ইনসাইড বাংলাদেশ

চুক্তির মিছিলে হতাশা প্রশাসন ক্যাডারে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রশাসন ক্যাডারে আবার চুক্তির মিছিল শুরু হচ্ছে। একের পর এক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হতেই পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই শুরু হয়েছে হতাশা।

সর্বশেষ সড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তার পাশাপাশি এবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী হোসেনকে। আগামী ৩ জুলাই তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল তার চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের এই মিছিল প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে নতুন করে অস্থিরতা, হতাশা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছে, এই প্রবণতার ফলে সামনে যারা অবসরে যাবে তারাও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য দেন দরবার করবেন, তদবির করবেন এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের কাছে ধরনা দেবেন।

ফলে সাধারণভাবে অধস্তনদের সচিব হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। ১৫তম ব্যাচের সচিব হওয়া কেবল শুরু হয়েছে। কিন্তু এত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতার কারণে যে সংখ্যক তাদের এতদিনে সচিব হওয়ার কথা ছিল, সে সংখ্যক তারা হতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজন সচিব অবসরে যাচ্ছেন। এখন তারা আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন, নাকি তারা অবসরে চলে যাবেন, এ নিয়েও এক ধরনের ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আফরিনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ২৮ অগাস্ট। এছাড়া ট্যারিফ কমিশনের দায়িত্বে থাকা সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২৯ আগস্ট। ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে যুব ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদের চাকরির মেয়াদ। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ অক্টোবর। ধর্ম বিষয়ক সচিব এ হামিদ জমাদ্দারের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ নভেম্বর। ২৫ নভেম্বর শেষ হচ্ছে ভূমি সচিব খলিলুর রহমানের চাকরির মেয়াদ। এ বছরের ডিসেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকীর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। একই মাসে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। ওইদিনই তথ্য সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

এই বছরে এতগুলো সচিবের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন তারা যদি তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তাহলে অন্যদের পদোন্নতি নিয়ে সৃষ্টি হবে অনিশ্চয়তা। এ কারণে প্রশাসন ক্যাডারের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, অক্টোবরে বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে। আগামী ১৪ অক্টোবর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার জায়গায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু একাধিক সূত্র বলছে, এখন মাহবুব হোসেনকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। মেজবাহ উদ্দিন যদি শেষ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব হন, সেক্ষেত্রে তারও চাকরির মেয়াদ বাড়তে পারে। এখন দেখার বিষয়, চলতি বছরে যে বিপুল সংখ্যক সচিব অবসরে যাচ্ছেন তাদের কয়জন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান, আর কয়জন অবসরে যান।


সবিচ   চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ   প্রশাসন ক্যাডার   মন্ত্রণালয়   সচিবালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অভিনব কায়দায় নিয়োগ বাণিজ্য, জমির বদলে চাকরি

প্রকাশ: ১১:১৯ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ২৪ শতক সম্পত্তির বিনিময়ে একটি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

 

উপজেলার নান্দিনা মধু উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও আয়া পদে এই নিয়োগ বাণিজ্য হয়। এতে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন ম্যানেজিং কমিটিকে বোকা বানিয়ে তিনি এই নিয়োগ বাণিজ্য করেন।

 

নিয়োগ পরিক্ষার ফলাফলে দেখা যায় অফিস সহায়ক পদে মোঃ ইউসুফ আলী ও আয়া পদে মোছাঃ আকলিমা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকই জানা ছিলো এ দুজন নির্বাচিত হবেন।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই তাদের নির্বাচিত করা হয়েছিলো। নিয়োগ পরীক্ষা শুধুমাত্র একটি লোক দেখানো বিষয়।

 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য পূর্বেই মিটিং করা হয়েছিল। যারা নিয়োগ পাবে তাদেরই বিদ্যালয়ের পাশে ২৪ শতক সম্পত্তি কিনে দিতে হবে অথবা সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে।’

 

সহকারি কমিশনার (ভূমি') ইশরাত জাহান সাংবাদিকদের এড়িয়ে বলেন, ‘আমি নিয়োগ কমিটির সদস্য। এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।’

এরপর ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে সহকারি কমিশনান (ভূমি) নিজ গাড়িতে করে দ্রুত চলে যান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গাড়িতে চলমান থাকতে থাকতে তারা তোয়াক্কাও করেন না।


নিয়াগ বাণিজ্য   জমির বদলে চাকরি   প্রধান শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দুই বোনসহ ৩জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই বোনসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনের মরদেহ পরিরারের কাছে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।

 

নিহতরা হলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১), মাছুমা (৬) এবং নারায়নপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।

 

কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা কলাগাছের ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে তাদের সেচ পাম্পের টাঙ্গানো বিদ্যুতের তারে দুই বোনের গলা আটকে যায়। এতে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

অপর দিকে প্রায় একই সময় নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেলাযোগে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলার লগি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু   আপন বোন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ প্রায় সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের সাড়ে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

 

এদিকে গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

 

এতে প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই। একই সঙ্গে চরাঞ্চলের ৪০০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। 

 

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

 

জানা যায়, হু হু করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। 

 

এদিকে, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান।'

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানিতে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।'

 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।'

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে'। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ২-৩ দিন ধীরগতিতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

 

পানি বাড়লেও এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।'


বন্যা পরিস্থিতি   যমুনার পানি   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে কমছে যমুনা নদীর পানি

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি শনিবার ( জুলাই) সকাল থেকে কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনাতীরে নিম্নাঞ্চলে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ।

শনিবার ( জুলাই) সকাল ৬টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জানা যায়, যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, পৌরসভার, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ জোড়খালী ইউনিয়নের এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।


জামালপুর   যমুনা   নদী   পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিন শতাধিক স্কুল-কলেজে বন্যার পানি

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিপাকে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র উঁচু স্থানে ছুটছে মানুষ। পানি উঠে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম গাইবান্ধায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ সব নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। এতে জেলার ২৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৪০টিতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা এবং জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ১৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দী হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৭টিতে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। দুটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসবের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ৭১টি এবং মাদ্রাসা ৩২টি। চিলমারী রাজিবপুরে তিনটি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ছাড়া রৌমারী রাজিবপুর এলাকায় ছয়টি কলেজে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। নদীতীরবর্তী ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র যমুনার চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেক টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে নৌকায় করে ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। জমিতে পানি আটকে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় পাঠদান বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাদ্রাসা।


কুড়িগ্রাম   গাইবান্ধা   স্কুল   কলেজে   বন্যা   পানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন