ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেনীর ‘দুঃখ ঘোচাতে’ টেকসই বাঁধ নির্মানের আশ্বাস

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপে ফেনীর ‍ফুলগাজী ও পরশুরামে মহুরী-কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। তাছাড়া এঘটনায় এই দুই উপজেলার এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকসহ বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেনী- আসনের (ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া) সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম। সময় ফেনীর দুঃখ হিসেবে আলোচিত মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ টেকসই বাঁধ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

আলাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সকালে বন্যা দুর্গত এলাকা দেখে আসি। এরপর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাঁধের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছি। মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে এবং জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেনটেকসই বাঁধ নির্মাণে দাপ্তরিক কাজ দ্রুততার সাথে চলছে। এই প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৯শ কোটি টাকা হবে। এর দ্রুত বাস্তবায়ন হলে স্থায়ী সমাধান হবে। এতে মানুষের কষ্ট এবং ফসলহানি রোধ হবে।’

এর আগে সোমবার (১ জুলাই) রাতে বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে রাতেই ঢাকা থেকে নিজ সংসদীয় আসনে যান ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাছিম। এবিষয়ে পরে তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করলে আজ (মঙ্গলবার) বাঁধের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে প্রতিমন্ত্রী ফেনীতে আসেন।


ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর এবং পরশুরামের শালধর এলাকায় বাঁধের ভাঙন এবং বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে টেকসই দীর্ঘস্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হবে। দ্রুততর সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।’

জেলা প্রশাসক শাহীন আক্তার জানান,‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিস্থিতি তদারকি হচ্ছে। যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ওইসব এলাকা পরিদর্শন করছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ শালধর, মালিপাথর, নিলক্ষ্মী, ঘোষাইপুর এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মুহুরী নদীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন বলে তার স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতেই মুহুরী বাঁধের একটি স্থান ভেঙে ফুলগাজী বাজার পানিতে তলিয়ে যায়। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে তিনফুট পানি উঠে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে প্লাবিত লোকালয়ে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।


বাঁধ নির্মাণ   বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত   পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে 'বাংলা ব্লকেড', তীব্র যানজটে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিকিখার্থীদের পুর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচীর ফলে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো রাজধানী। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ শুরু করেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন।  মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে আসে৷ বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে সব ধরনের যন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে বেলা আড়াইটার পর শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগের ব্যানারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে থাকেন। দেখা যায়, বেলা সোয়া তিনটার সময় গ্রন্থাগারের সামনের সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে অবরোধ করায় এসব এলাকার মধ্যদিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর বড় একটি অংশ। এদিকে অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে। এসময় বাসসহ অন্যান্য যানবাহন প্রধান সড়কগুলোয় আটকা পড়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। দেখা যায়, অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

এমনিতেও সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের ব্যস্ততার কারণে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যানজটের দেখা মিলে। এসময় দুপুরে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে বিকাল চারটায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় ও সংলগ্ন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের পাশপাশি হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠানামার চানখাঁরপুল মোড় অবরোধ করে বসেন। এর সঙ্গে সায়েন্স ল্যাব মোড়েও অবরোধ শুরু হলে আজিমপুর–নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হতে দেখা যায়।

এদিকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। অন্যদিকে আগারগাঁও মোড় অবরোধ করে সড়কে নামে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচীর ফলে ঢাকার তাঁতীবাজার, রায় সাহেব বাজার মোড়, বংশাল, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, মিরপুরের কাজী পাড়া, শেওড়া পাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে পুরো রাজধানী।

এদিকে চানখাঁরপুলে শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে বেলা দুইটা থেকে থেমে থেমে গাড়ি চলতে দেখা যায়। ফলে বিকেল চারটার পর থেকে উড়ালসড়ক হয়ে রাজধানীর ভেতরে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।

যাত্রাবাড়ী মোড়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান করে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা বাসগুলো সড়কের একই স্থানে থেমে আছে। এসময় যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা করেন।

যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে এক কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ কুতুবখালী এলাকার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাত্রাবাড়ীর দিকে আসছিলেন ভৈরব থেকে আসা তসলিম উদ্দিন। তাঁর মাথায় ২০ কেজির চালের বস্তা। আর পিঠে আরেকটি ব্যাগ। সঙ্গে হাঁটছেন স্ত্রীও। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এক ঘণ্টা গাড়িতে বসে বিরক্ত হয়ে নেমে গেছেন। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, এটা শুনে হেঁটেই রওয়া করেছেন। যাবেন খিলগাঁও।

এদিকে যানজটে দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই  ফেসবুকেও করেছেন পোস্ট। এমনই একজন লিখেছেন, ‘কোনো সুস্থ মানুষ একটানা ৪ ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকে কীভাবে?’


কোটাবিরোধী আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন   ঢাকা   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দল হেরে যাওয়ায় ব্রাজিল সমর্থক শিক্ষকের ছুটির আবেদন

প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় উরুগুয়ের কাছে হেরে গেছে ব্রাজিল। রোববার (০৭ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিত খেলায় প্রতিপক্ষ উরুগুয়ের কাছে ট্রাইবেকারে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় দলটি। 

 

এদিকে ম্যাচ হেরে হতাশার ছায়া নেমে আসে বাংলাদেশে ব্রাজিল ভক্তদের মাঝে। প্রিয় দল হেরে যাওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া প্রি ক্যাডেট স্কুলের সহকারী শিক্ষক ব্রাজিল সমর্থক সন্তোষ কুমার মনের কষ্টে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছেন।

ভরাক্রান্ত মন নিয়ে তিনি রোববার একদিনের জন্য ছুটির আবেদন করেছেন তিনি। সেই ছুটির আবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।


 

লিখিত আবেদনে ওই শিক্ষক বলেন, 'অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে জানাচ্ছি যে, প্রিয় দল ব্রাজিল আজ সকালে কোপা আমেরিকা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রাইবেকারে পরাজিত হয়েছে। প্রিয় দল ব্রাজিল পরাজিত হওয়ায় আমি ভীষণভাবে মর্মাহত। এই অবস্থায় আমি বিদ্যালয় যেতে পারছি না। আমাকে একদিনের ছুটি দিতে বার্ধিত করবেন।' 

 

এ বিষয়ে দাশুড়িয়া প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক গোপাল অধিকারী জানান, 'ব্রাজিল হেরে যাওয়ায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক সন্তোষ কুমার মনের দুঃখ  নিয়ে একদিনের ছুটির আবেদন করেছেন। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে একদিনের ছুটি দিয়েছি। আগামীকাল সোমবার তিনি স্কুলে আসবেন।' 


ব্রাজিল সমর্থক   ছুটির আবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি।  ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও।

 

এদিকে বন্যার পানি উঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করে হয়েছে।

 

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

 

বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবরিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসি মানুষের মাঝে সরকারি ভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।

 

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল হক বলেন, গত ৫-৬ দিন ধরে আমার চরের সব বাড়িতে পানি। গরু ছাগল হাস মুরগী নিয়ে পাশের উঁচু একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। আমার এখানকার সবারে খুব কষ্ট। 

 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম জানান, বন্যার পানি উঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে, বন্যা নাই এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।

জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় ৩শ ১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  


বন্যা পরিস্থিতি   পানিবন্দি   বিদ্যালয়ের পাঠদান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:৪৭ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশব্যাপী চলছে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে আন্দোলন। এবার সেই কোটাবিরোধী আন্দোলনেরই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকা অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার বিকেল ৩টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী  'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে, মহাসড়কে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে অবরোধস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।

এর আগে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে এসে অবস্থান নেয় তারা। কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে এসে অবরোধে যোগ দেয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী জানান, 'বিকেল ৩টা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অবরোধ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের সঙ্গে কথা বলছে।'

কুমিল্লা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুফতি আলমগীর হোসেন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। ওই ৫-৬ কিলোমিটারে কোনো যানবাহন চলছে না।'


কোটাবিরোধী আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত ৩০

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় রথযাত্রার সময় বিদ্যুতায়িত হ‌য়ে ৫ জ‌নের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। এ সময় আহত হ‌য়ে‌ছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহ‌রের সেউজগাড়ী মো‌ড়ে এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে।  বগুড়া সদর থানা‌র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ও‌লিউল্লাহ হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হ‌লেন, অলোক সরকার (৪০), আতশী রানী (৪০), র‌ঞ্জিতা মোহন্ত (৬০), নরেশ মোহন্ত (৬৫) এবং অজ্ঞাত পরিচয় এক নারী।

জানা গে‌ছে, সেউজগাড়ী ইসকন ম‌ন্দির থেকে রথযাত্রা‌ বের হয় বিকেল ৫টায়। ১০ মিনিট পথ অতিক্রম করার পর সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় স্টেশন সড়কে র‌থের চূড়াটি সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তা‌রের সংস্প‌র্শে আসে। এতে আগুন ধরে যায়।

এ সময় র‌থের ওপরে বসে থাকা এবং নিচে থাকা অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান‌ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌ল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বগুড়া সদর থানা‌র ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ব‌লেন, রথযাত্রার সময় র‌থের চূড়া‌টি বিদ্যুতের তা‌রের সংস্প‌র্শে এলে এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। আহত‌দের মধ্যে মে‌ডি‌কেল কলেজে ৪ জন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতা‌লে এক জন মারা যান।


রথযাত্রা   বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু   বগুড়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন