বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম।
কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, এ জেড এম সালেহ্, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক ড. মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, ড. নাজমুল ইসলাম, ড. শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী।
মন্তব্য করুন
সড়ক ও রেল যোগাযোগ খাতের নয়টি প্রকল্পে চীনা ঋণের বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের তালিকা পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
সড়ক পরিবহন ও রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তালিকায় রেলের প্রকল্প রয়েছে ছয়টি। এর বাইরে ঢাকায় গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পথে মেট্রোরেলের একটি লাইন নির্মাণ, পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত প্রকল্প রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করতে পারেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ওই সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রেল ও সড়ক যোগাযোগের প্রকল্পগুলোতে চীনা ঋণের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে।
চীনা ঋণে হলে এই প্রকল্প জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চীন সরকার ওই দেশের একটিমাত্র ঠিকাদার নির্বাচন করে দেবে। এ পদ্ধতিতে ঠিকাদারের পক্ষে নানা শর্ত যুক্ত করা এবং পণ্যের মূল্য বেশি দেখানোর কারণে ব্যয় বাড়ে বলে সমালোচনা আছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চীন থেকে কোন কোন প্রকল্পের জন্য ঋণ চাওয়া দরকার, সে বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে তালিকা চেয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রেল মন্ত্রণালয় ছয়টি প্রকল্পের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে জিটুজি–পদ্ধতিতে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্পের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণের মেয়াদ শেষ। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত তা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য প্রকল্পটি চীনা ঋণের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
৩৯ হাজার ২৭৬ কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এই প্রকল্পে চীনা ঋণের পরিমাণ ২৬৭ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত নতুন রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশে দুই-তিন মাসের মধ্যে রেল চালু হতে পারে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ফরিদপুরের ভাঙা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর এবং কুয়াকাটা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে অগ্রাধিকার রয়েছে সরকারের। এই রেলপথ নির্মিত হলে পদ্মা সেতু হয়ে সারা দেশের সঙ্গে পায়রা বন্দরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী রেল যোগাযোগের আওতায় আসবে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনের রাষ্ট্রীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরইসি) পায়রা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রকল্পের ধারণা নিতে বরিশালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত নতুন রেলপথের প্রাক্-প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
চীনা ঋণে হলে এই প্রকল্প জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চীন সরকার ওই দেশের একটিমাত্র ঠিকাদার নির্বাচন করে দেবে। এ পদ্ধতিতে ঠিকাদারের পক্ষে নানা শর্ত যুক্ত করা এবং পণ্যের মূল্য বেশি দেখানোর কারণে ব্যয় বাড়ে বলে সমালোচনা আছে।
চীনা ঋণ পেতে রেলের আরও যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভাঙা-কুয়াকাটা রেলপথ নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ আছে। এ প্রকল্পে চীনা ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সব প্রকল্পের অর্থায়ন তো এক জায়গা থেকে হয় না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক হয় এমন উৎস থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে।
সড়ক যোগাযোগের প্রকল্প
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন-২ এর ঋণ এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ প্রকল্পের জন্য চীনা ঋণ পেতে আগ্রহী সড়ক মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সেতু বিভাগের অধীন পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর আরেকটি চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে চীনা ঋণ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। পিরোজপুর ও ঝালকাঠির মধ্যে কচা নদীতে এরই মধ্যে একটি সেতু চালু হয়েছে। নতুন সেতুটি ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানির মধ্যে চরখালী ফেরিপথে নির্মাণ করা হবে। দেড় কিলোমিটারের কিছু বেশি দীর্ঘ হবে সেতুটি। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মতো। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত দরকার। এটি চীনা ঋণে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন মেরামতেও চীনের সহায়তা চাইছে সরকার।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। এরপর থেকে চীন বাংলাদেশের যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ঋণ দেওয়া বাড়িয়ে দেয়। প্রায় এক দশক পর আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বাংলাদেশের জন্য চীনের ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি ঋণ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পররাষ্ট্র ও ইআরডি সূত্রে জানা গেছে।
প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ফাওজুল কবীর খান গণমাধ্যমকে বলেন, অর্থনীতি এমনিতেই সংকটে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ আছে। ঋণ নিয়ে প্রকল্প করলে কী লাভ হবে, টাকা ফেরত দেওয়া যাবে কি না, এগুলো ভাবা দরকার। তিনি বলেন, চীনা ঋণে করা প্রকল্পের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এগুলো চীনের ঠিকাদার ও তাদের বাংলাদেশি এজেন্টকেন্দ্রিক। প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ হয় না। এ জন্য ব্যয় ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি হয়।
(তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ৩ জুলাই ২০২৪)
রেল সড়ক প্রকল্প চীন ঋণ বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ)। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুক্ত হওয়ায় তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে, ৩০ জুন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৮২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন)। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার ১৮৪ কোটি ডলার (২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন)।
এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দিতো। প্রকাশ করত না। তবে ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর হঠাৎ দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মুখপাত্রের দপ্তর থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আছে এক হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ( ১৬ বিলিয়ন ডলার)। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
এর আগে ২৪ জুন ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার অনুমোদন হয়।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।
বাংলাদেশের অনুরোধে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের অনুরোধে আইএমএফ পরে সংশোধন করে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়।
কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশিকর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।
মন্তব্য করুন
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যার পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ালো দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। আর এবারের এই রেমিট্যান্সের আয়ের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার। সোমবার (১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিগত ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার। অন্যদিকে আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, এছাড়াও এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
একক মাসের হিসাবে জুনের প্রবাসী আয়ের অঙ্ক ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন আর এই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম এবারেও হয়নি। এমনকি কোরবানির ঈদের আগে জুনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
অন্যদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর ঠিক এর আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার ও ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা অর্থবছর হিসাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমিয়ে রোববার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ জুলাই) থেকে পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৭.৭৫ টাকা লিটার থেকে ১ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৬.৭৫ টাকা এবং কেরোসিন ১০৬.৭৫ টাকা লিটারে পুনর্নির্ধারণ সমন্বয় করা হয়েছে। তবে পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৭ টাকা লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১৩১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে এপ্রিল ও মে মাসের প্রজ্ঞাপনেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে জুন মাসের প্রজ্ঞাপনে ডিজেল ও কেরোসিনে ১ টাকা করে কমানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা বাংলাদেশ থেকে যথাক্রমে প্রায় ১৮.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি।
মন্তব্য করুন
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যার পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ালো দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। আর এবারের এই রেমিট্যান্সের আয়ের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ।
২০২৪-২৭ মেয়াদের জন্য ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খসড়া `রপ্তানি নীতিমালার' অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমিয়ে রোববার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ জুলাই) থেকে পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৭.৭৫ টাকা লিটার থেকে ১ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৬.৭৫ টাকা এবং কেরোসিন ১০৬.৭৫ টাকা লিটারে পুনর্নির্ধারণ সমন্বয় করা হয়েছে। তবে পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৭ টাকা লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১৩১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রয়েছে।