ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ফেনী ও খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ভারি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুরমাসহ সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো তলিয়েছে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সদর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের বিভিন্ন এলাকা। পানিবন্দি লাখো মানুষ৷  সড়ক ডুবে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। 

এদিকে, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে ডুবেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ সিলেট নগরীর নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ওয়ার্ড। নদ-নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। 

সিলেটবাসীর এই ভোগান্তি চলতি জুলাইজুড়ে থাকার শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, জুলাই মাস পুরোটাজুড়েই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে জুলাই মাসে।

অতিবৃষ্টিতে সিলেট নগরীর উপশহর, তালতলা, মেজরটিলা, বাগবাড়ি, পায়রাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক তলিয়ে হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় আবারো ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। 

অন্যদিকে, পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালাসহ নিম্নাঞ্চল। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানিবন্দি হাজারো পরিবার।

দীঘিনালার মেরুং, কবাখালী ও শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সড়ক ডুবে বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির সাজেক ও লংগদুর সাথে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ। মহালছড়ি সড়কের বিভিন্ন জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। বৃষ্টি চলতে থাকায় পাহাড় ধস ও বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির শঙ্কা রয়েছে। মাটিরাঙার সাপমারায় ভোরে পাহাড় ধসে পড়ে সড়কের ওপর। চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় সড়ক যোগাযোগ। শহরের শালবাগান, হরিনাথপাড়া, রসুলপুর ও মেহেদিবাগে পাহাড় ধসে কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ফেনীর মুহুরি নদীর বাধ ভেঙে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে স্থগিত করা হয় ফুলগাজী ও পরশুরামে মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা।

এদিকে কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনিত ঘটেছে। বুধবার (৩ জুলাই) স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সকাল ৯টায় জানায়, ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া শেরপুরের শহর রক্ষা বাধ ভেঙে শহরসহ শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


সিলেট   সুনামগঞ্জ   কুড়িগ্রাম   বন্যা   পরিস্থিতি   অবনতি   ফেনী   খাগড়াছড়ি   নিম্নাঞ্চল   প্লাবিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা ইস্যুতে সরকার আন্তরিক, রায় দেবেন আদালত: কাদের

প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’

সোমবার ( জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

এছাড়াও সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।’

কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।’

 এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুরসহ অনেকে।


কোটা ইস্যু   উচ্চ আদালত   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ হিজরি নববর্ষ ১৪৪৬

প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের আকাশে মুহাররম মাসের চাঁদ উদয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন হিজরি বর্ষ। স্বাগত হিজরি নববর্ষ ১৪৪৬। হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম। হিজরি সন গণনা করা হয় সন্ধ্যার পর থেকে। গতকাল রোববার (৭ জুলাই) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল নতুন আরবি বছর; ১৪৪৬ হিজরি।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরি সনের শুভ সূচনা লাভ হয়। বাংলাদেশের আকাশে গত শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মহরম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৭ জুলাই বুধবার (১০ মহররম) সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন তথা কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। আরবি নববর্ষের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকা সত্ত্বেও উল্লেখ করার মতো কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না বললেই চলে। হিজরি বছরের শেষ মাস এবং শুরুর মাস অনেক মর্যাদা ও ফজিলতের মাস। তাই এ হিজরি বছরের শেষ এবং নতুন বছরের প্রথম রাত ও দিন বিগত দিনের গোনাহ মাফ এবং আগামী দিনের কল্যাণ লাভের এক মর্যাদপূর্ণ সময়।

১৪৪৪ হিজরি সাল মুসলমানের জন্য আগামী দিনে রহমত বরকত ও নাজাতের বারতা নিয়েই পথচলা শুরু করেছে আজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগ ও কুরবানির ঐতিহাসিক স্মৃতি স্মারক হিজরি (আরবি) সন। ইসলামের প্রচার, প্রসার এবং বিজয় কেতন উড্ডীনে হিজরি সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যাধিক। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের জ্ঞানপাপীরা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বনবি দ্বীন প্রচারে প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে মাদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেন। যাকে কেন্দ্র করেই আজকের হিজরি সন। যা আজো মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে জাগরিত হয়ে আছে।

মনে রাখা জরুরি যে, হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাসই নয়, এ মাস গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার, ত্যাগের, ভালো কাজ করার, খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার এবং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করার মাস। ইসলাম ও মুসলমানের জন্য এ মাসের রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় ও পালনীয় বিষয়। তাইতো এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে রোজা রাখা উত্তম।


হিজরি নববর্ষ   মহররম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলা ব্লকেড’: বন্ধ হতে পারে মেট্রোরেলও

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচী পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা। এতে করে তীব্র যানজটের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় আজও রাস্তা অবরোধসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে রেললাইন অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিনাঞ্চল ও ঢাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এদিকে রাজধানীতে মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি আজ মেট্রোরেল অবরোধের কথাও বলছেন অনেক শিক্ষার্থী।

কোটা পুনর্বহাল করা চলবে না’ কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। এ গ্রুপেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত দিয়ে থাকেন। আর সেখানেই শিক্ষার্থীরা আজ মেট্রেরোল অবরোধ করার পক্ষে তাদের মতামত জানিয়েছেন।

ওই মতামতের প্রেক্ষিতে শরীফ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘অনেকে মেট্রোরেল বন্ধ করার কথা বলতেছেন। এটা কি রেললাইন যে ওইখানে গিয়ে শুয়ে থাকবেন? এতে জনগন আমাদের বিপক্ষে চলে যাবে, হিতে বিপরীত হবে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আন্দোলনের গতিবেগ কখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলা কঠিন।

এর আগে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মূল ব্লকেড আন্দোলন শুরু করা হবে।

এছাড়াও কোটা বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া রাবি, জাবি, জবি, কুবি ও বাকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে আসছে গত কয়েকদিন ধরে। যার অংশ হিসেবে আজও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার (৭ জুলাই) পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

ফলে রাজধানীজুড়ে সড়কে স্থবিরতা তৈরি হয়, থমকে যায় নগরবাসীর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। ঢাকার বাইরে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


বাংলা ব্লকেড   মেট্রোরেল   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কেবিনে ভর্তি খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভোরে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার (৮ জুলাই) ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাবেক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। ভোররাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে।পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ভোরে হঠাৎ করে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে।

তিনি জানান, রাত তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ২৩ জুন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১০ দিন পর ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে স্বল্প সময়ে ব্যবধানে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বার-বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।

দলটির নেতারা বলছেন, হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার ১ সপ্তাহ এখনও পার হয়নি। তারমধ্যে আজ ভোরে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তিনি খুবই অসুস্থ। ফলে, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। যার কারণে সরকারও তাকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না।    

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, “বার-বার ম্যাডাম অসুস্থ হয়ে যাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। ২ জুলাই তিনি যখন বাসায় ফিরেন, তখন অসুস্থ থাকলে মনোবল শক্ত ছিল। এখন আবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার মানে তিনি খুব বেশি অসুস্থ।”

এ্যানী বলেন, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য কীভাবে তাকে সুস্থ করে আনতে পারি, সেটাই চেষ্টা করছি। আমরা বারবার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু অবৈধ সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।”

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন করে আবারও কর্মসূচি দেওয়া চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বিএনপিতে।


খালেদা জিয়া   হসপিটাল ভর্তি   কেবিনে ভর্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রেললাইন অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘটনা ঘটে।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মানি না। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।  

কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা রেললাইন অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক ভোগের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী অংশ নেন।  


রাবি   রেল লাইন অবরোধ   কোটা আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন