ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে জুন মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রোববার (২ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠ থেকে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রয়ের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক মানুষের হাতে এটা পৌঁছে দিতে হবে। মনিটরিং করা হবে। ঈদ মানুষের ভালো যাবে। কিছুটা হলেও তারা সুবিধা পাবে। প্রতি মাসেই আমরা সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই কর্মযজ্ঞটা অনেক বড়। এই মাসে এটা শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে। ঈদের আগে মানুষের হাতে টিসিবির পণ্যটা যেন পৌঁছে যায় এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। এক কোটি পরিবার যখন এটা পায় তখন বাজারে চিনি, চালসহ এসব পণ্যের ওপর চাপ কমে। ফলে চাহিদা কমে যাবে, বাজারেও চাপ কমে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা আর অস্থায়ীভাবে টিসিবির পণ্যগুলো দিতে চাই না। নতুন অর্থবছরে স্থায়ী দোকানে পণ্য দিতে চাই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিসিবির জন্য পৃথক গুদাম করার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন শুধু নিম্নবিত্তদের পণ্য দিতে পারছি। আগামীতে মধ্যবিত্তদের টিসিবির পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো।
টিসিবি কার্ডধারীরা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল, এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি হবে। চিনি শুধু ঢাকায় পাওয়া যাবে। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য পড়ছে ৫৪০ টাকা।
জানানো হয়েছে, টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল ইকবাল প্রমুখ।
ঈদুল আজহা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ)। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুক্ত হওয়ায় তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে, ৩০ জুন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৮২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন)। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার ১৮৪ কোটি ডলার (২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন)।
এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দিতো। প্রকাশ করত না। তবে ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর হঠাৎ দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মুখপাত্রের দপ্তর থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আছে এক হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ( ১৬ বিলিয়ন ডলার)। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।
এর আগে ২৪ জুন ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার অনুমোদন হয়।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।
বাংলাদেশের অনুরোধে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের অনুরোধে আইএমএফ পরে সংশোধন করে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়।
কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ
রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশিকর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।
মন্তব্য করুন
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যার পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ালো দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। আর এবারের এই রেমিট্যান্সের আয়ের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার। সোমবার (১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিগত ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার। অন্যদিকে আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ও মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, এছাড়াও এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
একক মাসের হিসাবে জুনের প্রবাসী আয়ের অঙ্ক ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন আর এই ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম এবারেও হয়নি। এমনকি কোরবানির ঈদের আগে জুনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
অন্যদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর ঠিক এর আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার ও ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা অর্থবছর হিসাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমিয়ে রোববার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ জুলাই) থেকে পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৭.৭৫ টাকা লিটার থেকে ১ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৬.৭৫ টাকা এবং কেরোসিন ১০৬.৭৫ টাকা লিটারে পুনর্নির্ধারণ সমন্বয় করা হয়েছে। তবে পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৭ টাকা লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১৩১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে এপ্রিল ও মে মাসের প্রজ্ঞাপনেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে জুন মাসের প্রজ্ঞাপনে ডিজেল ও কেরোসিনে ১ টাকা করে কমানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা বাংলাদেশ থেকে যথাক্রমে প্রায় ১৮.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি।
মন্তব্য করুন
প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা কমিয়ে সোনার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তারা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। বর্তমানে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।
এদিকে সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম হয়েছে ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধপথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যার পরিমাণ দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ালো দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। আর এবারের এই রেমিট্যান্সের আয়ের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ।
২০২৪-২৭ মেয়াদের জন্য ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খসড়া `রপ্তানি নীতিমালার' অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমিয়ে রোববার (৩০ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ জুলাই) থেকে পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৭.৭৫ টাকা লিটার থেকে ১ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৬.৭৫ টাকা এবং কেরোসিন ১০৬.৭৫ টাকা লিটারে পুনর্নির্ধারণ সমন্বয় করা হয়েছে। তবে পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৭ টাকা লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১৩১ টাকা লিটার অপরিবর্তিত রয়েছে।