ইনসাইড গ্রাউন্ড

বোলিং নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিলো ভারত

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বোলিং নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের উড়ীয়ে দিলো ভারত

প্রথমে বোলারদের দাপট, এরপর লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের দানবিয় ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থিরুভানাথাপুরামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মার দলের জয় ৮ উইকেটে।

বোলারদের নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানে আটকে দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ২০ বল বাকি থাকতে। 

অনুশীলনে পাওয়া পিঠের চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলে দলে আসা চাহার ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২৬ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। এদিকে, উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকসার প্যাটেল। নিজের প্রথম ও ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া আর্শদিপ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ৪-০-৩২-৩। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করা রাহুল পরে রানের গতি বাড়িয়ে ৫৬ বলে করেন ৫১ রান। ৪ ছক্কার সঙ্গে মারেন ২ চার। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ রান করেন সূর্যকুমার। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৩ রানের। 

চাহার ও আর্শদিপের চমৎকার বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই হারায় তারা ৫ উইকেট।  টি-টোয়েন্টিতে দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে ৫ উইকেট হারানোর অভিজ্ঞতা নেই টেস্ট খেলুড়ে আর কোনো দলের। এর আগে সবচেয়ে কম রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট পড়েছিল ২০০৭ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ রানে। 

সফরকারীদের শিবিরে প্রথম ছোবল হানেন চাহার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে স্টাম্প এলোমেলো হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এরপর ভেঙে দেন আর্শদিপ। তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন কুইন্টন ডি কক। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন রাইলি রুশো। পরের বলে আর্শদিপ চমকে দেন ডেভিড মিলারকে। ভেতরে ঢোকা বল ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প। 

চাহারের বাড়তি লাফিয়ে ওঠা বলে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল ডি কক খুলতে পারেন রানের খাতা। রুশো, মিলার, স্টাবস পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৫ উইকেট নিতে স্রেফ ১৫ বল লাগে ভারতের, যা তাদের সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার শুরুর ৫ উইকেট নিয়েছিল তারা ৩১ বলে। 

অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুক্ষণ টানেন এইডেন মারক্রাম। তাকে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ফেরায় ভারত। ওয়েইন পার্নেলকে বিদায় করেন আকসার প্যাটেল।  দক্ষিণ আফ্রিকা একশ পার করে কেশভ মহারাজের ব্যাটে। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আগের ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ইনিংস ব্যাটিং করে তার মোট রান ১৫, সেরা ছিল ১১। 

ছোট পুঁজি নিয়ে শুরুতে ভারতকে চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে কট বিহাইন্ড হন রোহিত শর্মা। এরপর যেন রান করার পথই খুঁজে পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে কেবল ১৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভারে যা তাদের সর্বনিম্ন। 

সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আনরিক নরকিয়ার বলে বিরাট কোহলি কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লে আরও বিপদে পড়ে ভারত। এই পেসারকে টানা দুটি ছক্কায় উড়িয়ে চাপ কিছুটা সরিয়ে দেন সূর্যকুমার। একটা সময় রাহুলের রান ছিল ৩৬ বলে ১৫। দশম ওভারে নরকিয়াকে ছক্কা মেরে রানের গতিতে দম দেন তিনি। পরে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে মারেন আরেকটি।  আরেক প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন সূর্যকুমার। ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শামসিকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেন রাহুল, ৫৬ বলে। দুই দলের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আগামী রবিবার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১০৬/৮ (ডি কক ১, বাভুমা ০, রুশো ০, মারক্রাম ২৫, মিলার ০, স্টাবস ০, পার্নেল ২৪, মহারাজ ৪১, রাবাদা ৭*, নরকিয়া ২*; চাহার ৪-০-২৪-২, আর্শদিপ ৪-০-৩২-৩, অশ্বিন ৪-১-৮-০, হার্শাল ৪-০-২৬-২, আকসার ৪-০-১৬-১) 

ভারত: ১৬.৪ ওভারে ১১০/২ (রাহুল ৫১*, রোহিত ০, কোহলি ৩, সূর্যকুমার ৫০*; রাবাদা ৪-১-১৬-১, পার্নেল ৪-০-১৪-০, নরকিয়া ৩-০-৩২-১, শামসি ২.৪-০-২৭-০, মহারাজ ৩-০-২১-০) 

ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী 

ম্যান অব দা ম্যাচ: আর্শদিপ সিং 

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ভারত


ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি   টি-টোয়েন্টি সিরিজ   ভারত   দক্ষীন আফ্রিকা   প্রোটিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ঘরের মাঠেও দিল্লির কাছে হারল গুজরাট

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।  

চলতি আইপিএলের ৪০ তম এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। 

এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেল দিল্লি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ডেভিড মিলার লড়াই জারি রাখলেও বাকিদের চলে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে রশিদ খান ও সাই কিশোরের শেষ ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস থাকলেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। 

এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ২টি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তিনি। এরপর স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।


আইপিএল   গুজরাট টাইটানস্   দিল্লি ক্যাপিটালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানে নয়, বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই চায় ভারত

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।

তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।

সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে  স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।

এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত।

এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।

বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই।

সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে  সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া  খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল  ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও যায়নি পাকিস্তানে।


পাকিস্তান   চ্যাম্পিয়নস ট্রফি   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে কাতারে লেবাননের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১১ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহায় আল সাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ম্যাচের আয়োজন করছে লেবানন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। লেবানন ও ফিলিস্তিন দুই দেশই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য হোম ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হয়। বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছে কুয়েতে।

এখন জুন উইন্ডোতে লেবাননের ম্যাচ খেলবে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মার্চ উইন্ডোতে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশ দলকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করিয়েছিলেন। জুন উইন্ডোর আগে বড় সময় অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না। কারণ প্রিমিয়ার লিগ চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এর পরই মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে পারবেন কোচ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে কেবল হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটি হোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আরেকটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে লেবাননের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসবে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আরেকবার এসেছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।


বাংলাদেশ   লেবানন   ফুটবল   বিশ্বকাপ ২০২৬   এশিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন