আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার
বার্ষিক আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্য নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন।
করযোগ্য আয় থাকলে কিংবা সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে রিটার্ন দাখিল না করার বিকল্প নেই।
আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে বিলম্ব সুদ ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে করদাতাকে।
শুধু জরিমানা নয়, আয়কর না দেওয়ার কারণে অনেক সময় করদাতাকে কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে
পারে।
এর পাশাপাশি অন্তত যে ৪০ ধরনের সেবায়
রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা হতে বঞ্চিত হতে হবে
করদাতাকে। যার মধ্যে রয়েছে-গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
হওয়া, বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে অসুবিধা, বিভিন্ন লাইসেন্সের রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন না হওয়া
এবং ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত কর দেওয়া ইত্যাদি।
৩০ নভেম্বরের নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার কথা বলছেন এনবিআরের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। আয়কর
নির্দেশিকা অনুসারে ই-টিআইএন থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন দাখিল না করলে যেসব সমস্যার কথা
উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো-
১- যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ
দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। যেমন- ক্ষেত্রমত, গ্যাস
ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবে না কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে
অসুবিধা হবে।
২- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন
দাখিলে ব্যর্থ হলে তার ওপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা, ৭৩ ধারা অনুযায়ী
সরল সুদ এবং ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে।
৩- যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের
জন্য সময়ের আবেদন করে, উপ-কর কমিশনারের মাধ্যমে মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন
দাখিল করবেন, সেক্ষেত্রে করদাতার ওপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে বিলম্ব সুদ আরোপিত
হবে।
আর চলতি অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকা
অনুযায়ী যেসব সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা হলো-
• কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান
থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি টাকা ঋণ নিতে গেলে
• কোনো কোম্পানির পরিচালক বা
স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হতে হলে
• আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি
নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায়
ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে গেলে
• সমবায় সমিতির নিবন্ধন পেতে
হলে
• সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার
হতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে
• সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের
পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ লাখের বেশি টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট
বিক্রয় বা হস্তান্তর বা বায়না নামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে
• ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল
রাখতে
• চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী,
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি
অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার
সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• নিকাহ্ রেজিস্ট্রার হিসেবে
লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• ট্রেড বা পেশাজীবী সংস্থার
সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স,
পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র প্রাপ্তি ও নবায়নে
• যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক
ও শিল্প সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ
প্রাপ্তি এবং বহাল রাখতে
• লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার,
কার্গো, কোস্টার, কার্গো ও ডাম্ব বার্জ্যসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের
সার্ভে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের
কার্যালয় হতে ইট উৎপাদনের অনুমতি প্রাপ্তি ও নবায়নে
• সিটি করপোরেশন, জেলা সদর বা
পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে
• সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট
বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি বা বহাল রাখতে
• ২০ কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ
প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে
• আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি
ও বহাল রাখতে
• আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়
• পাঁচ লাখের বেশি টাকার পোস্ট
অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়
• দশ লাখের বেশি টাকার ক্রেডিট
ব্যালেন্স সম্পন্ন ব্যাংক হিসাব খোলা ও বহাল রাখতে
• পাঁচ লাখের বেশি টাকার সঞ্চয়পত্র
কিনতে
• পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে
• মোটরযান, স্পেস/স্থান, বাসস্থান
অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটিজে অংশ নিতে
• উৎপাদন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা
বা প্রশাসনিক বা তত্ত্বাবধানকারী অবস্থানে কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে
• সরকার অথবা সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ,
করপোরেশন, ইউনিটের বা প্রচলিত কোনো আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোনো কর্তৃপক্ষ,
করপোরেশন, ইউনিটের কর্মচারীর ১৬ হাজার টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন প্রাপ্তিতে
• মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক
উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন,
ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে
• অ্যাডভাইজরি বা কনসালটেন্সি
সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ ও নিরাপত্তা
সরবরাহ সেবা বাবদ নিবাসী কর্তৃক কোনো কোম্পানি থেকে অর্থ প্রাপ্তিতে
• মাসিক পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিওভুক্তির
মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে মাসিক ১৬ হাজার টাকার বেশি কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে
• বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট
নিবন্ধন বা নবায়নে
• দ্বি-চক্র বা ত্রি-চক্র মোটরযান
ব্যতীত অন্যান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে
• এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে
নিবন্ধিত এনজিওতে বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্ষুদ্র
ঋণ সংস্থায় বিদেশি অনুদান ছাড়ে
• বাংলাদেশে অবস্থিত ভোক্তাদের
নিকট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে
• কোম্পানি আইন ও সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশনের
অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ লাভের আবেদনের ক্ষেত্রে
• পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন
বা সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিবাসী কর্তৃক টেন্ডার ডকুমেন্টস দাখিলকালে
• পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দেশ্যে
বিল অব এন্ট্রি দাখিলকালে
এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক),
চিটাগাং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে
অনুমোদনে ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার জমা দিতে
হবে। না হলে ওইসব সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে করদাতাকে।
চলতি অর্থবছরের সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী
কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী
ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী
করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
আয়কর রিটার্ন রিটার্ন দাখিল এনবিআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বের নানা দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বসবাস করেন। তারা বাংলাদেশের জন্য সম্পদ। মূলত, তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থে সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের লেনদেনের সুবিধার্থে টাকায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
মন্তব্য করুন
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)
অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। আর এটিই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভা। এই সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এর বাইরেও অনুমোদন পাচ্ছে আরো ৩০টি প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল
১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চলতি অর্থবছরের ৮ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের
জন্য এরই মধ্যে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মেয়াদ বৃদ্ধি, সংশোধন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প
প্রস্তাব ১১টি।
এর বেশির ভাগই নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে চারটি।
অর্থাৎ নতুন প্রকল্প রয়েছে সাতটি। এর বাইরে পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত ৩০টি
প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করা হবে।
নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় যেসব প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় সরকার বিভাগের। এই বিভাগের
রয়েছে তিনটি প্রকল্প। স্থানীয় সরকার বিভাগের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী
অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়) এবং অবকাঠামো, উন্নত
দক্ষতা এবং তথ্যে অ্যাকসেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার করা (পোভার্টি)
(১ম সংশোধিত)।
এ ছাড়া একটি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা
হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স,
আগারগাঁও, ঢাকায় স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি তৃতীয়
বার সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর বাইরেও একনেক সভার অবগতির জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবিত ৩০টি প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।
এর মধ্যে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ সংশ্লিষ্ট ১৪টি, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ৯টি, শিল্প
ও শক্তি বিভাগের একটি এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ছয়টি প্রকল্প।
একনেক জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে একীভূত করার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতে যে সঙ্কট তা নিরসনের যে উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে তার অংশ হিসাবে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক একটি শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে। এই ব্যাংকটির অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত দুর্বল এবং খেলাপি ঋণে ব্যাংকটি প্রায় দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্যাংকটির আর্থিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, গত মাসে তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে বেতন দিতে পারেনি। তিন শতাধিক কর্মচারী এই ব্যাংকে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই ব্যাংকটিকে একীভূত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলেই একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে আরও কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন স্থির হয়েছে ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।