ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করলেন মোস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
এদিন আসামি মোস্তাফিজকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

এর আগে, গত ২৭ জুন আসামি মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আলী শাজীর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আসামি ফয়সাল আলী শাজী বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।

গত ২৬ জুন খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে গ্রেফতার করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম। তবে আনারকে হত্যার মিশনে অংশ নেয়া সাতজনকে গ্রেফতারের দাবি করলেও, এখনও সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকসহ অন্যান্য কারণ আমলে নিয়েই চলছে তদন্ত।

উল্লেখ্য, ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে ওই বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় এমপি আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর আর খোঁজ মেলেনি তিন বারের এ সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে, কলকাতার পাশেই নিউটাউন এলাকায় সাঞ্জীভা গার্ডেনস নামে একটি বহুতল আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি তার মরদেহ।

পুলিশের তথ্যমতে, সংসদ সদস্য আনার কলকাতা যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী।

পরে ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।


এমপি আনার   আনোয়ারুল আজিম হত্যা   ডিবি   মোস্তাফিজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক মাসের মধ্যে বাড়ছে না মেট্রোরেলের ভাড়া

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আগামী এক মাসের মধ্যে এই কমিটি জানাবে কিভাবে মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়বে না।

আজ বৃহস্পতিবার সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে এনবিআর ও ডিএমটিসিএলের মধ্যে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মূলত মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী জানান, আজকের বৈঠকে মেট্রোরেলের ভাড়ার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এনবিআর, আইসিটি বিভাগ ও সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নিয়ে ডিএমটিসিএল একটি কারিগরি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি এক মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর কিভাবে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবে।

তিনি আরও বলেন, "আমরা সড়ক বিভাগ বা ডিএমটিসিএল কখনো বলিনি, এনবিআরকে ভ্যাট দেব না। আমরা ভ্যাট দিতে চাই। তবে এ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করার পরে যাত্রী সাধারণের ওপর যেন চাপ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে মূলত আজকের আলোচনা হয়েছে।"

এর আগে সোমবার থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সেদিন থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা যাত্রীদের। তবে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দিয়ে এনবিআর জানায়, জুলাই থেকে মেট্রোরেলের সেবা ও টিকিটে মূসক পরিশোধ করতে হবে। এরপর ডিএমটিসিএলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন মেট্রোরেলে ভ্যাট না বসানোর অনুরোধ করে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে এই সুবিধা দেয় এনবিআর।

মূলত, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ট্রেনের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। একইভাবে মেট্রোরেলের ভাড়া থেকেও ভ্যাট আদায় করতে চায় এনবিআর। এ নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যাত্রীদের বিদ্যমান ভাড়ার মধ্য থেকেই ডিএমটিসিএল ভ্যাট কেটে রেখে পরিশোধ করতে বলেছে এনবিআর। ভ্যাট পরিশোধের পর বাকি টাকা পাবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। তবে আয় কমাতে রাজি নয় ডিএমটিসিএল। অন্যদিকে বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে এখনই ভাড়া বাড়াতেও তারা রাজি নয়। এ ক্ষেত্রে তারা ভ্যাট অবহিতর মেয়াদ আরও বাড়িয়ে বর্তমান ভাড়া রাখতে আগ্রহী।


মেট্রোরেল   এনবিআর   ভাড়াবৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা কোটাবিরোধীদের

প্রকাশ: ০৯:৩২ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন শুরু করেছে।

গত চার দিন ধরে শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারা দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। বিকেল ৬টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আগামীকাল শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে এবং শনিবার বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তারা উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছিল, যা পরবর্তীতে সফল হয়। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্ট ওই পরিপত্রকে বাতিল করে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেছেন: ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, সব গ্রেডে অযৌক্তিক কোটার অবসান ঘটিয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা রাখতে হবে, কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং দুর্নীতিমুক্ত, মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের কোটা ব্যবস্থা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করা হয়।


কোটাব্যবস্থা   কোটা আন্দোলন   শিক্ষার্থী   শাহবাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু: ষড়যন্ত্রকারী কারা

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা পরাজিত হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? কেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হল?  যে প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন শুরুই করেনি, সেই অর্থায়ন শুরুর আগেই তারা কেন দুর্নীতির অভিযোগ তৈরি করল এবং অর্থায়ন প্রত্যাহার করল?

সাধারণত একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয় যখন প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়, টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়, অর্থ লেনদেন হয়। কিন্তু টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই, কাউকে কাজ দেয়ার আগেই বিশ্বব্যাংক কি কারণে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিল সেটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা বটে। 

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনার সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কতগুলো বাস্তবতার কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে এ দুর্নীতির অভিযোগ উঠিয়েছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল আসলে একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয়েছিল ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে বয়স উত্তীর্ণের কারণে সরে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে অবসরে যেতে হয়। 

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনার সহযোদ্ধারা

কিন্তু এই অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেননি। তাকে চাকরিতে বহাল রাখার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেন। হিলারি ক্লিনটন নিজে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ডক্টর ইউনূস আদালতে যান তার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ রাখার জন্য। কিন্তু সব জায়গায় তিনি ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থ হওয়ার পরেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য তিনি হিলারি ক্লিনন্টনের কাছে তদবির করেন। হিলারি ক্লিন্টনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে দেখা যায় যে, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস বলছেন যে সরকারকে চাপ দিতে হবে, শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাংকে বলতে হবে। তাহলে শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।

ড. ইউনূসের এই চিঠির প্রেক্ষিতে হিলারি ক্লিনন্টন তার একান্ত অনুগত তৎকালীন বিশ্ব ব্যাংকের সভাপতির কাছে একটি ই-মেইল বার্তা পাঠান। সেই ইমেইলে হিলারি ক্লিনন্টন পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন আপাতত বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে হিলারি ক্লিন্টনের প্রভাবের কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

আরও পড়ুন: মুহিত-রিজভীর প্রস্তাব যেভাবে নাকচ করেছিলেন সাহাবুদ্দিন

উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাংকের ঐ প্রেসিডেন্ট তার শেষ কর্মদিবসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বা কোনও তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের একক ক্ষমতা বলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। 

বিশ্বব্যাংকের এই একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ডক্টর ইউনূস ছাড়াও ভূমিকা রেখেছিলেন ড. ওসমান ফারুক। ওসমান ফারুক ওয়াশিংটনে আছেন এবং তিনি ডেমোক্র্যাট দলের অন্যতম একজন উপদেষ্টা। তিনিও পদ্মা সেতুতে তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন৷ 

এই সময় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এ নিয়ে একটি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবার পর এটি নিয়ে হৈ চৈ হয়েছিল। 

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হচ্ছে এমন একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছিল ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো। যে প্রতিবেদন গুলোর ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহারে প্ররোচিত হয়েছিল। 

পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। পদ্মাসেতু বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া অসম্ভব। পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করা একটি অলীক প্রস্তাব এরকম লেখা লিখে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়েছিলেন। 

এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জবাব হিসেবে পদ্মা সেতু আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীরা আজ ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।


পদ্মা সেতু   ষড়যন্ত্রকারী   বিশ্বব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেঙ্গু ইস্যুতে সতর্ক আছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডেঙ্গু সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত পরিসংখ্যানগুলো সম্পর্কে সরকার সতর্ক আছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির চলতি বছরের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। তাই সিটি করপোরেশন ও সেবা সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী সকলেই সচেতন আছেন, এবং সে কারণেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন, উপজেলা, এবং ইউনিয়ন পরিষদ তাদের করণীয় কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করবে।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি মাসে প্রতিটি কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এবং পরিত্যক্ত মালামাল কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চলছে এবং পরীক্ষার দিন ছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে অভিযান পরিচালিত হবে।


ডেঙ্গু   মেয়র   সতর্কতা   অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় বৃদ্ধের শরীরে ব্যাটারির এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে আব্দুর রহিম (৬২) নামের এক বৃদ্ধের শরীরে ব্যাটারির এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) ভোর রাতের দিকে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কুকড়াগাড়ি গ্রামে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রহিম ওই গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, বেশকিছুদিন ধরে একই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম শহীদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল আব্দুর রহিমের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে শালীস বৈঠকও হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে শহিদুল ইসলাম, তার দুই ছেলে শফিকুল হাফিজুরসহ বেশ কয়েকজন আব্দুর রহিমকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। এরপর আব্দুর রহিমের শরীরে  এসিড (ব্যাটারির পানি) নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

এতে আব্দুর রহিমের গলা থেকে কোমড় পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আব্দুর রহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


জমি সংক্রান্ত বিরোধ   বৃদ্ধ   এসিড নিক্ষেপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন