ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নতুন পেনশন স্কীম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে গেছে। নতুন পেনশন ব্যবস্থায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুবিধা কমবে এ বক্তব্য দিয়ে তারা আন্দোলনে গেছে। শিক্ষকরা তাই নতুন ব্যবস্থাটি প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। আজ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। 

নতুন অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ এর শুরুর দিন থেকে চালু হচ্ছে সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’। স্বশাসিত, স্বায়ত্বশাসিত, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব, সংবিধিবদ্ধ, সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে আজ থেকে অর্থাৎ পহেলা জুলাই থেকে যারা যোগ দেবেন তাদের জন্য এই কর্মসূচি প্রযোজ্য হবে। আর এটি মেনে নিতে রাজি নয় শিক্ষক সমাজ। তারা এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

তবে এখন পর্যন্ত সরকার নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে অনঢ় অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থা থেকে সরে আসার কোন উপায় নেই বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রশাসনেও আগামী অর্থবছর থেকে অর্থাৎ ২০২৫ এর পহেলা জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় সব সরকারি কর্মকর্তারা যাবেন বলেও অর্থ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। 

কিন্তু শিক্ষকরা এই অবস্থা মেনে নিতে রাজি না। আর এটি নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। আন্দোলনরত শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী যদি পুরো বিষয়টি জানেন, তাহলে নিশ্চয় তিনি এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

শিক্ষকদের একজন নেতা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে, ভুল বুঝিয়ে শিক্ষকদের উপর নতুন পেনশন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একারণে তারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। 

শিক্ষকদের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারি কাজে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন। জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে। এই বাজেট অধিবেশন ৩ জুলাই শেষ হতে পারে। আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাবেন। এর আগে যেকোনভাবে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের ব্যাপারে সমবেদনাশীল। এবং শিক্ষকদের প্রতি তিনি আলাদা সম্মান প্রদর্শন করেন। একারণেই পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলা হলে তিনি এর একটি সমাধান করবেন। 

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক এবং এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেধার সংকট দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে যদি এই পেনশন ব্যবস্থা চালু হয় তাহলে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাশূন্য হয়ে যাবে। আর তাদের মতে এই পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ নেই। 

বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের বেতন থেকে কোন টাকা কাটা হয় না। কিন্তু ‘প্রত্যয়’ ব্যবস্থায় ১০ শতাংশ টাকা কাটার বিধান করা হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায় অধ্যাপকরা গ্র্যাচুয়িটি বা আনুতোষিক বাবদ এককালীন ৮০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা পান। অন্যদিকে ‘প্রত্যয়’ পেনশন ব্যবস্থায় কোন আনুতোষিক নেয়। বর্তমান ব্যবস্থায় বেতন থেকে টাকা না কেটে অধ্যাপকদের মাসিক পেনশন পান ৭৫ হাজার ৭’শত নব্বই টাকা। অন্যদিকে প্রত্যয়ে বেতন থেকে কেটে এবং প্রতিষ্ঠানের টাকায় পেনশন মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এই পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করে তারা মনে করছেন ‘প্রত্যয়’ শিক্ষকদের জন্য শুধু নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করবে। এখন দেখার বিষয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময় দেন কিনা?


প্রত্যয় স্কিম   সার্বজনীন পেনশন   প্রত্যাহার   শিক্ষকদের কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মতিউরের দুর্নীতি নিয়ে দুদকের ধীরে চলো নীতি কেন?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. মতিউর রহমানের দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে খুব ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন পর্যন্ত কেবল তার বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং তার কিছু সম্পত্তি জব্দ করেছে মাত্র। কিন্তু তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির করা বা তার অন্যান্য সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে তেমন কোন উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে, বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের যেমন তদন্তের শুরুতেই দুদকে তলব করা হয়েছিল। ড. মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে সেটি এখন পর্যন্ত করা হয়নি। এটি কেন করা হয়নি এবং তদন্তে কেন ধীর গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

উল্লেখ্য যে, এর আগেও দুর্নীতি দমন কমিশনের চার বার মতিউরের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়েছিল এবং চার বারই দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে শ্বেত-শুভ্রতার ক্লিন শিট দিয়েছিল। আর এই কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশন সতর্কতার সঙ্গে এই তদন্ত করছে কি না, সেটি নিয়ে কেউ কেউ ভাবছেন। 

তবে অনেকেই মনে করেন যে, ড. মতিউর রহমান অনেক প্রভাবশালী ছিলেন। প্রশাসন এবং সরকারের অন্দরমহলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাদের কারণেই মতিউর রহমানের ব্যাপারে একটি স্থবির তদন্ত হচ্ছে কিনা সেটিও ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন৷ বিশেষ করে, মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা যেভাবে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে নানা রকম কথাবার্তা বলছেন, তাতে অনেকেরই সন্দেহ হচ্ছে যে লায়লা এবং মতিউর রহমান হয়তো সরকারের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। 

বিশেষ করে, মতিউর রহমানের সঙ্গে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই সমস্ত ছবিগুলো ব্যাপারে ঐ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মন্তব্য করেননি। তারা বিব্রত হয়েছেন কি না সেই তথ্যটিও জানা যায়নি। আর তারাই শেষ পর্যন্ত মতিউর রহমানকে বাঁচানোর জন্য কোন গোপন চেষ্টা করছেন কিনা সেটা নিয়েও জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। 

বিশেষ করে, দুর্নীতি দমন কমিশনে মতিউর রহমান তার স্ত্রী-পুত্রকে না ডাকার বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মতিউর রহমান কোথায় আছেন সে তা নিয়েও প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মতিউর রহমানকে ইতোমধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সংযুক্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি সেখানে অফিস করেননি। শুধুমাত্র ই-মেইলের মাধ্যমে একটি যোগদানপত্র দিয়েছেন। 

বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে যেমন দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের একটি সাজ সাজ রব ছিল। সেরকম অবস্থাটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না ড. মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে। মতিউর রহমানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পরও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মতিউর রহমানের স্ত্রীকে উপজেলা পরিষদ থেকে অব্যাহতি দেয়নি বা বরখাস্ত করেনি। 

বিভিন্ন সময় আমরা দেখি যে এই ধরনের অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করার পর জনপ্রতিনিধিদের সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয় বা ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এখনও লায়লা রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার দায়িত্বে থাকার পিছনে স্থানীয় এমপির ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় এমপির সঙ্গে তার বেশ কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে সরকার যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছে তা ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু মতিউর রহমানের তদন্ত যদি প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারণে বিঘ্নিত হয় বা শ্লথ হয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সম্পর্কে আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এই কারণে দ্রুত মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। 

সাধারণ মানুষ মনে করেন, মতিউর রহমান যেহেতু চাকরি স্থলে উপস্থিত হচ্ছেন না। সেহেতু তাকে অনতিবিলম্বে সাসপেন্ড করা উচিত। মতিউর রহমানের স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে দায়িত্ব থেকে সাময়িক  দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। আর এই বিষয়গুলো দেরি হলে দুদকের স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের পক্ষপাতহীনতাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।


মতিউর   দুর্নীতি   লায়লা কানিজ   দুদক   ধীরে চলো নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি: পাপন

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।  

শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, ‘বিখ্যাত দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান দেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবাড়ু ছিলেন। দেশের দাবার উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তার অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ’ 

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার।


গ্র্যান্ডমাস্টার   জিয়া   পাপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে নিহত প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি স্বজনদের

প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাসানাইয়া এলাকায় একটি সোফা তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে চার বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রয়েছেন তিনজন। বুধবার (৩ জুলাই) সৌদির স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা নাগাদ আগুনের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। নিহতদের তিন পরিবার থেকেই দ্রুত মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছেন।

 

নিহতদের মধ্যে আত্রাই উপজেলার তেজনন্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ফারুক হোসেন (৪০), শিকারপুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে এনামুল হোসেন (২৫) ও দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের কবেজ আলীর ছেলে শুকবর রহমান 

(৪০) ।

 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে তেজনন্দি গ্রামের ফারুক হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের লোকজন,পাড়া প্রতিবেশি এবং আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাংখিরা ভিড় করে আছেন। গ্রাম জুড়েই যেন কান্না আর শোকের রোল পরে গেছে। ফারুকের স্ত্রী-দুই সন্তানকে যেন কেউ থামাতেই পারছেননা। বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পরছেন। 

 

ফারুকের ভাতিজা পিন্টু আলী জানান, চাচা ফারুক হোসেন গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। গত প্রায় ৬বছর আগে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। কিন্তু যাবার পর থেকেই সেখানে নানা সমস্যার মধ্যে পরে যায়। গত প্রায় ৮মাস হচ্ছে স্থায়ীভাবে সোফা তৈরির কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মোবাইল ফোনে জানতে পারেন কারখানায় আগুনে ফারুক নিহত হয়েছেন।

 

উপজেলার দিঘা গ্রামের নিহত শুকবর আলীর জামাই বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, তার শ্বশুড় কৃষি শ্রমিক ছিলেন। গত আড়াই বছর আগে একমাত্র সম্বল ১১শতক জায়গা বিক্রি করে তার সাথে ধার-দেনার টাকায় সৌদি আরবে যান। এখন পর্যন্ত ধার-দেনার টাকা শোধ করতে পারেননি। শুকবরের দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বড় ছেলে শামীম হোসেন প্রতিবন্ধি। তার মাথা গোঁজার একমাত্র বাড়ীর তিন শতক জায়গা ছাড়া আর কোন জমি নেই। কিভাবে শাশুড়ি,শ্যালকদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে ঘোর বিপাকে পরেছেন। শশুড় শুকবর আলীই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি।

 

শিকারপুর গ্রামের নিহত যুবক এনামুলের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। অনেকটা সুখের আসায় ঘর বাঁধতে ধার-দেনা করে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে কেবলমাত্র রোজগারের টাকায় ধার-দেনা শোধ করে ইটের বাড়ী নির্মান করছেন। বাড়ীর কাজ শেষ হলে আগামী বছর নাগাদ দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা তার ভাগ্যে সইলো না ।

বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুনে পুরে মারা যাবার খবর আসে। তখন থেকেই একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে বাবা-মা পাথর হয়ে গেছেন। কিছুতেই যেন তাদেরকে বুঝ দিয়ে থামানো যাচ্ছেনা। 

সৌদি আরবে আগুনে পুরে তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, ‘একজন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। বাকি দুইজনেরও তথ্য পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। সেখান থেকে দুই দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে কাগজ পেলে নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরাতে এবং সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা থাকলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’


প্রবাসী   মৃত্যু   সরকারের হস্তক্ষেপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডের খেলা চলাকালীন লুটিয়ে পড়েছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। হাসপাতালে নেয়া হলেও আর ফেরানো যায়নি তাকে। ৪৯ বছর বয়সে ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।

দেশের দাবাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর জিয়া। ২০০২ সালে নিয়াজ মোর্শেদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন তিনি। ২০০৫ সালে বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন। এছাড়া দেশে-বিদেশে অসংখ্য প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন জিয়া।

শুক্রবার (৫ জুলাই) গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডে ম্যাচ ছিল গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের। নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় খেলা। তবে খেলার প্রায় ৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর হুট করেই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়া। এরপর দ্রুতই শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরাও দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করেন। তবে অনেকক্ষণ ধরেই তার কোনো পালসই খুঁজে পান না তারা। কিছুক্ষণ বাদে এই গ্র্যান্ডমাস্টারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন জিয়া।

জিয়ার ম্যাচের সময় তার স্ত্রী লাবণ্যও ফেডারেশনে ছিলেন। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও এবার জাতীয় দাবা খেলছেন। হুট করে এই দাবাড়ুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের দাবা অঙ্গনে।

পারিবারিকভাবে জিয়া দাবাড়ু। তার বাবা পয়গাম উদ্দিন আহমেদও ছিলেন একজন দাবাড়ু। তার পথ ধরেই স্কুল জীবন থেকে দাবার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন জিয়া। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও পেশাগতভাবে দাবাড়ু। ২০২২ সালে ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তাজওয়ার।


গ্র্যান্ডমাস্টার   জিয়াউর   প্রধানমন্ত্রী   শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাম পরিবর্তন হচ্ছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নতুন নাম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, নৌপথ ও সমুদ্র পরিবহণ মন্ত্রণালয় করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সম্মেলন কক্ষে ভোমরা ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে স্থলবন্দর দেখতাম কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নাম নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। তাই আমাদের স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট একটি নাম ঠিক করে দিয়েছেন। তিনি এর নামকরণ করেছেন বন্দর, নৌপথ ও সমুদ্র পরিবহণ মন্ত্রণালয়; যা সবকিছু কাভার করে। এটা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইস কন্ট্রাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ, সহ-সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হোসেন প্রমুখ।


নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়   নাম পরিবর্তন   প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন