ইনসাইড গ্রাউন্ড

ম্যান ইউকে উড়িয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল

প্রকাশ: ১০:৫৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail ম্যান ইউকে উড়িয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুল দুই দলের প্রথম ম্যাচে সালাহর হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টারকে ৫-০ গোলের মালা পরিয়ে দেয় লিভারপুল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-০ গোলে আবারও ম্যানচেস্টারকে হারিয়ে ১ অক্টোবরের পর প্রথমবার লিগশীর্ষে স্থান করে নিল লিভারপুল।

প্রথমার্ধে দুই দল কেমন খেলেছে, সেটি সম্ভবত বিরতিতে ম্যান ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার পল স্কোলসের কথায়ই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইউনাইটেড কেমন খেলেছে, প্রশ্নে স্কোলস বললেন, তিনি ইউনাইটেডকে নিয়ে কিছুই বলবেন না, বরং ইয়ুর্গেন ক্লপের কতটা চোখধাঁধানো ফুটবল খেলেছে তা নিয়ে বলতেই ভালো লাগবে তাঁর।

কতটা ভালো খেলেছে লিভারপুল? কয়েকটা সংখ্যাই বোঝাতে পারে। ৪৫ মিনিটে লিভারপুলের পোস্টে ইউনাইটেড কোনো শট তো নিতেই পারেনি, লিভারপুল বক্সেই বলে স্পর্শ করেছে দুবার। এর প্রথমটি ৩৪ মিনিটে, কর্নারে ম্যাগুয়ারের হেড জমা পড়ে লিভারপুল ডিফেন্ডারের কাছে, বিরতির কিছুক্ষণ আগে দ্বিতীয়টি ছিল ভেসে আসা পাসে রাশফোর্ডের পা ছুঁয়ে বল লিভারপুল গোলকিপার আলিসনের হাতে জমা পড়া।

আর লিভারপুল? শট নিয়েছে ৯টি, যার ৩টি পোস্টে, দুটি ফিরিয়েছে ইউনাইটেডের রক্ষণ। ইউনাইটেডের ১৪৬ পাসের বিপরীতে ৩০০টি পাস বেশি দিয়েছে। প্রথম চার মিনিটে অ্যানফিল্ডে কলজে জিবের ডগায় এনে মুহূর্ত উপহার দিয়ে দুবার আলিসনের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, দুবারই শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় আলিসনেরই। এর বাইরে লিভারপুলকে, আলিসনকে কোনো পরীক্ষাই দিতে হলো না!

আর কাজের কাজ হয়ে গোল দুটি তো আছেই! ৫ মিনিটে প্রথমটি দারুণ, ১৭ মিনিট পর দ্বিতীয়টি চোখধাঁধানো। ম্যাগুয়ার-দালোতদের পজিশনিংয়ের ভুলে লিভারপুলের সালাহ ও আলেক্সান্ডার-আরনল্ডের সামনে 'বিস্তীর্ণ প্রান্তর' খুলে যায়। মানের দারুণ থ্রু ধরে ডানদিক থেকে সালাহর ক্রসে দিয়াজের পা ছোঁয়ানোই দরকার ছিল, কলম্বিয়ান উইঙ্গারের এটুকুতে ভুল হয়নি।

এই গোল যদি অ্যানফিল্ডে স্বস্তি আনে, ২২ মিনিটে সালাহর গোলটি মন ভরিয়েছে! ইউনাইটেড বক্সের সামনে এক স্পর্শের ফুটবলের দারুণ প্রদর্শনীর পর মানের অসাধারণ লব যখন খুঁজে নেয় সালাহকে, সামনে শুধু ইউনাইটেড গোলকিপার দাভিদ দে হেয়া। পরিণতি? আর কী, গোল! পেপ গার্দিওলার ২০১১ সালের বার্সেলোনাও এ গোলে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবে!

ম্যাচে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছিলেন সাদিও মানে, যেভাবে নিচে নেমে বারবার সালাহ-দিয়াজকে বলের যোগান দিচ্ছিলেন, খেলা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো মানে নন, খেলছেন মানেরই সতীর্থ ফিরমিনো! এভাবেই নিচে নেমে এসে দুই উইঙ্গারকে গোল করার সুযোগ করিয়ে দেওয়াটা এতদিন ফিরমিনোর ট্রেডমার্ক ছিল। এখন মানেরও হয়ে গেল!

প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। বলা ভালো, লিভারপুলই অত বেশি দাপট দেখায়নি প্রথমার্ধের শেষ কিছু সময়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে ছকটা ৩-৫-২ থেকে বদলে ৪-৩-৩ করে ফেলেন ইউনাইটেডের জার্মান কোচ রালফ রাংনিক। লক্ষ্য একটাই, প্রথমার্ধে বলের পিছে ছুটতে থাকা ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা যেন এবার একটু বল নিয়ে খেলতে পারেন। রক্ষণে একজন খেলোয়াড় কমিয়ে আক্রমণে একজন খেলোয়াড় বাড়ানোর ফলে সে কাজে একটু হলেও সফল ইউনাইটেড। নতুন নামা সানচো, রাশফোর্ড কিংবা ব্রুনোর কল্যাণে এবার অপেক্ষাকৃতভাবে একটু বেশি সময় বল পায়ে রাখার সুযোগ পায় ইউনাইটেড।

ব্যস, লাল শয়তানদের সাফল্য এতটুকুই। এ ছাড়া যথারীতি লিভারপুলই ছড়ি ঘুরিয়েছে ইউনাইটেডের ওপর, যখনই সুযোগ পেয়েছে প্রতি আক্রমণে উঠে গিয়ে ম্যাগুয়ার-দালোতদের হৃদকম্পন বাড়িয়েছে।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে লুইস দিয়াজ আর লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের দুর্দান্ত রসায়নের ফল হিসেবে ডিবক্সে ওঁত পেতে থাকা মানের কাছে বল চলে আসে। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন সেই সেনেগালিজ উইঙ্গার। ততক্ষণে ইউনাইটেডের মনোবল একদম ভেঙে চুরমার!

৮৫ মিনিটে সালাহর দ্বিতীয় গোলেও যার ছাপ দেখা গেল। মাঝমাঠ থেকে বল যোগাড় করে একরকম একাই আধা মাঠ দৌড়ে এসে সালাহকে বলের যোগান দিলেন দিয়াজের বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা দিওগো জোতা। সেখান থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করে ফেলেন সালাহ। যে সালাহর ফর্ম নিয়ে এই ম্যাচের আগেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল সমর্থকদের কপালে, ইউনাইটেডের ভঙ্গুর রক্ষণভাগ পেয়ে সে চিন্তা আর বাড়াতেই দেননি এই মিসরীয় উইঙ্গার।

ম্যাচের একদম শেষদিকে গোলের আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন। গোল করতে পারলে হয়তো প্রথম লিভারপুল খেলোয়াড় হিসেবে ইউনাইটেডের বিপক্ষে মৌসুমের দুই লিগ ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি গড়া হয়ে যেত সালাহর। কিন্তু সেটা হয়নি। ৪-০ স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। লিগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে লিভারপুল ৯ গোল করল। এমন রেকর্ড আর কখনও করতে পারেনি দলটা, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের বিপক্ষে।

রেকর্ডের পাশাপাশি সিটির শিবিরে একটা হুঁশিয়ারিও কি পাঠানো হয়ে গেল না তাতে?


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড   লিভারপুল   ওল্ড ট্রাফোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়ার মতোই এবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারত আসছে বাংলাদেশে।

চলতি মাসেই মাঠে গড়াবে সিরিজটি। যার জন্য মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে নতুন করে দলে ডাক পেয়েছেন হাবিবা ইসলাম পিংকি। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের এই সিরিজের সবকটি ম্যাচই হবে সিলেটে।

এর আগে সিরিজ খেলতে ভারতের মেয়েরা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন ২৩ এপ্রিল। ২৮ এপ্রিল প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের লড়াই মাঠে গড়াবে। সিরিজের প্রথম দুটি ও শেষ ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচ দুটি শুরু হবে বেলা ২টায়।

এবারের সফর নিয়ে মোট তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ভারতের মেয়েরা। ২০১৪ সালে প্রথম সফরে ৩-০ ব্যবধানে জেতে ভারত। গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ সফরে ভারত সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে। আসন্ন সিরিজের জন্য সফরকারীরা আগেই দল ঘোষণা করেছে। ভারতীয় দলে নতুন মুখ দুইজন। তারা হলেন আশা সোভানা ও সাজানা সজীবন। এছাড়া দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও দয়ালন হেমলতা।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে দুই ফরম্যাটে বাজে দুটি সিরিজ খেলেছে জ্যোতির দল। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের কাছে তারা পাত্তাই পায়নি। তিন ম্যাচ করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি উভয় সিরিজেই স্বাগতিকরা ধবলধোলাই হয়েছিল। তবে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিরিজ দিয়ে নতুন করে শুরুর প্রত্যাশা টাইগ্রেসদের।

বাংলাদেশ স্কোয়াড : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তার, মর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সুলতানা আক্তার, রাবেয়া খান, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রুবায়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি। অতিরিক্ত– সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগার স্পিনারদের নতুন অভিভাবক পাকিস্তানের মুশতাক

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রায় দীর্ঘ সময় ধরেই ছিল না কোন স্পিন বোলিং কোচ। গত বছরের ৩০ নভেম্বর শ্রীলংকার সাবেক তারকা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে চুক্তি শেষের পর থেকেই ফাঁকা ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ পদ। তবে এবার সাকিব-মিরাজদের অভিভাবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদ।

মঙ্গলবার(১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ। ওই সময় থেকেই টাইগার শিবিরে যোগদানের কথা রয়েছে মুশতাকের।

টাইগারদের নতুন এই স্পিন কোচের চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই আন্তর্জাতিক আসর।

এর আগে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের স্পিন বিভাগ সামলেছেন। ২০০৮–১৪ ইংল্যান্ড, ২০১৮-১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২০-২২ পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক আহমেদ। এছাড়া ২০১৪-১৬ সময়কালে তিনি বোলিং পরামর্শক ছিলেন পাকিস্তানের।

বিসিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আমার দায়িত্ব পালনের দিকে পুরো মনোযোগ দিচ্ছি এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি তারা (বাংলাদেশ) বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দলগুলোর একটি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সাকিব আল হাসানদের নতুন এই কোচ বলেন, ‘তারা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য, সম্পদ ও প্রতিভা আছে। আমি চেষ্টা করব আমার এই বিশ্বাসটাই তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’


মুশতাক আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট   রঙ্গনা হেরাথ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার আইপিএলে কোহলিদের দল বিক্রির দাবি

প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।

আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।

যার মধ্যে শেষ পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই হারের মুখ দেখেছে আরসিবি। এতে দলকে নিয়ে বিরক্ত মহেশ ভূপতি। ভারতের সাবেক টেনিস তারকা বোর্ডের কাছে আবেদন করলেন, অবিলম্বে দলটিকে বিক্রি করে দেওয়া হোক।

ব্যাঙ্গালুরুর প্রধান অস্ত্র বিরাট কোহলি। তিনি প্রতি ম্যাচেই রান করছেন। কিন্তু দল জিততে পারছেন না। আরসিবি-র এমন অবস্থা দেখে বেশ বিরক্ত ভূপতি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি লেখেন।

সেখানে ভূপতি লিখেছেন, বিসিসিআইয়ের উচিত ক্রিকেট, আইপিএল, সমর্থক এবং খেলোয়াড়দের স্বার্থের কথা ভেবে ব্যাঙ্গালুরুকে অন্য কোনো সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া। এমন কোনো মালিক যারা একটা স্পোর্টস ফ্রাঞ্চাইজি গড়ে তুলবে। অন্য দলগুলো যেমন করেছে।

এদিকে ব্যাঙ্গালুরুর হার প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন, ক্রিকেট যে একা খেলা যায় না, সেটা বারবার প্রমাণ করে আরসিবি। কেউ চাইলে সেরা সেরা ক্রিকেটারদের কিনতেই পারে। কিন্তু সেটা করলেই যে ম্যাচ জেতা যাবে এমন নয়।

এরপর তিনি বলেন, ব্যাঙ্গালুরু দলে বিরাট, ফাফ ডু প্লেসি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্যামেরন গ্রিনের মতো ক্রিকেটার রয়েছে। কিন্তু এখনো দল হয়ে উঠতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। কেউ অন্যের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দেয় না। সেটাই আরসিবি-র মূল সমস্যা।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তবে কি ফিরবেন তামিম, যা বললেন শান্ত

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষই হচ্ছে না। গত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি এই টাইগার ওপেনারের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজ মাতিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তারপর বেশ চড়াই উৎরাই, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে পুনরায় ফিরে আসা। তারপর বিশ্বকাপের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া সবকিছুই হয়েছে এই সময়ে।

ঠিক কবে, কোন ফরম্যাট দিয়ে আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন তামিম, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। তামিমের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথাও বলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হিসেবে যোগদান অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি থেকে যদিও তিনি অবসর নিয়েছেন, তবুও যদি তিনি ফিট থাকেন তবে যে কোনো সংস্করণে ফিরে এলেই আমরা খুশি হব। আমার মনে হয়, আমি না শুধু, দেশের প্রত্যেকটা মানুষ, প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই খুশি হবে। এটা তো একটা ইচ্ছা, এটা চাওয়া।’

শান্ত বলেন, ‘আমরা চাইলেই হবে না, সবার আগে উনার চাইতে হবে। তারপর বাকি প্রক্রিয়া হবে। তবে অধিনায়ক হিসেবে, আমার যেটা ইচ্ছা বা চাহিদা, সে বিষয়গুলো নিয়ে টুকটাক একটু আলাপ-আলোচনা করেছি।’

গতকাল মিরপুরে ডিপিএলের ম্যাচে তামিমদের বিপক্ষে খেলেছেন শান্ত। সেই ম্যাচ শেষে কিছুক্ষণ আলোচনা করতে দেখা যায় দুজনকে। এবার শান্ত জানিয়েছেন, কী ছিল সেই আলোচনার বিষয়বস্তু।

তিনি বলেন, ‘(তামিমের সঙ্গে) সুন্দরভাবে বসে আড্ডা দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট নিয়ে কথা হয়েছে। কী অবস্থায় উনি আছেন, আমরা বা আমি অধিনায়ক হিসেবে কীভাবে চিন্তা করছি, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে আপনাদের পরিষ্কারভাবে বলা মুশকিল। কারণ সময়ের ব্যাপার। উনিও একটু সময় চেয়েছেন। একটু চিন্তা-ভাবনা করবেন হয়তো। ডিপিএলও চলছে। টুর্নামেন্ট শেষ হোক। আমারও একটু চিন্তা-ভাবনা করা লাগবে।’


তামিম ইকবাল   নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাজে ফর্মের কারণেই আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ম্যাক্সওয়েল

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এক দুর্ভাগা দল হিসেবেই পরিচিত রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তারা। ভিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো তারকারা থেকেও যেন জয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছে না তারা।

ভিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসি রান পেলেও চলতি আইপিএলে একেবারেই ছন্দহীন ম্যাক্সওয়েল। যে কারণে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে তাকে একাদশেই রাখেনি ব্যাঙ্গালুরু। তার পরিবর্তে ম্যাচটিতে দলটির একাদশে ছিলেন উইল জ্যাকস। এরপর থেকেই ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচনা। অনেকের ধারণা ছিল চোটে পড়েছেন তিনি। কিন্তু না অফফর্মের কারণে ম্যাক্সওয়েল নিজেই তাকে একাদশে না রাখতে বলেছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে।

ব্যাট হাতে একেবারেই বাজে ফর্মে রয়েছেন ম্যাক্সি। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল থেকে বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। অর্থাৎ কবে তিনি আবার দলে ফিরবেন, সে বিষয়ে কোনো কিছুই জানাননি।

সোমবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে হারের পর এই সিদ্ধান্ত নেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি ভালো নেই। যে কারণেই বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত। আমি শেষ ম্যাচের পর ফাফ (ডু প্লেসি) এবং কোচের কাছে গিয়েছিলাম এবং বলেছিলামে যে, আমি মনে করি, দলের জন্য অন্য কাউকে দিয়ে খেলানোর সময় এসেছে।’

এই অজি অলরাউন্ডার বলেন, ‘আগেও আমি এই পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। আমি যদি এখন খেলা চালিয়ে যাই তাহলেও আরো গভীর গর্তে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি, এখন আমার জন্য একটি ভালো সময় নিজেকে কিছুটা মানসিক এবং শারীরিক বিরতি দেওয়ার, শরীর ঠিকঠাক করার।’

তার কথায়, যদি আমাকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময় আবার ফিরে আসতে হয়, আমি আশা করি- সত্যিই ভালো মানসিকতা এবং শারীরিকভাবে ফিট হয়ে ফিরে আসতে পারবো। দলের জন্য ভালো প্রভাবও রাখতে পারবো।

এবারের আইপিএলে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ৬ ম্যাচে রান করেছেন মোটে ২৮। গড় ৫.৩৩। ৩ ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি ডানহাতি এ ব্যাটার।


গ্লেন ম্যাক্সওয়েল   রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু   ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন