ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ড

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংস্থাটি বলছে, অতিবৃষ্টি উজানের ঢলে দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার ( জুলাই) বিডব্লিউডিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় তথ্য জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ বিভাগ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।


বন্যা   পরিস্থিতি   অবনতি   পূর্বাভাস   পানি   উন্নয়ন   বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলা ব্লকেড: শাহবাগ থেকে ফার্মগেট সড়ক অবরোধ, গুলিস্তানে অবস্থান জবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনবর্হালের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা।

এদিকে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় একই কর্মসূচি শুরু করেন জবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা। এসময় লিশ বংশাল মোড় আরুবাজার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গুলিস্তানের দিকে অগ্রসর হন তারা।

 

বিস্তারিত আসছে.........................

 

 


কোটা আন্দোলন   শাহবাগ অবরোধ   জাবি   গুলিস্তান অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা নিয়ে আন্দোলন না করাই উচিত: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন না করাই উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সোমবার (৮ জুলাই) অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আদালত আদেশে দিয়েছেন, সেই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের আদালতের প্রতি ওনাদের (শিক্ষার্থীদের) আন্দোলনটা আমি মনে করি, উনাদের না করাই উচিত হবে। আমি বলব আদালতে যে বিষয়টা বিচারাধীন, সেই বিষয়টা রাজপথে না আনা, কারণ এটা আদালতে তো আছেই, বিচারটা হচ্ছে, হবে; সেই ক্ষেত্রে উনাদের আমি একটু ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করব। আমি মনে করি আন্দোলনটা না করাই ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। আমরা বুধবারও যদি পূর্ণাঙ্গ রায় পাই তাহলেও সিপি (নিয়মিত আপিল) করব।’

এর আগে, গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারিকৃত  পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ওইদিন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি।

রিট আবেদনকারী পক্ষের আবেদনে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি ‘নট টুডে’ আজ নয় বলে আদেশ দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

এর আগে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এরপর ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে গত ৯ জুন চেম্বার জজ আদালত এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এর আগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করা হয়। তারও আগে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশসহ আরও কিছু সংখ্যক কোটা বিদ্যমান ছিল।

সরকারের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, নবম গ্রেড এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে এসব গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হয়। প্রসঙ্গত, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে (১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) কোটাব্যবস্থা বহাল রয়েছে।

এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে পরিপত্রের পাশাপাশি এর আগে দেওয়া হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আদেশ প্রতিপালন না করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য অধিকারের প্রতি অবজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করা হয়।

এদিকে রায় ঘোষণার (গত ৫ জুন) পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকল না। স্বাধীনতার পর সংবিধান প্রণয়নের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রবর্তন করা হয়। এটি চলমান অবস্থায় ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের ক্ষেত্রে বাতিল করার বিষয়টি ছিল অপমানজনক। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে ৩০ শতাংশ কোটা বাস্তবায়ন করার বিষয়টি স্পষ্টতই উল্লেখ রয়েছে।

পরে কোটাপদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে বিষয়টি গত ৯ জুন চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৪ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। ধার্য তারিখ ৪ জুলাই আপিল বিভাগে রিট আবেদনকারীপক্ষ এক দিনের সময়ের আরজি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই আপিল বিভাগ ‘নট টুডে’ (সেদিন নয়) বলে আদেশ দেন।


কোটাবিরোধী আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন   ঢাকা   অবরোধ   অ্যাটর্নি জেনারেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বিদেশ সফর: বাংলাদেশের কাছে কি চায় চীন?

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীনে গেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর। এবারের সফরে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক বিষয়ে বড় ধরনের চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

৯ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই সফরে চীনের সঙ্গে ৭০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক চুক্তি হতে পারে। এর মধ্যে বাণিজ্য সহায়তা পাওয়া যেতে পারে পাঁচশ কোটি ডলারের, বাজেট সহায়তা পাওয়া যাবে দুইশ কোটি ডলারের।

শেখ হাসিনার এবারের চীন সফরকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক, উভয়দিক থেকেই বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, এই সফরের মাধ্যমে নতুন বাজেটের ঘাটতি পূরণসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।

গত ১৫ বছরে চীন বাংলাদেশের বেশকিছু মেগা-প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়নকারীর ভূমিকাও রেখেছে। এরগুলোর মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর অবকাঠামো নির্মাণ ও কর্ণফুলি টানেল তৈরি। এরপর দেশটি এখন বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পেও যুক্ত হতে চাচ্ছে।

বিগত নির্বাচন থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়েও চীনের আগ্ৰহ সবার চোখে পড়ার মত। আর সাম্প্রতিক সময়ে নতুন সরকার গঠিত হবার পর বাংলাদেশে চীনের তৎপরতা অনেক গুন বেড়েছে।

যেকারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীন এত আগ্রহ দেখাচ্ছে কেন? এতে তাদের লাভ কি? বাংলাদেশে চীনের ঠিক কি কি স্বার্থ রয়েছে? তারা আসলে কি অর্জন করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে?

চীন এখন বাংলাদেশে শীর্ষ ঋণদাতা দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যমতে, গত চার অর্থবছরে চীন এককভাবে বাংলাদেশকে প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে।

আর ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটে’র (এইআই) ২০২৩ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

আফ্রিকা থেকে শুরু করে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশকেও ঋণ দিচ্ছে চীন। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় অন্যদেশের তুলনায় বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়াটা তাদের জন্য বেশি লাভজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত দেড় দশকে ১২টিরও বেশি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এসব প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থঋণ দিয়েছে চীন।

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া বেশি লাভজনক হিসেবে দেখার কারণ হলো- ঋণ দিয়ে একদিকে তারা সুদের টাকা পাচ্ছে, অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে চীনা ঠিকাদাররাই ওইসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেইসঙ্গে, বাংলাদেশের উপরেও চীনের প্রভাব বজায় থাকছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ফলে চীনা নাগরিকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। যেসব প্রকল্পে চীন ঋণ দিচ্ছে, চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোই সেখানে কাজ করছে।

করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে বেকারত্বের হার রেকর্ড সংখ্যায় বেড়েছে চীনে। চীনের সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। যেকারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমে চীনের সরকার তাদের বেকার নাগরিকদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ দেশে কর্মরত বিদেশিদের মধ্যে চীনা নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনুমতি নিয়ে কাজ করতে আসা চীনা নাগরিকের সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

শুধু প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ ও কর্মসংস্থানেই থেমে নেই চীন। এ দেশে চীনের বাণিজ্যিক ও ভূ- রাজনৈতিক স্বার্থ ও চোখে পরার মত।

এইআই’র হিসাবে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাৎসরিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর বিশাল এই অঙ্কের প্রায় সবটাই আমদানি করে বাংলাদেশ।

একক দেশ হিসেবে চীনের কাছ থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে চীন থেকে পণ্য আমদানি প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে চীন থেকে বছরে আগে সাড়ে ছয়শ কোটি মার্কিন ডলারের মতো পণ্য আমদানি করা হতো। আর এখন সেটি বেড়ে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

এছাড়াও, বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি চীনের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জামসহ ২০১৬ সালে চীন থেকে দুটি সাবমেরিনও কিনেছে বাংলাদেশ। ফলে চীনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ বেশ তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি ভূ-রাজনীতির কৌশলগত দিক থেকেও চীনের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই গুরুত্বের প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। কারণ, সুপার পাওয়ার হতে চাওয়া চীন মূলত এ অঞ্চলে একটা আধিপত্য রাখতে চায়। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরকে চীন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। যদিও এটার প্রধান কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি’।

২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই স্ট্রাটেজি ঘোষণা করে। যেখানে চীনকে বাদ দিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটি নিরাপদ ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

আর এই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ । ফলে যেকোনো পণ্যের বাজার হিসেবে এই অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এ অঞ্চলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের জন্য আলাদা কৌশল ঘোষণা করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

যদিও, যুক্তরাষ্ট্রের আগেই ২০১৩ সালে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নামে একটি উন্নয়ন কৌশল ও কাঠামো উপস্থাপন করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের ৬০টি দেশের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি সংযুক্ত হতে চায় চীন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরই) নামের যে মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন বিভিন্ন দেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

কিন্তু বাংলাদেশের ওপর চীনের এই আধিপত্য এভাবেই সামঞ্জস্যতার সাথে চলবে নাকি চীন বাংলাদেশের রাজনীতি সহ অন্য সব কিছুতেও নিজেরদের প্রভাব বিস্তার করার প্রচেষ্টা চালাবে সেটিই এখন ভাবার বিষয়।


বাংলাদেশ   ভারত   চীন   রাজনীতি   শিন জিনপিং   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলা ব্লকেড: সাইন্সল্যাব অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের  দাবিতে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় জড়ো হয়েছে ঢাকা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ’ ব্যানারে ঢাকা কলেজ গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবারও সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবস্থান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা 

দেখা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে আলাদাভাবে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনসহ ঢাকা কলেজ গেটের সামনে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বাধাঁর পাশপাশি ‘কোটা মুক্ত দেশ চাই’ লেখা সম্বলিত ফিতাও বেঁধে রাখেন।

এদিকে আন্দোলনে অংশ নিতে আসা এক শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পরিস্থিতি বাধ্য হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।


কোটা আন্দোলন   ঢাকা কলেজ   সাইন্সল্যাব   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই তবে সমর্থন আছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে তা যৌক্তিক। এই আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে। তবে এই আন্দোলনে বিএনপির বিপক্ষে যে ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের সকলেই দুর্নীতিবাজ। সরকার ব্যর্থ হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে জনগণের ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটজনক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে খালেদা জিয়ার মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে সেই মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। এদিকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশী বিদেশি সব চিকিৎসক সুপারিশ করলেও সরকার জামিন দিচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার এক ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে বিএনপির। সরকারকে এ সংক্রান্ত দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

অপরদিকে, এসব আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।


তারেক জিয়া   বেগম খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন