ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওমানের মাস্কাট থেকে অবতরণ করা সালাম এয়ারএয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে এসব স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে অবৈধ স্বর্ণ আসছে, এমন একটি গোপন সংবাদ ভিত্তিতে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ওমানের মাস্কাট থেকে আসা ওভি-৪৯৭ নম্বর ফ্লাইটটি রামেজিং করা হয়।

এ সময়, সিট নং ২ (ডি-ই-এফ) এর উপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কচটেপে মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে বিমানে দায়িত্বরত সকলের সামনে ভিডিও ধারণসহ কালো স্কচটেপে মোড়ানো বস্তু দুটি কাস্টমস হলের ইনভেন্টরি টেবিলে নিয়ে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কেটে ৩৮ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন কেজি ৪২০ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।


স্বর্ণের বার   উদ্ধার   শাহজালাল বিমানবন্দর   কাস্টমস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নাগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাবপিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির ও বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মিয়া আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ২৮ বছর বয়সী রাজু মিয়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের হবিবর আলীর ছেলে।

ওসি ফিরোজ বলেন, “গরু চোরাকারবারিরা নগরভিটা সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফের সদস্যরা রাজুকে দেখতে পেয়ে গুলি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।”

রাজুর লাশ এখনও বিএসএফের কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, “আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সীমান্তের শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান করেছি। বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”


বিএসএফ   যুবক   নিহত   ঠাকুরগাঁও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানুষের হৃদয়ে নাম লিখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেখানেই বেঁচে থাকবেন তিনি: কাদের

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের হৃদয়ে যে নাম লিখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেখানেই বেঁচে থাকবেন তিনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হবে।

শুক্রবার ( জুলাই) বিকেলে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহস দেখাতে পেরেছেন।

কাদের আরও বলেন, ‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তে পর অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। আমাকেও কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমি কিছু বলিনি৷

কাদের বলেন, ওয়াশিংটনে মাইনর অপারেশন করাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে পদ্মায় প্রথম স্প্যান বসবে। আমরা ওনাকে জানালাম, আপনি ফিরলে স্প্যান বসবে। কিন্তু তিনি বললেন, শেখ হাসিনার কারণে পদ্মা সেতুর কাজ যেন এক মিনিটের জন্যও থেমে না থাকে।

এর আগে দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে ২ হাজারের অধিক সুধীজননকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন


মানুষের হৃদয়   শেখ হাসিনা   পদ্মা সেতু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৩ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পর দলটি আবার হতাশায় ভেঙে পড়েছে। তারা ভেবেছিল যে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুতে অন্তত নেতা কর্মীরা চাঙ্গা হবে। কিন্তু বিএনপির এই ৩ দিনের কর্মসূচি রীতিমতো ফ্লপ হয়েছে বিএনপি নেতারাও স্বীকার করছেন যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হতাশা কাটাতে পারছেন না তারা। সরকার পতনের যে দল সংগঠন এবং দলের ভিতরে হতাশা দূর করাটাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ও তিন দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে। 

এর মধ্যে বিএনপির কোনো নেতা কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের প্রত্যয় পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির আরেক অংশের নেতৃত্ব এই দুটি কি ফাঁদ মনে করছেন? তারা মনে করছেন, শিক্ষকদের যে আন্দোলন হচ্ছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং এই আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকরাই জড়িত৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলে আবার নতুন করে হতাশ হতে হবে। 

বিএনপির মধ্যে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সম্পূর্ণ দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন, এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ। যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা সবাই আওয়ামীপন্থি। কাজেই তারা এক সময় মিটমাট করে ফেলবেন তখন বিএনপিকে পস্তাতে হবে। 

বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের কেউ কেউ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তারা মনে করছে যে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এই আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশ করা উচিত এবং বিএনপি যদি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তাহলে লাভ হবে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি। বরং এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে প্রবলভাবে। 

শুধু শিক্ষকদের আন্দোলন নয়, কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও বিএনপির অবস্থান দ্বিধাবিভক্ত। ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়েছে। ছাত্রদলের অনেক নেতাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে সমান্তরালভাবে কর্মসূচি দেয়া বা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য উস্কানি দেয়া ইত্যাদি প্রবণতাগুলো এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি কী হয়, কীভাবে এই আন্দোলনকে সরকার মোকাবিলা করে সেটাই দেখতে চাইছে। 

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এই সমস্ত শ্রেণি পেশার আন্দোলনগুলো জনপ্রিয় হলেও তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্রব নেই। এসব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বরং বিএনপি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বিএনপির মূল দাবিগুলো অকার্যকর এবং দুর্বল হবে। 

বিএনপির কোনো নেতা এটা মনে করেন যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুগুলিকে আড়াল করার জন্যই কোটা বিরোধী আন্দোলন বা শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের আন্দোলনকে সামনে আনা হয়েছে। এটি সরকারের একটি কৌশল। 

বিএনপির একজন নেতা একজন নেতা বলছিলেন যে দুর্নীতিবাজদের নিয়ে যখন সারা দেশে হৈ চৈ হচ্ছিল তখনই শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন ঐ বিএনপি নেতা। তিনি মনে করেন, এই সমস্ত আন্দোলন করে সরকার মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চেয়েছে। তবে, সামনের দিনগুলোতে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের আন্দোলন কিভাবে এগোয় সেটির দিকেই লক্ষ্য রাখতে চাইছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 


কোটা আন্দোলন   শিক্ষকদের আন্দোলন   বিএনপি   দ্বিধাবিভক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আগে যারা খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে’

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যারা ভেবেছিল তাদের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারবেনা, সেই ধারণাটা বদলে গেছে। সেই ধারণা আর নেই। আগে যারা কথায় কথায় খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে। পদ্মাসেতুর জন্য আজ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”

বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০১ সালে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের গ্যাস অন্য দেশের কাছে বিক্রি করতে রাজি হই নাই বলেই সেবার সরকার গঠন করতে পারি নাই। বাংলাদেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসতে হবে, শেখ মুজিবের মেয়ে এটা কখনও চায় নাই।”

এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সাধারণত কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে, কোন অনুষ্ঠান হয়না। কিন্তু পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। যার জন্য পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতেই আজকের এই আয়োজন।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও সমাবেশে অংশ নেন কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   বাংলাদেশ   পদ্মা সেতু   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদদের একটি বিজয়

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আপাতত মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ছে না। মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের একটি প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিলো। সেই দ্বন্দ্বে আপাতত রাজনীতিবিদদের জয় হলো। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে শেষ পর্যন্ত এনবিআরের চেয়ারম্যানকে আপাতত বশ মানতে হয়েছে। 

১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের ভাড়ার উপরে ১৫% ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছিলো এনবিআর। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। এখন পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয়নি। ভ্যাট আদায় করা হবে কি হবে না এটি নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে এনবিআরের প্রতিনিধিরাও আছে। আগামী এক মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ আলাপ-আলোচনা করে এব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। 

তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু এটি একটি নতুন পরিবহণ ব্যবস্থা এবং মানুষ এর সুবিধা ভোগ করছে। তাই এখানে ভ্যাট আরোপের জন্য আরেকটু সময় প্রয়োজন। তাছাড়া কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় রয়েছে। কারিগরি ব্যবস্থাপনার কিছু সংশোধন করা ছাড়া এখানে ভ্যাট আদায় করলে জটিলতা হতে পারে। সেকারণেই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এর আগে এনবিআরকে জানিয়েছিলো যে,আপাতত মেট্রোরেলের উপর যাতে ভ্যাট বসানো না হয়। 

কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এই দাবি প্রত্যাখান করে এনবিআর জানিয়ে দেয়, মেট্রোরেলের ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে। পরে বিষয়টি প্রকাশ্য বিতর্কে রূপ নেয়। এনবিআরের বক্তব্যের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অন্তত দু’টি অনুষ্ঠানে এনবিআরের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এবিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, এভাবে এর ওপর ভ্যাট আরোপ করা যাবে না। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত এবারের বাজেটে মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। এখন উভয় পক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ভ্যাট আদায় করা হবে কি হবে না। 

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের বাড়-বাড়ন্তের সময় এটি রাজনীতিবিদদের একটি বড় বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আমলাতন্ত্রের প্রভাব, প্রতিপত্তি এবং ক্ষমতা বেড়েছে। রাজনীতিবিদরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে এই ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্তে যদি এনবিআরের জয় হতো তাহলে সেটি হতো আমলাদের আরেকটি বিজয়। কারণ এনবিআরের চেয়ারম্যান এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একাধিকবার চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। আমলাতন্ত্রের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়। 

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এনবিআরের নানারকম কেলেঙ্কারি, বিশেষ করে মতিউর কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে এখন আমলাতন্ত্রের একটি কোণঠাসা অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর একারণেই রাজনীতিবিদদের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়েছে। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে, এবং প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনবান্ধব নীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। জনগণের ভোগান্তি হোক এমন কোন সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণের বিপক্ষে সবসময়। সারাজীবন রাজনীতিতে তিনি জনগণের পক্ষেই ছিলেন। আর একারণেই নতুন ভাবে জনপ্রিয় হতে যাওয়া মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্তের পক্ষে তিনি অবস্থান করতে পারেন নি। 

এখন দেখার বিষয়, এনবিআর কবে, কিভাবে ভ্যাট আদায় করে বা মেট্রোরেল পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকার কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে মেট্রোরেলের উপর ভ্যাট আপাতত আরোপ করা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে হয়তো আস্তে আস্তে এ বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হবে।


আমলা   রাজনীতিবিদ   দ্বন্দ্ব   মেট্রোরেল   ভাড়া বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন