ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বিতর্ক সৃষ্টি করে ক্রিকেটেই ফিরলেন সাকিব

আগামী ২৭ আগস্ট দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হতে হাতে সময় বাকি খুব কম। ভারত-পাকিস্তান নিজেদের দল ঘোষণা করে দিয়েছে আগেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব ও বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বেটউইনার নিউজের পণ্যদূত হওয়ার চূক্তির কারণেই এতটা বিলম্ব। কেননা অধিনায়কত্ব পাবার তালিকায় তার নামও রয়েছে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ইনজুরি সমস্যা তো আছেই। সব মিলিয়ে দল দিতে এত সময়ক্ষেপণ। বোর্ড প্রধান জানিয়েছিলেন, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে এশিয়া কাপ এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। বেঁধে দিয়েছিলেন নিয়ম-আজকের মধ্যে উত্তর জানাতে হবে। হয় বেটিং, নয়তো দেশের ক্রিকেট যে কোনো একটা বেছে নেয়ার মধ্যে অবশেষে ক্রিকেটকেই বেছে নিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার। বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে বিসিবিকে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান তিনি।

এই চুক্তি নিয়ে বিগত কয়েকদিনে জন্ম হয়েছে বিতর্ক ও নানা আলোচনা-সমালোচনার। তবে, সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক তো এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে তিনি জড়িয়েছেন নানা বিতর্কে। সাকিবের চেয়ে তো কোনো দল ছোট নয়, দলের চেয়ে দেশ ছোট নয়। কিন্তু সাকিব তার নিজের কাজে-কর্মে কী প্রমাণ করছেন? যাবতীয় নিয়ম-কানুন থোড়াই কেয়ার করছেন। যেন আইন-কানুন তৈরিই হয় অন্যদের জন্য, সাকিবের জন্য নয়। তিনি যেন অনায়াসেই আইন ভাঙার অধিকার পেয়ে যান। আইন ভাঙলে, নিয়ম ভাঙলেও তাকে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না, জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয় না। সাকিব যেন সব আইন-কানুন আর নিয়মের ঊর্ধ্বে। একবার নয়, বারবার এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছেন এবং ছাড়ও পেয়ে যাচ্ছেন। সাকিবের ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছে, তারাই হয়তো ভালো জানেন। কিন্তু দেশবাসী এ নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগের সেই ঘটনার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। বিশ্বকাপ খেলতে দল যাবে ইংল্যান্ডে। তার আগে অফিসিয়াল ফটোসেশনে বিশ্বকাপের জার্সি গায়ে টিম বাংলাদেশ মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হলো গ্রুপ ছবি তোলার জন্য। কিন্তু নেই তিনি। সাকিব আল হাসান থাকতে পারবেন না। একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। এই ছবি তোলার চেয়েও তার জরুরি কাজ পড়ে গেছে। তিনি চলে গেছেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে। একটা জাতীয় স্বার্থ, অন্যটা নিজের স্বার্থ। সাকিবের নিজের স্বার্থের সামনে জাতীয় স্বার্থ সেদিন জলাঞ্জলি হয়ে গেছে। ২০১৯ এর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোতে নেই সাকিব। দেশের একজন সেরা পারফরমার, একাদশের অপরিহার্য খেলোয়াড়। তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপে দেশের পরিচিতি দাঁড়ালো।

আবার ওই একই সময় জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে একটি ফোন কোম্পানির আসার কথা ছিল; কিন্তু সেখানে সাকিব একাই গিয়ে সেই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেলেন। যে কারণে, জাতীয় ক্রিকেট দল কিংবা বোর্ডের (বিসিবি) স্বার্থ জলাঞ্জলি হলো একটি ব্যক্তিস্বার্থের সামনে।

মানুষ বেমালুম ভুলে গেলো সাকিবের এই ঔদ্ধত্যের কথা। কারণ, বিশ্বকাপে তিনিই বাংলাদেশ দলের একমাত্র পারফরমার। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান, বল হাতে ১১ উইকেট। বাংলাদেশ কেন, বিশ্বের ইতিহাসেই তো এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য আর কারো নেই। যে ইতিহাস রচনা করে এসেছেন তিনি, তা আর কেউ কখনো ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ।

বিশ্বকাপের পরপর ক্রিকেটারদের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কথায় বলে না! পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ফিক্সারদের প্রস্তাবের কথা গোপন করায় আইসিসির পক্ষ থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির খড়গে পড়তে হলো সাকিবকে। এরই মধ্যে এসে গেলো করোনা মহামারি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে বাংলাদেশ দলেরও তেমন ক্রিকেট খেলা হলো না। করোনার কারণে সারা বিশ্বেই নতুন কিছু নিয়মের অবতারণা হলো। কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, বায়ো-বাবল - কত কিছুর সাথে মানুষের পরিচয় ঘটলো। এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন করতে হয়, আইসোলেশনে থাকতে হয়।

একজন সচেতন ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের এসব জানার কথা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তাকে। কোয়ারেন্টাইন না করে তিনি কোনো এক শো রুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম থোড়াই কেয়ার করে তিনি সড়ক পথে চলে যান কলকাতায়। সেখানে পূজার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে জন্ম দেন অনেক বড় বিতর্কের। জানা যায়, সেখানেও নাকি ছিল অর্থযোগ। শুধু তাই নয়, বেনাপোল স্থলবন্দরে উৎসুক ভক্ত-সমর্থকরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে তিনি ভক্তের ফোন ছুঁড়ে মারেন। যারা তাকে ভালোবেসে মাথায় তোলে, বারবার সাকিব তাদের লাথি দেন। ড্রেসিংরুমে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন কিংবা দর্শককে মারার জন্য তেড়ে যান।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবের কাছে হয়ে গেছে যেন ইচ্ছের পুতুল। মন চাইলে তিনি খেলবেন, নাহলে খেলবেন না। আইপিএল খেলার জন্য বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে ‘না’ করে দেবেন, নিউজিল্যান্ড সফরে ‘না’ করে দেবেন, জিম্বাবুয়ে সফরকে বাদ দিয়ে দেবেন- এসবই তার যেন ইচ্ছের খেল। আবার জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনেও তার খুব একটা আগ্রহ কম। নিজের মত করে কিছু অনুশীলন করেন। প্রয়োজন মনে করলে করেন, প্রয়োজন না মনে করলে করেন না। মাঝে-মাঝে ইনজুরিতেও আক্রান্ত হন। যদিও ঠিকই ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটের মৌসুম এলে, বিশেষ করে আইপিএল-বিপিএল কিংবা সিপিএল, এসব এলেই সাকিব দিব্যি ইনজুরিমুক্ত হয়ে যান। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি অংশ নেন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। দুষ্টজনেরা সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপায়, ‘আইপিএল এলো তো, সাকিব সুস্থ হয়ে গেলো।’

যদিও দুর্ভাগ্য, সাকিবকে এবার আর আইপিএলের কোনে দল নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যও যে ১০টি ফ্রাঞ্চাইজির সব মালিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে! আইপিএলে সাকিবের আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে, এই অর্থ অযথা নষ্ট করার পথে কেউ হাঁটেনি। আইপিএলের নিলামের আগে জ্বল্পনা ছিল, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন কি না। কারণ, আইপিএলে সুযোগ পেলে দেশের হয়ে কেন খেলবেন তিনি? দেশের জার্সিতে তো ‘চিল!’ হয় না। টাকা কম, গ্ল্যামার কম, বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেটার, বলিউডি তারকাদের সঙ্গে ওঠা-বসা এসব তো আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেললে হবে না। কিন্তু সাকিব হয়তো জানতেন না, মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। সময় সেই উল্টো পিঠ দেখিয়ে দেয়।

সাকিবের ঔদ্বত্যের শেষ তবুও হয়নি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। টানা ৫ ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। নিশ্চিতভাবেই বৃহস্পতি তুঙ্গে। তো সন্দেহ নেই, এ সময় বিজ্ঞাপনের বাজারেও নিজের দামটা বেড়ে গেছে। সাকিবও সুযোগটা লুফে নিলেন। বিপিএল ফাইনালের ঠিক আগেরদিন তিনি চলে গেলেন বিজ্ঞাপন করতে। দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়কের ট্রফি ধরে অফিসিয়াল ফটোসেশন, অফিসিয়াল প্রেস মিট- এটা একটা নিয়ম। কিন্তু যিনি কোনো নিয়মেরই তোয়াক্কা করেন না, তার কাছে এই নিয়ম ভাঙা তো কোনো ব্যাপারই না। সুতরাং, কোনোটাতেই নেই সাকিব।

প্রথমে জানানো হলো, সাকিবের পেটের পীড়া। এ কারণে তিনি আসতে পারেননি। বিষয়টা এখানেই হয়তো থেমে যেতো। কিন্তু বরিশালের হয়ে এসব আনুষ্ঠানিকতা সারতে আসা নুরুল হাসান সোহান বলে দিলেন, সাকিবের অনুপস্থিতির কারণ তিনি কিছুই জানেন না। ম্যানেজমেন্ট জানেন, সাকিব জানেন। সন্দেহের তীর ছোড়া হলো সেখান থেকে। পরে জানা গেলো, বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়েছেন সাকিব। স্বাভাবিক, বিজ্ঞাপন মানেই টাকা। আর টাকা যেখানে সাকিব সেখানে। এতে কার কী আসবে যাবে? যার যা যায় যাক, সাকিবের কাছে টাকাই আসল। এখানে ব্যক্তি স্বার্থের সামনে উপেক্ষিত হলো দলের স্বার্থ। বিদেশি মিডিয়ার কাছে জলাঞ্জলি হলো দেশের সম্মান। কারণ, বিদেশি মিডিয়াতে নিউজ হয়েছে, সব বাদ দিয়ে সাকিব চলে গেলেন বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করতে।

বিপিএল ফাইনালের আগে সাকিবের এই অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় যোগ না দেয়ায় দুটি আইন বা নিয়ম ভঙ হলো। একে তো অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতায় তিনি বরাবরের মতই অনুপস্থিত, এই নিয়ম-কানুনকে তিনি থোড়াই কেয়ার করলেন। আরেকটা হলো তিনি করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিপিএলের জন্য যে বায়ো-বাবল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল, তা তিনি ভেঙেছেন। আবার দেখুন, ঠিকই পরেরদিন ফাইনাল খেললেন সাকিব। করোনা বিধিটা আসলে কী? বায়ো-বাবলের নিয়মই বা কী? আমরা সাধারণত জানি, অন্য দেশে পালন করা হয়- কোনো খেলোয়াড় বায়ো-বাবল ভাঙলে তাকে অন্তত সাতদিন আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এরপর আরটি-পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় বায়ো-বাবলে প্রবেশ করতে হয়।

বায়ো-বাবল ভাঙার অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন শ্রীলংকান ক্রিকেটার। কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা, নিরোশান ডিকভেলার মতো ক্রিকেটারকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গতবছর পিএসএলে বায়ো-বাবল ভেঙে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন পেশোয়ার জালমির দুই ক্রিকেটার হায়দার আলি ও উমাইদ আসিফ। যে কারণে তারা ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারেননি। শুধু তাই নয়, ওমান-আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বায়ো-বাবল ভেঙে শাস্তি পেয়েছিলেন ইংলিশ আম্পায়ার মাইকেল গফ। সেখানে সাকিব আল হাসানকে কিছুই করতে হয়নি। স্রেফ ফাইনাল শুরুর আগে একটি আরটি-পিসিআর টেস্ট দিলেন। নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েই নেমে গেলেন মাঠে। আইসোলেশন-কোয়ারেন্টাইনের কোনো ধার ধারলেন না।

তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন পর্যন্ত নিতে পারলো না আমাদের প্রবল ক্ষমতাধর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও ফাইনাল শেষে সাকিবের দল ফরচুন বরিশালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অর্থাৎ এখানে ব্যক্তি সাকিবকে যেন ঘাঁটাতেই চায় না বিসিবি। নিয়ম ভঙ করেছে ব্যক্তি, জবাব দিতে হবে দলকে! উদোরপিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত অবস্থা। আর কারণ দর্শানোটাও যে শুধু কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে সাকিবকে দায়মুক্তি দেয়া কিংবা এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা, সেটা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শেষ করতে চাই সাকিবের ফেসবুক পেজের একটি পোস্ট এবং সেখানে করা কয়েকটি মন্তব্য উল্লেখ করে। রুচি সসের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে তার একটি প্রমো নিজের পেজে আপলোড করেছিলেন সাকিব। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাগানের ভেতর তিনি দৌড়াচ্ছেন। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, ‘কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছি বলুন তো?’ জনৈক ভক্ত সেখানে লিখেছেন, ‘টাকা’। আরেকজন লিখেছেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কিছুর পেছনে তুমি ছোটো না ভাই।’ ভক্ত-সমর্থকরাও এখন জেনে গেছেন, সাকিব ক্রিকেটের চেয়ে টাকার পেছনে কতটা বেশি ছোটেন। ক্রিকেটকে তিনি ব্যবহার করেন শুধু টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে। যখনই প্রয়োজন কিছু পারফর্ম করেন আর বিজ্ঞাপনের বাজারে নিজের মূল্য বাড়িয়ে নেন।

সাকিবের অফিসিয়াল ফেসবুজ পেজে ঢুকলেই দেখা যাবে, ক্রিকেটের চেয়ে সেখানে বিজ্ঞাপন কতটা স্থানজুড়ে রয়েছে। স্বর্ণ আমদানি, ব্রোকারেজ হাউজ, বিদ্যুৎ, ই-কমার্স এবং ব্যাংক ব্যবসা থেকে শুরু করে হেন কোনো ব্যবসা নেই, যেখানে সাকিব নাম লেখাননি। ক্রিকেটার সাকিবের চেয়ে তাকে ব্যবসায়ী সাকিব বলাই কি এখন বেশি যুক্তিযুক্ত না?

বিতর্ক   ক্রিকেট   সাকিব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুম্বাইকে হারিয়ে প্লে অফের পথে আরেক ধাপ এগোলো রাজস্থান

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তার দল হেরেছে ৮ উইকেটে। সবাইকে অবাক করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিলেন হার্দিক। মুম্বাই করে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে রাজস্থান ১৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে করে ১৮৩ রান। সঞ্জু স্যামসনের দলের জয়ের দুই নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল এবং সন্দীপ শর্মা। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লেঅফের দিকে আরো এক পা এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরে করেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। তবে ইনিংস যত এগিয়েছে তত রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। সঞ্জুদের ইনিংসের ৬ ওভারের পর বৃষ্টি নামে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। তাতেও রাজস্থানের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটেনি। বাটলার ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন যশস্বী। নিজের এবং দলের ইনিংসকে মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। যশপ্রীত বুমরাকেও পরোয়া করলেন না তরুণ ওপেনার। এ বারের আইপিএলে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল তার ফর্ম নিয়ে। সোমবার সমালোচকদের জবাব দিলেন অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলে। ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৬০ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায়।

জয়সওয়ালকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জুও। তিনিও সাবলীলভাবে ব্যাট করেন। মুম্বাইয়ের বোলারেরা রাজস্থানের ব্যাটারদের তেমন কোনো সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ে। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে পীযূষ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন। জয়পুরের ২২ গজে সাধারণ দেখাল বুমরা, হার্দিকদের।

জয়পুরের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের উপরের দিকের ব্যাটারেরা। সন্দীপ এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটের সামনে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। তার পরেও মুম্বাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দুই তরুণ তিলক বর্মা এবং নেহাল অধেরা। পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মেহাম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করেন ১৭ বলে ২৩ রান। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তার ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বাইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।

এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ নেন ১৮ রানে ৫ উইকেট। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোল্ট এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পূর্ণ করেন।


মুম্বাই   রাজস্থান   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার আইপিএলে চার-ছক্কার লড়াইয়ে শীর্ষে যারা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। যেখানে শুরু থেকেই  বোলারদের চেয়ে ব্যাটারদের নৈপূন্যতা যেন একটু বেশিই চোখে পড়ার মত। কারণ ভারতের ঘরোয়া এই ফ্রাঞ্চইজি লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দলই যেন রানের বন্যায় ভাসছে। 

টি-টোয়েন্টি সাধারণত চার ছক্কার খেলা হয়ে থাকলেও এতে বোলারদেরও নৈপুণ্যতা কম থাকে না। তবে আইপিএলে এবারের আসরে সব বোলারাই যেন নড়বড়ে অবস্থায় থাকছেন। কারণ আন্তর্জাতিক খেলায় যেখানে অনেক বোলার ৪ ওভার বল করে সর্বোচ্চ ৩০ রান দিতেন, সেখানে আইপিএলে এবার প্রায় ম্যাচেই সেই বোলারদেরও দিতে হচ্ছে ৪০ এর উপরে রান।

শুধু তাই নয়, চলমান আইপিএলে দুইশো রানও যেন অতি সহজেই করে ফেলছে ব্যাটাররা। এছাড়াও ৬৪৯ ছক্কা এবং ১ হাজার ১২২টি চার দেখেছে এবারের আইপিএল। তাই বলা যায় এবারের আসরটা যেন একেবারেই ব্যাটারদের জন্য। 

আর এই চার-ছক্কা হাঁকানোর লড়াইয়ে আইপিএলে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হায়দরাবাদের ব্যাটাররাই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাই ভেঙে চলেছে একের পর এক রেকর্ড। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে ৬ ওভারেই তারা তুলে নেয় ১২৫ রান। 

এবারের আসরে চারের সংখ্যা অনেকটা কম হলেও ছক্কা হাঁকানোর দিক থেকে সবার ওপরে আছেন সানরাইজার্সেরই দুই ব্যাটার। হেনরিখ ক্লাসেন হাঁকিয়েছেন ২৬ ছক্কা। এরপরেই আছে অভিষেক শর্মার নাম। তরুণ এই ভারতীয় ব্যাটার হাঁকিয়েছেন ২৪ ছক্কা। আর ক্লাসেন ২৬ ছক্কার বিপরীতে চার মেরেছেন ৯টি । অভিষেক ২৪ ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ১৮টি চার। সবচেয়ে বেশি ৩৯ চার হাঁকানো সানরাইজার্সের ট্রাভিস হেড ১৮টি ছক্কা মেরে দখল করেছেন ছক্কা হাঁকানোর তালিকার সপ্তম স্থান।   

এদিকে ছয় হাঁকানোর দিক থেকে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন  তিনজন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারিন হাঁকিয়েছেন ২০ ছক্কা। সমান সংখ্যক ছক্কা মেরেছেন রাজস্থান রয়্যালসের রিয়ান পরাগ এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান। আর বেঙ্গালুরুর দীনেশ কার্তিক মেরেছেন ১৯ ছক্কা। 

অপরদিকে ১৮টি করে ছক্কা মেরেছেন ট্রাভিস হেড, রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলি। হেড এবং কোহলি দুজনেই আছেন চার মারার তালিকার শীর্ষে। কারণ সর্বোচ্চ ৩৯টি চার মেরেছেন হেড। আর কোহলির ব্যাটের অর্জন  ৩৬ চার। 

ত্রিশের বেশি চার মেরেছেন আরও দুজন। কলকাতার ফিল সল্ট চার হাঁকিয়েছেন ৩১ বার। আর রোহিত শর্মা মেরেছেন ৩০ চার। রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ চার। ২৬টি চার মেরেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং গুজরাটের শুভমান গিল। এছাড়াও ২৮টি করে চার মেরেছেন কলকাতার সুনীল নারিন এবং গুজরাটের সাই সুদর্শন।


আইপিএল   টি-টোয়েন্টি   গুজরাট   ভারত   কলকাতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল শেষ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আইপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ রিকি পন্টিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আইপিএলে দিল্লির হয়ে ৩ এপ্রিল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন মার্শ। এরপর ১২ এপ্রিল ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সারাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মেডিকেল স্টাফদের দ্বারস্থ হন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। আইপিএলে মার্শ ফিরবেন কবে, তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ চোট থেকে সেরে উঠতে তাঁর পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন ছিল।

দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে পন্টিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না সে ফিরে আসবে। বদলি খেলোয়াড়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া আছে। সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে দ্রুত নিজেদের কাছে চেয়েছে এবং আমরাও যত দ্রুত সম্ভব তাকে পাঠিয়েছি।’

পন্টিং এরপর বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা তার পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। সেদিন তার (মার্শ) সঙ্গে কথা হলো, যেটা বুঝলাম সে যেমন ভেবেছিল তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। তবে আমার মনে হয় না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে।’ ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মার্শের।

দিল্লির হয়ে আইপিএলে এ মৌসুমে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মার্শ। ৩ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মোট ৬১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ২৩। বোলিংয়ে ৮ ওভারে ১২.৮৭ ইকোনমিতে পেয়েছেন ১টি উইকেট। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম আইপিএলের মাঝপথে মার্শকে হারাল দিল্লি। সাড়ে ৬ কোটি রুপিতে মার্শকে কিনে গত বছর তাঁকে মাত্র ৯ ম্যাচ খেলাতে পেরেছে দিল্লি। এবার ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল টেবিলে অষ্টম দিল্লি। জিতেছে ৩ ম্যাচ, হেরেছে ৫ ম্যাচ।


আইপিএল   মিচেল মার্শ   অস্ট্রেলিয়া   রিকি পন্টিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ম্যাচ হারের পর ডু প্লেসি-কারেনের জরিমানা

প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মাত্র ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যেখানে হতাশায় ডুবেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এদিন আরেক খেলায় গুজরাট টাইটানসের কাছে ৩ উইকেটে পরাজিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস। তবে ম্যাচ হারের পর দুই দলের অধিনায়ককেই গুনতে হলো জরিমানা।

আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ওভাররেটের আইন ভঙ্গের কারণে তাকে এই জরিমানা করা হয়। চলতি মৌসুমে এই প্রথম জরিমানা গুনলেন ডু প্লেসি।

অপরদিকে পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেনকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ জরিমানা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আচরণবিধি সংশ্লিষ্ট ধারা ২.৮ এর লেভেল ১ ভঙ্গ করেছেন কারেন। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে কারেনের বিপক্ষে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব-দুই দলের অবস্থাই করুণ। ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে টেবিলের তলানীতে আছে বেঙ্গালুরু। আর সমান ম্যাচে ২ জয়ে টেবিলের নিচ থেকে দ্বিতীয়স্থানে আছে পাঞ্জাব।


আইপিএল   ফাফ ডুপ্লেসি   স্যাম কারেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের নতুন পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট মহসিন শেখ

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী দুই বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স অ্যানালিস্টের দায়িত্ব পেয়েছেন মহসিন শেখ। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই কাজ শুরু করবেন তিনি। বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে সাময়িক চুক্তিতে কাজ করছিলেন মহসিন। তবে এবার পূর্ণাঙ্গভাবে দায়িত্ব বুঝে পেলেন তিনি। আগামী ১ মে ২০২৪ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিসিবির।

গত বছরের বিশ্বকাপের পর থেকে স্থায়ী কোনো অ্যানালিস্ট ছিল না বাংলাদেশ জাতীয় দলের। প্রায় ৪ মাস পর এবার পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে অ্যানালিস্ট পেলো টাইগাররা।

এর আগে আফগানিস্তান দলের অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন মহসিন শেখ। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে নেট রানরেটের হিসেবে আফগান দল ভুল করায় অ্যানালিস্ট মহসিনকে নিয়ে সমালোচনা হয় বেশ।

তবে অভিজ্ঞতার বিচারে কিছুতেই পিছিয়ে রাখা যাবে না পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান এই অ্যানালিস্টকে। পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কাজ করা ছাড়াও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে তার।

সর্বশেষ বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের অ্যানালিস্টের দায়িত্ব ছিলেন। এছাড়াও কাজ করছেন বিগ ব্যাশ, আইপিএল, পিএসএলের মত বড় টুর্নামেন্টে।


মহসিন শেখ   বিসিবি   বাংলাদেশ ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন