চূড়ান্ত
অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশের ঋণ
প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের বোর্ডে উঠছে। বাংলাদেশকে সহজশর্তে ৪৫০ কোটি ডলার
ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী মাসের
দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহে আইএমএফের বোর্ডসভায় বাংলাদেশের এই ঋণপ্রস্তাব অনুমোদনের
জন্য তোলা হতে পারে।
বোর্ডে
অনুমোদন পেলে প্রথম কিস্তি
ছাড়ের আলোচনা শুরু হবে। ফেব্রুয়ারিতেই
আসবে ৩৫ কোটি ডলার।
এরপর ধাপে ধাপে আর্থিক
খাতের সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা প্রতিবেদনের ওপর কিস্তির অর্থছাড়
নির্ভর করবে। অর্থ বিভাগ সূত্রে
জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্র
জানান, আইএমএফের এ ঋণ পেতে
ভ্যাট আইন, ২০১২-এর
পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজস্ব
আয় বৃদ্ধি, আর্থিক খাতের নজরদারি বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা, জ্বালানি খাতের ভর্তুকি কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা, ব্যাংক
ঋণ ও আমানতের সুদের
হার বাড়ানো, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাব, নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নসহ আরও কিছু সংস্কারমূলক
কার্যক্রম পরিপালন করতে হবে বাংলাদেশকে।
এদিকে
আইএমএফ প্রতিনিধি দল ফিরে যাওয়ার
পর ইতোমধ্যে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে
সমন্বয় করা হয়েছে। গ্রাহক
পর্যায়েও মূল্য সমন্বয়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। আইএমএফ
জানিয়েছে, এ ঋণের প্রথম
কিস্তি ৪৪৭ মিলিয়ন ডলার
পাওয়া যাবে আসছে ফেব্রুয়ারিতে।
বাকি অর্থ ৬৫৯ মিলিয়ন
ডলার সমান ছয় কিস্তিতে
২০২৬ সালের মধ্যে পাবে বাংলাদেশ। অবশ্য
এ ঋণের ক্ষেত্রে কোন
শর্ত যুক্ত রয়েছে সরকার-আইএমএফ কোনো পক্ষই তা
বলছে না। বলা হচ্ছে
আর্থিক খাতে কিছু সংস্কার
আনতে হবে। এমনকি সরকার
সেগুলো নিয়ে আগে থেকেই
কাজ করছে বলে জানিয়েছেন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম
মুস্তফা কামাল।
এদিকে
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন
উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে আগামী
জুনের মধ্যে ঋণ ও সহায়তার
অংশ হিসেবে ১৫০ কোটি ডলার
পাচ্ছে বাংলাদেশ। জুনের মধ্যে কারা কত দিতে
পারে তা নিয়ে চলছে
হিসাব-নিকাশ। জানা গেছে, এ
সময়ের মধ্যে আইএমএফ দিতে পারে ৩৫
কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংক ২৫ কোটি ডলার,
এডিবির কাছ থেকে পাওয়া
যেতে পারে ৫০ কোটি
ডলার, জাপানের কাছ থেকে আসতে
পারে ৩৫ কোটি ডলার।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক
মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন
বলেন, ‘এটা একটা মন্দের
ভালো খবর, ঋণটা পাওয়া
যাবে সংকটকালে। প্রস্তাবটি যত তাড়াতাড়ি বোর্ডে
পাস হবে তত তাড়াতাড়ি
অর্থ ছাড় হবে। তবে
এখানে মূল বিষয় হলো,
কোনো শর্তই পরিষ্কার নয়। উভয় পক্ষ
যেসব সংস্কারের কথা বলেছে সেগুলো
তো আসলেই চলমান। কিন্তু এর বাইরে কোনো
শর্ত আছে কি না,
যেমন প্রথম কিস্তি পাওয়ার আগে কী কী
করতে হবে, পরবর্র্তী কিস্তিগুলো
পাওয়ার আগে কোন সময়
কী করতে হবে সেগুলো
তো নির্দিষ্ট করে প্রকাশ করা
হয়নি। ফলে এখানে কিছুটা
অস্পষ্টতা রয়েছে। আর চলমান সংকট
মোকাবিলায় এ ঋণ কতটা
কার্যকর হবে বা সংকট
কেটে যাবে কি না
তা এখনই বলা যাবে
না। তবে কিছুটা ইতিবাচক
প্রভাব তো অর্থনীতিতে পড়বেই।’
বাংলাদেশের ঋণ আইএমএফ বোর্ড আইএমএফ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কথা জানিয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এর আগে ৯ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বলেছিলেন, তাঁরা বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চান না। বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। সরকারি এই ব্যাংককে বেসরকারি একটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার খবরে তাঁরা ‘আতঙ্কগ্রস্ত’।
বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন বেসিক ব্যাংকের আমানতকারীরা। তাঁদের কেউ কেউ বেসিক ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই আমানত বেশি সরিয়ে নিচ্ছে।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকটি থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। আমানত তুলে নিতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়েছে। এতে তীব্র তারল্যসংকটে পড়েছে ব্যাংকটি। এর ফলে বেসিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) রাখতে পারছে না।
বেসিক ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা, যা কমে এখন ১২ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ছিল ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণই ৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বা ৬৪ শতাংশ।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এম মোফাজ্জেল বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে সোনালী, জনতার মতো আমরাও রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আমাদের ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছে। বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে তারা টাকা তুলে নিতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, এ জন্যই সরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সরকারের কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এটাই স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা। ভালো মানের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা যা এতদিন ছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস। যা ওইদিনই বিকেলে কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী আজ ৭টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে
(ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে
লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম
ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০
কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সকালে বেশ কিছু ভালো কোম্পানির শেয়ারের
দাম কমেছে। ডিএসইতে প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে এগিয়ে রয়েছে ওষুধ ও রাসায়নিক, প্রকৌশল,
ভ্রমণ, খাদ্য, সিরামিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো।
এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রাসায়নিক খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক
ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। দেড় ঘণ্টায় এটির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। লেনদেনে দ্বিতীয়
অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেড।
এ সময় এটির ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয়
অবস্থানে থাকা ভ্রমণ খাতের কোম্পানি বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার
শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৫ পয়েন্টে, ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার।
মন্তব্য করুন
সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সকাল থেকে সূচকের বেশ উত্থান–পতন লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লেনদেন শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা পরই ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেশ নিচে নেমে যায়। তবে প্রথম ঘণ্টা শেষে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।