ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংকের ডলার জালিয়াতি গভীর ষড়যন্ত্র, দরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ব্যাংকের ডলার জালিয়াতি গভীর ষড়যন্ত্র, দরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি

বাংলাদেশে ছয়টি ব্যাংক ডলার নিয়ে নয়ছয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে এই নয়ছয় ধরা পড়েছে এবং এ জন্য এই ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, মার্কিন ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্তত পাঁচটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে পূর্বেও মানি লন্ডারিংসহ নানা রকম অভিযোগ ছিল। কিন্তু সেই সব অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়েছে। মাঝপথে অদৃশ্য কারণে তদন্ত থেমে গেছে। ব্যাংক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ট্রেজারি প্রধানদের অব্যাহতি দিলেই শাস্তি হবে না, এই ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে কঠিন এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই ব্যাংকগুলোর ডলার জালিয়াতির ঘটনা শীর্ষ পর্যায় থেকে হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবাইকেই আইনের আওতায় আনা উচিত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরেই ডলারের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খোলাবাজারে ডলারের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে ডলারের দাম হুহু করে বেড়েছে। বুধবার খোলাবাজারে ডলারের মূল্য ছিল ১১৯ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার টাকার সঙ্গে ডলারের মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হচ্ছে এবং এটি একটি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, কয়েকটি ব্যাংকের কারসাজির কারণেই এই ডলারের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এই ব্যাংকগুলোর জালিয়াতির কারণেই ডলার দুষ্প্রাপ্য হচ্ছে এবং এটি শুধু যে ব্যবসায়িক মুনাফা লাভের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করা হচ্ছে এমনটি নয়, এর পেছনে দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। সরকারকে বিপদগ্রস্ত করা এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার একটি নীল নকশার বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত এই ছয়টি ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের পুরনো অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যাংকে এক সময় কাজ করতেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের জামাতা। এ সময় অর্থ পাচারে এই ব্যাংকটির ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মোরশেদ খানের জামাতা এই ব্যাংকে থাকা অবস্থায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এ জন্য তাকে দুদক ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সে সময় মোরশেদ খানের জামাতা দুদকের কাছে স্বীকার করেছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। বহুজাতিক ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে এই ব্যাংকের মাধ্যমেই প্রচুর পরিমাণে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর এটি নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। এ ধরনের অনেক অভিযোগ আছে এই ব্যাংকের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই অভিযোগগুলো কখনই খতিয়ে দেখা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, যেহেতু এটি একটি বহুজাতিক ব্যাংক, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় তাদের ব্যাপারে নমনীয় থাকে। ডলার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত দ্বিতীয় ব্যাংকটি হলো প্রাইম ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের অন্যতম মালিক আজম জে চৌধুরী। বর্তমানে তার  ছেলে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আজম জে চৌধুরী ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা, অসত্য, মানহানির মামলা করেছিলেন। এই মামলার কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে কারাবরণ করতে হয়েছিল এবং প্রায় ১১ মাস কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকলেও আজম জে চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং এ সময় তার বিপুল বিত্তের প্রসার ঘটেছে। আজম জে চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ওভার ইনভয়েসিংয়ে মাধ্যমে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ থাকার পরও সেগুলোর তদন্ত বেশি দূর এগোয়নি। ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গরিব মানুষের অর্থায়নে। ব্র্যাক যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল, সেই ক্ষুদ্র ঋণের টাকা যখন স্ফীত হয়, তখন ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। বলা হয়েছিল যে, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যাংকটি ক্রমশ এখন এলিট ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা ও গরিব মানুষ এই ব্যাংকের বারান্দাতেও যেতে পারে না। বড়লোকদের টাকা রাখা এবং এসব টাকা বিদেশে পাচার করার একটি অন্যতম বাহন হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যবহৃত হয় বলে একাধিক অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। ব্র্যাক ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তখন এই ব্যাংকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন করেছিলেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মোজাফফর আহমেদ। কিন্তু খুঁটিনাটি আইনগত জটিলতার কারণে সেই রিটটি শেষ পর্যন্ত টেকেনি। কিন্তু গরিব মানুষের ক্ষুদ্র ঋণের টাকা দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক যে বিশাল সাম্রাজ্য করেছে, তা এখন আর্থিক অনিয়মের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্রেতা এই ব্যাংকে নানারকম প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং সেগুলোর সঠিক প্রতিকার হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ৪৮টি গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এসবের একটিও তদন্ত হয়নি। ‘ব্র্যাক ব্যাংক’ ব্র্যাক নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান। যিনি ওয়ান-ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব। যিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুপারিশেই তিনি ২০০৭ সালে অনির্বাচিত সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

সিটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ নানারকম অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরনো। এই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের প্রায় পুরোটাই দখল করে রয়েছে পারটেক্স গ্রুপ। যে পারটেক্স গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পারটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির একজন এমপি ছিলেন এবং বিএনপির অন্যতম অর্থদাতা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার সন্তানরাও বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিটি ব্যাংকের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করছেন। এর আগে সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অদৃশ্য কারণে এক ধরনের নীরবতা পালন করেছেন। এই ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সুশীল সমাজের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের একাধিক অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থাকলেও সে সব অভিযোগের তদন্ত বেশিদূর এগোয়নি। কেন এগোয়নি সেটিও একটি বড় প্রশ্ন বটে। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের পাঁচটি অভিযোগ উঠলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা তদন্তে আগ্রহ দেখায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এই ব্যাংকগুলো চাহিদার চেয়ে বেশি ডলার কিনে রেখেছে এবং সেই ডলারগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেছে। যে দামে ডলার কিনেছে তার চেয়ে ২৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল যখন এই ব্যাংকগুলোতে যায়, তখন তারা দেখতে পায় যে, তাদের যে চাহিদা ছিল সেই চাহিদার চেয়ে বেশি ডলার তারা কিনে সংগ্রহ করে রেখেছে। অর্থাৎ বাজারে যে ডলার সংকট, সেই ডলার সংকট সৃষ্টির পেছনে এই ছয়টি ব্যাংকের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। আর এই ডলার সংকট থেকেই মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি হয়েছে। ডলার সংকটের কারণেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে যা নিয়ে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যে ছয়টি ব্যাংক এই কাজটি করেছে, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য এই ধরনের ঘৃণ্য তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং শুধু ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা ট্রেজারি প্রধানের দ্বারা এ ধরনের অপকর্ম করা সম্ভব নয়। এর পেছনে রয়েছে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রত্যক্ষ সমর্থন এবং ভূমিকা। একজন ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, পরিচালনা পর্ষদ, মালিক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সম্মতির বাইরে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে না। তাই বাজারে ডলারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া এবং সরকারকে বিপদে ফেলার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই ব্যাংকগুলো কাজ করেছে। এই ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে শুধু ব্যাংকিং আইনে নয়, বরং ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এবং একই সঙ্গে এই ব্যাংকের মালিকানা এবং ব্যবস্থাপনা পর্ষদে যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এই ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আগামীতে অন্য ব্যাংকও এসব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হবে। তখন অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্যাংক   ডলার   জালিয়াতি   ষড়যন্ত্র   শাস্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২৪ ঘণ্টার কম সময় ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দাম কমানোর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এদিন বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা  নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
  
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
 
উল্লেখ, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্যপূরণে শঙ্কা

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে প্রভাব পড়েছে চলমান অর্থনৈতিক সংকট। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২.৩০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় এবার এডিপি বাস্তবায়ন বেড়েছে। আগের বছর ৯ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৪১.৬৫ শতাংশ।

অর্থবছরের বাকি আছে আর তিন মাস থাকলেও এই সময়ের মধ্যে শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়ন করতে হবে ৫৭.৭০ শতাংশ। আর টাকার হিসাবে ব্যয় করতে হবে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।



গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থবছরের ছয় মাসে যেখানে অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি, সেখানে মাত্র তিন মাসে কী করে ৫৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে জবাবদিহির আওতায় না আনলে শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন কোনো অর্থবছরেই সম্ভব হবে না।

আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির চলতি অর্থবছরে একটি প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল ছয় কোটি ১৯ লাখ টাকা। ৯ মাসে তারা ব্যয় করেছে পাঁচ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৯৬.৮৫ শতাংশ। আর শতাংশের হিসাবে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও টাকা খরচে এগিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির ২৬৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

অর্থবছরের ৯ মাসে ব্যয় হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ৪৬.০৩ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে তাদের বরাদ্দ ছিল ২৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে ৩৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা শতাংশের হিসাবে ১৩.৮৯ শতাংশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬৩.৮৭ শতাংশ। বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৭৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৪০.১৯ শতাংশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৯ মাসে ব্যয় করেছে সাত হাজার ৮১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। শতাংশের হিসাবে ৫৩.৯৮ শতাংশ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ব্যয় করেছে চার হাজার ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন হার ৩২.৯৯ শতাংশ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ৫০.৯২ শতাংশ। তাদের বরাদ্দ ছিল ৪৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বিপরীতে ৯ মাসে ব্যয় করেছে ২৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন হার ২৪.৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন হার ৩৮.৫৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪.৪২ শতাংশ। ইআরডির ৭১.৬৭ শতাংশ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৩.৭৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ৩১.৬৭ শতাংশ, অর্থ বিভাগের ৫০.০৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৩.৬৯ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৪৯.৯১ শতাংশ, সেতু বিভাগের ৪৬.৬৮ শতাংশ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯.৪৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বাস্তবায়ন হার বেশি। আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বসছি। যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প শেষ করছি। প্রকল্প পরিচালক দক্ষতা বাড়াতেও উদ্যোগ নিচ্ছি।’


বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি   এডিপি   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

চার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে আইএমএফ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি দেখতে ঢাকায় এসেছে সংস্থাটির ১০ সদস্যের একটি মিশন। মিশনটি গত ডিসেম্বর নাগাদ দেওয়া বিভিন্ন শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ বুধবার থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।

এসব বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেবে পর্যালোচনা দলটি বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

আইএমএফ-এর এই প্রতিনিধি দলটি শুরুর দিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে বৈঠক করবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। দলটি ঢাকায় থাকবে ৮ মে পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে শতাধিক প্রশ্ন পাঠিয়েছে। সফররত মিশনটি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জ্বালানি ভর্তুকি, সরকারি ঋণ, আসন্ন বাজেট ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবে।

গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশের কর রাজস্ব জিডিপির অনুপাত ৮ থেকে ৯ শতাংশ। আইএমএফের ঋণ কর্মসূচিতে রাজস্ব খাতে সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধি দল এ সফরে ব্যাংকিং খাতে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব, ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়নসহ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকের এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছিলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের খুব বেশি উন্নতি হয়নি। আইএমএফ গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মে মাস নাগাদ তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হতে পারে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা।

প্রাথমিকভাবে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রিজার্ভের উন্নতি না হওয়ায় বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তা কমিয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়। এর পরও বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আইএমএফের ঋণের ১০টি শর্তের ৯টি পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তাই ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো অসুবিধা হবে না। জানা গেছে, তৃতীয় কিস্তির জন্য নির্ধারিত ছয়টি পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। সরকার এরই মধ্যে এটি পূরণ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।


আইএমএফ   বাংলাদেশ ব্যাংক   গভর্নর   আব্দুর রউফ তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে মনে করছে ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এটি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করছে। 

প্রথমটি হলো: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।

দ্বিতীয়টি হলো: অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোয় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমাকৃত আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব পূর্বের ন্যায় চলমান থাকবে।

একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং ৮ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

তিনদিনের মাথায় আবারও কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।

এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।


স্বর্ণ   বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি   বাজুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন