ইনসাইড ইকোনমি

১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যে নীতিমালার খসড়া অনুমোদন, তিন বিষয়ে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪-২৭ মেয়াদের জন্য ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খসড়া `রপ্তানি নীতিমালার' অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে রপ্তানি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে নতুনভাবে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী:

১. ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি ও রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান। ২. উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কিছু বিশেষ সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ, তাই বিশেষ কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ৩. আন্তর্জাতিক বাজারে শাকসবজি ও ফল রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্ব প্রদান, পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ।

এছাড়া পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কোম্পানি গঠনের প্রস্তাবও মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। ১৪ জন বোর্ড ও ডিরেক্টরের সমন্বয়ে গঠিত এই কোম্পানির প্রাথমিক মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি দেশীয় কোম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।

সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়, বরং কিছু সরকারি কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং কোনো দুর্নীতিবাজকে সহানুভূতি দেখানো হবে না। 


প্রধানমন্ত্রী   রপ্তানি   নীতিমালা   খসড়া   অর্থবছর   ডলার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন এক পরিপত্র জারি করেছে। এই পরিপত্রে বিদেশভ্রমণ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয়-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে ধরনের ভ্রমণ অত্যাবশ্যকীয় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে।

যেসব ক্ষেত্রে বিদেশভ্রমণ করা যাবে সেগুলো হল-পরিচালন উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দেওয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স পিএইচডি কোর্সে অংশ নেওয়া।

ছাড়া বিদেশি সরকার বা প্রতিষ্ঠান কিংবা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।

সেই সঙ্গে প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) বা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) আওতায় বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একান্ত অপরিহার্য হলে পিএসআই বা এফএটির আওতায় বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে কৃচ্ছ্রসাধনে আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কোড থেকে কত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য কৃষি মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

পরিপত্রে বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনোটিওঅ্যান্ডই’–ভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেভাবে ব্যয় করা যাবে, পরিপত্রে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল লুব্রিকেন্ট, গ্যাস জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে; এবং সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলেবিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তাখাতেজিওবি (বাংলাদেশ সরকার) বাবদসংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলেথোক বরাদ্দহিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। যদিও সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই নির্দেশনা শিথিল করা হয়।


সরকারি   ব্যয়ে   কৃচ্ছ্রসাধন   নতুন   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আসন্ন মুদ্রানীতিতে বাড়তে পারে নীতি সুদহার ও ডলার দর

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বারবার সুদহার বাড়িয়েও দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও আগামী মুদ্রানীতিতে ফের বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে রাখা। বারবার বিভিন্ন দাওয়াই দিয়েও এই সূচকে লাগাম টানা যায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী মুদ্রানীতিতে ডলারের দর ১১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি কয়েক মাসের মধ্যে ক্রলিং পেগ বাদ দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হতে পারে মুদ্রা বিনিময় হার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বলছে, দেশের আর্থিক খাতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় টাকার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত মোটা দাগে এসবই হচ্ছে এখন প্রধান সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যেই আগামী ১৪ জুলাই চূড়ান্ত অনুমোদনের পর যে কোনোদিন ঘোষণা হবে মুদ্রানীতি।

চলতি অর্থবছরও মুদ্রানীতির প্রধান লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত অনুযায়ী বাড়বে নীতি সুদহার। পাশাপাশি বর্তমান বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডলারের দরে আসবে পরিবর্তন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, বর্তমানে নির্ধারিত নীতি সুদহার দশমিক শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হতে পারে দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর ক্রলিং পেগ অনুযায়ী বর্তমানে ডলারের নির্ধারিত দর ১১৭ টাকা। এর থেকে টাকা কম-বেশিতে মার্কিন এই মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় করার বিধান রয়েছে। নতুন মুদ্রানীতিতে ডলারের দরে টাকা ৫০ পয়সা থেকে টাকা পর্যন্ত পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডলারের দর দাঁড়াতে পারে ১২০ টাকা। পাশাপাশি যে উদ্দেশ্যে ক্রলিং পেগ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা আসতে পারে।

বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বড়দের জন্য পুঁজিবাজার আছে, তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য সেখানে যাক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ বাড়াতে হবে। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা না থাকলে সেটি প্রণয়ন কিংবা ঘোষণা দিয়ে কোনো লাভ নেই।


আসন্ন   মুদ্রানীতি   সুদহার   ডলার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বিদায়ী অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি ১২.৬৯ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিদায়ী অর্থবছরে দেশের তীব্র ডলার সংকটের সময়েও বাংলাদেশ ব্যাংক বিপুল পরিমাণে ডলার বিক্রি করেছে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। আমদানি বিল পরিশোধে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩ অর্থবছরে ১৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবছরে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে সরবরাহ করে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬.০৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৯.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.৫৯ শতাংশ কম।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন এবং অফিসিয়াল ও অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ডলার সংকট বাড়তে থাকে, যা এক পর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে। এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও পর্যায়ক্রমে তা কমে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহ এবং আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তাসহ বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পাওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যাংকাররা জানান, বিদেশি মুদ্রা বাজারের অব্যবস্থাপনা এবং নীতিগত অস্থিরতা ডলারের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

ডলারের এই অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থিতিশীল নীতি গ্রহণ করা জরুরি।


বাংলাদেশ ব্যাংক   বৈদেশিক মুদ্রা   আইএমএফ   বিশ্বব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রেল ও সড়কের ৯ প্রকল্পে চীনা ঋণ পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক রেল যোগাযোগ খাতের নয়টি প্রকল্পে চীনা ঋণের বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন সেতু এবং রেল মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্পের তালিকা পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

সড়ক পরিবহন রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তালিকায় রেলের প্রকল্প রয়েছে ছয়টি। এর বাইরে ঢাকায় গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পথে মেট্রোরেলের একটি লাইন নির্মাণ, পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত প্রকল্প রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করতে পারেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ওই সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রেল সড়ক যোগাযোগের প্রকল্পগুলোতে চীনা ঋণের বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে।

চীনা ঋণে হলে এই প্রকল্প জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হতে পারে। ক্ষেত্রে চীন সরকার ওই দেশের একটিমাত্র ঠিকাদার নির্বাচন করে দেবে। পদ্ধতিতে ঠিকাদারের পক্ষে নানা শর্ত যুক্ত করা এবং পণ্যের মূল্য বেশি দেখানোর কারণে ব্যয় বাড়ে বলে সমালোচনা আছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, চীন থেকে কোন কোন প্রকল্পের জন্য ঋণ চাওয়া দরকার, সে বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে তালিকা চেয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি রেল মন্ত্রণালয় ছয়টি প্রকল্পের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ চীন সরকারের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে জিটুজিপদ্ধতিতে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্পের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণের মেয়াদ শেষ। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত তা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। জন্য প্রকল্পটি চীনা ঋণের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।

৩৯ হাজার ২৭৬ কোটি টাকায় বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এই প্রকল্পে চীনা ঋণের পরিমাণ ২৬৭ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত নতুন রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশে দুই-তিন মাসের মধ্যে রেল চালু হতে পারে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর এবং কুয়াকাটা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে অগ্রাধিকার রয়েছে সরকারের। এই রেলপথ নির্মিত হলে পদ্মা সেতু হয়ে সারা দেশের সঙ্গে পায়রা বন্দরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা পটুয়াখালী রেল যোগাযোগের আওতায় আসবে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনের রাষ্ট্রীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরইসি) পায়রা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। সম্প্রতি প্রকল্পের ধারণা নিতে বরিশালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ভাঙা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত নতুন রেলপথের প্রাক্‌-প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।

চীনা ঋণে হলে এই প্রকল্প জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হতে পারে। ক্ষেত্রে চীন সরকার ওই দেশের একটিমাত্র ঠিকাদার নির্বাচন করে দেবে। পদ্ধতিতে ঠিকাদারের পক্ষে নানা শর্ত যুক্ত করা এবং পণ্যের মূল্য বেশি দেখানোর কারণে ব্যয় বাড়ে বলে সমালোচনা আছে।

চীনা ঋণ পেতে রেলের আরও যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভাঙা-কুয়াকাটা রেলপথ নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ আছে। প্রকল্পে চীনা ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সব প্রকল্পের অর্থায়ন তো এক জায়গা থেকে হয় না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক হয় এমন উৎস থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে।

সড়ক যোগাযোগের প্রকল্প

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন- এর ঋণ এখনো নিশ্চিত হয়নি। প্রকল্পের জন্য চীনা ঋণ পেতে আগ্রহী সড়ক মন্ত্রণালয়। নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সেতু বিভাগের অধীন পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর আরেকটি চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নির্মাণে চীনা ঋণ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। পিরোজপুর ঝালকাঠির মধ্যে কচা নদীতে এরই মধ্যে একটি সেতু চালু হয়েছে। নতুন সেতুটি ভান্ডারিয়া ইন্দুরকানির মধ্যে চরখালী ফেরিপথে নির্মাণ করা হবে। দেড় কিলোমিটারের কিছু বেশি দীর্ঘ হবে সেতুটি। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মতো। ছাড়া মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর মেরামত দরকার। এটি চীনা ঋণে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন মেরামতেও চীনের সহায়তা চাইছে সরকার।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় বেশ কিছু চুক্তি সমঝোতা সই হয়। এরপর থেকে চীন বাংলাদেশের যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ঋণ দেওয়া বাড়িয়ে দেয়। প্রায় এক দশক পর আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বাংলাদেশের জন্য চীনের ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রায় হাজার ৪০ কোটি ইউয়ানের বেশি ঋণ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে পররাষ্ট্র ইআরডি সূত্রে জানা গেছে।

প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ফাওজুল কবীর খান গণমাধ্যমকে বলেন, অর্থনীতি এমনিতেই সংকটে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ আছে। ঋণ নিয়ে প্রকল্প করলে কী লাভ হবে, টাকা ফেরত দেওয়া যাবে কি না, এগুলো ভাবা দরকার। তিনি বলেন, চীনা ঋণে করা প্রকল্পের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এগুলো চীনের ঠিকাদার তাদের বাংলাদেশি এজেন্টকেন্দ্রিক। প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ হয় না। জন্য ব্যয় ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি হয়।

 (তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ৩ জুলাই ২০২৪)


রেল   সড়ক   প্রকল্প   চীন   ঋণ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দীর্ঘদিন কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুক্ত হওয়ায় তা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ উঠেছিল হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন) সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে, ৩০ জুন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে হাজার ৬৮২ কোটি মার্কিন ডলারে (২৬ দশমিক ৮২বিলিয়ন) আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম- অনুযায়ী রিজার্ভ এখন দুই হাজার ১৮৪ কোটি ডলার (২১ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন)

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দিতো। প্রকাশ করত না। তবে ঋণ সহায়তা পাওয়ার পর হঠাৎ দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির মুখপাত্রের দপ্তর থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আছে এক হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ( ১৬ বিলিয়ন ডলার) প্রতি মাসে সাড়ে বিলিয়ন ডলার হিসেবে রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

এর আগে ২৪ জুন ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার অনুমোদন হয়।

আইএমএফের দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু  রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।

বাংলাদেশের অনুরোধে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা .৩৪ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের অনুরোধে আইএমএফ পরে সংশোধন করে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়।

কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশিকর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।


রিজার্ভ   বিলিয়ন   ডলার   ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন