লাতিন আমেরিকারে একটি শক্তিশালি দল ইকুয়েডর। সাম্প্রতিক সময়ে ইকুয়েডর অনেক ভালো ফুটবল খেলছে। বিশ্বকাপে যে কোন দলের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা এই টিমের রয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক দেশ কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় তুলে নেয় ইকুয়েডর। অধিনায়ক ভালেন্সিয়ার পা থেকে আসে জয় সূচক দুইটি গোল। প্রথম ম্যাচ জয়ের আত্নবিশ্বাস কাজে লাগাতে চাইবে ডাচদের বিপক্ষেও। অধিনায়ক ভালেন্সিয়ার সাম্প্রতিক ফর্ম এগিয়ে রাখবে ইকুয়েডেরকে। ভালেন্সিয়ারা চাইবেন সর্বোচ্চ দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্য অর্জন করতে। যদিও এর আগে ইকুয়েডর ৩ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৬ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছানো,
যেখানে তারা ইংল্যান্ডের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
নেদারল্যান্ড ফুটবল বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালি একটি দল। শক্তিমত্তার দিক থেকে ইকুয়েডর এর থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে টিম নেদারল্যান্ড। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পায় ডাচরা। ইকুয়েডেররের বিপক্ষে জয় তুলে নিশ্চিত করতে চাইবেন শেষ ষোলোর
টিকিট। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে গ্রুপের সেরা হয়ে কাতারের টিকিট পেয়েছিলো নেদারল্যান্ডস। দারুন ছন্দে রয়েছে উট উইঘস্ট, ফ্রেঙ্কি ডি জংরা ।
তিন বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও এক বারও জিততে পারেনি ডাচরা। এ বার অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই বিশ্বকাপে এসছে তারা। অধরা বিশ্বকাপ এ বার ধরার চেষ্টা করবেন ডি জংরা।
নেদারলান্ডসের বড় শক্তির জায়গা তাদের কোচ। কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কোচ লুইস ফন গাল। প্রায় তিন দশক ধরে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। অভিজ্ঞ লুইস চাইবেন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিষ্যদের সর্বোচ্ছ পারফরম্যান্স বের করতে। ডাচ কোচের আগ্রাসী ফুটবলই পচন্দ বেশির ভাগ সময়ে তিনি দলকে ৪-৩-৩ ছকে মাঠে নামান। কাতারেও দলকে আগ্রাসী ছন্দবদ্ধ ফুটবল খেলাচ্ছেন
ফন গাল।
নেদারল্যান্ডস তাদের ফিফা বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে জয় দিয়ে একটি অসাধারণ শুরু করেছে। ডাচরা সেদিন জয় নিশ্চিত হওয়া থেকে অনেক দূরে ছিল, তবুও ৮৪তম মিনিটে সি গ্যাকপোর একটি গোল এবং ডেভি ক্ল্যাসেনের স্টপেজ টাইম স্ট্রাইকের সৌজন্যে জয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
ডাচদের অন্যতম ভরষার প্রতিক ভার্জিল ভ্যান ডিজিক যিনি জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষ কে দমিয়ে রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। তাই ডি জংকের সাথে ভ্যান ডিজিকের দিকেও তাকিয়ে থাকবে ডাচ শিবির। অন্যদিকে ইকুয়েডর আশা করবে ভ্যালেন্সিয়া থেকে আরও একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের।
কাতার বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখী হচ্ছে এ দুই দল। অতীতে ডাচদেরে বিপক্ষে দুবার মাঠে নেমেছিলো ইকুয়েডর। সর্বপ্রথম ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। ম্যাচটি ছিলো আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। সেবার ১-০ গোলে জয় লাভ করে নেদারল্যান্ডস। পরেরবার ২০১৪ সালে দ্বিতীয় মুখোমুখীতে ড্র করে উভয় দল। ফলে ডাচদের বিপক্ষে এখনো জয়ের দেখা নেই ইকুয়েডরের। সাম্প্রতিক সময়ে ইকুয়েডর ভালো ফর্ম যে কোন দলের জন্য ভয়ের। তবে খাতা কলমে এগিয়ে থাকবে নেদারল্যান্ডস। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা শুক্রবারের ম্যাচে এগিয়ে রাখবে ডাচদের।
গ্রুপ ‘এ” শক্তিশালী দুইদলের ম্যাচটি খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদশ সময় রাত ১০ টায়।
কাতার বিশ্বকাপ ইকুয়েডর নেদারল্যান্ড
মন্তব্য করুন
আইপিএল কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঞ্জাব
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।
নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’
স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’
গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।
আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
মন্তব্য করুন
এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।
এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
নারী ক্রিকেট এশিয়া কাপ বাংলাদেশ আম্পায়ারিং সাথিরা জাকির জেসি
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।
সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।
সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'
জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।
রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।