ইনসাইড ইকোনমি

বিদায়ী অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি ১২.৬৯ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিদায়ী অর্থবছরে দেশের তীব্র ডলার সংকটের সময়েও বাংলাদেশ ব্যাংক বিপুল পরিমাণে ডলার বিক্রি করেছে। দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। আমদানি বিল পরিশোধে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩ অর্থবছরে ১৩.৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ অর্থবছরে ১২.৭৯ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে সরবরাহ করে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১.৮৩ বিলিয়ন ডলার এবং নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৬.০৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৯.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.৫৯ শতাংশ কম।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন এবং অফিসিয়াল ও অনানুষ্ঠানিক বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ডলার সংকট বাড়তে থাকে, যা এক পর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে। এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও পর্যায়ক্রমে তা কমে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহ এবং আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তাসহ বিভিন্ন ঋণের কিস্তি পাওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যাংকাররা জানান, বিদেশি মুদ্রা বাজারের অব্যবস্থাপনা এবং নীতিগত অস্থিরতা ডলারের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

ডলারের এই অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থিতিশীল নীতি গ্রহণ করা জরুরি।


বাংলাদেশ ব্যাংক   বৈদেশিক মুদ্রা   আইএমএফ   বিশ্বব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

জুনে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশ: পরিসংখ্যান ব্যুরো

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে .১৭ শতাংশ। মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে .৭২ শতাংশে। যা মে মাসে ছিল .৮৯ শতাংশ। রোববার ( জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জুন মাসের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

বিবিএস জানায়, জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৮১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ২৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক ৩১ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল দশমিক শূন্য শতাংশ।


জুন   মূল্যস্ফীতি   শতাংশ   পরিসংখ্যান   ব্যুরো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

চীন বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে পারে

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে আগামী বছর। দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে আগামীকাল (৮ জুলাই) সোমবার চীন যাচ্ছেন। পাঁচ বছর পর বেইজিং সফরে গিয়ে দুই দেশেরঅংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায়নিতে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এই সফরে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে বাণিজ্য অর্থনীতিতে। সে ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রায় ঋণ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন উদ্যোগের মতো বিষয়গুলোতে চীনের অংশীদারত্ব গুরুত্ব পাবে। বেইজিং নিজেদের মুদ্রায় বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী। যদিও বাংলাদেশ চেয়েছিল ৭০০ কোটি ডলার।

কূটনৈতিক সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে দুই দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ের সুরাহা হতে পারে। সফরটি দ্বিপক্ষীয় হলেও সমসাময়িক বৈশ্বিক আঞ্চলিক ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষাপটে এতে ভূরাজনীতি ভূ-অর্থনৈতিক নানা আলোচনা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে সই হবে মূলত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সমজাতীয় দলিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের তৃতীয় দিন অর্থাৎ বুধবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এরপর দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারকসহ নানা বিষয়ে প্রায় ২০টি দলিল সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। বিভিন্ন বিষয়ে সই হবে মূলত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সমজাতীয় দলিল। দুই দেশ নতুন নবায়ন মিলিয়ে অন্তত ১৫ এমওইউ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করেছে।

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতিমালা, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে সহায়তা, বাণিজ্য বিনিয়োগ সহযোগিতা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতুর সংস্কার, চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতু নির্মাণ, ব্রহ্মপুত্রে পানিপ্রবাহের আগাম তথ্য সরবরাহ, আওয়ামী লীগ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) মধ্যে সহযোগিতা, দুই দেশের দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা, আম রপ্তানি, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা ইত্যাদি।


চীন   বাংলাদেশ   কোটি   ডলার   ঋণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাজারে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। বরবটি, করলা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজি দাম ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসে আছে শসা ও কাঁকরোল। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে মাছ-মুরগির দামও বাড়তি । 

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির অতিরিক্ত বাড়তি দাম। মাছ ও মুরগির দামেও ঊর্ধ্বগতি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে এত বাড়তি দামে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, গাঁজর প্রতিকেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০, গোল বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁরস প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি  ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।


বাজার   নিত্য   পণ্য   বাড়তি   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে নতুন নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন এক পরিপত্র জারি করেছে। এই পরিপত্রে বিদেশভ্রমণ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ করা অর্থের ব্যয়-সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে ধরনের ভ্রমণ অত্যাবশ্যকীয় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে।

যেসব ক্ষেত্রে বিদেশভ্রমণ করা যাবে সেগুলো হল-পরিচালন উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দেওয়া স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স পিএইচডি কোর্সে অংশ নেওয়া।

ছাড়া বিদেশি সরকার বা প্রতিষ্ঠান কিংবা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে এবং সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।

সেই সঙ্গে প্রিশিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) বা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপট্যান্স টেস্টের (এফএটি) আওতায় বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একান্ত অপরিহার্য হলে পিএসআই বা এফএটির আওতায় বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে কৃচ্ছ্রসাধনে আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন বাজেটের আওতায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক কোড থেকে কত অর্থ ব্যয় করা যাবে, তার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য কৃষি মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

পরিপত্রে বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনোটিওঅ্যান্ডই’–ভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেভাবে ব্যয় করা যাবে, পরিপত্রে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল লুব্রিকেন্ট, গ্যাস জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে; এবং সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলেবিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তাখাতেজিওবি (বাংলাদেশ সরকার) বাবদসংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলেথোক বরাদ্দহিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। যদিও সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই নির্দেশনা শিথিল করা হয়।


সরকারি   ব্যয়ে   কৃচ্ছ্রসাধন   নতুন   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আসন্ন মুদ্রানীতিতে বাড়তে পারে নীতি সুদহার ও ডলার দর

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বারবার সুদহার বাড়িয়েও দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও আগামী মুদ্রানীতিতে ফের বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে রাখা। বারবার বিভিন্ন দাওয়াই দিয়েও এই সূচকে লাগাম টানা যায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আগামী মুদ্রানীতিতে ডলারের দর ১১৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি কয়েক মাসের মধ্যে ক্রলিং পেগ বাদ দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হতে পারে মুদ্রা বিনিময় হার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বলছে, দেশের আর্থিক খাতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় টাকার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত মোটা দাগে এসবই হচ্ছে এখন প্রধান সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যেই আগামী ১৪ জুলাই চূড়ান্ত অনুমোদনের পর যে কোনোদিন ঘোষণা হবে মুদ্রানীতি।

চলতি অর্থবছরও মুদ্রানীতির প্রধান লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত অনুযায়ী বাড়বে নীতি সুদহার। পাশাপাশি বর্তমান বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডলারের দরে আসবে পরিবর্তন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, বর্তমানে নির্ধারিত নীতি সুদহার দশমিক শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হতে পারে দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর ক্রলিং পেগ অনুযায়ী বর্তমানে ডলারের নির্ধারিত দর ১১৭ টাকা। এর থেকে টাকা কম-বেশিতে মার্কিন এই মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় করার বিধান রয়েছে। নতুন মুদ্রানীতিতে ডলারের দরে টাকা ৫০ পয়সা থেকে টাকা পর্যন্ত পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডলারের দর দাঁড়াতে পারে ১২০ টাকা। পাশাপাশি যে উদ্দেশ্যে ক্রলিং পেগ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা আসতে পারে।

বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। বড়দের জন্য পুঁজিবাজার আছে, তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য সেখানে যাক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ বাড়াতে হবে। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা না থাকলে সেটি প্রণয়ন কিংবা ঘোষণা দিয়ে কোনো লাভ নেই।


আসন্ন   মুদ্রানীতি   সুদহার   ডলার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন