ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আগে যারা খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে’

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যারা ভেবেছিল তাদের সহায়তা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারবেনা, সেই ধারণাটা বদলে গেছে। সেই ধারণা আর নেই। আগে যারা কথায় কথায় খবরদারি করতো, পদ্মাসেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে। পদ্মাসেতুর জন্য আজ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।”

বাংলাদেশের অহংকার, গর্বের অর্জন পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (৫ জুলাই) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে সরকার গঠন করতে পারিনি। ওই সময় অনেক ভোট পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিট পাইনি। বাংলাদেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। শেখ মুজিবের মেয়ে কখনো দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না।”

তিনি বলেন, “যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, বিদেশে গেলে বাংলাদেশের নাম শুনলে কেউ জিজ্ঞেস করতো, এটা কি ভারতের কোনো অংশ? বলতো, এই দেশ তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদের বিবেচনা করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট ও ব্যথার ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারবো না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ? যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করলো, সে জাতি কেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে না।”

সরকারপ্রধান বলেন, “পদ্মা আমাদের গর্বের সেতু, একটা সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। অনেক ঝড়-ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেই প্রকল্প শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে যারা জড়িত, যারা জমি দিয়েছে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এটি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর অনুষ্ঠান।”

এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সাধারণত কোন প্রকল্প সমাপ্ত হলে, কোন অনুষ্ঠান হয়না। কিন্তু পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। যার জন্য পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতেই আজকের এই আয়োজন।

সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও সমাবেশে অংশ নেন কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   বাংলাদেশ   পদ্মা সেতু   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলা ব্লকেড: সাইন্সল্যাব অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের  দাবিতে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় জড়ো হয়েছে ঢাকা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ’ ব্যানারে ঢাকা কলেজ গেট এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবারও সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবস্থান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশিরা 

দেখা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে আলাদাভাবে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনসহ ঢাকা কলেজ গেটের সামনে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বাধাঁর পাশপাশি ‘কোটা মুক্ত দেশ চাই’ লেখা সম্বলিত ফিতাও বেঁধে রাখেন।

এদিকে আন্দোলনে অংশ নিতে আসা এক শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পরিস্থিতি বাধ্য হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।


কোটা আন্দোলন   ঢাকা কলেজ   সাইন্সল্যাব   অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই তবে সমর্থন আছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে তা যৌক্তিক। এই আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে। তবে এই আন্দোলনে বিএনপির বিপক্ষে যে ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের সকলেই দুর্নীতিবাজ। সরকার ব্যর্থ হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে জনগণের ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটজনক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে খালেদা জিয়ার মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে সেই মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। এদিকে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশী বিদেশি সব চিকিৎসক সুপারিশ করলেও সরকার জামিন দিচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার এক ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি এবং শিক্ষকদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে বিএনপির। সরকারকে এ সংক্রান্ত দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

অপরদিকে, এসব আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।


তারেক জিয়া   বেগম খালেদা জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহালের দাবিতে আজ সোমবারও (৮ জুলাই) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের উভয় লেনে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

সোমবার ( জুলাই) বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে একটি কুচক্রীমহল বারবার বলার চেষ্টা করছে বা অপপ্রচার চালাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে নাকি জামায়াত-বিএনপি ভর করেছে।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিসমূহ:

১)  ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২) পরিপত্র বহার সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া (সুবিধা বঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।

৩) সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলো মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া।

৪) দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা,১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা ও ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হয়।

তবে সেই বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে। এবং এনিয়ে একই বছর ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল বিষয়ক একটি পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। গত ৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশিরা। 


কোটা আন্দোলন   জাবি   ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন।

এর আগে, গত ৪ জুলাই এনামুলের ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ হাজার টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহান টাওয়ারে কমন স্পেসসহ ১১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কিং স্পেসসহ ১৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট যার মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা।

কাকরাইলে ১৯০০ বর্গফুট ও ৩৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং, যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাঁচ কাঠা জমি। মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস, যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে, যার মূল্য দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফারজান ইয়াসমিন আবেদনে উল্লেখ করেন, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার (আসামি) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।


কাস্টমস কমিশনার   এনামুল   দেশত্যাগ   নিষেধাজ্ঞা   ক্রোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে সাপ ও সর্পদংশন বিষয়ক সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সাপ ও সর্পদংশন বিষয়ক সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রায়হান ইসলাম শোভন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহার সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলার নয়ন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বেলায়েত, মুকসুদপুর সংবাদ সম্পাদক হায়দার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসয়ম মুকসুদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। 

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রায়হান ইসলাম শোভন জানান, সর্পদংশনে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুততার সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আহবান জানান। সাপে কাটলে উঝার কাছে নিয়ে ভূল চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতালে আনতে হবে। মুকসুদপুর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম মজুদ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ২ মাসে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। বাকী ১ জন রোগী এখোনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাপে কাটা কোন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়নি। সুতরাং সাপে কাটলে ওঝার কাছে না নিয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিলে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরে যাবে।


সর্পদংশন   আলোচনা সভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন