ইনসাইড গ্রাউন্ড

লাল কার্ড নাটকীয়তার পর ইরানের জয়

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

কাতার বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ওয়েলস ও ইরান। দোহার আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইরান। সে ম্যাচে শেষ মুহুর্তের নাটকীয়তায় দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে ইরান। ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেলো এশিয়ার দলটি।

কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচে লড়ছে ওয়েলস ও ইরান। 'বি' গ্রুপের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দোহার আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপে এটি দুই দলেরই দ্বিতীয় ম্যাচ।

ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখলের জন্য লড়াই চালায় দুই দলই। এ ম্যাচে মাঠে নেমে ওয়েলসের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব গড়লেন গ্যারেথ বেল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে ওয়েলসকে চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় ইরান। বল জালে জড়ান আলি গোলিজাদাহ। তবে ভিএআরে দেখা যায় অফ সাইডে ছিলেন তিনি। তাই গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। 

ম্যাচে নিজেদের ইউরোপিয় ফুটবলের প্রদর্শন খুব একটা দেখাতে পারেনি ওয়েলস। ইরানের প্রেসিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিলেন তারা। ২৯ মিনিটে ডি-

বক্সের বাইরে থেকে দুর্বল শট নেন বেল। সরাসরি তা গ্লাভসে জমা করেন ইরানের গোলরক্ষক। ৪২ মিিনিটে উইলসন আরো একটি সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন। সে যাত্রায়ও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় ওয়েলস। প্রথমার্ধ্বের অতিরিক্ত সময়ের খেলায় মেহেদী তারেমিকে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন জো রডন। নির্ধারিত সময়ে কেউই গোল আদায়ে ব্যর্থ হলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর ৫১ মিনিটে হতাশ হতে হয় ইরানকে। সরদার আজমাউনের গোলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৬ মিনিটের মধ্য টানা চারটি আক্রমণ করে ওয়লসকে দিশেহারা করে দেন ইরানের ফুটবলাররা। ম্যাচে ফিরতে ৫৭ মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন আনেন ওয়েলস কোচ। হ্যারি উইলসন ও কনর রবার্টসের পরিবর্তে মাঠে নামেন ড্যানিয়েল জেমস ও ব্রেনান জনসন। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ইরানের কাছ থেকে বলের দখলই নিতে পারছিলো না ইরোপের দলটি।

৬৪ মিনিটে আবারো ওয়েলসের রক্ষণে ঢুকে পড়েন ইরানের ফরোয়ার্ড মেহেদী তারেমি। তবে সেখান থেকে গোল আদায়ে ব্যর্থ হন তিনি। ৬৮ মিনিটে দলে পরিবর্তন আনে ইরানও। আজমাউনের বদলি হিসেবে মাঠে ঢোকেন করিম আনসারিফার্দ। ৭০ মিনিটে আহমাদ, ৭১ মিনিটে পৌরালিগাঞ্জি, ৭৩ মিনিটে ইজাতোলাহির পাওয়া সুযোগ নষ্ট হয়।

ইরানের আক্রমণাত্নক ফুটবলের কাছে খোলসবন্দী হয়ে পড়তে হয় ওয়েলসকে। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি ইউরোপর ক্লাবগুলোতে খেলা ওয়েলস ফুটবলাররা। গোলের আশায় মরিয়া হয় ৭৭ মিনিটে জোড়া ফুটবলার পরিবর্তন আনে ইরান। অধিনায়ক হাজাসাফি ও গোলিজাদেহকে উঠিয়ে নেন ইরান কোচ। মাঠে নামেন জাহানবাক্স ও তোরাবি। এতে আক্রমণের ধার বাড়ে ইরানের।

৮৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়েলস তারকা রামসে। তবে তা কাজে লাগাতে পারেন নি তিনি। পরের মিনিটে অবশ্য লিড নিতে পারতো ওয়েলস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বেন ডেভিসের বুলেট গতির শট লাফিয়ে ইঠে পোষ্টের বাইরে পাঠান ইরান গোলরক্ষক হুসেইনি। এরপরই ম্যাচ আসে নাটকীয় মোড়।

৮৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক সুযোগ সৃষ্টি হয় ইরানের সামনে। ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে সেখানে থাকা ওয়েলসের একমাত্র ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গলোমুখের দিকে এগোতে থাকেন  ইরানের স্ট্রাইকার মেহেদী তারেমি। বিপদ বুঝতে পেরে ডি-বক্স ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। তারেমিকে ফাউল করে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হলুদ কার্ড দেখায় রেফারি। তবে ভিএআরের সহয়তা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন রেফারি। সরাসরি লাল দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন হেনেসিকে। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ওয়েলস। আর এর মধ্য দিয়ে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম লাল কার্ডের ঘটনা দেখলো ফুটবল বিশ্ব। অ্যারন রামসেকে উঠিয়ে বদলি গোলকিপার হিসেবে মাঠে আসেন ড্যানি ওয়ার্ড।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওয়েলসের  রক্ষণে একের পর আক্রমণ করে যেতে থাকে ইরান। দ্বিতীয়ার্ধ্বের যোগ করা সময়ে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ডি-বক্স থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ইরানের রোজবেহ চেশমির কাছে বল তুলে দেয় ওয়েলস ডিফেন্ডাররা। সেখান থেকে দারুণ এক শটে গোল করে ইরানকে এগিয়ে দেন চেশমি। ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকা ম্যাচে ফিরে আসে নাটকীয়তা।

এতে উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে ইরান। বারবার ওয়েলসের ডিফেন্স আক্রমণ করতে থাকে। তার সুফলও পায় দলটি। শেষ মিনিটে ওয়লসের কফিনে আরো একটি পেরেক ঠুঁকে দেন রামিন রিজিয়াহ। ২-০ গোলে এগিয়ে জয় নিশ্চিত করে এশিয়ার দলটি। শেষ মুহুর্তের নাটকীয় জয়ে উল্লাসে মেতে উঠে ইরানের ডাগআউট। আর ওয়েলসের হয়ে রেকর্ড গড়া ম্যাচ খেলতে নেমে হারের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়েন গ্যারেথ বেল। সঙ্গী হয় বাকি সতীর্থরা।


কাতার বিশ্বকাপ   ওয়েলস   ইরান   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে কাতারে লেবাননের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ১১ জুন নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে কাতারের দোহায় আল সাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ম্যাচের আয়োজন করছে লেবানন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভেন্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন। লেবানন ও ফিলিস্তিন দুই দেশই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য হোম ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে হয়। বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছে কুয়েতে।

এখন জুন উইন্ডোতে লেবাননের ম্যাচ খেলবে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে বাংলাদেশের একাধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মার্চ উইন্ডোতে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বাংলাদেশ দলকে সৌদি আরবে দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করিয়েছিলেন। জুন উইন্ডোর আগে বড় সময় অনুশীলন করানোর সুযোগ পাবেন না। কারণ প্রিমিয়ার লিগ চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এর পরই মূলত জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করতে পারবেন কোচ।

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে কেবল হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি দুই ম্যাচের একটি হোমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, আরেকটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে লেবাননের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই যাত্রা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ ৬ জুন কিংস অ্যারেনায় অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে আসবে। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আরেকবার এসেছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।


বাংলাদেশ   লেবানন   ফুটবল   বিশ্বকাপ ২০২৬   এশিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার কার্লোস তেভেজ

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। একসময় দারুণ ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছিলেন তিনি। এল অ্যাপাচি ডাকনাম পাওয়া এই ফুটবলার ফুটবল খেলা ছাড়লেও ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি।

বর্তমানে আর্জেন্টিনায় কোচিং করানো সাবেক এই ফুটবলার দীর্ঘদিন পর এসেছেন আলোচনায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তেভেজ। দেশটির গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, বুয়েন্স আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।

২০২২ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া তেভেজ বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন। ক্লাবটির বরাতে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক বার্তায় ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জানিয়েছে, আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। সে পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।

এর আগে গত বছর একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তেভেজ। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩টি। ২০০৬ আর ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। কোপা আমেরিকাতেও তিনটি ফাইনালে হেরেছেন তিনি, ফিরে এসেছেন শিরোপাজয়ের হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে।

২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ক্লাব পর্যায়ে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা তেভেজ ২০০৩ সালে জিতেছেন কোপা লিবারেটেডর্স। ইংল্যান্ড ও ইতালির ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সফল এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কখনো কোনো ধরনের সমালোচনা শোনা যায়নি।

কার্লোস তেভেজকেও ফুটবল দুনিয়া মনে রাখবে তার আগ্রাসী খেলার জন্য। বর্তমানে কোচিং পেশায় আসা এই স্ট্রাইকার নিজের সময়ে ছিলেন অন্যতম সেরা। ওয়েইন রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দারুণ সময় পার করেছেন এই আর্জেন্টাইন। ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। খেলেছেন ম্যানসিটির জার্সিতেও। সিটির বড় ক্লাব হয়ে ওঠার চেষ্টায় তিনি ছিলেন প্রথম দিকের সাইনিং।


এল অ্যাপাচি   কার্লোস তেভেজ   আর্জেন্টিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘মুস্তাফিজের জন্য ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার’

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও এবারের আইপিএল স্বপ্নের মতোই শুরু করেছিল বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষ ৩টি ম্যাচে বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি এই কাটার মাস্টার। একটি করে উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। গতকাল লখনৌয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে চেন্নাই সমর্থকদের জন্য রীতিমতো ভিলেইন হিসেবে পরিণত হয়েছেন তিনি।

এবার আইপিএলের জন্য মুস্তাফিজুর রহমানকে শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর ১ দিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। ১ মে চেন্নাই বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচ রয়েছে। সব ঠিক থাকলে সেই ম্যাচ খেলে পরদিন ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ।

মূলত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মুস্তাফিজকে খেলানোর পরিকল্পনা বিসিবির। তাই আইপিএলের পুরো আসরের জন্য মুস্তাফিজকে এনওসি দেয়নি বোর্ড। কয়েক দিন আগেই মুস্তাফিজকে আইপিএলে না খেলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর ব্যাখা দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আইপিএলে থেকে এই পেসারের শেখার কিছু নেই।

বিসিবির এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় ধারাভষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। তিনি বলেন, 'মুস্তাফিজ ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ডোয়াইন ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার।'

‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ডিরেক্টর যা বলেছে আশা করি তা মিথ্যা হবে। কারণ সে বলেছে আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটা। আসলে বাংলাদেশের রীতিটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।’

আগামী ৩ মে থেকে ঘরের মাঠে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-২০, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি   ফ্লেমিং   হার্শা ভোগলে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের বিপক্ষে শক্তিশালী দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৩ মে থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যার জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার এই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিকান্দার রাজার নেতৃত্বে এই দল ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)।

অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়ে শক্তিশালী দল সাজিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ঘোষিত স্কোয়াডে আছেন ১ নতুন মুখ। দলে নতুন মুখ জনাথন ক্যাম্পবেল। এছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানির মতো ক্রিকেটার।

বর্তমানে স্থায়ী প্রধান কোচ নেই জিম্বাবুয়ের। তাই আসন্ন এই সফরে দলটির অন্তর্বতীকালীন প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন স্টুয়ার্ট মাতসিকেনিয়েরি।

আগামী ৩ মে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ।

জিম্বাবুয়ে দল- সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও শন উইলিয়ামস।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন