প্রথমে বোলারদের
দাপট, এরপর লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের দানবিয় ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার
বিরুদ্ধে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থিরুভানাথাপুরামে প্রথম
টি-টোয়েন্টিতে রোহিত শর্মার দলের জয় ৮ উইকেটে।
বোলারদের নৈপুণ্যে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানে আটকে দিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা ২০ বল বাকি থাকতে।
অনুশীলনে পাওয়া
পিঠের চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলে দলে আসা চাহার
২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ২৬ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। এদিকে, উইকেট
না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকসার প্যাটেল। নিজের প্রথম ও ম্যাচের
দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া আর্শদিপ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ৪-০-৩২-৩। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করা রাহুল পরে রানের গতি
বাড়িয়ে ৫৬ বলে করেন ৫১ রান। ৪ ছক্কার সঙ্গে মারেন ২ চার। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০
রান করেন সূর্যকুমার। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৯৩ রানের।
চাহার ও আর্শদিপের
চমৎকার বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো।
স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই হারায় তারা ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে দুই অঙ্কে যাওয়ার
আগে ৫ উইকেট হারানোর অভিজ্ঞতা নেই টেস্ট খেলুড়ে আর কোনো দলের। এর আগে সবচেয়ে কম রানে
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট পড়েছিল ২০০৭ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ রানে।
সফরকারীদের
শিবিরে প্রথম ছোবল হানেন চাহার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তার দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে স্টাম্প
এলোমেলো হয়ে যায় টেম্বা বাভুমার। প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড এরপর ভেঙে দেন আর্শদিপ।
তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন কুইন্টন ডি কক। সুইং করে বেরিয়ে
যাওয়া বলে কট বিহাইন্ড হন রাইলি রুশো। পরের বলে আর্শদিপ চমকে দেন ডেভিড মিলারকে। ভেতরে
ঢোকা বল ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের স্টাম্প।
চাহারের বাড়তি
লাফিয়ে ওঠা বলে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন ট্রিস্টান স্টাবস। আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের
মধ্যে কেবল ডি কক খুলতে পারেন রানের খাতা। রুশো, মিলার, স্টাবস পান গোল্ডেন ডাকের তেতো
স্বাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ৫ উইকেট নিতে স্রেফ ১৫ বল লাগে ভারতের, যা তাদের সর্বনিম্ন।
এর আগে ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার শুরুর ৫ উইকেট নিয়েছিল তারা ৩১ বলে।
অল্পতে গুটিয়ে
যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছুক্ষণ টানেন এইডেন মারক্রাম। তাকে এলবিডব্লিউর
রিভিউ নিয়ে ফেরায় ভারত। ওয়েইন পার্নেলকে বিদায় করেন আকসার প্যাটেল। দক্ষিণ আফ্রিকা
একশ পার করে কেশভ মহারাজের ব্যাটে। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৫ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৪১ রানের
ইনিংস খেলেন তিনি। আগের ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪ ইনিংস ব্যাটিং করে তার মোট রান ১৫, সেরা
ছিল ১১।
ছোট পুঁজি নিয়ে
শুরুতে ভারতকে চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে কট
বিহাইন্ড হন রোহিত শর্মা। এরপর যেন রান করার পথই খুঁজে পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। পাওয়ার
প্লেতে ভারত তোলে কেবল ১৭ রান। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভারে যা তাদের সর্বনিম্ন।
সপ্তম ওভারের
প্রথম বলে আনরিক নরকিয়ার বলে বিরাট কোহলি কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়লে আরও বিপদে পড়ে ভারত।
এই পেসারকে টানা দুটি ছক্কায় উড়িয়ে চাপ কিছুটা সরিয়ে দেন সূর্যকুমার। একটা সময় রাহুলের
রান ছিল ৩৬ বলে ১৫। দশম ওভারে নরকিয়াকে ছক্কা মেরে রানের গতিতে দম দেন তিনি। পরে বাঁহাতি
রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসিকে মারেন আরেকটি। আরেক প্রান্তে দ্রুত রান তুলতে
থাকেন সূর্যকুমার। ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শামসিকে ছক্কায় উড়িয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত
ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে নিজের ফিফটিও পূর্ণ করেন রাহুল, ৫৬ বলে। দুই দলের দ্বিতীয়
টি-টোয়েন্টি আগামী রবিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা:
২০ ওভারে ১০৬/৮ (ডি কক ১, বাভুমা ০, রুশো ০, মারক্রাম ২৫, মিলার ০, স্টাবস ০, পার্নেল
২৪, মহারাজ ৪১, রাবাদা ৭*, নরকিয়া ২*; চাহার ৪-০-২৪-২, আর্শদিপ ৪-০-৩২-৩, অশ্বিন ৪-১-৮-০,
হার্শাল ৪-০-২৬-২, আকসার ৪-০-১৬-১)
ভারত: ১৬.৪
ওভারে ১১০/২ (রাহুল ৫১*, রোহিত ০, কোহলি ৩, সূর্যকুমার ৫০*; রাবাদা ৪-১-১৬-১, পার্নেল
৪-০-১৪-০, নরকিয়া ৩-০-৩২-১, শামসি ২.৪-০-২৭-০, মহারাজ ৩-০-২১-০)
ফল: ভারত ৮
উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা
ম্যাচ: আর্শদিপ সিং
সিরিজ: তিন
ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ভারত
ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারত দক্ষীন আফ্রিকা প্রোটিয়া
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। আর এই ফুটবলের বিভিন্ন লিগগুলোই যেন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনপ্রিয় করে তোলে এই খেলাকে। তবে বেশ কিছুদিন যাবত ক্লাব ফুটবলের খেলায় দেখা মিলেছে বড় কয়েকটি অঘটনের। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ সবখানেই যেন ফেভারিট দলগুলো ধাক্কা খাচ্ছে বড় ধরনের।
তেমনই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার স্বপ্নে এভারটনের কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। মার্সিসাইড ডার্বি জিতে নিয়েছে ২-০ গোলে। সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কোচ য়্যুর্গেন ক্লপ। ম্যান ইউ অবশ্য ৪-২ গোলে জিতেছে শেফিল্ডের বিপক্ষে। ফ্রান্সে পিএসজির লিগ শিরোপার অপেক্ষা আরও এক ম্যাচ বেড়েছে।
রোলার কোস্টারের মত উত্থান আর পতন প্রিমিয়ার লিগে। ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এখনো অজানা কোন দল জিতবে। কার হাত উঠবে রুপালি ট্রফিটি।
মার্সিসাইড ডার্বিতে অবনমনের শঙ্কায় থাকা এভারটন যখন হাসে, কাঁদে তখন লিগ শিরোপার কাছে থেকেও দূরে সরে যাওয়া লিভারপুল। ফুটবলের প্রাণ, ক্লাবের শক্তি সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কোচ।
লিভারপুল কোচ বলেন, আমি খুবই হতাশ, বিরক্ত। সমর্থকদের অবস্থা বুঝতে পারছি। তাদের জন্য সত্যিই দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাইছি। যা হওয়ার হয়ে গেছে। পরিস্থিতি বদলাতে পারবো না। কিন্তু দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাই।
গুডিসন পার্ক যেন অলরেডদের রক্তাক্ত করতেই জেগে উঠেছিলো। জারাড ব্র্যান্থওয়েট ও ডমিনিক কালভার্ট লুইন দুই অর্ধে দুই গোল দিয়ে এভারটনের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক।
১৪ বছর পর ঘরের মাঠে মার্সিসাইড ডার্বি জিততে পারলো এভারটন। আর লিভারপুলের লিগ জয়ের সুযোগ হারের স্লোগানে মুখর তখন গুডিসন পার্ক। সিটির চেয়ে দু ম্যাচ বেশি খেলে মাত্র এক পয়েন্টের লিড মোটেও স্বস্তি দিচ্ছে না অলরেডদের। সেই অর্থে ম্যান ইউর জন্য চাপমুক্ত ম্যাচ। শিরোপার মত সেরা চারে থাকাও অসম্ভব। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে রেড ডেভিলরা।
শেফিল্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বাকি দুটি হ্যারি ম্যাগুয়ার ও রাসমস হজলান্ডের। অবশ্য দুবার ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিলো তলানীর দল শেফিল্ড।
ফ্রান্সে অবশ্য একপেশে লিগ। অপেক্ষা শুধুই পিএসজির শিরোপা উৎসবের। আর এমবাপ্পের বিদায়ের। বিদায়ী মৌসুমে জ্বলে ওঠা ফরাসী তারকা জোড়া গোল করেছেন লঁরিয়ের সাথে। ২৫ গোল টানা চার মৌসুমে। ওসমান দেম্বেলেও পিছিয়ে নেই। তারও জোড়া গোল। এদিনই ১২তম শিরোপা নিশ্চিত হতে পারতো পিএসজির। তবে হয়নি আরেক ম্যাচে মোনাকোর জয়ে। শনিবার ঘরের মাঠে উৎসবের অপেক্ষা।
লিভারপুল এভারটন প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। বাকি নেই দেড় মাসও। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই সাথে প্রতিটি দল শুরু করেছে স্কোয়াড তৈরির কাজ। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
যার জন্য ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বিসিবি। আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে এই সিরিজ। ইতোমধ্যে এই সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের দলও ঘোষিত হয়েছে। মূলত বিশ্বকাপের সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নিয়েই এই স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি।
যদিও বিসিবির ঘোষিত সেই স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। কয়েকদিনের মধ্যে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফিরে শেখ জামালের হয়ে ডিপিএলের সুপার লিগের কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন তিনি।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-২০তে না খেললেও সিরিজের শেষ তিন ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে সাকিবের। এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা আশা করি বেশ ভালো হবে। এর আগে যখন আমরা এখানে (যুক্তরাষ্ট্র) খেলেছি প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই সময় সিরিজ জিতেছিলাম। আশা করি এবারও ওরকম ভালো কিছু করতে পারব আমরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত টি-২০ বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল। ওখান থেকে যদি আরেকটু উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় এবার আমাদের আরো ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’
শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ ডালাস ও নিউইয়র্কে। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ। বিশ্বকাপের ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলা হচ্ছে এটিকে। সাকিব নিজেও সেটি মানছেন। তবু তাকে আশাবাদী করে তুলছে দুই দেশের কন্ডিশন।
টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে, সেটা আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের (খেলার) সঙ্গে বেশ মানানসই। সেখানে একই ধরনের পিচ (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। ডালাসেও আমাদের সহায়ক পিচ হতে পারে। তবে আমি জানি না নিউইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’
সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।
আর ক্লাবকর্তাদের অনুরোধে এবার সিদ্ধান্ত বদল করে বার্সাতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাভি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বার্সাতেই থাকবেন।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন জাভি। বার্সা সভাপতির বাড়িতে তাদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ক্লাবের পক্ষ থেকে জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
জাভি দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কিছু কোচের সঙ্গেই আলোচনা করেছিল বার্সা কর্তৃপক্ষ। সাবেক জার্মানি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও ব্রাইটন কোচ রবার্তো ডি জারবির সঙ্গে বিবেচনায় ছিলেন বার্সেলোনা বি দলের কোচ রাফায়েল মারকুয়েজও। কিন্তু জাভিকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন লাপোর্তা। অবশেষে বার্সা সভাপতির ইচ্ছেই পূরণ হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি। গত মৌসুমে দারুণ পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। কিন্তু এ মৌসুমে ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বার্সা। এরই মধ্যে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে কাতালান ক্লাবটি।
বার্সালোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগা
মন্তব্য করুন
আর কিছুদিন পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। যার জন্য ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে সিরিজ সবক্ষেত্রেই ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা।
আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিশেষ পরিকল্পনা দিয়েছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহে। জানা গেছে, মুমিনুল-মিরাজদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অনুশীলন পরিকল্পনা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট সিরিজ জন্য ব্যাটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল বলেন, ‘খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে কিছু নির্দেশনা দেন কোচ। সে রকম একটা মিটিং ছিল। অবশ্য এবারের মিটিংটা একটু আলাদা। লিগ শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনে থাকতে বলা হয়েছে। বিসিবি থেকেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’
হাথুরুসিংহের বিশেষ পরিকল্পনায় কারা অনুশীলন করবে জানতে চাওয়া হলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোচ টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিসিবি এখন কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে। কারণ, বিশ্বকাপ শেষে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ খেলা হবে।’
হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।
এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই টুর্নামেন্টে যুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এ বিষয়ে দ্রুত গতির মানব বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যারীবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি। ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ। এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। বিশ্বকাপের মতো এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’
দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট। তার মতে, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-২০ বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্ট মনে করেন, ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরো মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।
অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। আর এই ফুটবলের বিভিন্ন লিগগুলোই যেন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনপ্রিয় করে তোলে এই খেলাকে। তবে বেশ কিছুদিন যাবত ক্লাব ফুটবলের খেলায় দেখা মিলেছে বড় কয়েকটি অঘটনের। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ সবখানেই যেন ফেভারিট দলগুলো ধাক্কা খাচ্ছে বড় ধরনের।
তিন বছর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে হতাশায় ডুবতে থাকা বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। দায়িত্ব নেয়ার পর গত মৌসুমে ক্লাবকে এনে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপাও। এরপর হঠাৎ চলতি বছরের শুরুতে কাতালান ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। এই কিংবদন্তি ফুটবলার জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান মৌসুম শেষে বার্সার ডাগআউটে আর থাকবেন না। এরপর থেকে অন্য রূপে বার্সা। নিয়মিত পারফর্ম করতে থাকে তারা। দলের এই পরিবর্তনে খুশি কাতালান প্রশাসন। আর যার জন্য ক্লাবকর্তারা অনুরোধ করেছেন জাভিকে থেকে যাওয়ার জন্য।
চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট।