ইনসাইড বাংলাদেশ

মতিউরের বান্ধবী, কে এই আরজিনা?

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত ছাগলকাণ্ডে ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অঢেল সম্পদের মালিক আরেক এনবিআর কর্মকর্তা আরজিনা খাতুন। রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্র করেছেন।

মাত্র তিন বছরে ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক তিনি। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা, দুদকের কাছে এসেছে এমন অভিযোগ। মতিউরের সঙ্গে আরজিনার কিছু ফোনালাপও এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।

এই আরজিনা খাতুন হচ্ছেন- রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ছিলেন।

খোদ এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ-শুধু মতিউর রহমানের বান্ধবী হিসেবে বহু অনৈতিক সুবিধা হাসিল করেছেন আরজিনা।

গত ১০ জুন দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একজন। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানিলন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজস আর দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা খাতুন।

অভিযোগ আছে-মতিউর রহমানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পান আরজিনা। তরতর করে বাড়তে থাকে তার সম্পত্তি। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউজে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। অভিযোগ আছে, কারসাজি করে মতিউরই আরজিনাকে শেয়ার বাজারে মুনাফা তুলে দেন। মতিউর-আরজিনার মোবাইল ফোনালাপের অডিও রেকর্ড প্রকাশ পেয়েছে। তাতে তাদের মধ্যে স্পর্শকাতর অশ্লীল কথাবার্তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।


অঢেল   সম্পদ   মালিক   মতিউর   বান্ধবী   আরজিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কেবিনে ভর্তি খালেদা জিয়া, উদ্বেগ নেতাকর্মীদের মধ্যে

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভোরে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার (৮ জুলাই) ভোররাত ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাবেক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। ভোররাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে।পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ভোরে হঠাৎ করে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে কেবিনে ভর্তি করানো হয়েছে।

তিনি জানান, রাত তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ২৩ জুন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১০ দিন পর ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ৩ জন চিকিৎসক।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে স্বল্প সময়ে ব্যবধানে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বার-বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।

দলটির নেতারা বলছেন, হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার ১ সপ্তাহ এখনও পার হয়নি। তারমধ্যে আজ ভোরে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তিনি খুবই অসুস্থ। ফলে, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। যার কারণে সরকারও তাকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না।    

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, “বার-বার ম্যাডাম অসুস্থ হয়ে যাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। ২ জুলাই তিনি যখন বাসায় ফিরেন, তখন অসুস্থ থাকলে মনোবল শক্ত ছিল। এখন আবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার মানে তিনি খুব বেশি অসুস্থ।”

এ্যানী বলেন, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য কীভাবে তাকে সুস্থ করে আনতে পারি, সেটাই চেষ্টা করছি। আমরা বারবার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু অবৈধ সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।”

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন করে আবারও কর্মসূচি দেওয়া চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বিএনপিতে।


খালেদা জিয়া   হসপিটাল ভর্তি   কেবিনে ভর্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রেললাইন অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘটনা ঘটে।  

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মানি না। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।  

কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সদস্য মেহেদী সজীব বলেন, আজকে আমরা রেললাইন অপরাধ করেছি। আমাদের লাগাতারে কর্মসূচি চলবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক ভোগের সুযোগ এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে৷ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারও শিক্ষার্থী অংশ নেন।  


রাবি   রেল লাইন অবরোধ   কোটা আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলার অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৮ জুলাই) ড. ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন আবেদনটি করেন।

জানা গেছে, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।

এর আগে, গত ১২ জুন এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ১৫ জুলাই এ বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে মামলা করে দুদক।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার।

দুদকের মামলায় আসামি ১৩ জন থাকলেও চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।


দুর্নীতির মামলা   ড. ইউনূস   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণে এসে মাইন বিস্ফোরণে নিহত ১ রোহিঙ্গা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণে করতে এসে মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এসময় দুইজন আহত হয়েছেন।

রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া পয়েন্টের নাফ নদীর ওপারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ জোবায়ের (১৯) টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ হামিদের ছেলে। অন্যদিকে আহতরা হলেন- লেদা ২৪ নম্বর ক্যাম্পের কামাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জাবের ও ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ শুক্কুর। তারা পেশায় কাঁকড়া শিকারি। তারা দুপুরের দিকে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে ওই স্থানে কাঁকড়া শিকার করছিলেন।

তবে রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এ হামলা করেছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি নৌ পুলিশের বরাত দিয়ে বলেন, তারা ওখানে কাঁকড়া শিকার করছিলেন তিনজন। মাইন বিস্ফোরণে তিনজনই গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মোহাম্মদ জুবায়ের মারা যান। তবে কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়াও আরও বিস্তারিত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, নিহত ব্যক্তি মো. জুবাইর গুরুতর আহত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


নাফ নদী   কাঁকড়া আহড়ন   মাইন বিস্ফোরন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অষ্টম দিনের মতো চলছে সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি পালন

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্ম বিরতির পালন করছে তারা।

সোমবার (১লা জুলাই) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যু সমিতি- সহ সারাদেশের সবগুলো পল্লীবিদ্যু সমিতি একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন।

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কারনে সারাদেশে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি') দৈত্ব নীতির কারনে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন বলে জানান তারা। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানান। আরও জানান বিতরন লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ০৫ই মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যায়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেন এবং বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানান। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া না হলে এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যাবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই বলে জনান।'

তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন শোষণ থেকে বাঁচতে পুণরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো আমাদের। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো-

১। স্মার্ট টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।

২। ভবিষ্যত বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সকল চুক্তিভিত্তিক অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে বলে দাবী জানান।

সারাদেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে বলে জানান।


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি   কর্মবিরতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন