ইনসাইড এডুকেশন

এইচএসসি পরীক্ষা: বৃষ্টি হলে করণীয় জানাল শিক্ষা বোর্ড

প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ রোববার। প্রথম দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিতে কেন্দ্রে পৌছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে বৃষ্টির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রোববার (৩০ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী কাকভেজা হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। অনেকে বৃষ্টি যানজটের কারণে দেরিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভেজা শরীরে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।


এইচএসসি   পরীক্ষা   বৃষ্টি   করণীয়   শিক্ষা   বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

আবার বুয়েটের উপাচার্য হলেন সত্য প্রাসাদ মজুমদার

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য পদে দ্বিতীয়বারের মতো নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি চার বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-এর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ (অ্যাডাপটেশন অব ইউনিভার্সিটি লজ) অর্ডিন্যান্স ১৯৭২ দ্বারা গৃহীত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ধারা ১১(১) ও (২) অনুসারে ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, অধ্যাপক (পিআরএল ভোগরত), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-কে নিম্নোক্ত শর্তে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হলো।”

(ক) উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে।

(খ) এ পদে তিনি অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন।

(গ) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

(ঘ) মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জুন প্রথম মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। গত ২৪ জুন প্রথম মেয়াদে তার কার্যদিবস সমাপ্ত হয়। 


বুয়েট   উপাচার্য   সত্য   প্রাসাদ   মজুমদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের তালিকায় ৫৬০তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের ২০২৪২৫ বর্ষের বৈশ্বিক সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৬০০ এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

গত ২৫ জুন ইউএস নিউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই র‌্যাংঙ্কিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের আরও ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। র‌্যাংঙ্কিং এ তাদের অবস্থান এক হাজারের পরে।

ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের এবারের র‌্যাংঙ্কিং এ বিশ্বের শতাধিক দেশের হাজার ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় ্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। এবারের ্যাঙ্কিংয়ে ১০০-এর মধ্যে ৫২ দশমিক ৩০ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫৬০তম (এশিয়ায় ১৪৬তম)

৪১ দশমিক ৩০ স্কোর নিয়ে হাজার ৭৬তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়ায় ৩৪২তম)

৩৫ দশমিক ৭০ স্কোর নিয়ে হাজার ৩৯৬তম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়ায় ৪৮৮তম)

৩৫ দশমিক ৫০ স্কোর নিয়ে হাজার ৪১৪তম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়ায় ৫০০তম)

২৯ স্কোর নিয়ে হাজার ৭৭৫তম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (এশিয়ায় ৬৮৯তম)


১৩টি মানদণ্ডের আলোকে র‌্যাংঙ্কিং প্রস্তুত করে থাকে ইউএস নিউজ। মানদণ্ডগুলো থেকে নির্দিষ্ট শতাংশ নম্বর নিয়ে সামগ্রিক স্কোর তৈরি করা হয়।


মানদণ্ডগুলো হলো গবেষণায় বৈশ্বিক খ্যাতি (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), গবেষণায় আঞ্চলিক খ্যাতি (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), প্রকাশনা (১০ শতাংশ), গ্রন্থ ( দশমিক ৫০ শতাংশ), সম্মেলন ( দশমিক ৫০ শতাংশ), নরমালাইজড উদ্ধৃতি প্রভাব (১০ শতাংশ), মোট উদ্ধৃতি ( দশমিক ৫০ শতাংশ), সর্বাধিক উদ্ধৃত ১০ শতাংশের মধ্যে থাকা প্রকাশনার সংখ্যা (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), সর্বাধিক উদ্ধৃত ১০ শতাংশের মধ্যে থাকা প্রকাশনার শতকরা হার (১০ শতাংশ), দেশ হিসেবে তুলনামূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ( শতাংশ), আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ( শতাংশ), নির্দিষ্ট একাডেমিক শৃঙ্খলায় সর্বাধিক উদ্ধৃত শতাংশের মধ্যে থাকা গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যা ( শতাংশ) সর্বাধিক উদ্ধৃত শতাংশের মধ্যে থাকা প্রকাশনার শতকরা হার ( শতাংশ)


ইউএস নিউজের এই ্যাঙ্কিংয়ে ১০০-এর মধ্যে ১০০ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টিই যুক্তরাষ্ট্রের। ৩টি যুক্তরাজ্যের।


পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় এই ্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেয়েছে। সবগুলোর অবস্থানই ৬০০-এর পরে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৬০০-এর মধ্যে 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   র‌্যাংঙ্কিং   ইউএস নিউস অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহাদাত

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন। এর আগে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হলো।

এতে যোগদানের পর যোগদানপত্র তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।


সলিমুল্লাহ   মেডিকেল   কলেজ   অধ্যক্ষ   অধ্যাপক   শাহাদাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

জিপিএ বাদ, বদলে যাচ্ছে এসএসসির মূল্যায়ন

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পর অবশেষে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী কেন্দ্রভিত্তিক পাবলিক পরীক্ষার (এসএসসি) মূল্যায়ন-কাঠামো চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত অংশের ওয়েটেজ হবে ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক অংশের ওয়েটেজ ৩৫ শতাংশ। একেকটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে সর্বোচ্চ এক স্কুল দিবস (দিনে যতক্ষণ স্কুল চলে) আগের মতো জিপিএর ভিত্তিতে ফল প্রকাশ হবে না। তবে ফলাফলের (রিপোর্ট কার্ড) বিষয়টি সহজে বোঝার জন্য সাতটি স্কেলের ঘরে আলাদা ইংরেজি বর্ণ দিয়ে বোঝানো হবে। অবশ্য এই লেটার গ্রেড নম্বরের ভিত্তিতে হবে না।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, মূল্যায়ন-কাঠামো অনুমোদন দিতে সোমবার (১ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মাধ্যমিক স্তর এবং কারিগরি মাদ্রাসা স্তরের যৌথ জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মূল্যায়ন কৌশলের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন কার্যপত্র লেখা হলে সে অনুযায়ী মূল্যায়ন-কাঠামোর বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এত দিন আলোচনা হয়েছিল, এই সাত স্কেলের ঘর ভরাট অনুযায়ী ফলাফল বোঝানো হবে। এখন সেটি না করে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে সেটি বোঝানো হবে। তবে এই লেটার গ্রেড এখনকার মতো নম্বরেরে ভিত্তিতে হবে না।

নতুন কাঠামোর খসড়ায় বলা হয়েছিল, শিক্ষার্থীর নির্ধারিত পারদর্শিতা অনুযায়ী সাতটি স্কেল বা সূচকে ফল বা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হবে। এই সাত স্কেলের নাম হবে অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান প্রারম্ভিক। যেমন সর্বোচ্চ স্কেলঅনন্যবলতে বোঝানো হবে শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পারদর্শিতার চূড়ান্ত স্তর অর্জন করেছে। প্রারম্ভিক স্তর বলতে পারদর্শিতার সবচেয়ে নিচের স্তরকে বোঝানো হবে। রিপোর্ট কার্ডে শিখনকালীন মূল্যায়ন পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের ফলাফল আলাদাভাবে প্রকাশিত হবে।

এত দিন আলোচনা হয়েছিল, এই সাত স্কেলের ঘর ভরাট অনুযায়ী ফলাফল বোঝানো হবে। এখন সেটি না করে ইংরেজি বর্ণ দিয়ে সেটি বোঝানো হবে। তবে এই লেটার গ্রেড এখনকার মতো নম্বরেরে ভিত্তিতে হবে না। পারদর্শিতার স্তর অনুযায়ী এই লেটার গ্রেড হবে। মূলত অভিভাবকসহ মানুষ যাতে সহজে ফলাফল বুঝতে পারে, সে জন্য এটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি যে কৌশল ঠিক করেছিল, সেখানে কিছু সংশোধনী নিয়ে এনসিসিসির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন কার্যপত্র হলে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী যদি এসএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হয়, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে তাকে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিষয়ে পাস করতে হবে। আর তিন বা তার বেশি বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হলে একাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে না। কোনো বিষয়ে একের বেশি পারদর্শিতার ক্ষেত্রেপ্রারম্ভিকস্তরে থাকলে শিক্ষার্থী ওই বিষয়ে উত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

লিখিতি কার্যক্রমভিত্তিক-এই দুই ভাগে মূল্যায়ন হলেও প্রশ্নের ধরন এখনকার মতো থাকছে না। কার্যক্রমভিত্তিক (অ্যাসাইনমেন্ট করা, উপস্থাপন, অনুসন্ধান, প্রদর্শন, সমস্যার সমাধান করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি) বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে হবে লিখিত অংশের মূল্যায়ন।

বর্তমানে মূলত দশম শ্রেণিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় (টেস্ট) উত্তীর্ণ হলে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। কোনো শিক্ষার্থী যদি দশম শ্রেণিতে ৭০ শতাংশ কর্মদিবস উপস্থিত না থাকে, তাহলে সে পাবলিক মূল্যায়ন বা এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে না।

নতুন নিয়মে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। পদ্ধতিগত পরিবর্তন থাকলেও এখনকার মতো শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনেই এখনকার মতো কেন্দ্রভিত্তিতে হবে এই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন।

মাদ্রাসা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত

মাদ্রাসায় যেহেতু এখনো নতুন শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত হয়নি, তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে দাখিল পরীক্ষা আগের নিয়মেই হবে। তবে বিশেষায়িত বিষয়গুলো বাদে বাকি বিষয়গুলোর মূল্যায়ন শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে। বর্তমানে যা নবম দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হয়। এখন নবম শ্রেণির পাঠ্যসূচি মাদ্রাসা পর্যায়েই মূল্যায়ন করা হবে।

ধারাবাহিক মূল্যায়ন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত

এই বৈঠকে বিদ্যালয় পর্যায়ের মূল্যায়নকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অর্ধবার্ষিক (ষাণ্মাসিক) মূল্যায়ন। পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নকাঠামোর খসড়ার সঙ্গে মিল রেখে হচ্ছে এই পরীক্ষা।

এনসিসিসির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই সামষ্টিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ধারাবাহিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চূড়ান্ত হবে।

গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম নবম শ্রেণিতেও চালু হয় শিক্ষাক্রম। ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই প্রথমবারের মতো নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা দেবে। নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের ছয় মাস চলে গেলেও এটি চূড়ান্ত করতে না পারায় তা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। এখন তা চূড়ান্ত হলো।

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি যে কৌশল ঠিক করেছিল, সেখানে কিছু সংশোধনী নিয়ে এনসিসিসির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন কার্যপত্র হলে সবাইকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

(তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ২ জুলাই ২০২৪)


জিপিএ   বাদ   বদল   যাচ্ছ   এসএসসি   মূল্যায়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

বাংলা ব্যান্ডদলগুলোর নামে এইচএসসি প্রশ্নপত্রের সেট

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গত রবিবার শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২০২৪ সালের এই পরীক্ষার সূচনা হয় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে। এবার নেটদুনিয়ায় লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। কারণ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ডের নামে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। 

ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, এইচএসসি’র ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন কোড ছিল "ক্যাকটাস", রাজশাহী বোর্ডে "লালন", চট্টগ্রাম বোর্ডে "মাইলস", ময়মনসিংহ বোর্ডে "পরশপাথর", কুমিল্লা বোর্ডে "পেন্টাগন", বরিশাল বোর্ডে "অবসকিউর", যশোর বোর্ডে "প্রমিথিউস" এবং দিনাজপুর বোর্ডের প্রশ্নে "মেঘদল" ব্যান্ডের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

বিভিন্ন বোর্ডের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে "ওয়ারফেজ", "অ্যাশেজ", "আভাস", "চিরকুট" ও "ফিডব্যাক" ব্যান্ডের নামও দেখা গেছে। এই বিষয়টি নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট ব্যান্ডগুলোর সদস্যদেরও, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব প্রশ্নপত্র শেয়ার করেছেন। 

মেঘদল ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল শিবু কুমার শীল প্রশ্নপত্রগুলো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোডে “মেঘদল”! বেশ মজা পেলাম ব্যাপারটায়। আরো অনেক ব্যান্ডের নাম ব্যবহৃত হয়েছে প্রশ্নকোডে।’

অ্যাশেজ ব্যান্ডের দলনেতা ও ভোকাল জুনায়েদ ইভান লিখেছেন, ‘২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন কোড সাজানো হয়েছে বাংলা ব্যান্ড এর নামকরন দিয়ে। এবার প্রশ্নের সেট সাজানো হয়েছে “অ্যাশেজ”, "মাইলস", "ওয়ারফেজ", "চিরকুট", "লালন", "আভাস", "অবসকিউর" ব্যান্ড এর নাম দিয়ে। নিশ্চয়ই বাংলা ব্যান্ড এর জন্য এই উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

বাংলাদেশের রক মিউজিক গবেষক গৌতম কে শুভও এমন ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘যেই দেশে আগে সরাসরি ব্যান্ডসংগীতকে অপসংস্কৃতি বলা হতো, এখন সেই দেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোডনাম বাংলা ব্যান্ডের নামে!’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে অবাক হয়েছি পশ্চিমবঙ্গের পরশপাথর, দোহার, ক্যাকটাস, নিওন এর নাম দেখে! যিনি এই নামকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন তিনি কলকাতার “পরশপাথর” ব্যান্ডও শুনেছেন। এক সময়ের কলকাতায় মোটামুটি জনপ্রিয় এই ব্যান্ডের গান শুনেছেন এমন লোক তো বাংলাদেশে খুবই কম। আমাদের এই প্রজন্ম তো এই ব্যান্ডটার নামই জানে না, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের এই প্রজন্মও। সবচেয়ে ভয়ংকর চমৎকার ব্যাপার “নিওন” নামে একটি কলকাতার ব্যান্ডের নামও লিখেছে এরা। এই ব্যান্ডের কোনো রিলিজড গান নেই যতদূর জানি। লাইভ কনসার্ট ছিল। এই ব্যান্ডও শুনেছে! অনুমান করছি, বোর্ডের প্রশ্নপত্রের নামকরণ করা লোকটি নব্বই দশকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছিলেন; ছিলেন বাংলা ব্যান্ডের ফ্যান। এখনও যিনি ব্যান্ড শোনেন।’


এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা   প্রশ্নপত্র   ব্যান্ড   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন