ইনসাইড ইকোনমি

সাদা-কালোর চক্করে গ্যাঁড়াকলে সাধারণ করদাতা


Thumbnail

প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের মতোই ব্যক্তি শ্রেণি বিভাগে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। তবে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আয়ের করসীমা ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে এবারও কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। মূলত অপ্রদর্শিত অর্থ, অর্থনীতির মূলধারায় আনতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পুরোনো আয়কর আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাকে বর্তমান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ পদ্ধতিতে কর দিয়ে টাকা বৈধ করলে সরকারের অন্য কোনো সংস্থা উৎস নিয়ে আর কোন প্রশ্ন করতে পারবে না।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার মাত্র ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পাশাপাশি সহজ শর্তে পাচার অর্থ দেশে ফেরাতেও বাজেটে দায়মুক্তির সুযোগ দেওয়া হয়। তবে, বারবার সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একে সাধারণ করদাতাদের ওপর অবিচার উল্লেখ করে বাজেটে এ ধরনের সুবিধা রাখা পুরোপুরি অযৌক্তিক বলেও মত তাদের। 

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী এখন থেকে যে কোনো করদাতা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ করের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ জরিমানা দিলেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন। যদিও, এর বাইরে প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট আয়তনের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত কর পরিশোধ করেও অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট যে কোনো সংস্থা চাইলে পরবর্তীতে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে করদাতাকে প্রশ্ন করতে পারবে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এমন বিতর্কিত উদ্যোগ সত্ত্বেও অতীতে এতে খুব বেশি সাড়া মেলেনি। উল্টো বারবার এ ধরনের সুযোগ দেওয়ায় নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তাদের মতে, একজন সাধারণ করদাতা যেখানে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে কর দিচ্ছেন, সেখানে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার এ সুযোগ নিয়মিত করদাতাদের ওপর অন্যায্য সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে মানুষ করদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি আয়কর রিটার্ন দাখিলে বৈধ আয়কে অপ্রদর্শিত বলে দেখানোর প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের, যা আগামী দিনের জন্য একধরনের সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তাবিত বাজেট   কালো টাকা   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড   ২০২৪-২৫ অর্থবছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে) আজ (শনিবার) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস তথ্য জানায়। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এই অর্থ অনুমোদন করে।

সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশকে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে; যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করবে এবং বন্দর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি খরচ কমিয়ে আনবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।


বাংলাদেশ   বিশ্বব্যাংক   ঋণ   অনুমোদন   টাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

জাতীয় সংসদে আজ পাস হচ্ছে অর্থ বিল

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করতে জাতীয় সংসদে আগামীকাল রোববার (৩০ জুন) বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে এর আগে, আজ শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অনুমোদনে জন্য অর্থ বিল উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ আজ অর্থবিল এবং আগামীকাল রোববার নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হবে জাতীয় সংসদে। যা আগামী পরশুদিন সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।

আজ শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন বসবে। এতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করবেন।

সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, শনিবার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট, বাজেটের মঞ্জুরি দাবি এবং দায়যুক্ত ব্যয় নির্দিষ্টকরণ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধন করে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) অবিলম্বে বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হোক। এরপর অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করবেন সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকর করা এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে আনীত বিলটি (অর্থ বিল, ২০২৪) পাস করা হোক।

বাজেট উত্থাপনের সময় সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। সব নাগরিককে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে শেষমেষ এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন নাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংসদ সদস্যদের চাপে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাবটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।


জাতীয়   সংসদ   অর্থ   বিল   বাজেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

জ্বালানি তেল: বিশ্ববাজারে কমে দাম, বাংলাদেশে হয় না সমন্বয়

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদ্যুৎ জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করছে সরকার। নতুন পলিসির আওতায় এখন পর্যন্ত চার দফায় জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ মে পেট্রোল অকটেনের দাম আড়াই টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি প্রাইস সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সেই প্রভাব দেশের বাজারে পড়েনি। মে মাসের শুরুতে ক্রুড বা অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ছয় ডলার কমলেও দেশের বাজারে সেই চিত্রটা উল্টো।

ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববাজারে গড়ে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ছিল ৮০ ডলার। সেই ফর্মুলা অনুসারে প্রথমবার দেশে ডিজেলের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর মার্চ মাসে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের গড় মূল্য ছিল ৮৩. ডলার, সে অনুসারে এপ্রিল মাসে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বিগত মাসের তুলনায় ডিজেলে টাকা কমানো হয়। পেট্রোল (১২২ টাকা) অকটেনের (১২৬ টাকা) দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়।

সম্প্রতি ডলারের মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দেখা গেল যে দামে এলসি খোলা হলো, তার চাইতে বেশি দামে মূল্য পরিশোধ করতে হলো। কারণ সময়ের মধ্যেই ডলারের দাম বেড়ে গেছে।

এপ্রিল মাসে বিশ্ববাজারের তেলের দাম কিছুটা বেড়ে পৌঁছায় ৮৮ ডলারে। সে অনুসারে মে মাসে ডিজেলের দাম টাকা, পেট্রোলের দাম টাকা ৫০ পয়সা অকটেনের দাম টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়।

বিশ্ববাজারের তেলের দামে দরপতন হয় মে মাসে। তখন ডলার কমে জ্বালানি তেলের গড়মূল্য দাঁড়ায় ৮১. ডলারে। কিন্তু দাম কমলেও দেশের বাজারে জুন মাসে ডিজেলের দাম ৭৫ পয়সা, পেট্রোলের দাম টাকা ৫০ পয়সা অকটেনের দাম টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়।

জ্বালানি তেলে ভর্তুকি প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যদিও বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২০২২ সালে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রভাব ফেলে মূল্যস্ফীতিতে, বেড়ে যায় জীবনযাত্রার খরচ। যদিও সে সময় বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি।

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি বাস্তবায়ন নিয়ে বেশ আগ থেকে আলোচনা হলেও চলতি বছরেই তা কার্যকর করা হয়। অটোমেটেড প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য অনুযায়ী তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। দেশে পর্যন্ত চার দফায় মূল্য নির্ধারণ করা হলেও দাম হ্রাস বৃদ্ধির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সাদৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, সম্প্রতি ডলারের মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দেখা গেল যে দামে এলসি খোলা হলো, তার চাইতে বেশি দামে মূল্য পরিশোধ করতে হলো। কারণ সময়ের মধ্যেই ডলারের দাম বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, এখন তেলের দাম যদি কমাতে হয়, তাহলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু আইএমএফের শর্তের কারণে ভর্তুকি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে তেলের দাম যদি কমের দিকে থাকে, তাহলে মূল্য সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলারের দামে অস্থিরতা থাকা সত্বেও বিপিসির আরও স্বস্তিদায়ক মূল্য ফর্মুলাটা নির্ধারণের সুযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকরা আরও কম দামে জ্বালানি তেল ক্রয়ের সুযোগ পেতেন।

(তথ্যসূত্র: ঢাকা পোস্ট, ২৯ জুন ২০২৪)


জ্বালানি   তেল   বিশ্ব   বাজার   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সার্ক কারেন্সি সোয়াপ চালু করলো ভারত

প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (সার্ক) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর জন্য নতুন কারেন্সি সোয়াপ উইন্ডো গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)।

বৃহস্পতিবার থেকে ২০২৪-২৭ মেয়াদে তিন বছরের জন্য এই কারেন্সি সোয়াপ চালু করে আরবিআই।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এই কারেন্সি সোয়াপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে সার্কভুক্ত দেশগুলো। ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে লেনদেন করায় এসব দেশকে বিভিন্ন ছাড় দেয়া হবে।

এ ছাড়া পৃথক আরেক মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ও ইউরোতে বিনিময় চুক্তি বজায় রাখবে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক।

এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য চাহিদা বা লেনদেন ভারসাম্য সংকট মোকাবিলায় ব্যাক-আপ তহবিল সরবরাহের জন্য ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর সার্ক কারেন্সি সোয়াপ ফ্যাসিলিটি চালু করেছিল ভারত।

১৯৮৫ সালে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক প্রতিষ্ঠা হয়। এর সদস্য দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এবং আফগানিস্তান। এ ছাড়া চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, মিয়ারমার, মরিশাস, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হলো এই সংস্থার পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র।


সার্ক কারেন্সি   সোয়াপ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজস্ব আদায়ে ১১ মাসে (জুলাই-মে) পর্যন্ত বড় ধরনের ঘাটতির মুখোমুখি রাজস্ব আদায়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে এনবিআর সংগ্রহ করেছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। প্রবৃদ্ধি ১৪.৮৬ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

কারণ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা পেতে রাজস্ব কর্তৃপক্ষকে শুধু জুন মাসেই ৮৫ হাজার ৬২২ কোটি টাকা আয় করতে হবে। যা অসম্ভব বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনবিআর সূত্র বলছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ওই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৯৯.৫৮ শতাংশ অর্জন করেছে এনবিআর। প্রবৃদ্ধি ১৪.৮৬ শতাংশ।

এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের ১১ মাসে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৮.০৯ শতাংশ বেশি। এ খাতে রেকর্ড রাজস্ব আদায়ে হয়েছে।

অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম মূসক আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৬.৩৫ শতাংশ।

আর আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা কম। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৫৫ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৪৬ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ।এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের  মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।


এনবিআর   রাজস্ব   আদা   লক্ষ্যমাত্রা   শঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন