ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিগ্রস্ত সার্ভেয়ারকে চাকরিতে পুনর্বহাল প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব যা জানালেন

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার জেরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সার্ভেয়ারকে সম্প্রতি চাকরিতে ফের পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘কিছু বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। দুদক কিংবা অন্য একটি আদালত যেভাবে কাজ করে, ডিপার্টমেন্টাল কাজ কিন্তু সেভাবে না।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে, পদ্মাসেতু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় জাল দলিল তৈরির সাথে যুক্ত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সাবেক সার্ভেয়ার মাইনুল হাসান। জানা যায়, ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে জেলা প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ওই জালিয়াতিতে সহায়তার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েচ্ছিলেন।

পরে গত বছরের নভেম্বরে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশবলে চলতি বছরের ৯ জুন তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

এ বিষয়েই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বিভাগীয় কর্মপদ্ধতির প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে তদন্তে দুর্নীতি হিসেবে সাব্যস্ত হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া মানতে হচ্ছে। তাকে বরখাস্ত কিংবা চাকরিতে রেখে তার বিরুদ্ধে ডিপি চালু করি। তাকে চাকরিতে রেখেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির পরেও বরখাস্ত কেন করা হয়নি, সেটা হয়তো সেই কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে পারবে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রক্রিয়া চলমান কিনা।’

ব্রিফিংয়ের সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি’ নামের একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের বিষয়ে ‘না’ বলেছেন। নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি। এ লক্ষ্যে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি, আইন ২০২৪’–এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


মন্ত্রী পরিষদ সচিব   দুর্নীতি   পুনবর্হাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে আইওয়াশের অভিযান, বিনিময়ে শাস্তি পেল এসআই


Thumbnail

উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মাদক চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানের নামে থানা পুলিশ আইওয়াশের পর শুধু মাত্র দুই কার্টুন ভারতীয় শেখ নাসির বিড়ি জব্দ করেই অভিযান সমাপ্ত করেছে।  

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নানা নাটকীয়তা সময়ক্ষেপনের পর থানা পুলিশের এমন অভিযান নিয়ে সচেতন মহলে গোটা পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তিকে ফের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তাহিরপুর থানায় জব্দ তালিকা এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৩০ জুন) মধ্য রাত পরবর্তী কোন এক সময়ে থানার এক এসআই সঙ্গীয় অফিসার্স নিয়ে বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের এক কাঠ মিস্ত্রির দোকান কোটার তালা ভেঙ্গে দুই কার্টুন ভারতীয় শেখ নাসির বিড়ি জব্দ করেন।

জব্দ তালিকা তৈরীর পর পরদিন জুলাই অভিযান পরিচালনাকারী এসআই বাদী হয়ে উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের শেখ গোলাম রব্বানীর ছেলে শেখ মানিককে একমাত্র পলাতক আসামী অজ্ঞাত নামা থেকে জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর পূর্বে শনিবার সকালে বাদাঘাট বাজারে আসা এক নেটিজেন মসজিদের পেছনে জনৈক ব্যক্তির পাকা মার্কেটে থাকা একটি কক্ষের ভেতর চোরাকারবারীদের ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ শেখ নাসির বিড়ির সারি সারি খাঁচা কয়েক কার্টুন বিদেশি মদের চালান মজুদ করে রাখার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন।

তথ্য ওই নেটিজেন জনস্বার্থে থানা পুলিশকে জানানোর পরও তারা অভিযানে সায় দেননি। এরপর বিষয়টি জেলা পুলিশের দায়িত্বশীলদের ভিডিও ফুটেজ প্রেরণ করে অবহিত করা হয়।
রোববার বিকেলে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসারগণ থানা পুলিশকে অভিযানের নির্দেশনা দিলেও পুলিশ সময়ক্ষেপন করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে অভিযানের খবর থানা পুলিশের নিকট থেকে চোরাকারবারীরা জেনেও যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক লাখ টাকার ভারতীয় বিড়ি খাঁচা ও বিদেশি মদের কার্টনগুলো তারা।

এদিকে চোরাচালানীরা নিরাপদে সড়ে যাবার পরই রোববার মধ্যরাত পরবর্তী সময়ে যখন বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী রাতে ঘুমাতে যান ঠিক তখনই চোরাচালানীদের নির্দেশিত কাঠ মিস্ত্রি দোকান কোটার তালা ভেঙ্গে দুই কার্টুন ভারতীয় শেখ নাসির বিড়ি মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করে অভিযান সমাপ্ত করেন।


এদিকে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ একাধিক বিড়ি, বিদেশি মাদক চোরাকারবারী, তাদের পেছনে থাকা গড ফাদারদেরকে রক্ষার কৌশল হিসাবে তড়িঘড়ি করে একজনকে পলাতক আসামী দেখিয়ে সোমবার সকালে  থানায় মামলা দায়ের করানো হয় অভিযান পরিচালানাকারী এসআই পার্ডন কুমার সিংহকে দিয়ে।
বুধবার সকালে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, অভিযানে দুই কার্টুন ভারতীয় বিড়ি জব্দ করা হয়েছে,এক চোরাকারবারীকে পলাতক আসামী দেখিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ‘ঊধ্বর্তন অফিসারগণের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে মাদকসহ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা না করায় অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এসআই পার্ডন কুমার সিংহকে মঙ্গলবার রাতে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।


আইওয়াশ অভিযান   চোরাকারবরি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মডেল মসজিদ নির্মাণে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রচারের উদ্দেশ্যে সরকার ২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৬৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। এই প্রকল্পটি দুবার সময়সীমা বাড়ানোর পরও শেষ না হওয়ায়, আরও দু বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুরুতে ৮৪২ কোটি টাকা বাজেট ছিল, তবে পরবর্তীতে এটি বেড়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে, যা এটিকে বিতর্কিত করে তোলে। নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তার স্ত্রী রেজওয়ান আহমেদ খুশবু প্রমাণসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

জানা যায়, দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগ থেকে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আশরাফুজ্জামান নীলফামারীতে যোগদান করেন। তিনি তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায় নির্মিতব্য মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তদারকির দায়িত্ব পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নীলফামারী সদর উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়। সদর উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণকাজের চুক্তিমূল্য ছিল ১৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা ১৬ কোটি ৯২ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় শেষ হয়। জলঢাকা উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ এখনও চলমান রয়েছে। এ দুই মসজিদ নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

খুশবু অভিযোগ করে বলেন, ‘২০২১ সালের জুলাই অথবা আগস্ট মাসে মোবাইল ফোনে আমার স্বামী মডেল মসজিদ নির্মাণকাজ হতে ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতার করতে শুনি। ফোনালাপ শেষে আমি তাকে বলি, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখান থেকে তুমি ঘুষ নেবে?’ এতে সে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এ সময় গর্ভে সন্তান থাকায় প্রচণ্ড রকম অপমানিত বোধ করলেও কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু এরপর থেকেই সামান্য ব্যাপারেও কথাকাটাকাটি হতে শুরু হয়। এভাবে ধীরে ধীরে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। খুশবু আরও বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজে স্বামীর ঘুষ নেওয়ার তথ্য পেয়ে বারবার অনুরোধ করেও তাকে দুর্নীতি থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি দুর্নীতিতে বাধা দেওয়ায় আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। বলে, তুই ও তোর পরিবার আমার কিছুই করতে পারবি না। আমার ক্ষমতা ও টাকার কাছে তোরা ভেসে যাবি। এভাবে বলতে বলতে অনেক মারধর করে। তার ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি মেনে নিলে চুপচাপ থাকলে সব স্বাভাবিক থাকত। নির্যাতন করত না। যখন সে সৎ ছিল তখন কোনো সমস্যা হয়নি।

তিনি আরও জানান, তার স্বামী তাকে বলে যে সে এরকম থাকতে চায় না, বড়লোক হতে হবে। যদি মডেল মসজিদ থেকে ঘুষ নিতে না দিস তাহলে বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আয়। সংসারের সুখ-শান্তির কথা বিবেচনা করে নানা অজুহাতে তাকে ৭ লাখ টাকা এনে দেন। এছাড়া বিয়ের সময় তার বাবার কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়। বিয়ের পর বাড়ি সংস্কারের কথা বলে আরও আট লাখ টাকা নেওয়া হয়।

সন্তান জন্মের পর খুশবু একদিন মেসার্স আব্দুর রাফি ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করলে আশরাফুজ্জামান উত্তর দেন যে নানা কাজে টাকা-পয়সা লেনদেন করতে হয়, তাই এই প্রতিষ্ঠান। যদিও প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে মূলত অন্য উৎস থেকে।

তিনি আরও বলেন, নীলফামারী সদর উপজেলার রূপালী ব্যাংকে তার নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয় এবং তার স্বামী জোরপূর্বক ব্ল্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেন। খুশবু সচিবের কাছে অভিযোগ করেন, এবং সচিব সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।

আশরাফুজ্জামানের বাবা আব্দুল মান্নান একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। পাঁচ বছরে তাদের বাড়ির চেহারা বদলেছে; দুই কক্ষের ঘর থেকে পাঁচ কক্ষের আলিশান বাড়ি হয়েছে। বাড়ির একপাশে মেসার্স আব্দুর রাফি ট্রেডার্সের নামে একটি গুদাম ঘর তৈরি করা হয়েছে। ২০২২ সালে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয় এবং ২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ১১০০ মণ ভুট্টা ক্রয় করে সেই গুদামে রাখা হয়। যদিও প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ভুট্টা বিক্রি হয়নি। ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখা যায় জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা জমা হয়েছে এবং ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এফডিআর ক্লোজড বাবদ জমা হয়েছে।

মডেল মসজিদ প্রকল্পের পরিচালক নজিবুর রহমান জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুজ্জামান জানান, উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ ছিল এবং তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর মেয়েপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করে, যার কারণে আশরাফুজ্জামান জামিনে আছেন।

আশরাফুজ্জামান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার সাবেক স্ত্রী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে এবং তাকে হয়রানি করার জন্য এই সমস্ত অভিযোগ উত্থাপন করেছে।


মডেল মসজিদ   দুর্নীতি   তদন্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই’

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হেসেন জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হেসেন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

তিনি বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাখ করে থাকে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকুরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃত পক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং বেশি বয়সী (২৯-এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম ১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।

মন্ত্রী আরও বলেন, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে।


জনপ্রশাসনমন্ত্রী   ফরহাদ হোসেন   সরকারি চাকরির বয়স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকার কি পঁচা শামুকে পা কাটছে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

একদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন অন্যদিকে কোটা বিরোধী আন্দোলন। সবকিছু মিলিয়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্দোলন জমে উঠেছে। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয় বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সরকার যদি এখনই গুরুত্ব না দেয় তাহলে এসব আন্দোলনগুলো পরবর্তীতে সরকারের জন্য বড় ধরনের মাথা ব্যাথার কারণ হবে। সরকার কি এ আন্দোলনগুলোকে গুরুত্বহীন মনে করছে? সরকার কি পঁচা শামুকে পা কাটছে? এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ বড়ভাবেই উঠেছে। 

একথা ঠিক গত ১৫ বছরে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনকে সামাল দিয়েছে বেশ দক্ষতার সঙ্গে। কিন্তু এটা অস্বীকার উপায় নেই বিভিন্ন সময় সরকারকে পিছু হটে দাবি মোকাবেলা করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আর এবার শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত হয়েছে শিক্ষকরা। আর শিক্ষক এবং ছাত্রদের এই আন্দোলন যে কিরকম ভয়াবহ হতে পারে তা এ সরকারের অজানা থাকার কথা না। কারণ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্দোলন যেকোন সরকারের জন্য বড় ধরনের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। 

এই সরকারের ১৫ বছরের বেশি সময়ের মেয়াদে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিলো। গোটা দেশ অচল হয়ে গিয়েছিলো। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছিলেন এবং সমস্ত কোটা বাতিল করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা পুনরায় চালু হয়। সেই কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। 

সেই আন্দোলন যৌক্তিক-অযৌক্তিক সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যে সারাদেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। পাশাপাশি শিক্ষকদের সাথে অযাচিতভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে সরকার। এবং সেক্ষেত্রে কিছু কিছু মন্ত্রীর বক্তব্য এতই দায়িত্ব জ্ঞানহীন যে তা শিক্ষকদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। 

এ দু’টি আন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্র নেই। কিন্তু দু’টি আন্দোলন যদি একসাথে দানা বেধে ওঠে তাহলে সরকারের জন্য সেটি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর একারণে এখনই সতর্কতার সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা দরকার বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেকোন সংগ্রামের আঁতুড়ঘর। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকে সবসময় সমীহের চোখে দেখতে হবে। অতীতে, এমনকি সেনা সমর্থিত ড. ফখরুদ্দিনের সরকারকেও এই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কাছে ন্যাক্কারজনকভাবে পরাজিত হতে হয়েছিল এবং নতি স্বীকার করতে হয়েছিল। সেসময় শিক্ষকদের গ্রেপ্তার এবং হয়রানি, শিক্ষার্থীদের দমানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নিশ্চয় সেই পথে যাবে না। তবে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এই বিষয়গুলো নিয়ে উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করতে হবে। যাদের উপর শিক্ষকদের আস্থা আছে, যাদের উপর শিক্ষার্থীরা আস্থা রাখেন তাদেরকেই দায়িত্ব দিতে হবে সমঝোতা চেষ্টার জন্য। দায়িত্ব জ্ঞানহীন যে সমস্ত মন্ত্রী সরকারে আছেন তারা যদি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাহলে এর সমাধান হবে না। আর আমলাদের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে এসে সরকার প্রধানকে নির্মোহভাবে পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে হবে এবং বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। 

শিক্ষকরা এই পুরো পেনশন স্কিমের জন্য আমলাদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন। কাজেই আমলাদেরকে দূরে সরিয়ে রেখে, আমলা নির্ভর মন্ত্রীদেরকে আলোচনার টেবিলে না এনে শিক্ষকদের যাদের প্রতি আস্থা রয়েছে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া উচিত আলোচনার জন্য। এই আন্দোলনকে অনেকেই রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। অনেকে এর থেকে রাজনৈতিক ফয়দা লোটার চেষ্টা করবে। কাজেই এখনই এই বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


সর্বজনীন পেনশন স্কিম   কোটা আন্দোলন   সরকার   শিক্ষক   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনজিওর নামে প্রতারণা: ফেনীতে তিন কোটি টাকা নিয়ে উধাও

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় হঠাৎ করে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি অফিস খোলেন কিছু ব্যক্তি। ‘ওপিডি সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) পরিচয়ে আকর্ষণীয় অফার দিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন প্রায় তিন কোটি টাকা। কয়েক মাসের মধ্যেই কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে উধাও হয়ে যান এই আমানত সংগ্রহকারীরা।

ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগই দিনমজুর, রিকশাচালক ও প্রবাসী। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, এনজিও পরিচয়ে ৮ জন তাঁদের কাছ থেকে এই আমানত সংগ্রহ করেন। আমানতের বিপরীতে সহজ কিস্তিতে ঋণ, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, মৃত্যুর পর ঋণ মওকুফ, সঞ্চয়ের দ্বিগুণ লাভ, ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার মতো নানা আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে সোনাগাজী পৌরসভার চর গণেশ এলাকার হাওয়াই রোডের একটি বাড়ির নিচতলায় দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অফিস খোলা হয়। জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে পরিচয় দেন। এলাকাবাসীকে জানান, তাঁদের এনজিওর নিবন্ধন রয়েছে, এবং ঢাকার বনানীতে তাঁদের প্রধান কার্যালয়। এরপর, জসিম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা গ্রামের মানুষদের প্রলুব্ধ করে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন।

প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। তার আগেই ২৯ জুন রাতে অফিসে তালা লাগিয়ে জসিম উদ্দিন ও তাঁর ৭ সহযোগী পালিয়ে যান। তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে চর গণেশ এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটকে ‘ওপিডি সাপোর্ট সেন্টার’ স্টিকার লাগানো। দরজায় দুটি তালা লাগানো রয়েছে। আশপাশের বাসিন্দারা জানান, এর মধ্যে একটি তালা প্রতিষ্ঠানটির কথিত কর্মকর্তারা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন। অপর তালাটি ক্ষতিগ্রস্তরা এসে লাগিয়েছেন।

চর চান্দিয়া গ্রামের আয়েশা আক্তার, আসমা আক্তার, সুমি আক্তার, মো. শাকিল, নুর আলমসহ ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতারকেরা তাঁদের কাছে ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।

গৃহবধূ সুমি আক্তার বলেন, বাড়ির অন্য নারীদের দেখে লাভের আশায় তিনি স্বামীর অজান্তে ৪০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তারা উধাও হওয়ার পর তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানান। এখন পারিবারিক কলহে তাঁর সংসার ভাঙার উপক্রম হয়েছে।

চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা টিপু সুলতান বলেন, তিনিও ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। তাঁর মতো আরও পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের তিন কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, বিষয়টি শোনার পর পুলিশ গিয়ে তালাবদ্ধ কার্যালয় দেখতে পেয়েছে। যেসব ব্যক্তি টাকা সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের মুঠোফোনও বন্ধ। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, লোভে পড়ে কিছু মানুষ অনিবন্ধিত এনজিওতে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।


এনজিও   প্রতারণা   ঋণ   আইনগত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন