ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটে ওঠা দলগুলো পাচ্ছে স্বস্তির খবর

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে সুপার এইটের ছয় দল। বাকি তিন দল হিসেবে কারা উঠছেন কোয়ার্টারে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

বৈশ্বিক এই আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেই নিজেদের দৌড় থামিয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলো। তবে সুপার এইটে ওঠে বড় চমক দিয়েছে সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েক বছর ধরেই পরাশক্তিদের গলার কাঁটা আফগানিস্তানও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ছয়টি দল নিশ্চিত করেছে পরের পর্ব, আর বাকি দুটি দল। সবমিলিয়ে ওঠা আটটি দলের জন্য সুখবর দিয়েছে আইসিসি।

সুপার এইটে বাকি দুইটি স্পট দখল করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ ও সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। চলতি টুর্নামেন্টে সেরা আটে থাকা দলগুলো ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে বসবে দশম আসরটি। দুই আয়োজক দেশ, টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে (শীর্ষ এক দল ভারতের সুপার এইট ইতোমধ্যে নিশ্চিত হওয়ায়) থাকা দলও সেখানে সরাসরি খেলবে। সবমিলিয়ে এবারের মতোই সেখানেও প্রতিযোগী দল থাকবে ২০টি।

ফলে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সুপার এইট নিশ্চিত হওয়া ৬টি দল ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যাদের সঙ্গে যুক্ত হবে আরও দুই দল। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা আগেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। তাই এবারের আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না লঙ্কানদের। সুপার এইট থেকে অংশ নেবে ৮টি দল।

একইভাবে এবারের আসর থেকে বাদ পড়া পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডকেও (আগামী ৩০ জুনের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে থাকে) বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে হবে। এ ছাড়া ইউরোপ থেকে ২টি, পূর্ব এশিয়া ও আমেরিকা থেকে একটি করে, এশিয়া বাছাইপর্ব ও আফ্রিকা বাছাইপর্ব থেকে ২টি করে মোট ২০টি দল ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে।

এদিকে, সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে। আবার ডি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ বড় দাবিদার হলেও, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অর্থাৎ এই চার দল থেকে যে দুই দলই সুপার এইটে ‍উঠবে তারা পরবর্তী বিশ্বকাপে সরাসরি এবং বাদ পড়া দল বাছাইপর্ব খেলে আসতে হবে। এখন পর্যন্ত সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে– ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র, ‘বি’ গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ‘সি’ গ্রুপ থেকে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা।


টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   সুপার এইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিজেদের ভুলে ইউরো থেকে বিদায় বেলজিয়ামের, শেষ আটে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০১:০৮ এএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বল দখল কিংবা আক্রমণ পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য ছিল ফ্রান্সের।  তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা যদিও সেভাবে নিতে পারেনি এমবাপ্পেরা।  কিন্তু শেষদিকে ভাগ্যের ছোঁয়ায় মিলল গোল।  নিজেদের জালে নিজেরাই গোল দিয়ে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বেলজিয়াম।  আর ১-০ গোলের জয় নিয়ে ইউরোর শেষ আটে উঠে গেল দিদিয়ের দেশমের দল।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ের দুই আর তিন নাম্বার দলের খেলা, জমজমাট না হয়ে পারে? তবে দর্শকরা ঠিক যতটা আশা নিয়ে ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের খেলা দেখতে বসেছিলেন, তাদের সেই আকাঙ্খা ততটা পূরণ করতে পারেননি এমবাপ্পে-লুকাকুরা। 

বেলজিয়ামের ভারটঙ্গানের ৮৫ মিনিটের আত্নঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত হারতে হলো তাদের। এটা অবশ্য বেলজিয়ামের সুযোগ নষ্টের খেসারতই বলা চলে।  এরপরও দু’বার ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন রোমেলু লুকাকু ও কেভিন ডি ব্রুইনা।  কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন দুইজনই।  ফলাফল ইউরো থেকে বেলজিয়ামের বিদায়।  

চলতি ইউরোয় এখনো ফ্রান্সের ঝলক দেখতে না পাওয়ায় যাওয়ায় এদিন দর্শকেরা অনেক আশায় ছিলেন।  কিন্তু ফরাসিরা আক্রমণ করলেও গোল করার মত জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি।  দিদিয়ের দেশমের দলের বড় ভরসার নাম কিলিয়ান এমবাপ্পে।  তার কাছেও আশানুরূপ পারফরমেন্স পাওয়া যায়নি। 

এদিন ম্যাচে দুই দলই শুরু থেকে মাঝমাঠের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে।  যেখানে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ফ্রান্স।  প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকবার বেলজিয়ামের বক্সে ঢোকে তারা।  কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি।  এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে বক্সের বাইরে থেকে চুয়ামেনির শট বার উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এবারও গোলের দেখা মেলেনি।  ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুইদল।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই খেলা।  জমজমাট হবে বলেই ধারণা পাওয়া গিয়েছিল শুরু থেকেই।  মিলেও যায় দ্রুত।  ৪৯ মিনিটে আবার বক্সের বাইরে থেকে চুয়ামেনির শট।  আবার বারের উপর দিয়ে বল বেরিয়ে যায়।  আবারও গোল করতে ব্যর্থ ফ্রান্স।

এরমাঝেই ৭০ মিনিটের ভাল সুযোগ পায় বেলজিয়াম।  মাঙ্গালার পাস ধরে লুকাকুকে বল দেন ডি ব্রুইনা।  বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে জোরালো শট নিলেও ব্যর্থ হন বেলজিয়াম স্ট্রাইকার। এরপর ৮২ মিনিটের মাথায় আবার ফ্রান্সের পতন রোধ করেন মাইগনান।  এবার ডি ব্রুইনার শট বাঁচান তিনি।

পরপর দুইটা সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় বেলজিয়ামকে।  খেলার ৮৫ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।  এরপর বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি বেলজিয়াম।  শেষ পর্যন্ত পরাজয় মেনে নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বেলজিয়ামক।  তবে দিদিয়ের দেশমের দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও চলতি ইউরোতে গোল করতে যেভাবে সমস্যায় পড়ছেন ফরাসি ফরওয়ার্ডরা সেটাই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে তাদের।


ইউরো   ফ্রান্স   বেলজিয়াম   শেষ আট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিসিবির বোর্ড সভা: হাথুরুর ভবিষ্যৎ, বিশ্বকাপ ব্যর্থতাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যুতে আলোচনা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালেই জানা গিয়েছিলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বোর্ড সভায় বসতে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় মিরপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বোর্ড মিটিংয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যতও আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমাদের বোর্ডের সভা রয়েছে। রুটিন বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজের বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। বাংলাদেশ দল যখন কোনো আইসিসি বা এসিসির আসরে অংশ নেয়, পরের সভায় পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও তা হবে।’

জানা গেছে, মঙ্গলবারের বোর্ড সভায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। যদিও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে, বোর্ডের একাংশ তাকে বরখাস্ত করার পক্ষে রয়েছে। তবে অধিনায়ক নাজমুল শান্ত তার পদে থাকতে পারেন। এছাড়া আর্থিক বিষয়গুলোও সভায় আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।


বিসিবি   ক্রিকেট   বোর্ড সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলছেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ রাতে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) পঞ্চম আসরের পর্দা উঠছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে মাঠে নামবেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। তাওহীদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমান দলটির স্কোয়াডে আছেন।

সোমবার (১জুলাই) পাল্লেকেল্লেতে প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের মুখোমুখি হবে ডাম্বুলা সিক্সার্স। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

প্রথমবারের মতো এলপিএলে খেলতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। আজ ডাম্বুলার জার্সিতে এই লিগে অভিষেক হতে পারে তার। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ও আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই পেসারকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে সিক্সার্সরা।

একই দলের হয়ে মাঠ মাতাবেন তাওহীদ হৃদয়ও। এই টপ অর্ডার ব্যাটার গত আসরেও এই লিগে খেলেছেন। তবে সেবার তিনি জাফনা কিংসের হয়ে খেলেছিলেন। এবার দল বদলে হৃদয় খেলছেন সিক্সার্সের হয়ে।

এছাড়া আরেক বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদও থাকছেন এলপিএলে। তিনি কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন। তার দলের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার।


লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ   এলপিএল   মুস্তাফিজ   হৃদয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টারের টিকিট কাটতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল-স্লোভেনিয়া

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর হাইভোল্টেজ ম্যাচে আজ রাতে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে পর্তুগাল। এই ম্যাচের জয়ী দল পাবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। দুই দলই ম্যাচটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তবে পরিসংখ্যান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্লোভেনিয়াকে নিয়ে বেশ সতর্ক পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। কারণ, তারা চায় না শেষ ষোলোর লড়াইয়ে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়তে।

ফ্রাঙ্কফুর্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্টিনেজ বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি জীবন-মরণ ম্যাচ।’ 

বেলজিয়ামের কোচ থাকার সময় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মার্টিনেজের। তিনি বলেন, ‘আমরা স্লোভেনিয়াকে ভালোভাবে চিনি। ইউরোপের সব দলই মানসম্পন্ন এবং সবাই জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সামান্য ভুলই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে। স্লোভেনিয়া অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিপক্ষকে বোকা বানাতে সক্ষম। তাদের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

এর আগে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। সে সম্পর্কে মার্টিনেজ বলেন, ‘সেটি ছিল প্রীতি ম্যাচ। কিন্তু এই ম্যাচটি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি স্লোভেনিয়ার জন্য ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত, কারণ তারা শেষ ষোলোতে খেলছে। আমরা তাদের সম্মান করি এবং তাদের খেলা দেখে মনে হয়, কোনো ক্লাব দল খেলছে। তারা রক্ষণভাগে অত্যন্ত শক্তিশালী।’


পর্তুগাল   স্লোভেনিয়া   ইউরো   চ্যাম্পিয়নশিপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ, কিন্তু কোন পরিসংখ্যানে?

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুবর্ণ সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষমেষ নিজেদের খামখেয়ালি আচরণের কারণেই সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। ৭ ম্যাচে ৩ জয় আর ৪ হারে ইতি ঘটে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের।

বিশ্বকাপের পর এখন চলছে পরিসংখ্যান আর প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ। সংখ্যাতত্ত্বের সেই বিশ্লেষণে দেখা গেল ভিন্নরকমের এক তথ্য। পুরো বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলা দলগুলোর মধ্যে ক্যাচ নেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও।

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বাংলাদেশের ক্যাচ ধরার শতকরা সাফল্য ছিল বেশি। কমপক্ষে সুপার এইট খেলেছে এমন দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ক্যাচ নেয়ায় এগিয়ে আছে কেবল ইংল্যান্ড। ৮৭.৯০ শতাংশ ক্যাচই তালুবদন্দি করেছে জস বাটলাররা। আর ৮৭.৫০ শতাংশ ক্যাচ নিয়েছে টাইগার ফিল্ডাররা। আসরে বাংলাদেশ নিয়েছে ২৮ ক্যাচ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ২৯ ক্যাচ। দুই দলই ছেড়েছে ৪ ক্যাচ।

৩৫ ক্যাচ নিলেও অস্ট্রেলিয়া এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ক্যাচ মিস করেছে। ৭০ শতাংশ ক্যাচ ধরেছে তারা। ভারত ৪৫ ক্যাচ নিয়ে মিস করেছে ১১টি। তারা তালুবন্দি করেছে ৮০.৪০ শতাংশ ক্যাচ। তারা দুই দল আছে সবার নিচে। ৮৫ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে তিনে। ৮৩.৬০ শতাংশ ক্যাচ সফলভাবে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আফগানিস্তান নিয়েছে ৮২.৫০ শতাংশ ক্যাচ। আর যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে ৮২.৪০ শতাংশ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে। টাইগার ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে হতাশ করলেও বল হাতে কিংবা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন, তারই যেন নমুনা দেখা গেল এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যানে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোট ৪৬ ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করামরা।

সবচেয়ে বেশি মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা ছেড়ে দিয়েছে ১৫ ক্যাচ। সব কম ক্যাচ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা লুফে নিয়েছে ১৪ ক্যাচ। মিসও সবচেয়ে কম করেছে তারাই। মোটে ৩ ক্যাচ ছেড়েছিল স্বাগতিকরা। 


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন