ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ জাপানের, কোয়ার্টার ফাইনালে মদরিচরা

প্রকাশ: ১১:৫৮ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

এশিয়ান ফুটবলের নতুন ভোর নাকি, ক্রোয়েটদের প্রত্যাবর্তন। জাপান-ক্রোয়েমিয়ার ম্যাচের আগে ফিরে ফিরছিলো এই প্রশ্ন। গ্রুপপর্বে দুরন্ত জাপানকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। আর সেটা খুবই যৌক্তিক। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে তারা হারিয়ে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেনকে। তবে নতুন গল্প লেখা হলো না সুর্যোদয়ের দেশটির। টাইব্রেকারে ৩-১ এ জয় নিয়ে শেষ আটে পা দিলো বলকান দেশটি। আর কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেলো জাপানের।

ম্যাচের ৩ মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে ভীতি ছড়ায় জাপান। তবে শোগো তানিগুইচির নেয়া হেডটি গোলরক্ষকে পরাস্ত করলেও পোষ্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। শুরুতেই এগিয়ে যা্য়ার সুযোগ হারায় এশিয়ার দলটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াবে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ইভান পেরিসিচ। বাম প্রান্তে এক ডুয়েল থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। জাপানের গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেন নি পেরিসিচ। ১৩ মিনিটে জুনায়ার ক্রস থেকে ভাল সুযোগ থাকলেও জায়গা মতো ছিলেন মাইয়েদা।

২৪ মিনিটে গোলের সুযোগ হারায় ক্রোয়েশিয়া। পেরিসিচের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন জোসকো। তবে তার বাম পায়ের শটটি বারের উপর দিয়ে চলে যায়। টানা আক্রমণে মদরিচদের রক্ষণে ভাল চাপ তৈরি করে জাপান। তবে বারবার আক্রমণে গেলেো গোল আদায়ে ব্যর্থ হয় দলটি। ৪১ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভেদ করে সুন্দর একটি পাস পান কামাদা। তবে যে শটিট তিনি নিয়েছিলেন, তা বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

৪৩ মিনিটে ম্যাচে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় জাপান। শর্ট কর্নার থেকে ইয়োশিদার ক্রস পেনাল্টি বক্সের ভেতরে এক ক্রোয়েট ফুটবলারের গায়ে লেগে চলে যায় মাইয়েদার পায়ে। প্রথম সুযোগে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় এশিয়ার দলটি।

বিরতির পর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে থাকে দুই দলই। ৪৬ মিনিটেই ব্যবধান বাড়াতে পারতো জাপান। তবে গোল করতে ব্যর্থ হন কামাদা। তিন মিনিট পর আক্রমণে উঠে ক্রোয়েশিয়া। তবে সেখান থেক দলকে সমতায় ফেরাতে পারেন নি কোভাচিচ। পরের মিনিটে মরিতার শট প্রতিহত করেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বর্তমান রানার্সআপদের। দ্রুতই সমতায় ফেরেছ লুকা মদরিচের দল। ৫৩ মিনিটে লভরেনের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান ইভান পেরেসিচ। স্বস্তি ফেরে ক্রোয়েটদের ডাগআউটে।

৫৮ মিনিটে এন্দোর নেয়া শট প্রায় জালে ঢুকেই গিয়েছিলো, তবে আবারো ক্রোয়েশিয়ার ত্রাতা হয়ে উঠেন লিভাকোভিচ। লাফিয়ে উঠে সে শট বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। দুই মিনিট পর রিতসু দোয়ানের আরেকটি শট আটকে দেন তিনি। ৬২ মিনিটে দলে প্রথম পরিবর্তন আনে ক্রোয়েশিয়া। পেতকোভিচকে উঠিয়ে বুদিমিরকে মাঠে নামান জ্লাতকো দালিচ।

৬৩ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে জোরালো এক শট নেন লুকা মদরিচ। দারুণ এক ভলিতে বল যাচ্ছিলো জালের দিকে। তবে এবার জাপান গোলরক্ষক সুইচি গন্দা ফিরিয়ে দেন সে শট। কর্নার পায় ক্রোয়োশিয়া। পরের মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন করে জাপান। নাগাতোমো-মাইয়েদার বদলি হিসেবে মাঠে নামে মিতোমা ও আসানো।

৬৭ মিনিটে ক্রোয়োশিয়াকে এগিয়ে দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বদলি হিসেবে নামা বুদিমির। ফাঁতা জায়গায় বল পেয়েও এলোমেলো শটে হতাশ করেন দলকে। ৭৪ মিনিটে ব্যর্থ হন পাসালিচও। ৭৭ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া পেরিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন গন্দা। মদরিচের নেয়া সে কর্নার থেকে বিপদ হতে পারতো। তবে বারিসিচের নেয়া শট ক্লিয়ার করেন দোয়ান।

৮৬ মিনিটে পাছালিচ সুযোগ নষ্ট করলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি ক্রোয়েশিয়ার। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা থাকলে চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। 

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দল। ৯২ মিনিটে দারুণ গতিতে তানিগুইচি প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢুকলেও গোল করতে পারেন নি। ৯৯ মিনিটে লুকা মদরিচ-কোভাচিচের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লোভরো মাজের এবং ভ্লাসিচ। তবে তাতেও বদলায়নি ম্যাচের চিত্র। দুই মিনিট পর পেরিসিচ ও ভ্লাসিচের আক্রমণও নষ্ট হয়ে যায়। ১০৫ মিনিটে মিতোমা ও এন্দোর প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখেনি।

১১৬ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বারিসিচ। অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহুর্তেও গোল করতে ব্যর্থ হন মাজের। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকে।  ফলে ফল নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকারে গড়ায় জাপান-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ।

স্পট কিক থেকে নেয়া মানামিনোর প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। তবে লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয় শট ডান পাশে ঝাঁপিয়ে আটকে দিয়ে ক্রোয়েটদের নায়ক হয়ে ওঠেন লিভাকোভিচ। পরের শট থেকে ব্যবধান ২-০ করেন ক্রোয়েশিয়ার ব্রজোভিচ। তৃতীয় শট থেকে গোল করেন আসানো।

ক্রোয়েশিয়ার নেয়া তৃতীয় শট বারে লেগে ফিরে আসলে আশা বেঁচে থাকে জাপানের। তবে ব্যর্থতা ভাঙতে পারেনি জাপান। চতুর্থ স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় ইয়োশিদা। ম্যাচে ৩টি পেনাল্টি সেভ করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে নিয়ে যান লিভাকোভিচ। তবে জাপানের মতো ভুল করেনি ক্রোয়েশিয়া। চতুর্থ পেনাল্টি জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠে গত আসরের রানার্সআপরা।


কাতার বিশ্বকাপ   জাপান   ক্রোয়েশিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন