বাঁচামরার
লড়াইয়ে হারলেই বাদ। শ্বাসরুদ্ধকর সেই
ম্যাচ একবার হেলে পড়ছিল বাংলাদেশের
দিকে, তো অন্যবার শ্রীলঙ্কার
দিকে।
সেই
টানটান উত্তেজনার ম্যাচ গড়ালো শেষ ওভার পর্যন্ত।
সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও শেষে স্বপ্নভঙ্গ হলো
বাংলাদেশের। ৪ বল ও
২ উইকেটে থাকতে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া
কাপ থেকে বিদায় হয়ে
গেছে টাইগাররা।
বোর্ডে
১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ নিয়ে
দারুণ সুযোগ ছিল লঙ্কানদের চেপে
ধরার। বল হাতে ইনিংসের
দ্বিতীয় ওভারেই সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন
আহমেদ।
তাসকিনের
ওভারের শেষ বলে কুশল
মেন্ডিস ড্রাইভ করলে বল চলে
যায় উইকেটের পেছনে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা গ্লাভসে
পেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি।
২ রানে জীবন পেয়ে
ভয়ংকর হয়ে উঠেন কুশল।
পঞ্চম ওভারে সাকিবকে দুই ছক্কা আর
একটি বাউন্ডারি হাঁকান। ৫ ওভারেই বিনা
উইকেটে ৪৪ রান তুলে
ফেলে শ্রীলঙ্কা।
ষষ্ঠ
ওভারে অভিষিক্ত এবাদত হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন সাকিব। নিজের
তৃতীয় বলেই দলকে সাফল্য
এনে দেন ডানহাতি এই
পেসার। তার শর্ট বল
পুল করতে গিয়ে পাথুম
নিশাঙ্কা মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজকে।
তিন
বল পর আরও এক
উইকেট। এবার চারিথ আসালাঙ্কাকে
(১) মিডঅফে ক্যাচ বানান অভিষিক্ত এবাদত। বিনা উইকেটে ৪৫
থেকে ২ উইকেটে ৪৮
রানে পরিণত হয় শ্রীলঙ্কা।
সপ্তম
ওভারে কুশল আরেকবার জীবন
পান। শেখ মেহেদির বলে
উইকেটরক্ষক মুশফিক ক্যাচ নিলে সাজঘরে ফিরছিলেন
লঙ্কান এই ব্যাটার। কিন্তু
আম্পায়ার তাকে দাঁড়াতে বলেন।
‘নো’ বল চেক করে
দেখা যায়, ওভারস্টেপিং করেছেন
মেহেদি।
পরের
ওভারে আবারও এবাদতের আঘাত। এবার গুনাথিলাকা (১১)
পুল করলে ফাইন লেগ
থেকে প্রায় ২০ মিটার দৌড়ে
এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন
তাসকিন।
দুই
বল পর তৃতীয়বারের মতো
জীবন পান কুশল। এবার
তিনি এবাদতকে পুল করলে লেগ
দিয়ে বল চলে গিয়েছিল
উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। আবেদনও হয়েছিল।
কিন্তু
আম্পায়ার সে আবেদন নাকচ
করে দেন। বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও
বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে স্পর্শ
লেগেছে কিনা। পরে স্নিকোমিটারে দেখা
যায়, বল ব্যাটে লেগেই
গেছে মুশফিকের হাতে।
নবম
ওভারে তাসকিন এসে আউট করেন
ভানুকা রাজাপাকসেকে। টাইগার পেসারের শর্ট বল তুলে
মারতে গিয়ে থার্ডম্যানে বদলি
ফিল্ডার নাইম শেখের ক্যাচ
হন রাজাপাকসে (২)।
তাসকিনের
করা একাদশতম ওভারে চতুর্থবারের মতো জীবন পান
কুশল মেন্ডিস। ননস্ট্রাইকের এন্ডে তিনি অনেকটা বেরিয়ে
গেলে থ্রো করেন সাব্বির
রহমান। একটুর জন্য স্টাম্প ভাঙেনি।
এতবার
জীবন পেয়ে ৩১ বলে
ফিফটি তুলে নেন কুশল।
পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকার সঙ্গে ৩৫ বলে ৫৪
রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন
এই ব্যাটার।
অবশেষে
১৫তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ফেরান কুশলকে। তার স্লোয়ার অফকাটার
থার্ডম্যানে তুলে দেন এই
ব্যাটার, তাসকিন নেন আরেকটি দুর্দান্ত
ক্যাচ। ৩৭ বলে ৪
বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায়
কুশলের ইনিংসটি ছিল ৬০ রানের।
পরের
ওভারে তাসকিনের আঘাত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (২) জায়গা করে
কভারের ওপর দিয়ে মারতে
যান, হন শেখ মেহেদির
ক্যাচ। ৮ রানের ব্যবধানে
২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে
শ্রীলঙ্কা।
কাঁটা
হয়ে ছিলেন কেবল দাসুন শাকা।
লঙ্কান অধিনায়ক খেলছিলেনও মারমুখী। অবশেষে শেখ মেহেদির করা
১৮তম ওভারে লংঅনে তুলে মারতে গিয়ে
আউট হন শানাকা (৩৩
বলে ৪৫)। বাংলাদেশও
বাঁচে হাঁফ ছেড়ে। ঐ
ওভারেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন তাসকিন।
শেষদিকে
করুনারত্নের ছোট ক্যামিও পর
আশিতার ৩ বলে ১০
রানে ভর করে ২
উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ
ছাড়ে লঙ্কানরা। ফলে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে
গেলো টাইগাররা। এদিন দলের হয়ে
এবাদত নেন ৩ উইকেট,
তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। মাহেদি
এবং মুস্তাফিজ ১ করে উইকেট
লাভ করেন।
এর আগে সংযুক্ত আরব
আমিরাতের মাটিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত
২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩
রান তোলে সাকিব আল
হাসানের দল।
ওপেনিংটা
ক্লিক করছে না। বাংলাদেশ
তাই আজ বাঁচামরার ম্যাচে
একসঙ্গে দুই ওপেনার বদলে
ফেলেছে। নাইম শেখ আর
এনামুল বিজয়ের বদলে ওপেনিংয়ে নামেন
মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমান।
কেমন
হলো ওপেনিং জুটি? দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে
নেমে শুরুটা খুব খারাপ ছিল
না। তবে ১৯ রানেই
ভেঙে গেছে সাব্বির-মিরাজের
জুটি।
দীর্ঘদিন
পর দলে ফিরেছেন সাব্বির
রহমান। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং খেলতে নেমেছিলেন। তবে সুবিধা করতে
পারেননি।
৬ বলে ৫ রান
করে আসিথা ফার্নান্ডোকে পুল করতে গিয়ে
উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন সাব্বির।
ওয়ানডেতে
এর আগেও ওপেন করে
সফল হয়েছেন মিরাজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে
আজই প্রথম। অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে
টিম ম্যানেজম্যান্টের বাজি এবারও কাজে
দিলো।
পাওয়ার
প্লেতে যে উড়ন্ত সূচনার
জন্য হাহাকার ছিল বাংলাদেশের, মিরাজ
ওপেন করতে এসেই সেই
আক্ষেপ দূর করে দিলেন।
এই অলরাউন্ডারের ঝড়ো ব্যাটে চড়েই
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১
উইকেটে ৫৫ রান তোলে
বাংলাদেশ।
তবে
পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই মারকুটে
এই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগির বলে
একবার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে বেঁচে গেলেও দুই বল পরই
বোল্ড হন মিরাজ। ২৬
বলে ২টি করে চার-ছক্কায় মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৮
রান।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা যেন মুশফিকুর রহিমের
সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। টেস্ট, ওয়ানডেতে
দলের বড় ভরসা হলেও
এই ফরম্যাটে তার রেকর্ড তেমন
ভালো নয়।
আগের
ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১ রান। আরও
একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন মুশফিক। এবার আউট হলেন
৫ বলে ৪ করে।
চামিকা
করুনারত্নের ব্যাক অব দ্য লেন্থ
ডেলিভারি ব্যাকফুটে ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে
ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এ
নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ
ছয় ইনিংসে পাঁচবারই দশের নিচে আউট
হলেন মুশফিক।
সাকিব
আল হাসান খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
ভালোভাবেই এগোচ্ছিল দল। হঠাৎ সাকিব
স্টাম্প ছেড়ে মারতে গেলেন,
থিকসানার বলটি লাইন মিস
করে হলেন বোল্ড।
দুই
ওভার আগেই মুশফিক ফিরেছেন।
২২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে
২৪ রান করা সাকিবকেও
অল্প সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায়
বাংলাদেশ।
৮৭ রানে পড়েছিল ৪
উইকেট। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক
জুটি গড়েন আফিফ হোসেন
ধ্রুব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১৩তম ওভারেই শতরান ছোঁয় বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গাকে
ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে দারুণ
এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১০০ পার
করে দেন আফিফ।
মাহমুদউল্লাহও
খেলেছেন দারুণ। তাদের জুটিতে ৩৭ বলে আসে
৫৭ রান। অবশেষে ইনিংসের
১৭তম ওভারে আউট হন আফিফ।
বাঁহাতি পেসার মধুশঙ্কাকে তুলে মারতে গিয়ে
কাউ কর্নারে ক্যাচ হন এই অলরাউন্ডার।
২২ বলে আফিফের ৩৯
রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল
৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার
মার।
সঙ্গী
হারিয়ে যেন ধৈর্যও হারিয়ে
ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফ আউট হওয়ার
পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে সুইপ করে ডিপমিডউইকেটে
ক্যাচ দেন ২২ বলে
২৭ করা অভিজ্ঞ এই
ব্যাটার।
এরপর
শেখ মেহেদি হাসান ১ রানেই সাজঘরে
ফিরে যান। তবে শেষদিকে
মোসাদ্দেক হোসেন আর তাসকিন আহমেদের
ব্যাটে ১৮৩ রানের বড়
সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক
৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে
২৪ আর তাসকিন ৬
বলে ১ ছক্কায় ১১
রানে অপরাজিত থাকেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আর চামিকা করুনারত্নে।
এশিয়া কাপ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সুপার ফোর
মন্তব্য করুন
লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।
এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।
শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ক্যাসেমিরো তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৯ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন রিয়ালে। এরপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না।
সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।
ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যাসেমিরো ফুটবল ব্রাজিল রিয়াল মাদ্রিদ কার্লো আনচেলত্তি
মন্তব্য করুন
এবার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। ‘অনুপযুক্ত আচরণের’ কারণে গুসমানকে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত রোববার মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল এবং মন্টেরি মুখোমুখি হয়েছিল। যেখানে টাইগ্রেস ক্লাবের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গুসমান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবে ড্রেসিংরুম থেকে তিনি মাঠে লেজার লাইট মারার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বড় শাস্তি ঘোষণা করেছে এফএমএফ।
শেষ পর্যন্ত সেদিন দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনা শুরু হয় গুসমানে লেজার ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি মন্টেরি গোলরক্ষক এসটেবান আন্দ্রাদার দিকে লেজারের আলো ফেলেছিলেন এবং পরে সেটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ক্ষমাও চান এই টাইগ্রেস গোলরক্ষক।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে এফএমএফ জানায়, ম্যাচ চলাকালে অনুপযুক্ত আচরণের জন্য টাইগ্রেস ক্লাবের নাহুয়েল ইগনাসিও গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তার আচরণ ফেডারেশনের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। পরবর্তীতে টাইগ্রেস ক্লাবও নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা অনুসারে গুসমানকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, শাস্তি পেয়েছেন মন্টেরির ফুটবলার আন্দ্রাদাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুসমানকে সমকামী বলে মন্তব্য করায় তাকে জরিমানা করেছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন।
উল্লেখ্য, এখনও হাঁটুর ইনজুরির পুনর্বাসনে আছেন নিষিদ্ধ হওয়া গুসমান, যে কারণে ৯ মার্চের পর তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। চলমান নিয়মিত মৌসুমে তার দলের আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি, তবে ২০২৪ সালের পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারকে বিভ্রান্ত করার জন্য মুখ থেকে হঠাৎ ফিতা বের করেছিলেন গুসমান। গত আগস্টে লিগস কাপের ওই ঘটনার পর প্রথম তিনি আলোচনায় আসেন।
আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমান
মন্তব্য করুন
চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৭তম আসর। প্রতিবারের মতোই বেশ জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল এবারের খেলা। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচেই নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।
আইপিএল শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবগুলো আসর খেললেও এখন পর্যন্ত একবারও ট্রফি জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবারের আসরেও সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরেছে দলটি।
বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েও আগের ১৬টি আসরের মতো এবারেও টেবিলের তলানিতে রয়েছে কোহিল-সিরাজরা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী (রোববার) হাইভোল্টেজ ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে কোহলিরা। ভাগ্য বদলাতে এই ম্যাচে জার্সি বদলে খেলবেন কোহলি-ফাফরা।
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর আইপিএলে একটি ম্যাচ সবুজ জার্সি পরে খেলে বেঙ্গালুরু। প্রকৃতির প্রতি যত্ন এবং আরও বেশি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্যই সবুজ জার্সি পরে নামেন কোহলিরা। সাধারণত, ঘরের মাঠে এই জার্সি পরে নামে বেঙ্গালুরু। কিন্তু এবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
নিজেদের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দিয়েছে নতুন জার্সি পরে নামার কথা নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানে নতুন জার্সিতে দেখা যাচ্ছে কোহলি, ডু প্লেসি এবং দিনেশ কার্তিককে।
পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছেন, আশা করছি জার্সির রঙে বদল করায় ভাগ্যও বদলাবে। ২১ তারিখ দেখা হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে আরও ৩টি ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। অন্যদিকে এই মৌসুমে কলকাতা বেশ ভালো ফর্মে রয়েছে। ৬ ম্যাচ খেলে তারা ইতিমধ্যেই ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুর ভাগ্যবদল বেশ কঠিনই হবে!
আইপিএল বিরাট কোহলি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
মন্তব্য করুন
রাউন্ড রবিন লিগ শেষে এবার নিশ্চিত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি আসরের সুপার লিগ পর্বের ছয় দল। যার মধ্যে রয়েছে- আবাহনী লিমিটেড, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল সুপার লিগের প্রথম পাঁচটি দল। বাকি ছিল একটি। আর সেই ষষ্ঠ দল হিসেবে লড়াইটা ছিল মূলত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেষ রাউন্ডে রূপগঞ্জ শাইনপুকুরের কাছে হেরে যাওয়ায় রান রেটেও পিছিয়ে পড়ে। তাতে গাজীর সুপার লিগ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ রাউন্ডে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিটি ক্লাবকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
আবাহনী একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে লিগ পর্ব শেষ করেছে। ১১ ম্যাচের সব কটিই জিতেছে তারা। আরেকটি শিরোপা থেকে খুব বেশি দূরে নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ক্যাসেমিরো। জাতীয় দলসহ ক্লাবের খেলায় যে দলেই খেলেছেন ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে সে দলেরই ভরসার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তবে ক্যাসেমিরোর ক্যারিয়ারে সেরা সময় কেটেছে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।