বর্তমানে ইউরোপিয়ান
ফুটবলে কোন ক্লাব ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে যে কোন ফুটবল ভক্তই নির্দিধায়
বলবে ম্যানচেস্টার সিটি। কেননা গত কয়েক সিজনে এ দলটি নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছে মাঠে।
২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগের তিনটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন
হলেও সিটি যেন টটেনহাম হটস্পারের মাঠে গেলে বাচ্চা শিশু। কেননা, ২০১৯ সাল থেকে হটস্পারদের
মাঠে কখনোই জিততে পারেনি সিটি।
ম্যাচ জিতলেই ম্যান
সিটি শিরোপার কাছে আর পয়েন্ট হারালেই আর্সেনাল এমন সমীকরণে গতকাল হটস্পারদের মাঠে আতিথেয়তা
নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আশা আর উদ্বেগ নিয়ে ম্যাচের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলো আর্সেনাল
ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ, সমর্থক সবাই। এর আগেও ২০২২-২৩ মৌসুমে শেষ মুহুর্তে সিটির
কাছে শিরোপা হারায় তারা।
আর অন্যদিকে সিটি
সমর্থকদের মধ্যে ছিল উৎকন্ঠা। ‘হটস্পার জুজু’ যেন আবার চেপে না ধরে সেই আশায় করছিল
সবাই। কারণ ২০১৯ থেকেই হটস্পারদের মাঠে কোন গোল পায়নি দলটি।
তবে সিটিজেনদের
রুখে দিবে এমন সাধ্য কার! দল তথা ইপিএলের গোল মেশিন খ্যাত হলান্ডের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত
২-০ গোলে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওরার শিষ্যরা। আর এ জয়ে টানা চতুর্থ লীগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে
পৌঁছে যায় তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই
আক্রমন, পাল্টা আক্রমন চলতে থাকে। ফোডেন, ডি ব্রুইনারা ভালোই পরীক্ষায় ফেলেন হটস্পার
গোলরক্ষককে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোন দলই।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের
৫০ তম মিনিটে ডি ব্রুইনার দেয়া পাস থেকে টোকা মেরে বল জালে পাঠান হলান্ড। এরপর ম্যাচের
অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন হলান্ড।
সিটির এই জয়ে আর্সেনালকে
পেছনে ফেলে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে সিটিজেনরা। আগামী ১৯ নভেম্বর
ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা উৎসবে মাতবে তারা।
আর সেই ম্যাচে
পয়েন্ট হারালে আর্সেনালের কাছে সুযোগ থাকবে এভারটনকে হারিয়ে শিরোপা জিতার।
উল্লেখ্য,
লীগে সমান সংখ্যক ৩৭ ম্যাচ খেলে ম্যান সিটির পয়েন্ট ৮৮ পয়েন্ট। আর ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়
অবস্থানে আছে আর্সেনাল।
ইপিএল শিরোপা আর্সেনাল ম্যান সিটি
মন্তব্য করুন
জন সিনা! বাংলাদেশের ক্রীড়ামোধী দর্শকদের এই নামটি চিনতে খুব একটা বেগ পোহানোর কথা নয়। ক্ষুদে ভক্ত কিংবা তরুণ, সকল বয়সিরাই তার রেসলিংয়ের ভক্ত। এবার দীর্ঘ ২২ বছরের ক্যারিয়ার এবং ডব্লিউডব্লিউই এর ১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন জন সিনা বিদায় জানালেন তার ক্যারিয়ারকে।
শনিবার (৬ জুলাই) টরন্টোর স্কোটিয়াব্যাঙ্ক অ্যারেনায় ডব্লিউডব্লিউই-এর মানি ইন দ্য ব্যাংকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সি সিনা। এসময় সিনা বলেন, বিদায়ের জন্য এটি ‘নিখুঁত’ জায়গা। এখন সময় শেষ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেসলিং রিংয়ে সিনা একটি ছোট টাওয়াল দেখাতেন যাতে লেখা, ‘কখনও হাল ছাড়বেন না’।
এদিন সিনা এমন একটি শার্ট গায়ে জড়িয়েছেন যাতে লেখা ছিল ‘দ্য লাস্ট টাইম ইজ নাউ ট্যুর এবং জন সিনা ফেয়ারওয়েল’। তবে ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও আগামী বছরের রয়্যাল রাম্বল, এলিমিনেশন চেম্বার এবং রেসেলম্যানিয়ায় শেষবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি এবং সেটিই হবে তার চূড়ান্ত বিদায়ী ইভেন্ট।
২০০২ সালে রেসলিংয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে সিনার। এরপর দ্রুত ভক্তদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তর্কাতীতভাবে, সিনাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ডব্লিউডব্লিউই সুপারস্টার বলা হয়। তার ক্যারিয়ারে বিখ্যাত দুটি ম্যাচ ছিল ২০১১ এবং ২০১২ সালের রেসেলম্যানিয়া ইভেন্টে। যে দুটিই ডোয়াইন ‘দ্য রক’ জনসনের বিপক্ষে খেলেছিলেন। প্রথমটিতে হেরে গেলেও দ্বিতীয়টি জয় পেয়েছিলেন সিনা।
রেসলিং ছাড়াও হলিউড মুভিতে অভিষেক হয়েছে তার। অভিনয়ে নাম লেখানোর সুবাদে রেস্লিংয়ে সিনা গত পাঁচ বছরে পার্টটাইম পারফর্মার বনে গেছেন।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীর দুই মেরুতে এই মুহুর্তে চলছে দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট। যেখানে ২৪ দল নিয়ে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জার্মানিতে বসেছে ইউরো আর ১৬ দল নিয়ে আমেরিকায় কোপা আমেরিকা। ফরম্যাট থেকে শুরু করে নিয়মকানুন, খেলার ধরণ, সবকিছুতেই দুটি টুর্নামেন্টের যেমন আলাদা জৌলুশ আছে তেমনি আছে নানা পার্থক্যও।
কিন্তু আট হাজার কিলোমিটার দূরত্বের আয়োজিত দুই মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইউরো আর কোপার আলাদা আলাদা পার্থক্য থাকে যেটা পরিলক্ষিত। তবে একটা বিতর্কও বয়ে যায় প্রতিটা আসরেই কিংবা সবসময়। কিন্তু সেই বিতর্কটা কি। বিতর্কটা আসলে দর্শক মহলেই বেশি সাড়া তোলে।
ইউরো নাকি কোপা আমেরিকা? কোন প্রতিযোগিতাটা সেরা? তবে এবার দুই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই যখন চলমান তখন কে সেরা? সেই বিতর্ক থেকে সরে এসে এবার এই দুই টুর্নামেন্টের গোল খরাটাই সবার সামনে চলে এসেছে।
ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস এরইমধ্যে দল চারটি সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। অপরদিকে কোপা আমেরিকায়ও সেমিফাইনালের চার দল নিশ্চিত। যেখানে আর্জেন্টিনা, কানাডা, উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া পৌছেছে শেষ চারে।
চলমান ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিতে চলে যাওয়া চার দলের চারটি ম্যাচের দিকে যদি তাকানো যায়। সেখানে দেখা যায় ইউরোর কোয়ার্টারের প্রথম তিনটি ম্যাচই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এর মধ্যে আবার স্পেন-জার্মানি হাইভোল্টেজ ম্যাচটা বাদে আর কোনো ম্যাচেই দেখা যায়নি অতিরিক্ত সময়ে গোল। অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স ও ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মধ্যকার ম্যাচটা তো একটা নির্বিশ ম্যাচই উপহার দিয়েছে। যেখানে কোন দলের ভিতরেই গোল করার তাড়নাটা বেশ কম ছিল।
তবে সে যাইহোক, দর্শকরা তো সবসময় জমজমাট ইউরো দেখেই অভ্যস্ত যেখানে গোলের বন্যা বয়ে যাবে। টুর্নামেন্টে টপ স্কোরার থাকবে একাধিক। সেখানে কিনা এবার দলগুলো গোল করতেই ভুলে গেছে। নির্ধারিত সময়েও গোলের দেখা পাচ্ছে না আবার অতিরিক্ত সময়েও গোলের দেখা পাচ্ছে না। ফলে বেশির ভাগ ম্যাচই গড়াচ্ছে টাইব্রেকারে। ইউরো এমনটা কবে দেখেছে সেটা অজানা। তার জন্য হয়তো ইতিহাসের হাতড়ে দেখার প্রয়োজন।
চলমান ইউরোয় গোল খরার অন্য আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তবেও আত্নঘাতি গোলও অন্য একটা কারণ হতে পারে। এবারের ইউরোর প্রথম পর্বে তো টপ স্কোরার ছিল আত্নঘাতি গোল। দলগুলো খেলোয়াড়েরা যখন বিপক্ষ দলের জালে বল জড়াতে পারছে না আবার অন্যদিকে শুরুর দিকে বেড়ে যায় আত্নঘাতি গোল। এই গোল খরার মধ্যেও অনেক দল পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েছে আত্নঘাতী গোলের ব্যাবধানে জিতে। সেটারও ব্যাখার প্রয়োজন থাকতে পারে।
বর্তমানে ফুটবলাররা সারা বছর খেলার মধ্যেই থাকে। আবার এটাও একটা কারণ হতে পারে। কঠিন একটা মৌসুম ক্লাবের হয়ে খেলার পর খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এত ম্যাচ এত প্রেশার তারা আর নিতে পারে না। চলমান ইউরো কিংবা কোপাতেও এরকম অনেক ক্লান্ত ফুটবলার দেখা গেছে। যারা পুরো নব্বই মিনিট একই এনার্জিতে খেলতে পারছে না। যা খেলোয়াড়দের গোল খরার অন্যতম কারণও হতে পারে। এমন কি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গুলোতেও দেখা গেছে এমন চিত্র।
ইউরো যেখানে কোয়ার্টার ফাইনালে তিন অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচ পেয়েছে ঠিক একই চিত্র কোপা আমেরিকায়ও। কোপাও কোয়ার্টার ফাইনালে চারটে ম্যাচের তিনটেই দেখেছে টাইব্রেকার। অর্থ্যাত এই মুহুর্তে দুই মহাদেশের দুই টুর্নামেন্টের একই অবস্থা। ভুগছে গোল খরায়। যার ফলে টাইব্রেকারই যেন ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
একটা পরিসংখ্যান দেখা যাক। যেখানে খুবই আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। ফুটবলের দুই সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো এখনও পর্যন্ত এই দুজনের কেউ ইউরো কিংবা কোপায় গোলের দেখা পায়নি। এরমধ্যে ক্রিষ্টিয়ানোর দল পর্তুগাল ইউরো থেকে বিদায় নিলেও লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা কোপার সেমিতে নাম লিখিয়েছে।
ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো তো ইউরোয় গোটা একটা টুর্নামেন্ট শেষ করলেও গোল করতে পারেননি। অথচ রোনালদো ইউরো খেলেন সেই ২০০৪ সাল থেকে, আর গোলশুন্য রোনালদোকে দেখা গেল এবারই প্রথম। অপরদিকে মেসি এখনো গোলের দেখা না পেলেও তার এখনও সুযোগ আছে স্কোর করার। আর মেসি এবারের আসরের আগে গোলশুন্য আসর কাটিয়েছেন শুরুর দুই আসরে।
সবশেষ ইউরো আর কোপার গোল খরা দেখে দর্শকরা তো হতাশই বলা চলে। তবে দুটো টুর্নামেন্টে এরকম গোল খরা এক সাথে ফুটবল প্রেমীরা হয়তো খুব কমই দেখেছে। কিংবা দেখেছে কিনা সেটা মনে করতেও ইতিহাসে ফিরে যেতে হবে।
এদিকে এবারের ইউরো কিংবা কোপায় আরও যে বিষয়টা লক্ষ্যণীয় সেটা হল, ছোট দলগুলোর আধিপত্য। ইউরোপ কিংবা লাতিনের পাওয়ার হাউজ বলা হয় যে দল গুলোকে তারা আশানুরুপ পার্ফমেন্স উপহার দিতে ব্যার্থ। আর ছোট দলগুলোর দিনকে দিনকে দিন উন্নতি।
এবারের ইউরো কিংবা কোপা দুই আসরেই দেখা যায় সাধারণত ছোট দলগুলো রক্ষণাত্মক খেলে গেছে, বড় দল গুলোর বিপক্ষে আক্রমণ আটকে দিয়ে তারা কাউন্টার অ্যাটাক করেছে। যেখানে তারা সফলও হয়েছে। আর ছোট দলগুলোর হার না মানা মানসিকতার ব্যাপারটাও কাজে দিয়েছে। ফলে বড় দল গুলো পেরে উঠছে না। ম্যাচ তখন অতিরিক্ত সময় থেকে টাইব্রেকারে যাচ্ছে ফলাফল নির্ধারণে। যার কারণে এবার দুটো টুর্নামেন্টেই প্রথম থেকে গোলের সংখ্যা কমেছে এবং নক আউট পর্ব গুলোতে অধিক হারে টাইব্রেকার দেখা গেছে।
সেজন্যই কিনা ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার বলেছেন, ফুটবলাররা সারা বছর লিগ খেলার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। আর ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার কারণেও তাদের ক্লান্ত ছাপটা আরও স্পষ্ট। এ কারণেই কিনা লিনেকারের দাবি, কোপা আমেরিকার মতোই ইউরোতেও ৯০ মিনিটের পর সরাসরি টাইব্রেকারে যাওয়া উচিত।
সেক্ষেত্রে প্লেয়াররা এনার্জি ধরে রাখতে পারবে কিংবা পরবর্তী ম্যাচ গুলোর জন্য আরও ফিট হয়ে খেলতে পারবে। আর তখন হয়তো গোল খরা থেকে দলগুলো বেরিয়ে এসে ইউরো কিংবা কোপার জমজমাট জৌলুশ ধরে রাখতে পারবে।
দুটো টুর্নামেন্টের ইতিহাসই ব্যাপক সমৃদ্ধ। কিন্তু ফুটবল তো গোলের খেলা, সেই গোলই যদি দর্শকরা দেখতে না পারে। তাহলে ম্যাচের উত্তেজনা তো খানিকটা হ্রাস পাবেই। তবে এ কথা জোর দিয়ে বলাই যায় চলমান ইউরো কিংবা কোপা দর্শকদের এখনও সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তবে এখনও দুটো টুর্নামেন্টেরই সেমিফাইনাল আর ফাইনাল যে বাকি আছে। হয়তো শেষে এসে দর্শকরা সেই উন্মাদনার যোগান পেয়েও যেতে পারে। কথায় আছে না শেষ ভালো যার সব ভালো তার।
মন্তব্য করুন
রোডেশিয়ানিদের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। তবে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেয়নি তারা। পরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১০০ রানের জয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো শুবমান গিলের দল।
রোববার (৭ জুলাই) হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তুলে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে ১৩৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ইনোসেন্ট কাইয়া। তবে তিনে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ব্রায়ান বেনেথ। এই টপ অর্ডার ব্যাটার আক্রমনাত্মক শুরু করলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ৯ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।
এরপর ধ্বস নামে রোডেশিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপে। মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে ব্যাতিক্রম ছিলেন কেবল ওয়েসলি মাদেভারে। এই ওপেনার ৩৯ বলে করেছেন ৪৩ রান। তাছাড়া ৩৩ রান এসেছে লুক জংউয়ের ব্যাট থেকে।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নতুন বল খেলতে বেশ ভুগেছে ভারত। শুরুতেই ফিরেছেন শুবমান গিল। অধিনায়ককে হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
ধীর গতির শুরু করা ভারত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোডেশিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকে। বিশেষ করে অভিষেক শর্মা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৩ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন অভিষেক। আর সেঞ্চুরি করেন মোট ৪৬ বলে।
নিজের ২য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন অভিষেক। এদিন বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে দীপক হুদা নিজের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাছাড়া বয়সের হিসেবে চতুর্থ কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের হয়ে এই সংস্করণে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
অভিষেক ১০০ করে সাজঘরে ফিরলেও রানের চাকা থামেনি। উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন রিংকু সিং। ২২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাছাড়া ৪৭ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রুতুরাজ।
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের থাকা প্রায় নিশ্চিতই ভাবা হচ্ছিল। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে মত বদলে যায় বিসিবির নির্বাচকদের। যে কারণে টাইগারদের বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আর বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তানজিম।
৭ ম্যাচে সাকিব শিকার করেন ১৪ উইকেট। বিশ্বকাপ শেষে তরুণ এই পেসারকে নিয়ে কথা বললেন সাইফউদ্দিন। আজ রোববার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, 'দেখুন কম্পিটিশনের তো শেষ নেই ভালোর উপরে তো ভালো আছে। চেষ্টা করব আরো ভালো করার অবশ্যই আমি তাকে এপ্রিশিয়েট করি। তানজিম সাকিব অসাধারণ খেলেছে৷'
'আমার সে কলিগ আবাহনীতে আমরা একসাথে খেলেছি। আসলে ক্রিকেটারদের কেউ ভালো খেলবে কেউ খারাপ খেলবে এটার জন্য খুব বেশি চিন্তা না করে কিভাবে আরও বেটার কিছু করা যায় সেদিকে চেষ্টা করব। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের দিন যায় ওর দিনে ও ভালো, আমার যখন দিন আসবে আমিও আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।'- যোগ করেন সাইফউদ্দিন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, 'না অবশ্যই ভালো খেলেছে যদিও আরো ভালো খেললে আরো ভালো লাগতো তারপরও ওভারওয়াল ভালো লেগেছে। লাস্ট একটা ইকুয়েশন ছিল সেমিফাইনাল খেলার ভালো সুযোগও ছিল হয়তোবা হয়নি। তারপরও ওদের চেষ্টাকে আমি এপ্রিশিয়েট করি। অবশ্যই নিজের দেশ ভালো খেললে তো ভালো লাগেই।'
ভারতের শিরোপা উদযাপন দেখে সাইফ বলেন, 'যেমন ইন্ডিয়া অনেক সেলেব্রেশন করতেছে বিশ্বকাপ জয়ের পর এগুলো দেখলে তো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। অবশ্যই ইনশাআল্লাহ আমরাও মাঝেমধ্যে চিন্তা করি কবে এরকম চ্যাম্পিয়ন হবো দেশের মানুষের সাথে এরকম উদযাপন করব তো এটা আসলে চিন্তা করি। মানুষ তার স্বপ্ন দেখতে দোষ নেই আমরাও দেখি।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তানজিম হাসান সাকিব
মন্তব্য করুন
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ শুরু করে চমক দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ভারত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেললেও সেই জয়টা রোডেশিয়ানদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। গত ম্যাচের মতো আজও দুর্দান্ত শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুর পাওয়ার প্লেতে ভারতকে আটকে রেখেছিল তারা। তবে এরপর রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন অভিষেক শর্মা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ পর্যন্ত তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত।
রোববার (৭ জুলাই) হারারেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তুলেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেছেন অভিষেক শর্মা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নতুন বল খেলতে বেশ ভুগেছে ভারত। শুরুতেই ফিরেছেন শুবমান গিল। অধিনায়ককে হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
ধীর গতির শুরু করা ভারত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোডেশিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকে। বিশেষ করে অভিষেক শর্মা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৩ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি করেন অভিষেক। আর সেঞ্চুরি করেন মোট ৪৬ বলে।
নিজের ২য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন অভিষেক। এদিন বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে দীপক হুদা নিজের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাছাড়া বয়সের হিসেবে চতুর্থ কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের হয়ে এই সংস্করণে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
অভিষেক ১০০ করে সাজঘরে ফিরলেও রানের চাকা থামেনি। উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন রিংকু সিং। ২২ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাছাড়া ৪৭ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রুতুরাজ।
ভারত ক্রিকেট টি-২০ বিশ্বকাপ জিম্বাবুয়ে
মন্তব্য করুন
জন সিনা! বাংলাদেশের ক্রীড়ামোধী দর্শকদের এই নামটি চিনতে খুব একটা বেগ পোহানোর কথা নয়। ক্ষুদে ভক্ত কিংবা তরুণ, সকল বয়সিরাই তার রেসলিংয়ের ভক্ত। এবার দীর্ঘ ২২ বছরের ক্যারিয়ার এবং ডব্লিউডব্লিউই এর ১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন জন সিনা বিদায় জানালেন তার ক্যারিয়ারকে। শনিবার (৬ জুলাই) টরন্টোর স্কোটিয়াব্যাঙ্ক অ্যারেনায় ডব্লিউডব্লিউই-এর মানি ইন দ্য ব্যাংকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সি সিনা। এসময় সিনা বলেন, বিদায়ের জন্য এটি ‘নিখুঁত’ জায়গা। এখন সময় শেষ।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের থাকা প্রায় নিশ্চিতই ভাবা হচ্ছিল। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে মত বদলে যায় বিসিবির নির্বাচকদের। যে কারণে টাইগারদের বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আর বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তানজিম।
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ শুরু করে চমক দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ভারত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেললেও সেই জয়টা রোডেশিয়ানদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। গত ম্যাচের মতো আজও দুর্দান্ত শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুর পাওয়ার প্লেতে ভারতকে আটকে রেখেছিল তারা। তবে এরপর রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন অভিষেক শর্মা ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ পর্যন্ত তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত।