ইনসাইড বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান: সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার  বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মাওয়া পৌঁছেন তিনি।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।

সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।


পদ্মা   সেতু   সমাপনী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খরচের ধাক্কা সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙার চাপ

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অথচ মানুষের আয় সেই আগের অবস্থাতেই আছে। তাই বাড়তি ব্যয়ের চাপ সামলাতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে এখন হয় ঋণ করতে হচ্ছে, নতুবা আগের জমানো সঞ্চয়ে হাত দিতে হচ্ছে। তবে এই প্রবণতা অল্প কয়েকজনের মধ্যেই এখন আর সীমাবদ্ধ থাকছে না। উপায়ান্তর না দেখে মানুষ এখন সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে বাধ্য হচ্ছে। এতে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণও কমে গেছে। 

সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার বিপরীতে ব্যাংকের আমানত ও বিল বন্ডের বিনিয়োগে সুদহার বেড়ে যাওয়া, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপসহ নানা কারণে মানুষ এখন নতুন করে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উল্টো অব্যাহতভাবে সঞ্চয়পত্র ভাঙার প্রবণতা বাড়ায় গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) নিট বিক্রির পরিমাণ ঋণাত্মক হয়ে গেছে। অর্থাৎ এই সময়ে নতুন সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল পরিশোধ বেশি হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে নিট বিক্রি ঋণাত্মকের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়েও নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় ছিল। তবে ওই সময় এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরের একই সময়ে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি কমেছে ৩৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যদিও অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি হয়েছিল ঋণাত্মক প্রায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার এক টাকারও ঋণ নেয়নি। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আরও কমানো হয়েছে।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে ভাঙানো বাবদ (নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বা মেয়াদান্তের আগে) আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে নিট বিক্রি বলা হয়। নিট বিক্রিকে সরকারের ধার বা ঋণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।

এই প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি এম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘কড়াকড়ি আরোপ করার কারণেই মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। এটাও সঞ্চয়পত্র কমার বড় একটা কারণ। ঋণের বোঝা কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে টিআইএন এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করায় অনেকেই সঞ্চয়পত্রে আগের মতো বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তার মতে, আগে কালো টাকাও সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগ হতো। এখন সেটা হচ্ছে না। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

একই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন মানুষ আর সঞ্চয়পত্র কিনছে না। এর তিনটি কারণ রয়েছে—প্রথমত, ৫ লাখ টাকার ওপরে সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে আয়কর রিটার্ন দিতে হচ্ছে; কিন্তু নানারকম ঝামেলার কারণে অনেকেই আয়কর রিটার্ন দিতে চান না। ফলে তারা এখান থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। দ্বিতীয়ত, যাদের সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকার বেশি ছিল, সীমা নির্ধারণের কারণে এসব সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে তারা আর নতুন করে কিনতে পারছেন না। তৃতীয়ত, মানুষের হাতে এখন টাকা কম আছে। বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ আর আগের মতো সঞ্চয় করতে পারছে না। এসব কারণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কম ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনেক বেশি ঋণ নিচ্ছে, যা আরও বেশি ক্ষতিকর। কেননা, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলে।


সঞ্চয়পত্র   মূল্যস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তি: নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও এখনো আগের মতোই রয়েছে। দেখা যায়, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে সামান্য কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এসময় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার সহ ১৬টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্ট ২৯ সেন্টিমিটার ও ধরলা কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ভূরুঙ্গামারী,ফুলবাড়ি, নাগেশ্বরী , কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, রাজারহাট, চিলমারী, রৌমারী, চর রাজিবপুর এই ৯ উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, ২৩হাজার ৪৫২ পরিবারের ১লাখ ১৭ হাজার ২৬০জন পানিবন্দী রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে,৩টি বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।বন্যার্তদের জন্য ৪০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এরমধ্যে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২হাজার ১৯২জন বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ৩৮৭ মেট্রিকটন চাল, ২১ লাখ ৮৫হাজার টাকা ও ১৮হাজার৯৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

৭হাজার৩৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে।বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে নয় উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। পানিবন্দী পরিবারগুলো আট দিন ধরে গবাদি পশু-পাখিসহ পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বন্যার পানিতে তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে আছে। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলা গাছের ভেলাই বানভাসিদের একমাত্র ভরসা।

এছাড়াও বন্যাকবলিত হওয়ায় জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের তিন শতাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ বানভাসিদের ঘরের মজুদ খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। অনেক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮৭ টন চাল, নগদ ২২ লাখ টাকা ও ১৮ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি এই ত্রাণ সহায়তা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৩২ সেন্টিমিটার এবং শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা চরের বাসিন্দারা জানান, ৬-৭দিন ধরে বাড়িতে বন্যার পানি।গরু, ছাগল হাঁসমুরগি নিয়ে পাশে একটি উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে তারা।

অন্যদিকে অধিকাংশ পরিবারে ৮দিন থেকে জ্বলছে না চুলা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির কারণে বানভাসিরা পরেছে মহাবিপাকে।তারা ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে। বেশিরভাগ বানভাসি নৌকায় রাত্রি যাপন করছে।সরকারি প্রশাসন থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেও এখনও সবার কাছে পৌঁছেনি ত্রাণ সহায়তা।


বন্যা পরিস্থিতি   অপরিবর্তিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বাতিল ইস্যুতে সরকার আন্তরিক, রায় দেবেন আদালত: কাদের

প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা মনে করি উচ্চ আদালত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন।’

সোমবার ( জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

এছাড়াও সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আদালত কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ফের আপিল করা হয়েছে। তাই উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করা দরকার।’

কোটা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক ইস্যু যুক্ত হয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা (বিএনপি) সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানেই যুক্ত হয়ে যাওয়া। কারা যুক্ত হয়েছে, কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ কী না, সব কিছু সময় বলে দেবে।’

 এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুরসহ অনেকে।


কোটা ইস্যু   উচ্চ আদালত   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ হিজরি নববর্ষ ১৪৪৬

প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের আকাশে মুহাররম মাসের চাঁদ উদয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন হিজরি বর্ষ। স্বাগত হিজরি নববর্ষ ১৪৪৬। হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম। হিজরি সন গণনা করা হয় সন্ধ্যার পর থেকে। গতকাল রোববার (৭ জুলাই) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল নতুন আরবি বছর; ১৪৪৬ হিজরি।

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরি সনের শুভ সূচনা লাভ হয়। বাংলাদেশের আকাশে গত শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মহরম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৭ জুলাই বুধবার (১০ মহররম) সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন তথা কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। আরবি নববর্ষের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকা সত্ত্বেও উল্লেখ করার মতো কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না বললেই চলে। হিজরি বছরের শেষ মাস এবং শুরুর মাস অনেক মর্যাদা ও ফজিলতের মাস। তাই এ হিজরি বছরের শেষ এবং নতুন বছরের প্রথম রাত ও দিন বিগত দিনের গোনাহ মাফ এবং আগামী দিনের কল্যাণ লাভের এক মর্যাদপূর্ণ সময়।

১৪৪৪ হিজরি সাল মুসলমানের জন্য আগামী দিনে রহমত বরকত ও নাজাতের বারতা নিয়েই পথচলা শুরু করেছে আজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগ ও কুরবানির ঐতিহাসিক স্মৃতি স্মারক হিজরি (আরবি) সন। ইসলামের প্রচার, প্রসার এবং বিজয় কেতন উড্ডীনে হিজরি সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যাধিক। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের জ্ঞানপাপীরা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বনবি দ্বীন প্রচারে প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে মাদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেন। যাকে কেন্দ্র করেই আজকের হিজরি সন। যা আজো মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে জাগরিত হয়ে আছে।

মনে রাখা জরুরি যে, হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাসই নয়, এ মাস গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার, ত্যাগের, ভালো কাজ করার, খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার এবং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা করার মাস। ইসলাম ও মুসলমানের জন্য এ মাসের রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় ও পালনীয় বিষয়। তাইতো এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে রোজা রাখা উত্তম।


হিজরি নববর্ষ   মহররম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলা ব্লকেড’: বন্ধ হতে পারে মেট্রোরেলও

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচী পালন করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা। এতে করে তীব্র যানজটের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির আওতায় আজও রাস্তা অবরোধসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে রেললাইন অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিনাঞ্চল ও ঢাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এদিকে রাজধানীতে মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি আজ মেট্রোরেল অবরোধের কথাও বলছেন অনেক শিক্ষার্থী।

কোটা পুনর্বহাল করা চলবে না’ কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। এ গ্রুপেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত দিয়ে থাকেন। আর সেখানেই শিক্ষার্থীরা আজ মেট্রেরোল অবরোধ করার পক্ষে তাদের মতামত জানিয়েছেন।

ওই মতামতের প্রেক্ষিতে শরীফ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘অনেকে মেট্রোরেল বন্ধ করার কথা বলতেছেন। এটা কি রেললাইন যে ওইখানে গিয়ে শুয়ে থাকবেন? এতে জনগন আমাদের বিপক্ষে চলে যাবে, হিতে বিপরীত হবে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আন্দোলনের গতিবেগ কখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলা কঠিন।

এর আগে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মূল ব্লকেড আন্দোলন শুরু করা হবে।

এছাড়াও কোটা বাতিলের দাবিতে ইতোমধ্যেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া রাবি, জাবি, জবি, কুবি ও বাকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে আসছে গত কয়েকদিন ধরে। যার অংশ হিসেবে আজও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার (৭ জুলাই) পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।

ফলে রাজধানীজুড়ে সড়কে স্থবিরতা তৈরি হয়, থমকে যায় নগরবাসীর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। ঢাকার বাইরে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


বাংলা ব্লকেড   মেট্রোরেল   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন