ইনসাইড এডুকেশন

একাদশে ভর্তির আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) শেষ হবে। আজ রাত আটটা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে কলেজে ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ মে শুরু হয় আবেদন। এদিকে পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তিত ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। আর পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা দাখিলের ফর্মটি লিঙ্কে আবার চালু করা হয়েছে।

আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারছে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

এবার তিন ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ধারণ করা হয়েছে কলেজে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির কাজটি হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি শতাংশের মধ্যে শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট শতাংশের শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।

ভর্তির যোগ্যতা গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে

পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা মানবিক গ্রুপের যেকোনোটিতে আবেদন করতে পাবরে।

আর যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যতীত যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ক্লাস শুরুসংক্রান্ত শিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮৫০০ টাকা

এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।

ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ হাজার টাকা ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো হাজার টাকা ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ হাজার ৫০০ টাকা ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।

অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ হাজার ৫০০ টাকা ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।

ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

গত মাসে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।


একাদশ   ভর্তি   আবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

ছুটি শেষে খুলেছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছিল গত ১৩ জুন থেকে ছুটি শেষে আগামী জুলাই নিম্ন মাধ্যমিক মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের কারণে ছুটি কমানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

যার কারণে আজ বুধবার (২৬ জুন) নিম্ন মাধ্যমিক মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে আগামী জুলাই।

মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি কমানোর পাশাপাশি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর থাকবে। তবে আগে থেকেই ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের রুটিন তৈরি করায় জুলাই মাসের শনিবারগুলোতে মূল্যায়ন চলবে। ফলে মাসে মূল্যায়নের দিনগুলোতে শনিবার ছুটি থাকছে না।

দু-দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও এর আগে তাপদাহের কারণে কয়েকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় ঈদের আগে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছিল।


ছুটি   স্কুল   কলেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুর প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এই মুহূর্তে আরও ১৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু করা যাবে আর আগামী তিন বছরের মধ্যে আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে তা চালু করা হবে। তবে এই কাজ হবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, পর্যায়ক্রমে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমকি শিক্ষা পদক-২০২৩ এবং বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনের তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রাথমিক গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ৬৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়।

বর্তমানে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করার কথা বলা আছে। ছয় বছর পর ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যদিও সরকার সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘদিন পর আবারও প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। এর অংশ হিসেবে প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হবে। জন্য আপাতত শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে তাদের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক বা নামকাওয়াস্তে বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করবে। তিন বছর ধরে প্রস্তুতির পর সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

গত মে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈতনিক পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।

প্রাথমিক গণশিক্ষা সচিব বলেন, এই কাজ করার জন্য তাদের কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো হলো অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, পদ সৃষ্টি তাদের প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ। তবে এগুলো ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত


প্রাথমিক   বিদ্যালয়   অষ্টম   শ্রেণি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তিন দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ২৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্তবৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনপ্রত্যাহার এবং আগের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে টানা দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। তবে চলমান পরীক্ষাগুলো কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক . মো. নিজামুল হক ভূইয়া সংবাদ মাধ্যমকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্তবৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনপ্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়।


ঢাকা   বিশ্ববিদ্যালয়   কর্মবিরতি   প্রত্যয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব র‌্যাংকিং ব্যবস্থা চান শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ২৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে বৈচিত্র্য আনা, একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময়, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ এবং নিজস্ব র‌্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগ দক্ষতা প্রদান করা উচিত। রোববার (২৩ জুন) ৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি এ আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সরকারের উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের যোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রের উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে।” 

এছাড়াও তিনি নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জেলার সরকারি কলেজগুলো অধিভুক্ত করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত অবকাঠামো ছাড়া নতুন বিভাগ না খোলার পরামর্শ দেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া এপিএ বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্রফেসর আলমগীর গুণগত শিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়ন, উদ্ভাবন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জনকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সার্টিফিকেট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। 

অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসির পরিচালক, ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাসহ ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল   উচ্চশিক্ষা   বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং   ইউজিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জিপিএ-৫ পেয়েও প্রথম ধাপে কলেজ পায়নি ৭ হাজার ৫৯৯ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২৪ জুন, ২০২৪


Thumbnail

একাদশ শ্রেণির প্রথম ধাপের ভর্তির ফল প্রকাশ হয়েছে। রবিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় এই ফল প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। শিক্ষার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানানো হয়েছে। এ ছাড়া একাদশে ভর্তির ওয়েবসাইটে গিয়েও ফল জানতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৩ জুন ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়, যা শুরু হয়েছিল ২৬ মে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে মিশনারি পরিচালিত কলেজগুলোর বাইরে ৭ হাজার ৭৯২টি কলেজে আসন রয়েছে ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৩টি। সেখানে চলতি বছর সব শিক্ষা বোর্ড (সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) মিলিয়ে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। সব মিলিয়ে এবার প্রায় ১০ লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে আবেদন করেছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আবেদন করেছে এবং ফি-ও দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫০ জন। বাকিরা আবেদন করলেও ফি জমা দেয়নি। এই শিক্ষার্থীরা যেহেতু সর্বনিম্ন ৫টি থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ দিতে পারে, সে হিসাবে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৩টি। এর মধ্যে কলেজ পেয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৫৯ জন। অর্থাৎ ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেও কলেজ পায়নি। এদিকে, জিপিএ ফাইভ পেয়েও কলেজ পায়নি ৭ হাজার ৫৯৯ জন।

জানা গেছে, প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।।


শিক্ষার্থী   একাদশ শ্রেণি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন