ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আগে যারা খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে’

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যারা ভেবেছিল তাদের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারবেনা, সেই ধারণাটা বদলে গেছে। সেই ধারণা আর নেই। আগে যারা কথায় কথায় খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে। পদ্মাসেতুর জন্য আজ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”

বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে সরকার গঠন করতে পারিনি। ওই সময় অনেক ভোট পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিট পাইনি। বাংলাদেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। শেখ মুজিবের মেয়ে কখনো দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না।”

তিনি বলেন, “যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, বিদেশে গেলে বাংলাদেশের নাম শুনলে কেউ জিজ্ঞেস করতো, এটা কি ভারতের কোনো অংশ? বলতো, এই দেশ তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদের বিবেচনা করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট ও ব্যথার ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারবো না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ? যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করলো, সে জাতি কেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে না।”

সরকারপ্রধান বলেন, “পদ্মা আমাদের গর্বের সেতু, একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেই প্রকল্প শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান।”

এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সাধারণত কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে, কোন অনুষ্ঠান হয়না। কিন্তু পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। যার জন্য পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতেই আজকের এই আয়োজন।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও সমাবেশে অংশ নেন কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   বাংলাদেশ   পদ্মা সেতু   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চারদিনের দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০১) বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

এই সফর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৮ থেকে ১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী, চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ে এবং প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে ভারত।  যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি ভারত অবহিত। ভারতের অবহিত না থাকার কোনো কারণ নেই।’ তবে এই সফরে কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ের দিকে ভারত নজর রাখছে। বিশেষ করে তিস্তার জলাধার নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ভারত গভীরভাবে নজর রাখবে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে দু'দেশের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।  আর এ চুক্তিগুলোর মধ্যে ভারতের স্বার্থ ক্ষুণ্ণকারী কোনো চুক্তি আছে কিনা সে বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে ভারত।  তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি বলেছে, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি কারও সাথেই করবে না।  তবে এ সফরে শেষ পর্যন্ত কি কি বিষয়ে দুই সরকারের সমঝোতা হয় সেদিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।

চীন সফর নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও।  সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অতীত ভুলে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।  আর সে চেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচনকে তারা ত্রুটিমুক্ত বলেও মেনে নিয়েছে।  বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দিয়েছে।  এরকম বাস্তবতায় চীন সফরে গিয়ে কি কি হয় সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজর রয়েছে। কারণ এ অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছে।  আর এ কারণেই এখন বাংলাদেশ চীন বলয়ে প্রবেশ করে কিনা সেটির জন্য গভীর আগ্রহে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীন তাদের প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।  গেল ২১ ও ২২ জুন ভারত সফরের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় চীন সফর করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন।

চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   চীন   বাংলাদেশ   শিন জিনপিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের পানিতে ডুবে রোজামনি নামে দেড় বছরের এক কন্যা শিশু মৃত্যু হয়েছে।

 

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় ফুলবাড়ী উপজেলার চর বড়লই ওয়াব্দা বাজার এলাকার ওই ঘটনাটি ঘটে।

 

রোজা মনি ওই এলাকার আহিদুল ইসলাম মেয়ে।

 

চর বড়লই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, সোমবার সকাল দশটার দিকে শিশুটির মা শিল্পী বেগম রান্না ঘরে ভাত খাচ্ছিলেন। এসময় সকলের অগোচরে রোজ মনি ঘর থেকে বের হয়ে উঠানের নির্মাণাধীন সেফটিক ট্যাংকিতে পড়ে যায়। ভাত খাওয়া শেষে শিল্পী বেগম রের হয়ে সেফটিক ট্যাংকির পানিতে রোজামনির মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।

পরে বাড়ীর লোকজন এসে ট্যাংকির পানি থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সেপটিক ট্যাংক   শিশু মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে বন্যার কারণে ৩২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের যমুনা নদীর পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার চার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে, সেইসাথে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

 

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে জামালপুরের যমুনা নদীর পানি কমলেও , ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিনিত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। টানা দুই দিনে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এতে করে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ৪০টি গ্রামের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও মাছের ঘের। 

 

এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৪০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

 

এদিকে বন্যার পানির কারণে ২৫৯টি প্রাথমিক ও ৬৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম  বন্ধ রয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠে পড়ায় ইতিমধ্যেই কয়েকশ পরিবার গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উচু সড়ক বাঁধ এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের জন্য ৩শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ১১টি ফ্রি মেডিকেল টিম।


বন্যা পরিস্থিতি   পানিবন্দি   বিদ্যালয়ের পাঠদান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃতীয় দিনের মত কুবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধের ফলে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এসে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

 

তাদের আজকের আন্দোলনের একাত্মতা পোষণ করে অংশ নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে  গাছে ঝুলে থাকার ভঙ্গি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার গাঁয়ের সাদা কাপড়ে 'মেধা থাকার পরও কোটা পদ্ধতি আমাকে বাঁচতে দেয়নি', ' তোর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা' লেখা রয়েছে। এসব উপস্থিত আন্দোলনকারীরা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগে ছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

 

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার বলেন, 'আমরা সকল জায়গা থেকে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির বাতিল চাই। যতক্ষন পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল মালেক আকাশ বলেন, 'কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আমরা ত্রিরিয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছি। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দেন। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

 

এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলন সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, "সারা বাংলাদেশের সাথে সমন্বয় করে আজ তৃতীয় দিনের মতো আমাদের কুমিল্লার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটাপদ্ধতি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।'

 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ ও ৭ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক যথাক্রমে তিন ঘন্টা ও চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।


কুবি   কোটা আন্দোলন   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক   যানচলাচল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহবাগ থেকে ফার্মগেট 'বাংলা ব্লকেড', সাইন্সল্যাব ও গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ এর আওতায়  টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে শাহবাগ থেকে একদল শিক্ষার্থী মৎস্য ভবন এবং আরেকদল শিক্ষার্থী বাংলামোটরের দিকে যায়।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার পর এই অবরোধ শুরু করেন তারা।

এছাড়াও বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একদল শিক্ষার্থী কারওয়ান বাজার হয়ে মিছিল নিয়ে ফার্মগেট অভিমুখে গেলে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অবরোধে আটকে পড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। 

এতে রাজধানী ঢাকার বড় এক অংশ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করেন তার। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ মোড়ে আসে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। মিছিলের সামনের অংশটি সড়ক অবরোধ করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বাংলামোটর মোড়ের দিকে চলে যায়। পেছনের অংশটি শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়।

এসময় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের তাদের উত্থাপিত দাবির পক্ষে নানা স্লোগান ও বক্তব্য দিতে দেখা যায়। 

এদিকে অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট তৈরি হয়েছে। সড়কের এক পাশে পুলিশ অবস্থান করছে। তবে তারা আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়নি।

এর আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যান। পরে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় হয়ে ইডেন কলেজের সামনে পৌঁছালে মিছিলে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিছিলটি আবার ঢাকা কলেজের দিকে চলে আসে। বিকেল ৪টার দিকে মিছিলটি সায়েন্স ল্যাব মোড়ে পৌঁছলে সড়ক অবরোধ করে বসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বলে  

শেরেবাংলা থানা পুলিশ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, রামপুরা ও বাড্ডায়ও সড়ক অবরোধ শুরু হয়েছে বলে শাহবাগের সমাবেশ থেকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে দিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কে থাকা গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করছেন। বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে 

এর আগে গতকাল রোববার থেকে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আজও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


কোটা আন্দোলন   শাহবাগ অবরোধ   জাবি   গুলিস্তান অবরোধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন