল-বদরদের সঙ্গে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। কমান্ডার নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ওই গ্রামের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাওয়ার একমাত্র পথ খোলা ছিল রাঙ্গামাটি বিল। ওই বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করতে করতে কমান্ডার নাজমুল আহসান মুক্তিযোদ্ধাদের রাঙ্গামাটি বিল সাঁতরিয়ে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। সেখানেই পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। কমান্ডার নাজমুলের লাশ আনতে গিয়ে পাক হানাদারদের গুলিতে তার চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন আলী হোসেনও শহীদ হন।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পাক বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলেই জন শহীদ হন।

 

দিবসটি উপলক্ষে শহীদ নাজমুল পার্কে শহীদ নাজমুল আহসানের স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পন আলোচনা সভাসহ নানা্ কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।


কাটাখালি যুদ্ধ   মুক্তিযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে বিএনপি একমত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার মানুষের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ( ৬ জুলাই)  এক সভায় তিনি মন্তব্য করেন।

কোটা বিরোধীদের আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে বিএনপি একমত। সময় থাকতে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন।

ফখরুল বলেন, বড়জোর -১০ শতাংশ কোটা থাকতে পারে; ক্ষমতায় গেলে সব ধরনের বৈষম্য ব্যবস্থা বাতিল করবে বিএনপি। বিস্তারিত আসছে...



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেরত পাঠানো হল সেন্টমার্টিনে আসা রোহিঙ্গাদের

প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে মংডু ছেড়ে পালানোর সময় সেখানকার একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিকল হয়ে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এসে ভিড়েছিল। নৌকাটিতে ৩৩ জন লোক ছিল। তাদের ৩১ জন মংডু এলাকার রোহিঙ্গা, একজন মিয়ানমারের সেনা সদস্য এবং অন্যজন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য।

গতকাল শুক্রবার ভোরে মিয়ানমারের নৌকাটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভিড়লে দায়িত্বরত বিজিবি নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে গতকাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একই নৌকায় তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে রোহিঙ্গা বিজিপি সদস্য দ্বীপের উত্তর সৈকতের একটি রিসোর্টে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। সশস্ত্র বিজিপি সদস্যদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন অন্যজন সার্জেন্ট ছিলেন। পরে তাদের ট্রলারের যান্ত্রিক ত্রুটি কাটিয়ে বিকালে সচল হওয়ার পর তারা স্বদেশের উদ্দেশ্যে দ্বীপ ছাড়েন।

সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত সুবেদার সানোয়ার হোসেন বলেন, সমুদ্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ইঞ্জিল বিকল হওয়ার কারণে মিয়ানমারের ট্রলারটি ৩৩ জন নিয়ে দ্বীপে ভেসে এসে ভিড়েছিল। বিকালে ট্রলারটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ফিরে গেছে।


সেন্টমার্টিন   রোহিঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বার্ন ইউনিটের

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত এই ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হবে। চীনের অর্থায়নে নির্মিত হতে যাওয়া এই ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৬ জুলাই) প্রস্তাবিত হাসপাতালের গোয়াছিবাগান এলাকা পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, "এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীন সফর শেষে তিনি এই মাসেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন। সেপ্টেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং দুই বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।"

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৫০ শয্যার এই বিশেষায়িত ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ১৮০ কোটি টাকা, আর বাকি ১০৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার যোগান দেবে। গত ৯ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।

এ ইউনিটের মধ্যে থাকছে শিশুদের জন্য ৫টিসহ মোট ২০টি বার্ন আইসিইউ বেড, ২৫টি এইচডিইউ বেড এবং ৩টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। এছাড়াও রোগী আসা-যাওয়ার সুবিধার জন্য থাকবে তিনটি রাস্তা।

ছয়তলা বিশিষ্ট এই ইউনিটের প্রথম তলায় থাকবে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড এবং ওপিডি। দ্বিতীয় তলায় থাকবে তিনটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। তৃতীয় তলায় থাকবে হাইডিপেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)। চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় থাকবে সাধারণ ওয়ার্ড এবং ষষ্ঠতলায় থাকবে ওয়ার্ডের সঙ্গে অফিস।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ   স্বাস্থ্যমন্ত্রী   বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পেনশন প্রত্যয়: আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অন্যদিকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ১ জুলাই চালু হওয়া প্রত্যয়ের বিরুদ্ধে ওঠা শিক্ষকদের আপত্তিগুলো খণ্ডন করে পাল্টা যুক্তিও উপস্থাপন করা হয়। তবে এসব যুক্তিতে কান দিচ্ছেন না আন্দোলনরত শিক্ষকবৃন্দ।

জানা যায়, সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শুক্রবার ও শনিবার নিয়মিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। তবে রোববার (৭ জুলাই) থেকে ফের কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। 

এদিকে ঢাকা, জগন্নাথ, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ দেশের ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা প্রত্যয় বাতিলসহ তিন দাবিতে ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জন করে আন্দোলনে মাঠে রয়েছেন। একইসঙ্গে শিক্ষকদের পাশাপাশি এ আন্দোলনে শরিক হয়েছেন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন তারা।

শিক্ষকেরা বলছেন, এ সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রত্যাশিত বৈঠকটি হবে। এদিকে সরকারের একটি সূত্র শুক্রবার জানায়, বৈঠকটি হতে পারে রোববার বা সোমবার। তবে কখন হতে পারে এবিষয়য়ে  সময় নির্ধারিত করে কিছু বলা হয়নি। 

অন্যদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, কোনো টাকা না দিয়েই তারা বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় অবসরে যাওয়ার সময় এককালীন আনুতোষিক পাচ্ছেন প্রায় ৮১ লাখ টাকা। অবসরের পর প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন। তা ছাড়া উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি পাচ্ছেন। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো ১ জুলাই বা এরপর থেকে চাকরিতে যোগ দেয়া কেউই এসব সুবিধা পাবেন না। মাসে মাসে চাঁদা দিলে তারা পেনশন পাবেন, তবে নমিনি আবার একটা নির্দিষ্ট সময় পর পেনশন পাবেন না। আর এমন অবস্থায় পুরো বিষয়টি তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকগণ। 

তারা আরও বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় আনুতোষিকের পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯০টি সংস্থা পেনশন পাচ্ছে। এতে পেনশনারের পাশাপাশি নমিনিদেরও আজীবন পেনশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রত্যয়ে নমিনিদের আজীবন পেনশনের সুযোগ নেই। মূল পেনশনার মারা গেলে নমিনি পেনশন পাবেন, তবে সেটা মূল পেনশনারের ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেহেতু ৬৫ বছর থেকে অবসরে যান, প্রত্যয় কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর তারা ৬৫ বছর থেকেই আজীবন পেনশন পাবেন। এ জন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে বলেও জানিয়েছে সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এককালীন আনুতোষিকের বদলে মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে এবং একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন।

এ প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রত্যয় শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ৪০৩টি সংস্থায় নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ওপর কার্যকর হবে। শিক্ষকেরা আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয় মানুষ। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন তারা করতেই পারেন। তবে বেশির ভাগ সংস্থায় যেহেতু পেনশন ব্যবস্থাই ছিল না, ফলে তাদের জন্য এটা একটা ভালো উদ্যোগ।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই যাতে সুফল পান, সে জন্যই প্রত্যয়সহ অন্য পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। জনগণের কল্যাণে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হবেই। একে নেতিবাচকভাবে দেখার কিছু নেই। এ থেকে পিছু হটারও প্রশ্ন আসে না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আলোচনাটা চাচ্ছি। আশা করছি, বসার সুযোগ হলে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বোঝাতে সক্ষম হবো যে ঘোষিত প্রত্যয় কতটা অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, কোনো অসংগতি থাকলে টুকটাক কিছু সংশোধনীর কাজ সব সময়ই করা হবে। তবে প্রত্যয়সহ সব কর্মসূচিই চলবে। কারণ, জনগণের জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি সরকারের একটা বড় কাজ।

এদিকে শিক্ষকদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা আর অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


পেনশন   প্রত্যয়   আন্দোলন   অব্যাহত   শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন