ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু: ষড়যন্ত্রকারী কারা

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা পরাজিত হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? কেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হল?  যে প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন শুরুই করেনি, সেই অর্থায়ন শুরুর আগেই তারা কেন দুর্নীতির অভিযোগ তৈরি করল এবং অর্থায়ন প্রত্যাহার করল?

সাধারণত একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয় যখন প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়, টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়, অর্থ লেনদেন হয়। কিন্তু টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই, কাউকে কাজ দেয়ার আগেই বিশ্বব্যাংক কি কারণে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিল সেটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা বটে। 

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনার সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কতগুলো বাস্তবতার কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে এ দুর্নীতির অভিযোগ উঠিয়েছিল। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল আসলে একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয়েছিল ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে বয়স উত্তীর্ণের কারণে সরে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে অবসরে যেতে হয়। 

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শেখ হাসিনার সহযোদ্ধারা

কিন্তু এই অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেননি। তাকে চাকরিতে বহাল রাখার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেন। হিলারি ক্লিনটন নিজে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ডক্টর ইউনূস আদালতে যান তার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ রাখার জন্য। কিন্তু সব জায়গায় তিনি ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থ হওয়ার পরেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য তিনি হিলারি ক্লিনন্টনের কাছে তদবির করেন। হিলারি ক্লিন্টনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে দেখা যায় যে, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস বলছেন যে সরকারকে চাপ দিতে হবে, শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে হবে এবং প্রয়োজনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্বব্যাংকে বলতে হবে। তাহলে শেখ হাসিনার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।

ড. ইউনূসের এই চিঠির প্রেক্ষিতে হিলারি ক্লিনন্টন তার একান্ত অনুগত তৎকালীন বিশ্ব ব্যাংকের সভাপতির কাছে একটি ই-মেইল বার্তা পাঠান। সেই ইমেইলে হিলারি ক্লিনন্টন পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন আপাতত বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে হিলারি ক্লিন্টনের প্রভাবের কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

আরও পড়ুন: মুহিত-রিজভীর প্রস্তাব যেভাবে নাকচ করেছিলেন সাহাবুদ্দিন

উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাংকের ঐ প্রেসিডেন্ট তার শেষ কর্মদিবসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বা কোনও তদন্ত ছাড়াই শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের একক ক্ষমতা বলে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। 

বিশ্বব্যাংকের এই একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ডক্টর ইউনূস ছাড়াও ভূমিকা রেখেছিলেন ড. ওসমান ফারুক। ওসমান ফারুক ওয়াশিংটনে আছেন এবং তিনি ডেমোক্র্যাট দলের অন্যতম একজন উপদেষ্টা। তিনিও পদ্মা সেতুতে তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন৷ 

এই সময় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এ নিয়ে একটি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবার পর এটি নিয়ে হৈ চৈ হয়েছিল। 

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হচ্ছে এমন একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছিল ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো। যে প্রতিবেদন গুলোর ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহারে প্ররোচিত হয়েছিল। 

পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। পদ্মাসেতু বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়া অসম্ভব। পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করা একটি অলীক প্রস্তাব এরকম লেখা লিখে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশীদার হয়েছিলেন। 

এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জবাব হিসেবে পদ্মা সেতু আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীরা আজ ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।


পদ্মা সেতু   ষড়যন্ত্রকারী   বিশ্বব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি।  ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও।

 

এদিকে বন্যার পানি উঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করে হয়েছে।

 

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

 

বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবরিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসি মানুষের মাঝে সরকারি ভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।

 

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল হক বলেন, গত ৫-৬ দিন ধরে আমার চরের সব বাড়িতে পানি। গরু ছাগল হাস মুরগী নিয়ে পাশের উঁচু একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। আমার এখানকার সবারে খুব কষ্ট। 

 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সামছুল আলম জানান, বন্যার পানি উঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে, বন্যা নাই এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।

জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় ৩শ ১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  


বন্যা পরিস্থিতি   পানিবন্দি   বিদ্যালয়ের পাঠদান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:৪৭ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশব্যাপী চলছে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে আন্দোলন। এবার সেই কোটাবিরোধী আন্দোলনেরই অংশ হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকা অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার বিকেল ৩টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী  'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে, মহাসড়কে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে অবরোধস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।

এর আগে, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে এসে অবস্থান নেয় তারা। কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে এসে অবরোধে যোগ দেয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী জানান, 'বিকেল ৩টা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অবরোধ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের সঙ্গে কথা বলছে।'

কুমিল্লা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুফতি আলমগীর হোসেন বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে আলেখার চর থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। ওই ৫-৬ কিলোমিটারে কোনো যানবাহন চলছে না।'


কোটাবিরোধী আন্দোলন   ছাত্র আন্দোলন   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যু, আহত অন্তত অর্ধশত

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশত। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

রোববার ( জুলাই) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- অলোক, আতশী, নরেশ, রনজিতা এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আরও এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে। 

ঘটনায় গুরুতর আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

ঘটনার খবরে জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীসদর উপজেলা শুভাশিস পোদ্দার লিটন হাসপাতালে এসেছেন।


রথযাত্রা   বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বাতিলের দাবিতে ইডেন কলেজ ছাত্রীদের নীলক্ষেত মোড় অবরোধ

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রেখেছেন ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীরা। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নীলক্ষেতে মোড়ে এসে অবস্থান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অবরোধের ফলে আজিমপুর থেকে মিরপুর সড়কের সব গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এসময় আন্দোলনকারীদের ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই’; ‘আঠারোর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’; ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’; ‘৫২ এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘ছাত্র সমাজের একশন ডাইরেক্ট একশন’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’; ‘মেধা যার, চাকরি তার’; ‘সারা বাংলায় খবর দে কোটাপ্রথা কবর দে’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘সংবিধানের মূলকথা সুযোগের সমতা’; ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিসমূহ:

১)  ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২) পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী ব্যতীত)

৩) সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪) দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


প্রসঙ্গত, প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার ( জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।


নীলক্ষেত মোড়   অবরোধ   ইডেন কলেজ   শিক্ষার্থী   কোটা আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এইচএসসির প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর সরবরাহ, আটক ২ শিক্ষক

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলমান এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর সংগ্রহ এবং সরবরাহ করার সময় দুজন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম।

আজ রোববার ( জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের কশিগাড়ী জামে মসজিদ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। সময় ৯টি মোটরসাইকেল ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।

আটক দুই শিক্ষক হলেন, কৃষ্ণরামপুর ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ সুলতান হোসেন (৫২) এবং দেওগাঁ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম (৪০) 

অভিযান সূত্রে জানা যায়, আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আটক শিক্ষকদের কাছে এসেছিল। এরপর সেই প্রশ্নের সমাধান খুঁজে বের করে তারা আবারও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দিতেন।

ওই দুই শিক্ষককে যে মসজিদ থেকে আটক করা হয়েছে, তার পাশেই রামেশ্বরপুর ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছিল। আটক শিক্ষকরা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করতেন। 

এবিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আটক দুই শিক্ষকসহ পলাতক কয়েকজন পরীক্ষা শুরু হবার পর মুঠোফোনে কোনোভাবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি পেয়েছিলেন। সেই ছবি দেখে তারা উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদের বিভিন্ন খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।


এইচএসসি পরীক্ষা   প্রশ্নপত্র   উত্তর ফাঁস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন