ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিবের ওপর আস্থা রাখা ঠিক হবে কি?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail সাকিবের ওপর আস্থা রাখা ঠিক হবে কি?

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য নাম সাকিব আল হাসান। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার খ্যাত এই তারকা নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেছেন। বাইশ গজে উইলোবাজি কিংবা বাঁহাতি স্পিনে বিপক্ষ দলের ব্যাটারকে কুপোকাত করতে সাকিবের জুড়ি মেলা ভার। তবে, বিশ্বজুড়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা সাকিব উজ্জ্বল মাঠের বাইরেও। খেলার মাঠের সাকিবকে ছাড়িয়ে তার ব্যক্তিজীবন পর্যন্ত মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। সাকিবও যেন পছন্দ করেন এসব। তাই বুঝি মাঝে মাঝে বিতর্ক উসকে দেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সম্প্রতি নতুন এক বিবাদে জড়িয়েছিলেন এই তারকা। বেটিং এর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের পন্যদূত হয়ে চুক্তি করেছিলেন তিনি। কিন্তু জানাননি বোর্ডকে। এতেই যেন সাকিব হয়ে পড়েছিলেন কোণঠাসা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তো বলেই দিয়েছিলেন, বেটউইনারের সাথে চুক্তি বাতিল না করলে ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ করা হবে সাকিবকে। অবশেষে তিনি চুক্তি বাতিল করতে রাজি হওয়ায় মন গলে বিসিবির। তাই তো শেষমেশ তাকেই অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেছে নির্বাচকরা। শনিবার বিসিবি সভাপতির বাসায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

শুধু এশিয়া কাপ নয় বরং আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সাকিবকে অধিনায়ক করেছে বিসিবি। সাকিবও নাকি নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে দেশের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করবেন বলে কথা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপনকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাকিবকে নিয়ে আস্থা রাখা কি ঠিক হচ্ছে বিসিবির? কেননা, এই তো নতুন নয়। সময় অসময়ে নানা বিতর্কে জড়িত ছিলেন তিনি। তাকে এখন ক্রিকেটার কম বিজনেসম্যান বেশি বলা হয়। ব্যবসায় হাতেখড়ি ২০১৫ সালে ধানমন্ডিতে সাকিব'স ডাইন নামের রেস্টুরেন্ট দিয়ে। যদিও গণমাধ্যমের মতে ২০১০ সাল থেকেই সাকিব ব্যবসায় লগ্নি শুরু করেন। এরপর একে একে তিনি বাড়িয়েছেন ব্যবসার পরিধি। শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, কাঁকড়া ও কুঁচের খামারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে তার। এমনকি দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছেন সাকিব আল হাসান। এর বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের দূতিয়ালী করেন সাকিব।

লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ব্যবসায় আসার পরেই সাকিব ধীরে ধীরে জাতীয় দলে অনিয়মিত হতে থাকে। ঘরের মাঠে অ্যাভেইলেবল হলেও বিদেশ সফরে সাকিবকে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথমবার সাকিব জাতীয় দল থেকে ছুটি নেন। এর পরে ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা ও ব্যক্তিগত ছুটিতে সাকিব বারবার এড়িয়েছেন জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজ। ২০১৭ সালের পর থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ টেস্টে সাকিবকে পেয়েছে জাতীয় দল। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায় ২০১৭ সালের পর থেকে সাকিব জাতীয় দলের মোট ১২টি সিরিজ মিস করেছেন। যার বেশকিছু অবশ্য ইনজুরির কারণে। বাকিটা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নেওয়া ছুটির কারণে। এ সময়ে সাকিবকে দেখা গেছে বিশ্ব জুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলতে। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে সাকিবকে ক্রিকেট খেলায় কম সময় দিয়ে বরং ব্যবসা বাড়াতেই বেশি মনোযোগী মনে হচ্ছে।

আইসিসির অলরাউন্ড র‍্যাংকিংয়ে দীর্ঘ সময় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে সাপোর্ট কিংবা ব্রেক থ্রু, বাংলাদেশের ভরসার নাম সাকিব। শুধুই কি বল, ব্যাটে সাপোর্ট? মাঠে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডারের বিচক্ষণতাও চোখে পড়ে ম্যাচ চলাকালীন। ১৫ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ২২১ টা। একদিনের ম্যাচে নামের পাশে রান ৬,৭৫৫। সাদা পোশাকে ৬৩ ম্যাচে রান ৪২৫১, আর শর্টার ফরম্যাটে রান দুই হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিব আল হাসানের রান ১৩ হাজার ৮শ’ ০৯। টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ২২৫, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৮৫। যা বাংলাদেশে দ্বিতীয়। আর, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ১২১।

এ সবকিছু শুধু এক দিকেই নির্দেশ করে যে, ব্যবসায়ী বলেন আর খেলোয়াড় বলেন, মাঠের বাইরে ফর্ম সময়ে-অসময়ে হারালেও সেইখানেও দারুণ দাপুটে অবস্থান তার রয়েছে। দলে তার মত যেমন জায়গা কেউ করতে পারেনি, বিসিবিও তার বিকল্প এতদিনে তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন দেখার বিষয় বিসিবির সাকিবকে অধিনায়ক করা কতটা সুফল এনে দেয়। অন্যদিকে সাকিব নিজেও বিতর্ক ছাড়া অধিনায়কত্ব দিয়ে দলের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন আনতে পারেন কিনা।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরও দল নিয়ে সন্তুষ্ট এনরিকে

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের পরও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে পিএসজি। তবুও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে। যদিও এই পরাজয়কে তিনি ‘অন্যায়’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দেওয়া কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ। এখন আমি আর কোথাও নেই। নিজেদের মূল লক্ষ্য পূরণে আমরা ব্যর্থ।’

কালকের ম্যাচে পিএসজির চারটি শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক সমর্থকদের। জার্মানিতে প্রথম লেগের ম্যাচে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতেও পরপর দুটি শট পোস্টে লেগেছিল পিএসজির।

এনরিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই ম্যাচে আমরা বাজে খেলেছি। ছয়বার আমাদের শট বারে লেগেছে। ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে যা খুবই অন্যায়। ৩১টি শট টার্গেটে করলেও এর থেকে একটি গোলও আদায় করতে পারিনি। এই লড়াইয়ে ফুটবল আমাদের সাথে অন্যায় করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ফাইনালে খেলার জন্য। দ্রুত আমাদের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দল নিয়ে আমি দারুন গর্বিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কোচ হিসেবে এই পরাজয়ের প্রথম দায়ভার আমার। কিন্তু তারপরও দলের মানসিকতায় আমি খুশি।’

ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল পিএসজি। একইসাথে প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা ট্রফিটিও হাতে তুলে নেবার আশা তাদের ছিল।

এই মৌসুমের শুরুতে পিএসজির দায়িত্ব নেয়া এনরিকে বলেন, ‘পিএসজিতে আসার আগে আমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা যেভাবে ভালো খেলি অন্তত সেই ধারা বজায় রাখা। কাপ ফাইনালের পর মৌসুম যখন শেষ হবে তখন ভেবে দেখবো আমরা কি অর্জন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে আমি কখনই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন কথা বলি না। আজ আমার একটি প্রত্যাশা ছিল। এই ধরনের পরাজয়ে কোন সান্ত্বনা নেই। কিন্তু এটাই জীবন, এটাই খেলা। কিভাবে জেতা যায় সেটা জানা খুবই জরুরি। একইসাথে পরাজয়ের কারণও খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন জানানো উচিৎ ও এই পরাজয়কে মেনে নেয়া উচিৎ।’


লুইস এনরিকে   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   বরুশিয়া ডর্টমুন্ড   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগেরও বেশি সময় পর ঘরে ফিরছেন সিলভা

প্রকাশ: ০৪:৪৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

থিয়াগো সিলভা। ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের জুনিয়র একাদশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ার। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সেখান থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আজ সারা ফুটবল বিশ্বে সমাদৃত তিনি। পেয়েছেন অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারের তকমাও।

সিলভা ফুটবলে সিরিয়ার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৪ সালে পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোতে। সেখানে এক বছর থাকার পর চলে যান রাশিয়ান ক্লাব ডায়ানামো মস্কোতে। রাশিয়ায় থাকতে সিলভার জীবনে নেমে বড় এক ঝড়। জটিল রোগ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সুস্থ হয়ে ২০০৭ সালে ফের ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন সিলভা। ২ বছর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে খেলেন তিনি।

২০০৯ সালে ব্রাজিল ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে (২০০৯-১২) যোগ দেন সিলভা। এরপর খেলেছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে। ফরাসি ক্লাবটিকে প্রায় ৮ বছর থাকার পর চেলসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সিলভা। চেলসিতে ৪ বছর মিলিয়ে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে প্রায় ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার-ব্যাক।

চলতি মৌসুম শেষে চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে সিলভার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে থাকবেন না, তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন তিনি। সে হিসেবে চেলসির জার্সিতে আর মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন সিলভা। প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটিই হতে পারে চেলসির জার্সিতে সিলভার শেষবারের মতো মাঠে নামা।

চেলসির পর কোথায় যাবেন সিলভা, এমন প্রশ্ন গত কয়েক দিন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলভক্তদের মাথায়। অনেকে মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগে (এমএলএস) খেলবেন এই ব্রাজিলিয়ান। আবার অনেকের ধারণা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের মতো সৌদি প্রো লিগে যেতে পারেন তিনি।

এবার নিশ্চিত হওয়া গেছে, চেলসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে কোথায় যাব্নে সিলভা। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা সৌদি নয়, সেই ছোটবেলার ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে ফিরে যাবেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে চেলসি ও ফ্লুমিনেন্স। অর্থাৎ প্রায় ১৫ বছর ইউরোপে প্রবাস জীবন শেষ করে ঘরে ফিরছেন সিলভা।

২০২০ সালে চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিলেন সিলভা। এটিই ইউরোপীয় ফুটবলে তার সবচেয়ে বড় সফলতা। এছাড়া জাতীয় ব্রাজিলের জার্সিতে ২০১৩ সালে কনফেডারেশন কাপ ও ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন এই সেন্টার-ব্যাক।


থিয়াগো সিলভা   ব্রাজিল   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলি-গাভাস্কার ইস্যু: গাভাস্কারের পক্ষ নিলেন ওয়াসিম আকরাম

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা ভারতীয় কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের মন্তব্যের পর বিরাট কোহলিকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এছাড়াও সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে কোহলি ঠিক করেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

আকরাম বলেন, দুজনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাভাস্কার) ক্রিকেটার হিসেবে চিনি। মানুষ হিসেবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসেবেও চিনি। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।

গাভাস্কারের পাশে দাঁড়িয়ে আকরাম আরো বলেন, ধারাভাষ্যকাররা তাদের কাজ করেন। কোহলি যদি দুটো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাভাস্কার যদি কিছু বলে- এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা? ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দুজনেই ভারতের গর্ব। দুজনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরো বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দুজনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।

এদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। নিজের খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি।

কোহলির এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে গাভাস্কার বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।

এর আগে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে কোহলি বলেন, আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।

তারপর গাভাস্কার আবার বলেছিলেন, কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারো কথায় কান দেয় না। কারো কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তাহলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনো উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।


বিরাট কোহলি   গাভাস্কার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে ফিরছেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রথম তিন ম্যাচ ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে এবার সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য স্বাগতিকরা দল ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার এক বিবৃতিতে টাইগারদের স্কোয়াডে এই পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিসিবি। এর আগে আইপিএল থেকে ফিরে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম, ডিপিএল খেলতে প্রথম তিনটিতে সাকিবকে ছুটি এবং চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা তিনজনই ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন। তিন ক্রিকেটার দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় চলতি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শরিফুল ইসলাম। এর মধ্যে শরিফুলকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি। বাকি দুই ক্রিকেটার স্কোয়াডে থাকলেও, এই সিরিজের কোনো ম্যাচেই খেলা হয়নি।

শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


সাকিব আল হাসান   ‍মুস্তাফিজুর রহমান   সৌম্য সরকার   জিম্বাবুয়ে   বাংলাদেশ   টি-২০  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হার্ড হিটে ভাঙলেন দর্শকের ফোন, পরে যা উপহার দিলেন মিচেল

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

অন্যান্যবারের মতো এবারও আইপিএল শুরু হয়েছিল বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে। তবে এবারের আইপিএল যেন ব্যাটারদের জন্য একটু বেশিই কার্যকর হিসেবে গণ্য হয়েছে। কারণ এবারের আসরে প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে যেন ঝরছে রানের ফুলঝুড়ি।

আর এমন পরিস্থিতিতে চার-ছক্কার কারণে আইপিএলে বলের আঘাতে দর্শকদের আহত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার ম্যাচ শুরুর আগেই আহত হলেন এক দর্শক। চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেলের শটে ভাঙে তার আইফোনও। এর বদলে সেই দর্শককে নিজের গ্লাভস উপহার দেন মিচেল।

ঘটনাটি ঘটে ধর্মশালার স্টেডিয়ামে। চেন্নাই বনাম পাঞ্জাব ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাট করছিলেন মিচেল। পুল মারার অনুশীলন করছিলেন তিনি। বাউন্ডারির কাছেই ছিলেন মিচেল। হঠাৎ তার একটি শট গিয়ে লাগে এক দর্শকের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধরে বসে পড়েন ওই যুবক।

বোঝা যায়, হাতে ভালই লেগেছে তার। পরে দেখা যায়, যুবকের হাতে থাকা আইফোনটিও ভেঙে গেছে। তার মারা শটে যুবক আহত হয়েছেন দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান মিচেল। তিনি খোঁজ নেন আঘাত গুরুতর কি না।

পরে সেই যুবককে নিজের এক জোড়া গ্লাভস উপহার দেন মিচেল। গ্লাভসে সইও করে দেন তিনি। চেন্নাই ক্রিকেটারের সেই উপহার নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা যায় সেই যুবককে।

চলতি আইপিএলে প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে চেন্নাই। পাঞ্জাবকে হারানোর পরে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তারা। অন্যদিকে পাঞ্জাব বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে তারা।


মিচেল   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন