ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেমন হতে পারে ব্রাজিল দল ও তাদের রণকৌশল

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ফুটবল মিশে আছে ব্রাজিলিয়ানদের রক্তে। মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই সহজাত ফুটবল প্রতিভা পেয়ে যায় ব্রাজিলিয়ানরা। অলি-গলি থেকে মাঠ সবর্ত্রই দাপিয়ে বেড়ান ফুটবল নিয়ে। ফলে ফুটবল আর ব্রাজিল দুটো হয়ে উঠেছে সমার্থক শব্দ। ফুটবল বিশ্বকে ব্রাজিল উপহার দিয়েছে অসংখ্য প্রতিভার। যাদের পায়ের জাদুতে মোহনীয় হয়ে থাকতে হয়েছে সকলকেই। সেই লিওনিদাস ডি সিলভা থেকে পেলে, সক্রেটিস, কাফু, রোনালদো কিংবা হাল সময়ের নেইমার- সকলেই মাত করেছেন ফুটবল বিশ্ব। প্রতিটি বিশ্বকাপে তাই ব্রাজিল দল নিয়ে বাড়তি আগ্রহ থাকে সবার। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

ফুটবল বিশ্বকাপের সফলতম দল ব্রাজিল। পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব শুধু তাদেরই রয়েছে। তবে ২০ বছর ধরে কাঙ্খিত সেই শিরোপার দেখা পায়নি সেলেসাওরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর এবার শিরোপা জয়ের জন্যই কাতার বিশ্বকাপে যাচ্ছে দলটি। সে লক্ষ্য ভারসম্যপূর্ণ ও শক্তিশালী দল গড়েছে তারা। দেখে নেয়া যাক দলটির শক্তিমত্তার জায়গাগুলো।

গোলরক্ষক

গোলবারের নিচে ব্রাজিল কোচ তিতের প্রথম পছন্দ লিভারপুল তারকা আলিসন বেকার। বিশ্বকাপে বেকারের কাছে গোলবার সামলানোর দ্বায়িত্ব দেবে ব্রাজিল। তবে প্রিমিয়ার লীগের আরেক তারকা গোলকিপার এদেরসনও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমটা ভালই পার করছেন তিনি। তাদের সাথে রয়েছে পালমেইরাসের গোলরক্ষক ওয়েভেরটন।

রক্ষণভাগ

বেশ ভারসম্যপূর্ণ ও শক্তিশালী এক রক্ষণভাগ রয়েছে ব্রাজিলের। গত কয়েক বছর ধরে রক্ষণে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৭ ম্যাচে মাত্র ৫ গোল খেয়েছে দলটি। ডিফেন্সিভ ডুয়েল, এরিয়েল ডুয়েল এবং বল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সেলেসাওরা সাফল্য ঈর্ষণীয়। সেই সাথে প্রেসিং ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে হতচকিত করে দেয়ার সামর্থ্যও রাখে দলটি। পাশাপাশি বলের দখল হারালে এই প্রক্রিয়ায় গিয়ে দ্রুত তা পুনরুদ্ধার করে তারা।

এবারের ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন ৮ ডিফেন্ডার। অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভা ও দানি আলভেজের সাথে রয়েছেন তরুণ অ্যালেক্স সান্দ্রো-দানিলোর মত ফুটবলার। শুরুর একাদশে এদেরকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিকল্প হিসেবে এদের মিলিতাও, মার্কিনিওস, অ্যালেক্স তেলেসরা তো রয়েছেনই। ফলে প্রতিপক্ষ দলগুলোকেই ভালই পরীক্ষায় ফেলবে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ। 

মাঝমাঠ

ব্রাজিল দলের মাঝমাঠ বেশ বৈচিত্রময়। বলের দখল রেখে পজিশন প্লে তৈরিতে সিদ্ধহস্ত সেলেসাওদের মিডফিল্ড। এতে করে একদিকে যেমন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থাকে নিজেদের কাছে, অন্যদিকে আক্রমণভাগে বলের যোগান দিয়ে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে তারা।

মিডফিল্ডে ব্রাজিলের অন্যতম কান্ডারি কাসেমিরো। গতি আর বুদ্ধিমত্তার জন্য তিতের মূল একাদশের নিয়মিত সদস্য তিনি। এছাড়াও লিভারপুল তারকা ফাবিনিও এবং ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের ফ্রেদের উপর আস্থা রাখবেন তিনি। তাদের সাথে থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে লুকাস পাকেতার। বিকল্প হিসেবে থাকবেন ব্রুনো গিমারেস, এভারটন রিভেইরো।

আক্রমণভাগ

তারকার ছড়াছড়ি ব্রাজিলের আক্রমণভাগে। ফলে এবারের বিশ্বকাপে তারকা সমৃদ্ধ এক আক্রমণভাগ নিয়েই মাঠের লড়াইয়ে নামবে সেলেসাওরা। আক্রমণভাগের মূল নেতা ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। চলতি মৌসুমে গোল করা এবং করানো দুই ক্ষেত্রেই দারুণ সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। সেই সাথে ছন্দে আছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। রদ্রিগো, রাফিনিয়া, রিচার্লিসন এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসরাও যেন উড়ছেন নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, আন্তনি, পেদ্রোও রয়েছেন ফর্মে। ফলে আক্রমণভাগের কান্ডারিদের খুঁজে নিতে মধুর সমস্যায় পড়তে হতে পারে তিতেকে।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল দলের পারফরম্যান্সেও ফরোয়ার্ডদের অবদান স্পষ্ঠ করে দেয়। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর থেকে ম্যাচপ্রতি ৯৬.৯ শতাংশ বেশি গোলের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল। ডি–বক্সে ৭২.৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছে দলটি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রাজিল প্রতি ৯০ মিনিটে গড়ে ৫২৪.১৩টি পাস খেলেছে, যার মাত্র ৫.৬১ শতাংশ হচ্ছে লং পাস। প্রতি ম্যাচে গড়ে ২১৫টি সাইড পাস এবং ফাইনাল থার্ডে পাসের ক্ষেত্রে সেটি ১৪২.৬৩।

নেইমারকে কেন্দ্র করে আক্রমণ পরিকল্পনা সাজাবে ব্রাজিল। দুই উইংয়ে ভিনিসিয়ুস এবং রাফিনিয়াকে রেখে মাঝে খেলবেন নেইমার। গোল করার ক্ষেত্রে রিচার্লিসনও হয়ে উঠতে পারেন ট্রাম্প কার্ড।

ফর্মেশন

৪-৪-৩ ফর্মেশনে খেলাটাই পছন্দ তিতের। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে না খেলিয়ে বিভিন্ন ছোট ছোট কৌশল নিতে দেখা গেছে তিতেকে। নির্দিষ্ট একটি কাঠামোয় ম্যাচ শুরু করলেও, দ্রুত তা বদলে নতুন ফর্মেশনে খেলান দলকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আবার পরিবর্তন করেন ফর্মেশনের। এতে যেমন বৈচিত্র্যের সমাবেশ ঘটে, তেমনি প্রতিপক্ষও তাদের রণকৌশল বুঝতে হিমশিম খায়। কাতার বিশ্বকাপ হয়তো এমন কিছুই করবেন তিনি। তবে মাঠে বেশির ভাগ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে আধিপত্য বিস্তার করে সামনে এগোনোর চেষ্টা করবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।


কাতার বিশ্বকাপ   ব্রাজিল   রণকৌশল   নেইমার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানে নয়, বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই চায় ভারত

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।

তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।

সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে  স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।

এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত।

এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।

বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই।

সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে  সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া  খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল  ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও যায়নি পাকিস্তানে।


পাকিস্তান   চ্যাম্পিয়নস ট্রফি   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে কাতারে লেবাননের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১১ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহায় আল সাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ম্যাচের আয়োজন করছে লেবানন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। লেবানন ও ফিলিস্তিন দুই দেশই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য হোম ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হয়। বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছে কুয়েতে।

এখন জুন উইন্ডোতে লেবাননের ম্যাচ খেলবে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মার্চ উইন্ডোতে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশ দলকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করিয়েছিলেন। জুন উইন্ডোর আগে বড় সময় অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না। কারণ প্রিমিয়ার লিগ চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এর পরই মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে পারবেন কোচ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে কেবল হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটি হোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আরেকটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে লেবাননের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসবে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আরেকবার এসেছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।


বাংলাদেশ   লেবানন   ফুটবল   বিশ্বকাপ ২০২৬   এশিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার কার্লোস তেভেজ

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। একসময় দারুণ ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এল অ্যাপাচি ডাকনাম পাওয়া এই ফুটবলার ফুটবল খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় কোচিং করানো সাবেক এই ফুটবলার দীর্ঘদিন পর এসেছেন আলোচনায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তেভেজ। দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুয়েন্স আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।

২০২২ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া তেভেজ বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন। ক্লাবটির বরাতে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক বার্তায় ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জানিয়েছে, আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। সে পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।

এর আগে গত বছর একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তেভেজ। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩টি। ২০০৬ আর ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। কোপা আমেরিকাতেও তিনটি ফাইনালে হেরেছেন তিনি, ফিরে এসেছেন শিরোপাজয়ের হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা তেভেজ ২০০৩ সালে জিতেছেন কোপা লিবারেটেডর্স। ইংল্যান্ড ও ইতালির ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সফল এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কখনো কোনো ধরনের সমালোচনা শোনা যায়নি।

কার্লোস তেভেজকেও ফুটবল দুনিয়া মনে রাখবে তার আগ্রাসী খেলার জন্য। বর্তমানে কোচিং পেশায় আসা এই স্ট্রাইকার নিজের সময়ে ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েইন রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। খেলেছেন ম্যানসিটির জার্সিতেও। সিটির বড় ক্লাব হয়ে ওঠার চেষ্টায় তিনি ছিলেন প্রথম দিকের সাইনিং।


এল অ্যাপাচি   কার্লোস তেভেজ   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন