ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৩ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পর দলটি আবার হতাশায় ভেঙে পড়েছে। তারা ভেবেছিল যে বেগম খালেদা জিয়ার ইস্যুতে অন্তত নেতা কর্মীরা চাঙ্গা হবে। কিন্তু বিএনপির এই ৩ দিনের কর্মসূচি রীতিমতো ফ্লপ হয়েছে বিএনপি নেতারাও স্বীকার করছেন যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হতাশা কাটাতে পারছেন না তারা। সরকার পতনের যে দল সংগঠন এবং দলের ভিতরে হতাশা দূর করাটাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ও তিন দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে। 

এর মধ্যে বিএনপির কোনো নেতা কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের প্রত্যয় পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু বিএনপির আরেক অংশের নেতৃত্ব এই দুটি কি ফাঁদ মনে করছেন? তারা মনে করছেন, শিক্ষকদের যে আন্দোলন হচ্ছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার এবং এই আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকরাই জড়িত৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হলে আবার নতুন করে হতাশ হতে হবে। 

বিএনপির মধ্যে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সম্পূর্ণ দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন, এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ। যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা সবাই আওয়ামীপন্থি। কাজেই তারা এক সময় মিটমাট করে ফেলবেন তখন বিএনপিকে পস্তাতে হবে। 

বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের কেউ কেউ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তারা মনে করছে যে, সরকারকে চাপে ফেলার জন্য এই আন্দোলনে বিএনপির সংহতি প্রকাশ করা উচিত এবং বিএনপি যদি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তাহলে লাভ হবে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি। বরং এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে প্রবলভাবে। 

শুধু শিক্ষকদের আন্দোলন নয়, কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়েও বিএনপির অবস্থান দ্বিধাবিভক্ত। ছাত্রদলের নতুন কমিটি হয়েছে। ছাত্রদলের অনেক নেতাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত হচ্ছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে সমান্তরালভাবে কর্মসূচি দেয়া বা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য উস্কানি দেয়া ইত্যাদি প্রবণতাগুলো এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি কী হয়, কীভাবে এই আন্দোলনকে সরকার মোকাবিলা করে সেটাই দেখতে চাইছে। 

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এই সমস্ত শ্রেণি পেশার আন্দোলনগুলো জনপ্রিয় হলেও তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্রব নেই। এসব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বরং বিএনপি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ এই আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বিএনপির মূল দাবিগুলো অকার্যকর এবং দুর্বল হবে। 

বিএনপির কোনো নেতা এটা মনে করেন যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুগুলিকে আড়াল করার জন্যই কোটা বিরোধী আন্দোলন বা শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের আন্দোলনকে সামনে আনা হয়েছে। এটি সরকারের একটি কৌশল। 

বিএনপির একজন নেতা একজন নেতা বলছিলেন যে দুর্নীতিবাজদের নিয়ে যখন সারা দেশে হৈ চৈ হচ্ছিল তখনই শিক্ষকদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন ঐ বিএনপি নেতা। তিনি মনে করেন, এই সমস্ত আন্দোলন করে সরকার মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চেয়েছে। তবে, সামনের দিনগুলোতে কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং শিক্ষকদের আন্দোলন কিভাবে এগোয় সেটির দিকেই লক্ষ্য রাখতে চাইছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 


কোটা আন্দোলন   শিক্ষকদের আন্দোলন   বিএনপি   দ্বিধাবিভক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চারদিনের দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০১) বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

এই সফর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৮ থেকে ১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী, চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ে এবং প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রয়েছে ভারত।  যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি ভারত অবহিত। ভারতের অবহিত না থাকার কোনো কারণ নেই।’ তবে এই সফরে কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয়ের দিকে ভারত নজর রাখছে। বিশেষ করে তিস্তার জলাধার নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ভারত গভীরভাবে নজর রাখবে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে দু'দেশের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।  আর এ চুক্তিগুলোর মধ্যে ভারতের স্বার্থ ক্ষুণ্ণকারী কোনো চুক্তি আছে কিনা সে বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে ভারত।  তবে সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি বলেছে, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে এমন কোনো চুক্তি কারও সাথেই করবে না।  তবে এ সফরে শেষ পর্যন্ত কি কি বিষয়ে দুই সরকারের সমঝোতা হয় সেদিকে নজর রাখছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।

চীন সফর নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও।  সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অতীত ভুলে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।  আর সে চেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচনকে তারা ত্রুটিমুক্ত বলেও মেনে নিয়েছে।  বাংলাদেশ থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিয়েছেন নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দিয়েছে।  এরকম বাস্তবতায় চীন সফরে গিয়ে কি কি হয় সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজর রয়েছে। কারণ এ অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় হাতছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছে।  আর এ কারণেই এখন বাংলাদেশ চীন বলয়ে প্রবেশ করে কিনা সেটির জন্য গভীর আগ্রহে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীন তাদের প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।  গেল ২১ ও ২২ জুন ভারত সফরের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় চীন সফর করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে চীন সফর করেছেন।

চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   চীন   বাংলাদেশ   শিন জিনপিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নির্মাণাধীন সেফটি ট্যাংকের পানিতে ডুবে রোজামনি নামে দেড় বছরের এক কন্যা শিশু মৃত্যু হয়েছে।

 

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় ফুলবাড়ী উপজেলার চর বড়লই ওয়াব্দা বাজার এলাকার ওই ঘটনাটি ঘটে।

 

রোজা মনি ওই এলাকার আহিদুল ইসলাম মেয়ে।

 

চর বড়লই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, সোমবার সকাল দশটার দিকে শিশুটির মা শিল্পী বেগম রান্না ঘরে ভাত খাচ্ছিলেন। এসময় সকলের অগোচরে রোজ মনি ঘর থেকে বের হয়ে উঠানের নির্মাণাধীন সেফটিক ট্যাংকিতে পড়ে যায়। ভাত খাওয়া শেষে শিল্পী বেগম রের হয়ে সেফটিক ট্যাংকির পানিতে রোজামনির মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন।

পরে বাড়ীর লোকজন এসে ট্যাংকির পানি থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করে।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওয়াবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সেপটিক ট্যাংক   শিশু মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে বন্যার কারণে ৩২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টানা বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের যমুনা নদীর পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার চার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে, সেইসাথে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

 

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে জামালপুরের যমুনা নদীর পানি কমলেও , ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিনিত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। টানা দুই দিনে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এতে করে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ৪০টি গ্রামের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও মাছের ঘের। 

 

এছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৪০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

 

এদিকে বন্যার পানির কারণে ২৫৯টি প্রাথমিক ও ৬৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম  বন্ধ রয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠে পড়ায় ইতিমধ্যেই কয়েকশ পরিবার গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উচু সড়ক বাঁধ এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের জন্য ৩শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ১১টি ফ্রি মেডিকেল টিম।


বন্যা পরিস্থিতি   পানিবন্দি   বিদ্যালয়ের পাঠদান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তৃতীয় দিনের মত কুবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধের ফলে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এসে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

 

তাদের আজকের আন্দোলনের একাত্মতা পোষণ করে অংশ নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ, জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে  গাছে ঝুলে থাকার ভঙ্গি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তার গাঁয়ের সাদা কাপড়ে 'মেধা থাকার পরও কোটা পদ্ধতি আমাকে বাঁচতে দেয়নি', ' তোর ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে মা' লেখা রয়েছে। এসব উপস্থিত আন্দোলনকারীরা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগে ছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

 

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার বলেন, 'আমরা সকল জায়গা থেকে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির বাতিল চাই। যতক্ষন পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল মালেক আকাশ বলেন, 'কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আমরা ত্রিরিয় দিনের মত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছি। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এটাই আমাদের একমাত্র দাবি। বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাবীদের মুক্তি দেন। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

 

এই বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলন সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, "সারা বাংলাদেশের সাথে সমন্বয় করে আজ তৃতীয় দিনের মতো আমাদের কুমিল্লার কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও কোটাপদ্ধতি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।'

 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ ও ৭ জুলাই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক যথাক্রমে তিন ঘন্টা ও চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।


কুবি   কোটা আন্দোলন   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক   যানচলাচল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহবাগ থেকে ফার্মগেট 'বাংলা ব্লকেড', সাইন্সল্যাব ও গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ এর আওতায়  টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে শাহবাগ থেকে একদল শিক্ষার্থী মৎস্য ভবন এবং আরেকদল শিক্ষার্থী বাংলামোটরের দিকে যায়।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার পর এই অবরোধ শুরু করেন তারা।

এছাড়াও বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একদল শিক্ষার্থী কারওয়ান বাজার হয়ে মিছিল নিয়ে ফার্মগেট অভিমুখে গেলে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় অবরোধে আটকে পড়া অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। 

এতে রাজধানী ঢাকার বড় এক অংশ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করেন তার। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ মোড়ে আসে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। মিছিলের সামনের অংশটি সড়ক অবরোধ করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বাংলামোটর মোড়ের দিকে চলে যায়। পেছনের অংশটি শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়।

এসময় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের তাদের উত্থাপিত দাবির পক্ষে নানা স্লোগান ও বক্তব্য দিতে দেখা যায়। 

এদিকে অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট তৈরি হয়েছে। সড়কের এক পাশে পুলিশ অবস্থান করছে। তবে তারা আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়নি।

এর আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে মিছিল শুরু করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যান। পরে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় হয়ে ইডেন কলেজের সামনে পৌঁছালে মিছিলে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিছিলটি আবার ঢাকা কলেজের দিকে চলে আসে। বিকেল ৪টার দিকে মিছিলটি সায়েন্স ল্যাব মোড়ে পৌঁছলে সড়ক অবরোধ করে বসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বলে  

শেরেবাংলা থানা পুলিশ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, রামপুরা ও বাড্ডায়ও সড়ক অবরোধ শুরু হয়েছে বলে শাহবাগের সমাবেশ থেকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে দিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কে থাকা গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করছেন। বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে 

এর আগে গতকাল রোববার থেকে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আজও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


কোটা আন্দোলন   শাহবাগ অবরোধ   জাবি   গুলিস্তান অবরোধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন