পদ্মা সেতু বিনির্মাণে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সাহসিকতা অবিস্মরণীয়। শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নয় বিশ্ব রাজনীতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদহারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার এই লড়াইয়ে তার সহযোদ্ধা হিসেবে যারা ছিলেন তারাও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনার সহযোদ্ধা হিসেবে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন-
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন:
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বর্তমানে রাষ্ট্রপতি। সেসময় তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের আনিত দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করা এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আইনি লড়াই করার ক্ষেত্রে তিনিই ভূমিকা পালন করেছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বিশ্বব্যাংককে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আইনগতভাবে ঢালাওভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা যায় না। এবং এ অভিযোগগুলো অসত্য ভিত্তিহীন এবং এর পিছনে কোন বাস্তবতা নেই। আর একারণেই মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোদ্ধা হিসেবে এখানে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন: মুহিত-রিজভীর প্রস্তাব যেভাবে নাকচ করেছিলেন সাহাবুদ্দিন
ওবায়দুল কাদের:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পদ্মা সেতুর দায়িত্ব দেয়া হয়। সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন পদ্মা সেতুকে দুর্নীতিমুক্ত, কোনরকম অভিযোগহীন একটি প্রকল্প হিসেবে দাড় করাতে এবং এই প্রকল্প নিয়ে কেউ যাতে কোনদিন আঙুল তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর বিশ্বস্ত সিপাহশালার ওবায়দুল কাদেরকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ওবায়দুল কাদের সেতু মন্ত্রীর দায়িত্বকালে নির্মোহভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
ড. আবুল বারকাত:
ড. আবুল বারকাতই প্রথম অর্থনীতিবিদ যিনি বিশ্বব্যাংকের এই প্রস্তাবের পর নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজের জন্য সমর্থন জানিয়েছিলেন। অর্থনীতিবিদ হিসেবে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তিনি দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের যে আর্থিক অবস্থা এবং বাংলাদেশ যেভাবে অর্থ আহরণ করে নিজেদের সূত্র থেকে সেভাবে পদ্মা সেতু তৈরি করা বাংলাদেশের জন্য কোন ব্যাপার না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই রাজনৈতিক বক্তব্যের অর্থনৈতিক ভিত্তি দিয়েছিলেন আবুল বারকাত।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন যারা
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম:
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম একজন আমলা হলেও তিনি কঠিন এ সময়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে যখন ষড়যন্ত্র হয়, তৎকালীন সেতু সচিব মোশারফ হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন সেতু বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেই দায়িত্ব গ্রহণ করে পদ্মা সেতুর বিনির্মাণে নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন। একজন আমলা হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে তিনি পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। একজন দেশপ্রেমিক আমলা প্রয়োজনে কতটুকু দেশপ্রেমিক হতে পারেন তার প্রমাণ তিনি রেখেছিলেন। আর একারণেই খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে সবসময় আলাদা সম্মানের চোখে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনার সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত
পদ্মা সেতু নিয়ে আর যাই হোক, দুর্নীতি নিয়ে কোন অভিযোগ পরবর্তীতে ওঠে নি। পদ্মা সেতু আজও দৃশ্যমান, ওবায়দুল কাদের এখনও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে নানারকম সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাঁর সততা, তাঁর দায়িত্বশীলতা নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সকলের জন্য।
পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহযোদ্ধা
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও।
এদিকে বন্যার পানি উঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করে হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবরিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসি মানুষের মাঝে সরকারি ভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল হক বলেন, গত ৫-৬ দিন ধরে আমার চরের সব বাড়িতে পানি। গরু ছাগল হাস মুরগী নিয়ে পাশের উঁচু একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। আমার এখানকার সবারে খুব কষ্ট।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম জানান, বন্যার পানি উঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে, বন্যা নাই এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় ৩শ ১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি পানিবন্দি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ
মন্তব্য করুন
সারা দেশব্যাপী চলছে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে আন্দোলন। এবার সেই কোটাবিরোধী আন্দোলনেরই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকা অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে, মহাসড়কে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে অবরোধস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
এর আগে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে এসে অবস্থান নেয় তারা। কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে এসে অবরোধে যোগ দেয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী জানান, 'বিকেল ৩টা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অবরোধ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের সঙ্গে কথা বলছে।'
কুমিল্লা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুফতি আলমগীর হোসেন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। ওই ৫-৬ কিলোমিটারে কোনো যানবাহন চলছে না।'
কোটাবিরোধী আন্দোলন ছাত্র আন্দোলন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
মন্তব্য করুন
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশত। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (৭ জুলাই) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- অলোক, আতশী, নরেশ, রনজিতা এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার খবরে জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, সদর উপজেলা শুভাশিস পোদ্দার লিটন হাসপাতালে এসেছেন।
রথযাত্রা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু
মন্তব্য করুন
কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীরা। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নীলক্ষেতে মোড়ে এসে অবস্থান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে
অবরোধের ফলে আজিমপুর থেকে
মিরপুর সড়কের সব গাড়ি চলাচল
বন্ধ হয়ে গেছে।
এসময়
আন্দোলনকারীদের ‘কোটা প্রথা বাতিল
চাই’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘রক্তের
বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’;
‘৫২ এর হাতিয়ার গর্জে
উঠো আরেকবার’; ‘ছাত্র সমাজের একশন ডাইরেক্ট একশন’;
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’; ‘মেধা
যার, চাকরি তার’; ‘সারা বাংলায় খবর
দে কোটাপ্রথা কবর দে’; ‘মুক্তিযুদ্ধের
বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘জেগেছে
রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা’; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে
আগুন লেগেছে’; ‘৭১ এর হাতিয়ার
গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘কোটা
না মেধা, মেধা মেধা’; ‘আপস
না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিসমূহ:
১) ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২) পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩) সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪) দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
নীলক্ষেত মোড় অবরোধ ইডেন কলেজ শিক্ষার্থী কোটা আন্দোলন
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর সংগ্রহ এবং সরবরাহ করার সময় দুজন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম।
আজ রোববার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী জামে মসজিদ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় ৯টি মোটরসাইকেল ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
আটক দুই শিক্ষক হলেন, কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২) এবং দেওগাঁ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০) ।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটক শিক্ষকদের কাছে এসেছিল। এরপর সেই প্রশ্নের
সমাধান খুঁজে বের করে তারা আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিতেন।
ওই দুই শিক্ষককে যে মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে, তার পাশেই রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল। আটক শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতেন।
এবিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও)
রফিকুল ইসলাম বলেন,
‘আটক দুই শিক্ষকসহ পলাতক কয়েকজন পরীক্ষা শুরু হবার পর মুঠোফোনে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন। সেই ছবি দেখে তারা উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের বিভিন্ন খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।’
এইচএসসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র উত্তর ফাঁস
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও।