হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩৮টি স্বর্ণের
বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বুধবার
(৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওমানের মাস্কাট
থেকে অবতরণ করা সালাম এয়ারএয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইট থেকে এসব স্বর্ণের
বার উদ্ধার করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস
কর্মকর্তারা জানান, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে অবৈধ স্বর্ণ আসছে,
এমন একটি গোপন সংবাদ
ভিত্তিতে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ভোর
সাড়ে ৫টা নাগাদ ওমানের
মাস্কাট থেকে আসা ওভি-৪৯৭ নম্বর ফ্লাইটটি
রামেজিং করা হয়।
এ
সময়, সিট নং ২
(ডি-ই-এফ) এর
উপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কচটেপে মোড়ানো
দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত
অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে বিমানে দায়িত্বরত সকলের সামনে ভিডিও ধারণসহ কালো স্কচটেপে
মোড়ানো বস্তু দুটি কাস্টমস হলের ইনভেন্টরি টেবিলে নিয়ে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কেটে ৩৮ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম। যার আনুমানিক
বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এ
ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি
বলেও জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
স্বর্ণের বার উদ্ধার শাহজালাল বিমানবন্দর কাস্টমস
মন্তব্য করুন
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তিনি অমর একুশে হলে থাকেন। এই হল শাখা ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী কয়েকজন নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে
একুশে হলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তা করতে পারেননি
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে তাঁরা সারজিসের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
ক্যাম্পাস
সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে সারজিসকে হলছাড়া করার চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে অমর
একুশে হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এতে একুশে হলের পাশাপাশি অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়। তখন একুশে হলের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা সারজিসের কাছে ক্ষমা চান। বিক্ষোভ চলাকালে দিবাগত রাত একটার দিকে একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে আসেন। সারজিস হলে থাকবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সারজিসের সহযোগীরা তাঁকে তাঁর হলের কক্ষে পৌঁছে দিয়ে আসেন।
ঘটনার
বিষয়ে গতকাল মধ্যরাতে সারজিস সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর রুমমেটকে হল শাখা ছাত্রলীগে
শীর্ষ পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা বলেন, সংগঠনের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে, তিনি যেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে হল ছেড়ে যান।
কারণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তিনি। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের কাছে জানতে চান, এমন কিছু বলা হয়েছে কি না। তাঁরা
‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন। এই উত্তর পেয়ে
তিনি কক্ষে এসে ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। কারণ, তিনি চাননি কোনো ঝামেলা হোক। হল ফটকে এসে
দেখেন, পাঁচ থেকে সাত শ শিক্ষার্থী দাঁড়ানো।
তাঁরা তাঁকে যেতে দিচ্ছিলেন না। কারণ, তিনি ছাত্রসমাজের একটা যৌক্তিক দাবির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন। খবর পেয়ে আশপাশের হল থেকে শিক্ষার্থীরা
আসেন।
সারজিসের
ভাষ্য, একপর্যায়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, হল শাখার কোন
শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা তাঁর সঙ্গে এই কাজ করেছেন।
তাঁকে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চান। তাঁরা স্বীকার করেন, ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাঁরা তাঁকে হল থেকে বের
করে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন।
ক্ষমা
চাওয়ায় একুশে হলের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের নাম সাংবাদিকদের কাছে বলতে চাননি সারজিস। ছাত্রলীগের শীর্য পর্যায় থেকে কে তাঁর সঙ্গে
যোগাযোগ করেছেন, তা-ও তিনি
বলেননি।
ড.
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও জাতির
জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থী মধ্যরাতে এই প্রতিবেদককে ফোন
করে অভিযোগ করেন, তাঁরা একুশে হলের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। হল শাখা ছাত্রলীগের
শীর্ষ পদপ্রত্যাশী কিছু নেতা এ কাজ করেছেন।
যোগাযোগ
করা হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর আবাসিক হলে থাকা না-থাকাটা হল
প্রশাসনের বিষয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সহনশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ
করার সাংগঠনিক নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে
সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
একুশে
হলের প্রাধ্যক্ষ ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ বলেন, ‘একটা ভুল-বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি। সারজিসকে হলের কক্ষে তুলে দিয়ে এসেছি।’
কোটা আন্দোলন নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মাওয়া পৌঁছেন তিনি।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।
সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন
‘বড় বড় সাংবাদিক ম্যানেজ করেই এসেছি’—এমন কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন ছাগলকাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে তিনি এ দাবি করেন। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান।
এ ঘটনার ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে লায়লা কানিজ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি অফিসে এসেছিলাম। অফিসের কার্যক্রম শেষ করে আমি কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অফিস ত্যাগ করি। কিন্তু সেদিন কে বা কারা একটি ভুল তথ্য মিডিয়াকর্মীদের দিয়েছেন, আমি ঢাকার বড় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে এখানে এসেছি। এটা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি এ ধরনের কথা বলি নাই।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে লায়লা কানিজ আরও বলেন, ‘যাঁরা মিডিয়ার কর্মী ও সাংবাদিকদের এসব ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আপনারা সত্য তথ্যটা বের করে উপস্থাপন করবেন। আপনারা সমাজের দর্পণ, আমি আশা করব, আপনারা সত্যটা প্রকাশ করবেন।’
ছাগল-কাণ্ডের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত ২৭ জুন এক সপ্তাহের অনুপস্থিতি শেষে প্রথম কার্যালয়ে যান রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ। সেদিন দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ব্যক্তিগত কালো রঙের একটি গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি সভায় অংশ নেন তিনি। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সামনে বক্তব্য দিয়েই নিজের কক্ষে চলে যান লায়লা কানিজ। এ সময় তিনি বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদ–পরবর্তী কুশল বিনিময় করেন। পৌনে একটার দিকে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন–সম্পর্কিত আরেকটি সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের সামনে বক্তব্য দেন তিনি। ঠিক একটায় সভা থেকে বেরিয়ে ওই কালো গাড়িতে চেপে কার্যালয় ত্যাগ করেন লায়লা কানিজ।
কার্যালয় থেকে বেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা লায়লা কানিজকে একের পর এক প্রশ্ন করছিলেন। কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি আরেকটি সভায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে গাড়িতে উঠে পড়েন।
মন্তব্য করুন
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কৈকুন্না গ্রামের কৃষক রুবেল আলী (২৬) কলাখেতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত হন। সাপটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে বস্তাবন্দী করে তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রুবেল জানান, সকালে কলাখেতে কাজ করার সময় হঠাৎ রাসেলস ভাইপার সাপ তাকে কামড় দেয়। সাপটি চিনতে পেরে তিনি লাঠি দিয়ে সাপটিকে আঘাত করে মেরে ফেলেন এবং পরে সেটিকে বস্তায় ভরে দ্রুত হাসপাতালে রওনা দেন। প্রথমে আতঙ্কিত হলেও এখন তিনি চিকিৎসার পর ভালো বোধ করছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন বলেন, রুবেল হাসপাতালে আসামাত্র তার চিকিৎসা শুরু হয় এবং তিনি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত হন কৃষক হেফজুল ইসলাম (৪৫)। তিনিও সাপটিকে মেরে বস্তাবন্দী করে নিজেই রামেক হাসপাতালে আনেন এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কিত চিকিৎসা
মন্তব্য করুন