প্রথমে বোলারদের
দাপট, এরপর লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের দানবিয় ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার
বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থিরুভানাথাপুরামে প্রথম
টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মার দলের জয় ৮ উইকেটে।
বোলারদের নৈপুণ্যে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানে আটকে দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ২০ বল বাকি থাকতে।
অনুশীলনে পাওয়া
পিঠের চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলে দলে আসা চাহার
২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২৬ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। এদিকে, উইকেট
না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকসার প্যাটেল। নিজের প্রথম ও ম্যাচের
দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া আর্শদিপ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ৪-০-৩২-৩। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করা রাহুল পরে রানের গতি
বাড়িয়ে ৫৬ বলে করেন ৫১ রান। ৪ ছক্কার সঙ্গে মারেন ২ চার। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০
রান করেন সূর্যকুমার। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৩ রানের।
চাহার ও আর্শদিপের
চমৎকার বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো।
স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই হারায় তারা ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে দুই অঙ্কে যাওয়ার
আগে ৫ উইকেট হারানোর অভিজ্ঞতা নেই টেস্ট খেলুড়ে আর কোনো দলের। এর আগে সবচেয়ে কম রানে
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট পড়েছিল ২০০৭ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ রানে।
সফরকারীদের
শিবিরে প্রথম ছোবল হানেন চাহার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে স্টাম্প
এলোমেলো হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এরপর ভেঙে দেন আর্শদিপ।
তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন কুইন্টন ডি কক। সুইং করে বেরিয়ে
যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন রাইলি রুশো। পরের বলে আর্শদিপ চমকে দেন ডেভিড মিলারকে। ভেতরে
ঢোকা বল ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প।
চাহারের বাড়তি
লাফিয়ে ওঠা বলে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের
মধ্যে কেবল ডি কক খুলতে পারেন রানের খাতা। রুশো, মিলার, স্টাবস পান গোল্ডেন ডাকের তেতো
স্বাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৫ উইকেট নিতে স্রেফ ১৫ বল লাগে ভারতের, যা তাদের সর্বনিম্ন।
এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার শুরুর ৫ উইকেট নিয়েছিল তারা ৩১ বলে।
অল্পতে গুটিয়ে
যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুক্ষণ টানেন এইডেন মারক্রাম। তাকে এলবিডব্লিউর
রিভিউ নিয়ে ফেরায় ভারত। ওয়েইন পার্নেলকে বিদায় করেন আকসার প্যাটেল। দক্ষিণ আফ্রিকা
একশ পার করে কেশভ মহারাজের ব্যাটে। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৪১ রানের
ইনিংস খেলেন তিনি। আগের ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ইনিংস ব্যাটিং করে তার মোট রান ১৫, সেরা
ছিল ১১।
ছোট পুঁজি নিয়ে
শুরুতে ভারতকে চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে কট
বিহাইন্ড হন রোহিত শর্মা। এরপর যেন রান করার পথই খুঁজে পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। পাওয়ার
প্লেতে ভারত তোলে কেবল ১৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভারে যা তাদের সর্বনিম্ন।
সপ্তম ওভারের
প্রথম বলে আনরিক নরকিয়ার বলে বিরাট কোহলি কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লে আরও বিপদে পড়ে ভারত।
এই পেসারকে টানা দুটি ছক্কায় উড়িয়ে চাপ কিছুটা সরিয়ে দেন সূর্যকুমার। একটা সময় রাহুলের
রান ছিল ৩৬ বলে ১৫। দশম ওভারে নরকিয়াকে ছক্কা মেরে রানের গতিতে দম দেন তিনি। পরে বাঁহাতি
রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে মারেন আরেকটি। আরেক প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে
থাকেন সূর্যকুমার। ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শামসিকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত
ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেন রাহুল, ৫৬ বলে। দুই দলের দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টি আগামী রবিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা:
২০ ওভারে ১০৬/৮ (ডি কক ১, বাভুমা ০, রুশো ০, মারক্রাম ২৫, মিলার ০, স্টাবস ০, পার্নেল
২৪, মহারাজ ৪১, রাবাদা ৭*, নরকিয়া ২*; চাহার ৪-০-২৪-২, আর্শদিপ ৪-০-৩২-৩, অশ্বিন ৪-১-৮-০,
হার্শাল ৪-০-২৬-২, আকসার ৪-০-১৬-১)
ভারত: ১৬.৪
ওভারে ১১০/২ (রাহুল ৫১*, রোহিত ০, কোহলি ৩, সূর্যকুমার ৫০*; রাবাদা ৪-১-১৬-১, পার্নেল
৪-০-১৪-০, নরকিয়া ৩-০-৩২-১, শামসি ২.৪-০-২৭-০, মহারাজ ৩-০-২১-০)
ফল: ভারত ৮
উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা
ম্যাচ: আর্শদিপ সিং
সিরিজ: তিন
ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ভারত
ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত দক্ষীন আফ্রিকা প্রোটিয়া
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৫তম আসরে অভিষেক হয়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। যেবার সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারাই। এরপর ১৬তম আসরেও বেশ শক্ত পোক্তভাবেই লড়াই করে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি সেবার।
তবে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করা দলটি এবার শুবমান গিলের অধীনে সুবিধা করতে পারছে না। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয়বার অলআউট হলো গুজরাট, তাও আবার লজ্জার রেকর্ড গড়লো সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়ে।
প্রথমবার একশর নিচেই ১০ ব্যাটারের সবাই আউট হয়ে গেছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৮৯ রানে তাদের থামিয়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই আসরে প্রথমবার টানা দ্বিতীয় জয় পেলো তারা।
এর আগে গুজরাটের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল গত বছর এই দিল্লির কাছেই। ১২৫ রান করেছিল তারা ৬ উইকেট হারিয়ে। এবার তিন অঙ্কের ঘরেও যেতে পারলো না একুশের চ্যাম্পিয়নরা।
রশিদ খান শেষ দিকে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান না করলে আরও বড় লজ্জা পেতো গুজরাট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন সাই সুদর্শন। ১০ রান আসে রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাটে। ইনিংসের ১৫ বল বাকি থাকতে অলআউট তারা।
মুকেশ কুমার ২.৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট দখল করেন ইশান্ত শর্মা ও ট্রিস্টান স্টাবস।
লক্ষ্যে নেমে ২ ওভারে ২৫ রান তুলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। জেক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ১০ বলে ২০ রানে থামেন। অল্প স্কোরে জয়ের পথে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।
শাই হোপ ১০ বলে করেন ১৯ রান। অভিষেক পোরেলের ব্যাটে আসে ১৫ রান। শেষ দিকে রিশাভ পান্ত ও সুমিত কুমার ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নবম ওভারেই ম্যাচ জেতে দিল্লি।
৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২ রান করে তারা। ১৬ রানে পান্ত ও ৯ রানে সুমিত খেলছিলেন।
মন্তব্য করুন
সালটা ২০০১। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে ঘটেছিল ফুটবল বিশ্বের অনন্য এক ইতিহাস। কারণ সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ইতিহাসের সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন নিকি সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল।
আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তিনি বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।
সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর।
ফলে এই দল নিয়ে প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে ১৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা!
খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না।
গোল বন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর।
৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।
সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)।
২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।
সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’
ফুটবল বিশ্বকাপ আমেরিকান সামোয়া অস্ট্রেলিয়া
মন্তব্য করুন
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরে খুব একটা ছন্দে নেই গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্স। ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে শুভমান গিলের দল।
অন্যদিকে গুজরাটের সমান ম্যাচ থেকে দুটিতে জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামছে এই দুই দল।
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি।
গুজরাট টাইটান্সের একাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), শুভমান গিল (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, ডেভিড মিলার, স্পেন্সার জনসন, অভিনাভ মোনোহার, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মোহিত শর্মা ও সানদীপ ওয়ারিয়ার।
দিল্লির একাদশ: ঋষভ পান্ত (অধিনায়ক), জ্যাক ফ্রেসার, পৃথ্বী শা, ত্রিস্তান স্টাবস, মুকেশ কুমার, অক্ষর প্যাটেল, সাই হোপ, এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, সুমিত কুমার ও খলিল আহমেদ।
মন্তব্য করুন
চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেয়ে এবং একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
সেরাদের তালিকায় থেকেও মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল অধ্যায় বড় হচ্ছে না। কারণ মুস্তাফিজ বিসিবি থেকে ছুটি পেয়েছিলেন শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু পরবর্তীতে আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে সেই অনুমতি। আর সে অনুযায়ী ২ মে দেশে ফিরে ৩ মে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাকে।
টাইগার এই পেসারকে নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কথা বলেছেন। মিরপুরে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল থেকে শেখার কিছু নাই। তার শেখার সময় পার হয়ে গেছে। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএল খেলোয়াড়রা। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছে পেলে অন্যদের সুবিধা হবে।’
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আরও বলেন, ‘আমরা মুস্তাফিজের ফিটনেস নিয়ে চিন্তিত। চেন্নাই চাইবে তার থেকে শতভাগ নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, আমাদের আছে।’
জালাল ইউনুস যোগ করেন, ‘আমরা মুস্তাফিজকে ফেরত আনার কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানো না। এখানে আনলে আমরা ওয়ার্কলোড দিয়েই ওকে প্ল্যান দেবো। কিন্তু আইপিএলে থাকলে সেই প্ল্যান হবে না।’
মুস্তাফিজ চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।
তবে এবার জানা গেল হাথুরুর দেশে ফেরার দিনক্ষণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাথুরুর ফেরা নিয়ে বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ আসবেন ২১ তারিখ রাত্রে বেলা, বেশিরভাগ কোচ ২২-২৩ তারিখের মধ্যে অ্যাভেইলেবল। ইতোমধ্যে স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ এখানে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে আমাদের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের আসার কথা। আশা করি জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই চলে আসবেন। বাকি যারা আছে তারাও ২৩ এপ্রিলের আগে চলে আসবে।’
এদিকে গতকাল নতুন স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুশতাক আহমেদ। তাকে নিয়ে জালাল বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ থাকা অবস্থায় দেশের আনাচে-কানাচে যদি ভালো লেগ স্পিনার থাকে এবং যারা এক্সপোজার পায়নি, তাদের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট (স্পিনার হান্ট) করতে পারি সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, লেগ স্পিনের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি জালাল ইউনূস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। কদিন আগেও সোস্যাল মিডিয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে টাইগারদের সাথে আর কাজ করতে চাননা হাথুরু। যার জন্য ব্যক্তিগত কাজে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর আর দেশে ফিরতে চাননা তিনি এমন খবর ভাসছিল সবখানে। যদিও গুঞ্জনটি যে ভুয়া তা কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা গিয়েছিল।