ইনসাইড গ্রাউন্ড

নরমাল ম্যান বিং দ্যা স্পেশাল ওয়ান

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সব যুগেরই অবসান আছে, সব ভালোরই শেষ আছে। তা হোক রাজনীতিতে বা ক্রিয়াঙ্গনে। ঠিক তেমনি অবসান হয়েছে লিভারপুলে ক্লপ অধ্যায়ের। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মৌসুম পর লিভারপুল ছেড়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোববার (১৯ মে) ওলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজের অ্যানফিল্ড অধ্যায় শেষ করে ক্লপ।

২০১৫ সালের অক্টোবরে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে লিভারপুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেসময় লিভারপুলের অবস্থা কি নাজুক ছিল তা সবারই জানা। লিগ শিরোপা জেতাতো দূরের কথা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা করে নেয়া ছিল একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটির স্বপ্ন। এর পর ক্লপের ৯ বছরে ইউরোপের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জেতে লিভারপুল।

এর আগে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘বিগ সিক্স’ এর খেতাব পাওয়া দলটির ট্রফি কেবিনেটে এক প্রকার ধুলোর আস্তরণ পড়েগেছিল। কেননা, ৩০ বছর ধরে তারা জিততে পারেনি ইপিএল শিরোপা, ১০ বছর আগে জিতেছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এমনকি ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল লিগ এফএ কাপের শিরোপাও জিততে পারেনি ৯ বছর ধরে।

কিন্তু যে শহরে ‘বিটলস’ এর জন্ম সে শহরে ‘হেভি মেটাল’এ কখনো মরচে ধরবে! তারা ফিরে আসবে বারবার ফিনিক্স পাখি হয়ে। আর ক্লপের মতোই কেউ তাদেরকে ফেরাবে। যেমনটি ফিরেছে লিভারপুল ক্লপের জামানায়।

২০১৫ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্লপ তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ‘I am the normal one, not the special one.’ কতটা সাধাসিধে ভাবে তিনি এ কথাটা বলেছিলেন তা ঐ সংবাদ সম্মেলনটি যারা দেখেছে তারাই জানেন। অথচ কালের বিবর্তনে সেই ‘নরমাল ওয়ান’ পরিণত হয়েছে লিভারপুলের স্পেশাল ওয়ানে। তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন রয় ইভায়নস, বিল শ্যাঙ্কলি, টম ওয়াটসনদের তালিকায়।

আরও পড়ুন: ছন্দপতন থেকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বে সিটিজেনরাই

ইপিএলে পেপ গার্দিওয়ালা ২০১৫ সালে সিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো ইয়ুর্গেন ক্লপকে। কারণ তার ফুটবলীয় দর্শন ছিল অনন্য। আধুনিক ফুটবলে বল দখলের লড়াই মাঠের লড়াইকে খুব প্রভাবিত করে। আর এই বল দখলের লড়াইয়ের সবচেয়ে কঠিন ট্যাকটিস হলো ‘গেগেন প্রেসিং’। আর ইয়ুর্গেন ক্লপের সাফল্যের মূল মন্ত্রটি ছিল এই ‘গেগেন প্রেসিং’। স্বয়ং পেপ গার্দিওয়ালার গ্যাম প্লান, ট্যাকটিসকে ক্লপ তার ফুটবলীয় দর্শনের মধ্যে দিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়েছেন বহুবার। গত নয় বছরে সিটি-লিভারপুল লড়াইয়ে তা স্পষ্টই দেখা গেছে।

ক্লপ একবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘মেশিনের মতো দল তৈরিতে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়েছি। আমি সবসময় সেরাদের বিপক্ষে খেলার মতো এমন একজন কোচ হতে চেয়েছি। সবসময় নিজের সেরা একটা দল করতে চেয়েছি, তখন নিজের সেরাটা দিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। আমি এমন এক দল চেয়েছি যাদের সঙ্গে খেলতে সবাই ভয় পাবে।’

নিজের খেলোয়ারী জীবনে ক্লপ ছিলেন ম্লান। মাইঞ্জের হয়ে খেলার সময়ই ক্লাবের বয়স ভিত্তিক দলের কোচ হিসেবে নিজের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অবসরের পর দলটির মূল দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ২০০৬-০৭ মৌসুমে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে পরবর্তী কয়েকদিন সিনেমার রিল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তারপর ২০০৮ সালে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান পান তিনি। দলটির হয়ে কোন লিগ শিরোপা না জিততে পারলেও তিনি দলকে ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু বিধি বাম। সেইবার আরেক জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৫ সালের অক্টোবরে লিভারপুলে যোগ দেন। এবং লিভারপুলের হয়ে ইউরোপের সম্ভাব্য সকল ট্রফি জেতেন।

একনজরে লিভারপুলে ক্লপের অর্জন:

২০১৯-২০

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন,

২০১৯-২০

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন

২০১৯-২০

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ

২০২১-২২

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন

২০২১-২২, ২০২৩-২৪

ইএফএল চ্যাম্পিয়ন

 

সবশেষ একটি কথায় বলা যায়, ক্লপ তুলনাহীন। কয়েকটি ট্রফি আর অর্জন দিয়ে তার ফুটবলের দর্শন আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাকে ছোট করাটা বোকামি। লিভারপুলের পর হয়তো তিনি অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন কিংবা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে যাবেন। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে তার গ্যাম প্ল্যান, ট্যাক্টিস ফুটবল ভক্তদের কাছে রয়ে যাবে আজীবন। কারণ লিভারপুলকে তিনি জিততে শিখিয়েছেন, ফিনিক্স পাখির মতো ফিরিয়েছেন। অ্যানফিল্ডের প্রতিটি ঘাস, ড্রেসিংরুম, স্টোডিয়ামের গ্যালারি সবকিছুই তাকে স্মরণ করবে লিভারপুলকে দেয়া স্মৃতির জন্য।


ইয়ুর্গেন ক্লপ   লিভারপুল   ইংলিশ লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জয়ে ফিরেই সমর্থকদের আস্থা রাখতে বললেন ব্রাজিল কোচ

প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।

তবে মেসিবাহিনীর শুরুটা এবারের আসরে ভালো হলেও শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ব্রাজিলের এবারের আসরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খায় টুর্নামেন্টের নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে পয়েন্ট খোয়ায় তারা।

কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের চেনা রূপে ফিরে এসেছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। তাই ব্রাজিলের সুদিন ফিরে আশার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই কোচ। তবে প্রথমেই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিনি।

দরিভাল জুনিয়র বলেছেন, এবারই প্রথম কোন কোপা আমেরিকা, যেখানে ব্রাজিলকে টুর্নামেন্টের অন্যতম ‘ফেভারিট’ হিসেবে গণনা করা হচ্ছে না। কারণ-সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ম্যাচগুলোর ফলাফল খুব একটা প্রশংসনীয় নয়। সুতরাং আমাদেরকে দল হিসেবে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আমার জন্য কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। সমর্থকরাও আমাদের ওপর আস্থা রাখছে। আমাদের কোন ম্যাচের ফলাফল টুর্নামেন্টে অন্য দলগুলোকে ভয় দেখানোর মতো হয়নি। কিন্তু এই খেলাটি আর্টের মতো; একটু একটু করেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দিকে পৌঁছাতে হবে।

সমর্থকদের উদ্দেশে এই ব্রাজিলিয়ান কোচ বলেন, যারা ব্রাজিলকে সাপোর্ট করছেন, আশা করব তারা সমর্থন দিয়ে যাবেন। আর যারা আমাদের দলকে সাপোর্ট করছে না, তারাও খুব দ্রুত আমাদেরকে সাপোর্ট দিবে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে আবারও ভালো সময় আসছে।


কোপা আমেরিকা   ব্রাজিল   দারিভাল জুনিয়র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পেলের শখের বাড়িটি এখন স্মৃতির কবরস্থান

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail ছবি: সংগ্রহিত

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা পেলে। জীবদ্দশায় ফুটবল ভক্তদের তিনি দিয়ে গেছেন অনেক স্মৃতি। তার স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি স্মৃতি হলো তার শখের বাড়িটি। যেখানে তিনি কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ৪০ বছর। কিন্তু সেই বাড়িটি এখন যেন পেলে ভক্তদের জন্য স্মৃতির কবরস্থান।

২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পারি জমান ফুটবলের এই কিংবদন্তি। পেলের মৃত্যুর পর থেকেই অবহেলা আর অযন্তে পরে আছে তাঁর বাড়িটি। দেখভাল করার জন্য কেউ নেই।

ব্রাজিলের বিখ্যাত পার্নামবুকো সৈকত থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত এই বাড়িতে রয়েছে ফুটবল সম্রাটের অসংখ্য স্মৃতি। কিন্তু বর্তমানে এই বাড়িতে চলছে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের লুটপাট। পেলের পরিবার ও প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকায়। ফলে বিনা বাঁধায় লুটের মহোৎসব চলছে বাড়িটি ঘিরে।  

১৯৭৯ সালে নিউইয়র্ক থেকে ব্রাজিলে চলে আসার পর পরিবার আর নিকট আত্মীয়দের কাছাকাছি থাকতে পেলে তৈরি করেছিলেন এই বাড়িটি। বাড়িটির বর্তমান বাজারমূল্য ১১ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি টাকারও বেশি।

বাড়িটিতে রয়েছে ১২ টি থাকার ঘর। বাড়ির সীমানার মধ্যেই রয়েছে ছোট ফুটবল মাঠ, টেনিস কোর্ট ফুটভলি কোর্টস, সুইমিং পুল। এছাড়া মায়ের প্রার্থনার জন্য ছোট একটি গির্জাও তৈরি করিয়েছিলেন পেলে।

কিন্তু এই বাড়িটির এই সবকিছুই এখন নষ্ট হচ্ছে অযত্ন আর অবহেলায়। দেওয়ালের বিভিন্ন অংশ এমনকি বাড়ির সিঁড়িও ভেঙে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আসবাব পত্র। এমনকি চুরি যাচ্ছে মহাতারকার বহু ফুটবল স্মারকও।

প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন পেলে। সে সময় বাড়ির বিভিন্ন করা দেয় হয়নি। ফলে, গত কয়েক বছরে অপরিশোধিত সেই বকেয়া করের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। এতে বাড়িটি নিজেদের অনুকূলে নিতে পারছেন না তার সন্তানরা। বাড়ি দখলের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, তা তার সন্তানদের কাছে নেই। আর রয়েছে আইনি জটিলতাও। ফলে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের সেই শখের বাড়ি।


পেলে   ফুটবল   কিংবদন্তি   বাড়ি   পেলে পেলেস   বেহলা দশা   স্থানীয় দুষ্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে কোয়ার্টারের দৌঁড়ে টিকে রইলো ব্রাজিল

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রশ্নবিদ্ধ পারফরম্যান্স কাটিয়ে উঠতে পারছিল না ব্রাজিল। এবারের কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে কোয়ার্টারের দৌঁড় থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। আর এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল সেলেসাওরা। যেখানে প্রতিপক্ষকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে তারা।

এদিন লাস ভেগাসে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত টিম গেম খেলেছে ব্রাজিল। এতে এবারের আসরে প্রথম জয় পেয়েছে পাঁচবারের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

দিনের আগের ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ডি-গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে কলম্বিয়া। ফলে ব্রাজিলিয়ানদের উপর বেড়ে যায় সেই চাপ। তবে দুর্দান্ত দলগত পারফরম্যান্সে প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোপার নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। এতে কোয়ার্টারের দৌড়ে বেশ ভালো ভাবে টিকে রইল ব্রাজিল।

এদিন লাস ভেগাসে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রচেষ্টা আটকে যায় প্যারাগুয়ে রক্ষণে। কোপায় নিজেদের প্রথম গোলের লক্ষ্যে ম্যাচের ৬ মিনিটে জোয়াও গোমেজের দূরপাল্লার জোরালো শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে প্রায় গোল পেতে যাচ্ছিল প্যারাগুয়ে। ডেমিয়ান বোবাদিলার শট মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল যাচ্ছিল ব্রাজিলের পোস্টে। ডানদিকে ঝাপিয়ে পড়ে সেই গোল বাঁচান গোলকিপার অ্যালিসন।

২৩ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মার্কুইনহসের হেড চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। ২৯ মিনিটে ডি-বক্সে গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ানরা। ছোট্ট জায়গা পেয়ে পোস্টে শট নেন প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার ডামিয়ান বোবাডিলা। বল চলে যায় অ্যালিসনের হাতে।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোলের সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। ডি-বক্সে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার অ্যাড্রিয়ান কিউবাস হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় সেলেসাওরা। লুকাস প্যাকুয়েটা পেনাল্টি শট মারেন গোলপোস্টের বাইরে।

তবে প্রথমার্ধের শেষ ১২ মিনিটে যেন মাঠে ঝড় তুলেছিল ভিনি-রদ্রিগোরা। আর এই সময়ের মধ্যেই তিনটি গোল করে সেলেসাওরা। যার মধ্যে ভিনিসিয়াস জুনিয়র করেন দুটি গোল এবং অন্য গোলটি করেন সাভিও।

পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্যারাগুয়ে নিজেদের গেম প্ল্যান চেঞ্জ করে। আর এতে করে প্রথম গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গিয়ে ওমর আলডেরেট সেই গোলটি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও পেনাল্টি পেলে সেখান থেকে ব্রাজিলকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেন লুকাস পাকেতা।


ব্রাজিল   ফুটবল   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ডাগআউটে কে থাকবে?

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লাতিন আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল দ্বারা নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে কোপা আমেরিকায় গ্রুপ এ-এর তৃতীয় ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন না তাদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। 

গত বুধবার (২৬ জুন) চিলির বিপক্ষে ম্যাচের অর্ধেক সময়ে দেরি করার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

স্কালোনি মাঠে না থাকায় মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে দলকে কে নেতৃত্ব দেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে তিনজন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচের নাম উঠে এসেছে যারা আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনজন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ—পাবলো আইমার, রবার্তো আয়ালা এবং ওয়াল্টার সামুয়েল—এই দায়িত্ব কাঁধে নেবেন। 

পাবলো আইমার: বিখ্যাত আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গেস্তন আদুলের মতে পেরুর বিপক্ষে পাবলো আইমারই থাকবেন কোচের দায়িত্বে। "এল পায়াসিতো" নামে পরিচিত আইমার লিওনেল মেসির শিশু কালের আদর্শ ছিলেন। আইমারের বিনয়, খেলার প্রতি ভালোবাসা এবং স্পষ্ট কৌশলগত ধারণা তাকে দলের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত করেছে। তার প্রভাব কেবল কৌশলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দলের মনোবল ও মনোভাবেও প্রভাব ফেলে।

রবার্তো আয়ালা: জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রতীক হিসেবে পরিচিত আয়ালা প্রায়শই ম্যাচের আগে মিডিয়ার সাথে কথা বলেন। তার ভূমিকা প্রায়ই মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া এবং ম্যাচের আগে একটি রিচুয়ালিক উপস্থিতি স্থাপন করা। শুক্রবারের প্রেস কনফারেন্সে স্কালোনির জায়গায় আয়ালা কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে আয়ালা পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দেবেন।

ওয়াল্টার সামুয়েল: সামুয়েল, যিনি স্কালোনির অনুপস্থিতিতে পূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি বেঞ্চ থেকে দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্কালোনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দেন সামুয়েল। সেই সময়ে, মেসি না খেলেও ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনা ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। সামুয়েলের এই পূর্ব অভিজ্ঞতা তাকে পেরুর বিপক্ষে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থী করে তুলতে পারে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পুরোনো আর নব্য 'চোকার' এর ফাইনালে আক্ষেপ বাড়বে কার?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০০৭ থেকে ২০১৩। কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরা অধিনায়ক খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে মাত্র ৬ বছরের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট যেন নিজেদের সোনালী সময় পার করেছে। তাদের এই প্রাইম টাইমে একই সাথে টি-২০ বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- তিনটি মেজর শিরোপা জিতেছিল তারা।

তবে সেই ২০১৩ সালে বার্মিংহামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পেরিয়ে গেছে আরও ১১টি বছর। অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসির বিভিন্ন বড় টুর্নামেন্ট। তবুও ভারতের নেই কোন অর্জন। এর মধ্যে তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে একবার ফাইনালসহ দুইবার শেষ চারে গিয়ে ইতি টানতে হয়েছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রার।

ভারতের টি-২০ এর কুফাটা শুরু ঢাকায়, ২০১৪ সালে। সেবার ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে ধোনি-কোহলিদের। পরের তিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভক্তদের খুশি করতে পারেনি তারা। শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই বিশাল হারও দগ্ধ করেছে ভারতীয়দের। যার ফলে বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন ‘চোকার’ হিসেবেও কেউ কেউ ভেবে নিচ্ছেন ভারতকে।

অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সাথে অবশ্য ‘চোকার’ শব্দটা বিশেষভাবে পরিচিত। তবে তারা ফাইনালও হারেনি কোনদিন। তাহলে তারা ‘চোকার’ কেন? উত্তরটা হচ্ছে, শেষ চারে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফেরা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল করা। এই যেমন ২০১১ সালে মিরপুরের ঘটনাই ধরা যাক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও অপর গ্রুপের চতুর্থ র‍্যাঙ্কের দল নিউজিল্যান্ডের সাথে হেরে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা। ঠিক ক’দিন আগে এই মাঠেই স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৭৮ রানে অলআউট করেছিল তারা। গ্রুপপর্বে আরেক স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পর্যন্ত হয়। কিন্তু নকআউটে? সেই একই গল্প।

আপাতত বলা যায় রিয়েল ‘চোকার’ আর উদীয়মান ‘চোকার’দের ক্ল্যাসিকো এই ফাইনাল। যেখানে ভারত চাইবে ১১ বছর পর শিরোপা জিততে, আর দক্ষিণ আফ্রিকাও চাইবে ২৬ বছর পর নিজেদের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলতে।

সবমিলিয়ে চলমান টি-২০ ব্শ্বিকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রোটিয়াদের এটি প্রথম ফাইনাল। আর প্রতিপক্ষ ভারত অবশ্য সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই খেলেছে ফাইনাল। ফেভারিটের মতো খেলে এবারও ফাইনালে তারা। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে শনিবার (২৯ জুন) মাঠে গড়াবে মেগা ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এমন এক ম্যাচ যেখানে পরিসংখ্যান, অতীত ইতিহাস, শক্তি-সামর্থ্য—কাজে দেবে না কিছুই। যারা নিজেদের সবটা নিংড়ে দিতে পারবে, শিরোপা তাদের। তাছাড়া, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা কেউই পিছিয়ে নেই কারও চেয়ে। যে কারণে অপেক্ষা জমজমাট এক লড়াইয়ের। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দুদল উঠেছে ফাইনালে।

ফাইনালের আগে ছন্দে আছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেন তিনি। তার নেতৃত্বে পুরো দলই আছে ছন্দে। গ্রুপপর্ব থেকে সুপার এইট, সেখান থেকে সেমি, কোথাও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি ভারতকে।

আর দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রা অতটা মসৃণ না হলেও ইতিহাস গড়ার পথে দলটি খেলেছে উজাড় করে। এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে দলটি যা করেছে, প্রোটিয়াদের ইতিহাসেই তো এমনটি হয়নি আগে।

সবমিলিয়ে এখন দেখার পালা, কার হাতে উঠবে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা, আর কার আক্ষেপ বাড়বে? কারণ দুই দলের জন্যই এই ফাইনালটি যেন এক প্রকার যুদ্ধ। এক দলের অপেক্ষা টানা এক দশকের আর অন্য দলের তো সারা জীবনের। তাই ভক্ত-সমর্থকসহ সকলেরই বিশেষ নজর এখন আজকের এই ফাইনালের দিকে।

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দল এখন পর্যন্ত ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত ২৬ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে জয়ী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১টি ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারত ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতেছে, যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২২ সংস্করণের দুই দলের মুখোমুখি হওয়া শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়লাভ করে।


ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা   বিশ্বকাপ   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন