ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরের রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ঘানা, ব্যাকফুটে দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সাথে ড্র করেছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। আর পর্তুগালের বিপক্ষে হেরে যায় ঘানা। বিশ্বকাপে 'এইচ' গ্রুপের এই ম্যাচটিতে দুই দলের লড়াই ছিলো রাউন্ড অব সিক্সটিনের পথে এগিয়ে যাওয়ার। আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে দেখা গেলো নানা রং। বৈচিত্রপূর্ণ ম্যাচটিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো ঘানা। এ হারে আরো ব্যাকফুটে চলে গেলো দক্ষিণ কোরিয়া। 

তবে ম্যাচের শুরু থেকে ঘানাকে চেপে ধরেছিলো দক্ষিণ কোরিয়াই। ম্যাচের ৪ মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে দলটি। তবে গোল আসেনি। ৪ মিনিট পর আবারো সুযোগ পায় দলটি। সেবারও তা কাজের লাগাতে পারেনি কোরিয়ানরা। আর টানা আক্রমণে বল নিজেদের পায়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন ঘানার ফুটবলার। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে ৬টি কর্নার পেলেও সেখান থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেন নি সন হিং মিউনরা। 

২১ মিনিটে ম্যাচের প্রথমবারের মতো আক্রমণে উঠতে দেখা যায় ঘানাকে। তবে ম্যাচ ততক্ষণ নিজের ছায়া হয়ে থাকা দলটিই ম্যাচে প্রথম এগিয়ে যায় ঘানাই। ২৪ মিনিটে সেট পিস থেকে গোল করেন মোহাম্মাদ সালিসু। ডি-বক্সে বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডার থাকলেও বল জড়ান জালে। গোলের পর হ্যান্ডবলের আবেদন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলাররা। তবে ভিএআরের সহায়তা নিয়ে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন অনফিল্ড রেফারি।

এরপর যেন বদলে যায় ঘানা। ফিরে পায় নিজেদের গতি। একের পর আক্রমণ করে চাপ বাড়াতে থাকে কোরিয়ানদের রক্ষণে। আর টানা আক্রমণে খানিকটা এলোমেলো হয়ে ওঠে কোরিয়ার রক্ষণভাগ। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ঘানা। ৩৪ মিনিটে জর্দান আইয়ুর ক্রস থেকে হেডে দারুণ এক গোল করেন মোহাম্মাদ কুদুস। ২-০ গোলের লিড নেয় দলটি।

খেলার ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি কোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শট লাফিয়ে উঠে পোষ্টের বাইরে পাঠিয়ে দেন ঘানার গোলরক্ষক জিগি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার পায় ঘানা। তবে সেখান থেকে কোন সুযোগ তৈরি হয়নি। শেষ মিনিটেও কর্নার পেলেও অল্পের জন্য গোল হয়নি। নির্ধারিত সময় শেষে তাই ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় দলটি।

বিরতির পর ৫০তম সিনিটে প্রথম গোছানো আক্রমণ চালায় ঘানা। তারিক লেমটের নেয়া শটটি বারের খানিকটা পাশ দিয়ে চলে যায়। তবে তিন মিনিট পর ঘানার রক্সণভাগের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন কিম জিন সু। তবে ক্ষিপ্রতার সাথে নিশ্চিত সে গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন জিগি। তবে ৫ মিনিট পরই ব্যবধান কমায় দক্ষিণ কোরিয়া। ৫৮ মিনিটে লেফট উইং থেকে লি কানগিনে ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে পরাস্ত করেন চো গিউন সাং। ব্যবধান কমায় দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের ৬১ মিনিটে আবারো  ঘানাকে চমকে দেন চো গিউন সাং। এবারো রাইট উইং থেকে কিম জচিন সু'র বল উড়ন্ত এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান গিউন সাং। করেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল।

নাটকীয়তার তখনও অনেক বাকি। সমতায় ফেরার পর ম্যাচটিতে প্রাণ ফিরে পায় দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলাররা। ৬৮ মিনিটে কোরিয়ানদের হতাশা বাড়িয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মোহাম্মাদ কুদুস। বাঁ পাশ থেকে আসা একটি বল সতীর্থ ফুটবলার পায়ে লাগাতে না পারলে, সেটি চলে যায় কুদুসের কাছে। ফাঁকা জায়গায় দাড়িয়ে থাকা এই ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন। এতে ম্যাচে আবারো লিড পায় ঘানা। ৭৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সমতায় ফিরতে পারতো কোরিয়া। বদলি হিসেবে নামা লি কানগিনের শট সরাসরি বারের কোণ ঘেষে ঢুকে যাচ্ছিলো। তবে এবারও ঘানাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষ জিগি। এরপর টানা তিনটি আক্রমণ থেকেও গোলের সুযোগ এসেছিল এশিয়ার দলটির কাছে। তবে গোল আদায়ে ব্যর্থ হন ফুটবলাররা।

৭৬ মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিলেন কিম জিন সু। তবে সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে দলে পরিবর্তন আনেন দুই দলের কোচই। গোলের আশায় বারবার ঘানার অর্ধে আক্রমণ করতে থাকেন কোরিয়ার ফুটবলাররা।

তৈরি করেছিলেন বেশ কয়েকটি নিশ্চিত সুযোগ। তবে গোল পোষ্টের নিচে ঘানার গোলরক্ষক হয়ে উঠেছিলেন চীনের মহাপ্রাচীর। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সন হিন মিউন ও চো গিউন সাংয়ের দুইটি গোল নসাৎ করে দিলে হতাশা বাড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার। 

আর কোন গোল না হলে, হারের বেদনা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় কোরিয়ানদের। আর দুর্দান্ত এক জয় সঙ্গী করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরে আফ্রিকার দলটি। বিশ্ব দেখলো একটি ফুটবল ক্ল্যাসিক।

তবে ম্যাচ শেষে খেলার উত্তেজনা গড়ায় মাঠের বাইরেও। রেফারির সাথে তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ পাওলো বেনিতো।


কাতার বিশ্বকাপ   দক্ষিণ কোরিয়া   ঘানা   এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

প্রকাশ: ০১:০৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ফিরছে চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলতে হোমগ্রাউন্ডে ফিরছে ধোনি-মুস্তাফিজদের চেন্নাই। পয়েন্ট টেবিলে আছে চতুর্থ স্থানে। গত ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে তাদের ঘরের মাঠে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এবার নিজেদের মাঠে সেই লখনৌকেই আতিথ্য দেবে ধোনিরা।  

এই ম্যাচে থাকার সম্ভাবনা আছে মুস্তাফিজুর রহমানের। চিপাকের পিচে ফিজ বেশ কার্যকরী। পেয়েছেন ৮ উইকেট। মাথিশা পাথিরানার সঙ্গে আজও তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটাই হয়ত ফিজের চেন্নাই পর্বের শেষের শুরু। ঘরের মাঠে পরের তিন ম্যাচ খেলবে চেন্নাই। আর এই তিন ম্যাচ দিয়েই ফিজ পর্ব শেষ হবে আইপিএলে। 

চেন্নাই সুপার কিংসের দশম ম্যাচ পর্যন্ত আইপিএলে থাকছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ খেলতে দেশে ফিরে আসবেন তিনি। আর ফিজের এমন বিদায়কে দুঃখজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি। 

লখনৌ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি টাইগার পেসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার (মুস্তাফিজ) স্লোয়ার বলটা অসাধারণ যেটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। কিন্তু তার দেশ তাকে ডাকছে। সে যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’ 

মুস্তাফিজকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ২৮ এপ্রিল ও ১ মে যথাক্রমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এবারের আসরে ছয় ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুস্তাফিজ। ২০.৫৪ গড় আর ৯.৪১ ইকোনমিতে বোলিং করে ১১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। 

আইপিএলে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে মুস্তাফিজরা। 


মুস্তাফিজ   চেন্নাই   আইপিএল   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুম্বাইকে হারিয়ে প্লে অফের পথে আরেক ধাপ এগোলো রাজস্থান

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের ১০০তম ম্যাচ সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তার দল হেরেছে ৮ উইকেটে। সবাইকে অবাক করে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিলেন হার্দিক। মুম্বাই করে ৯ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাবে রাজস্থান ১৮.৪ ওভারে ১ উইকেটে করে ১৮৩ রান। সঞ্জু স্যামসনের দলের জয়ের দুই নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল এবং সন্দীপ শর্মা। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লেঅফের দিকে আরো এক পা এগিয়ে গেল প্রতিযোগিতার প্রথম বারের চ্যাম্পিয়নেরা।

১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীরে করেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার। তবে ইনিংস যত এগিয়েছে তত রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। সঞ্জুদের ইনিংসের ৬ ওভারের পর বৃষ্টি নামে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। তাতেও রাজস্থানের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটেনি। বাটলার ২৫ বলে ৩৫ রান করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হয়ে গেলেও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন যশস্বী। নিজের এবং দলের ইনিংসকে মসৃণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। যশপ্রীত বুমরাকেও পরোয়া করলেন না তরুণ ওপেনার। এ বারের আইপিএলে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। প্রশ্ন উঠছিল তার ফর্ম নিয়ে। সোমবার সমালোচকদের জবাব দিলেন অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলে। ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ৬০ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৭টি ছক্কায়।

জয়সওয়ালকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জুও। তিনিও সাবলীলভাবে ব্যাট করেন। মুম্বাইয়ের বোলারেরা রাজস্থানের ব্যাটারদের তেমন কোনো সমস্যায় ফেলতেই পারেননি। সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি করে চার এবং ছয়ে। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে পীযূষ ৩৩ রানে ১ উইকেট নেন। জয়পুরের ২২ গজে সাধারণ দেখাল বুমরা, হার্দিকদের।

জয়পুরের ২২ গজে সুবিধা করতে পারেননি মুম্বাইয়ের উপরের দিকের ব্যাটারেরা। সন্দীপ এবং ট্রেন্ট বোল্টের দাপটের সামনে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। তার পরেও মুম্বাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দুই তরুণ তিলক বর্মা এবং নেহাল অধেরা। পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (০) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মেহাম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করেন ১৭ বলে ২৩ রান। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তার ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বাইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।

এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ নেন ১৮ রানে ৫ উইকেট। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোল্ট এদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পূর্ণ করেন।


মুম্বাই   রাজস্থান   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার আইপিএলে চার-ছক্কার লড়াইয়ে শীর্ষে যারা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। যেখানে শুরু থেকেই  বোলারদের চেয়ে ব্যাটারদের নৈপূন্যতা যেন একটু বেশিই চোখে পড়ার মত। কারণ ভারতের ঘরোয়া এই ফ্রাঞ্চইজি লিগের এবারের আসরে প্রতিটি দলই যেন রানের বন্যায় ভাসছে। 

টি-টোয়েন্টি সাধারণত চার ছক্কার খেলা হয়ে থাকলেও এতে বোলারদেরও নৈপুণ্যতা কম থাকে না। তবে আইপিএলে এবারের আসরে সব বোলারাই যেন নড়বড়ে অবস্থায় থাকছেন। কারণ আন্তর্জাতিক খেলায় যেখানে অনেক বোলার ৪ ওভার বল করে সর্বোচ্চ ৩০ রান দিতেন, সেখানে আইপিএলে এবার প্রায় ম্যাচেই সেই বোলারদেরও দিতে হচ্ছে ৪০ এর উপরে রান।

শুধু তাই নয়, চলমান আইপিএলে দুইশো রানও যেন অতি সহজেই করে ফেলছে ব্যাটাররা। এছাড়াও ৬৪৯ ছক্কা এবং ১ হাজার ১২২টি চার দেখেছে এবারের আইপিএল। তাই বলা যায় এবারের আসরটা যেন একেবারেই ব্যাটারদের জন্য। 

আর এই চার-ছক্কা হাঁকানোর লড়াইয়ে আইপিএলে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে হায়দরাবাদের ব্যাটাররাই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাই ভেঙে চলেছে একের পর এক রেকর্ড। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে ৬ ওভারেই তারা তুলে নেয় ১২৫ রান। 

এবারের আসরে চারের সংখ্যা অনেকটা কম হলেও ছক্কা হাঁকানোর দিক থেকে সবার ওপরে আছেন সানরাইজার্সেরই দুই ব্যাটার। হেনরিখ ক্লাসেন হাঁকিয়েছেন ২৬ ছক্কা। এরপরেই আছে অভিষেক শর্মার নাম। তরুণ এই ভারতীয় ব্যাটার হাঁকিয়েছেন ২৪ ছক্কা। আর ক্লাসেন ২৬ ছক্কার বিপরীতে চার মেরেছেন ৯টি । অভিষেক ২৪ ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ১৮টি চার। সবচেয়ে বেশি ৩৯ চার হাঁকানো সানরাইজার্সের ট্রাভিস হেড ১৮টি ছক্কা মেরে দখল করেছেন ছক্কা হাঁকানোর তালিকার সপ্তম স্থান।   

এদিকে ছয় হাঁকানোর দিক থেকে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন  তিনজন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুনীল নারিন হাঁকিয়েছেন ২০ ছক্কা। সমান সংখ্যক ছক্কা মেরেছেন রাজস্থান রয়্যালসের রিয়ান পরাগ এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের নিকোলাস পুরান। আর বেঙ্গালুরুর দীনেশ কার্তিক মেরেছেন ১৯ ছক্কা। 

অপরদিকে ১৮টি করে ছক্কা মেরেছেন ট্রাভিস হেড, রোহিত শর্মা এবং ভিরাট কোহলি। হেড এবং কোহলি দুজনেই আছেন চার মারার তালিকার শীর্ষে। কারণ সর্বোচ্চ ৩৯টি চার মেরেছেন হেড। আর কোহলির ব্যাটের অর্জন  ৩৬ চার। 

ত্রিশের বেশি চার মেরেছেন আরও দুজন। কলকাতার ফিল সল্ট চার হাঁকিয়েছেন ৩১ বার। আর রোহিত শর্মা মেরেছেন ৩০ চার। রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ চার। ২৬টি চার মেরেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং গুজরাটের শুভমান গিল। এছাড়াও ২৮টি করে চার মেরেছেন কলকাতার সুনীল নারিন এবং গুজরাটের সাই সুদর্শন।


আইপিএল   টি-টোয়েন্টি   গুজরাট   ভারত   কলকাতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএল শেষ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে আইপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ রিকি পন্টিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আইপিএলে দিল্লির হয়ে ৩ এপ্রিল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন মার্শ। এরপর ১২ এপ্রিল ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সারাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মেডিকেল স্টাফদের দ্বারস্থ হন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। আইপিএলে মার্শ ফিরবেন কবে, তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ চোট থেকে সেরে উঠতে তাঁর পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন ছিল।

দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে পন্টিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না সে ফিরে আসবে। বদলি খেলোয়াড়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া আছে। সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে দ্রুত নিজেদের কাছে চেয়েছে এবং আমরাও যত দ্রুত সম্ভব তাকে পাঠিয়েছি।’

পন্টিং এরপর বলেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা তার পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার দেখভাল করছে। সেদিন তার (মার্শ) সঙ্গে কথা হলো, যেটা বুঝলাম সে যেমন ভেবেছিল তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। তবে আমার মনে হয় না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে।’ ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মার্শের।

দিল্লির হয়ে আইপিএলে এ মৌসুমে ৪ ম্যাচ খেলেছেন মার্শ। ৩ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মোট ৬১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ স্কোর ২৩। বোলিংয়ে ৮ ওভারে ১২.৮৭ ইকোনমিতে পেয়েছেন ১টি উইকেট। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম আইপিএলের মাঝপথে মার্শকে হারাল দিল্লি। সাড়ে ৬ কোটি রুপিতে মার্শকে কিনে গত বছর তাঁকে মাত্র ৯ ম্যাচ খেলাতে পেরেছে দিল্লি। এবার ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল টেবিলে অষ্টম দিল্লি। জিতেছে ৩ ম্যাচ, হেরেছে ৫ ম্যাচ।


আইপিএল   মিচেল মার্শ   অস্ট্রেলিয়া   রিকি পন্টিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে ম্যাচ হারের পর ডু প্লেসি-কারেনের জরিমানা

প্রকাশ: ০৭:৪৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মাত্র ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। যেখানে হতাশায় ডুবেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এদিন আরেক খেলায় গুজরাট টাইটানসের কাছে ৩ উইকেটে পরাজিত হয়েছে পাঞ্জাব কিংস। তবে ম্যাচ হারের পর দুই দলের অধিনায়ককেই গুনতে হলো জরিমানা।

আচরণবিধি ভঙ্গ করার দায়ে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। কলকাতার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ওভাররেটের আইন ভঙ্গের কারণে তাকে এই জরিমানা করা হয়। চলতি মৌসুমে এই প্রথম জরিমানা গুনলেন ডু প্লেসি।

অপরদিকে পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেনকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ জরিমানা বিবৃতিতে জানিয়েছে, আচরণবিধি সংশ্লিষ্ট ধারা ২.৮ এর লেভেল ১ ভঙ্গ করেছেন কারেন। যেখানে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে কারেনের বিপক্ষে।

চলতি মৌসুমে বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব-দুই দলের অবস্থাই করুণ। ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে টেবিলের তলানীতে আছে বেঙ্গালুরু। আর সমান ম্যাচে ২ জয়ে টেবিলের নিচ থেকে দ্বিতীয়স্থানে আছে পাঞ্জাব।


আইপিএল   ফাফ ডুপ্লেসি   স্যাম কারেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন