বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মিশর বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি যৌথ প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার (১
জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর এলদিন আহদে ফাহমি এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ৫ম বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন মিশরের রাষ্ট্রদূত।
মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি বলেন, ‘মিশর ও বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য মিশর বাংলাদেশের পাট-বস্ত্র, তুলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ছাড়াও সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে আগ্রহী।’
এছাড়া, গতবছর মিশর ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে দু’দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই বোনসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার
(৫ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনের মরদেহ পরিরারের কাছে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১),
মাছুমা (৬) এবং নারায়নপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।
কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা কলাগাছের ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে তাদের সেচ পাম্পের টাঙ্গানো বিদ্যুতের তারে দুই বোনের গলা আটকে যায়। এতে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
অপর দিকে প্রায় একই সময় নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেলাযোগে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলার লগি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ প্রায় সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের সাড়ে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই। একই সঙ্গে চরাঞ্চলের ৪০০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, হু হু করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন।
এদিকে, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান।'
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানিতে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।'
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে'। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ২-৩ দিন ধীরগতিতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পানি বাড়লেও এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।'
বন্যা পরিস্থিতি যমুনার পানি বৃদ্ধি
মন্তব্য করুন
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনাতীরে নিম্নাঞ্চলে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জানা যায়, যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, পৌরসভার, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ও জোড়খালী ইউনিয়নের এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে ছুটছে মানুষ। পানি উঠে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সব নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। এতে জেলার ২৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪০টিতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা এবং জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ১৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৭টিতে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসবের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ৭১টি এবং মাদ্রাসা ৩২টি। চিলমারী ও রাজিবপুরে তিনটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া রৌমারী ও রাজিবপুর এলাকায় ছয়টি কলেজে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। নদীতীরবর্তী ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেক টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে নৌকায় করে ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। জমিতে পানি আটকে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় পাঠদান বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা।
কুড়িগ্রাম গাইবান্ধা স্কুল কলেজে বন্যা পানি
মন্তব্য করুন
পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে ছুটছে মানুষ। পানি উঠে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।