ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘নাম নয়, পারফরম্যান্স দিয়েই দলে রোনালদো’

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এইতো কিছুদিন আগের কথা, কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগাল দল যখন মাঠে খেলছে, তখন দলটির মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেঞ্চে বসে দলের ছিটকে যাওয়া দেখছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে পর্তুগাল দলে প্রতিভার যে ছড়াছড়ি, তাতে কেউ কেউ প্রায়ই সুর তোলেন দলে রোনালদোর গুরুত্ব নিয়ে। তবে ইউরো শুরুর পূর্বেই আয়ারল্যান্ডের সাথে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও জোড়া গোল করে বিশ্ব ফুটবলের এই মহাতারকা জানান দেন যে তিনি ফুরিয়ে যাননি।

বয়স ৩৯ হলেও আল নাসর তারকা একের পর এক চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করে চলেছেন। কিন্তু ক্লাবে রোনালদোর আধিপত্য থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে যেন কিছুটা উপেক্ষিত মনে হয়েছিল তাকে। কিন্তু চলতি ইউরো কাপের মধ্য দিয়ে আবারও তিনি ফিরেছেন নিজস্ব আঙ্গিকে।

আর তাইতো নাম দেখে নয়, পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই দলে রাখা হয়েছে রোনালদো। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির কোচ রবের্তো মার্তিনেজ। তিনি বলেন, “কেউই নামের কারণে জাতীয় দলে সুযোগ পায়নি, পারফরম্যান্স করেছে বলেই সুযোগ মিলেছে। রোনালদো আমাদের জন্য গোলস্কোরার। সে এমন একজন যে তার মুভমেন্ট দিয়ে ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখতে পারে, আর আমাদের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়। সে তার খেলার ধরণ চেইন্জ করেছে। জাতীয় দলে তার গোল সংখ্যাই তাকে ডিফেন্ড করার জন্য যথেষ্ট।”

ইউরোতে এবার ফেভারিট হিসেবেই খেলতে যাবে পর্তুগাল। তবে সব ছাপিয়ে মূল আলোচনা রোনালদোকে নিয়ে। পর্তুগাল অধিনায়ক নিয়মিত দলটির একাদশে থাকবেন কিনা, সেদিকেই নজর সবার। আলোচনাটা আসছে গত বিশ্বকাপের কারণেই। সেবার আগের কোচের অধীনে আসর শেষের দিকে একাদশে জায়গা হারান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

তবে মার্তিনেজ শুরু থেকেই পরিকল্পনায় রাখছেন রোনালদোকে। চেকি রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আরও একবার শিষ্যর প্রশংসা করেন তিনি। আর শুধু গোলই নয়, রোনালদোর অভিজ্ঞতাই দলের কাজে আসবে বলেও মানছেন মার্তিনেজ। তিনি আরও বলেন, “ক্রিস্টিয়ানো একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পাঁচটা ইউরোতে খেলেছেন এবং তিনি এখন ছয় নম্বরটিও খেলবেন। তার অভিজ্ঞতা ড্রেসিংরুমে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে আমাদের কঠিন সময় পার করতে হতে পারে, দেখার বিষয় আমরা সেটা করতে পারি কিনা।”

এবার সহ রেকর্ড টানা ছয়টি ইউরো খেলতে যাওয়া রোনালদো শেষ পাঁচ ইউরোতেই গোলের দেখা পেয়েছেন। এই আসরে গোল করতে পারলে সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে গোল করার রেকর্ড গড়বেন রোনালদো।

পর্তুগিজ অধিনায়কের থাকাটাকে সতীর্থ রুবেন দিয়াস দারুণ ব্যাপারই মানছেন। “তাকে আমাদের সাথে পেয়ে আনন্দিত। এই বয়সেও সে দলের সাথে থাকার জন্য সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছে। সে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার সে আমাদের অধিনায়ক।”


ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক নজরে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যত রেকর্ড

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পর্দা নামলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ২৯ দিন ও ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হাসলো ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো রোহিত শর্মার দল।

টুর্নামেন্টের নবম আসর শেষে আসুন এক নজরে দেখে নেই এই আসরের রোল অব অনার ও ব্যক্তিগত রেকর্ডসমূহ:

রোল অব অনার

চ্যাম্পিয়ন: ভারত

রানার্সআপ: দক্ষিণ আফ্রিকা

ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: ভিরাট কোহলি

ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট: জাতপ্রিত বুমরাহ

রান ও ব্যাটিং রেকর্ড

সর্বোচ্চ রান: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (২৮১)

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস: নিকোলাস পুরান (৯৮)

সর্বোচ্চ অর্ধশতক: রোহিত শর্মা (৩)

সর্বোচ্চ ছয়: নিকোলাস পুরান (১৭)

এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয়: অ্যারোন জোন্স (১০)

সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউট: রজার মুকাসা (৩)

বোলিং ও ফিল্ডিং রেকর্ড

সর্বোচ্চ উইকেট: ফজলহক ফারুকি ও আর্শ্বদ্বীপ সিং (১৭)

সেরা বোলিং ফিগার: ফজলহক ফারুকি ৯/৫

সেরা ইকোনমি: টিম সাউদি ৩.০০

সর্বোচ্চ ক্যাচ: এইডেন মার্করাম (৮)

এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ: এইডেন মার্করাম ৪

সর্বোচ্চ ডিসমিসাল: ঋষভ পন্ত (১৪)

দলীয় রেকর্ড

সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস: ২১৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ (বনাম আফগানিস্তান)

দুই ইনিংস মিলে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান: ৩৯১ (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা)

সর্বোচ্চ রানে জয়: ১৩৪ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (উগান্ডার বিপক্ষে)

সর্বোচ্চ রানের জুটি: গুরবাজ-জাদ্রান ১৫৪


বিশ্বকাপ   টি-টোয়েন্টি   চ্যাম্পিয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

সেঞ্চুরিহীন এক বিশ্বকাপ দেখলো পৃথিবী!

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পর্দা নামলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ২০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত এই টি-টোয়েন্টি মহাযজ্ঞের আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পহেলা জুন শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। ২৯ দিন ও ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হাসলো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৭ সালে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল।  

অনেক দলগত ও ব্যক্তিগত রেকর্ডের পসরা সাজিয়ে বসেছিল এবারের আসর। তবে ছিল না কোনো শতক। ২০০৯ সালের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর এটি, সেখানে কোনো ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসেনি শতরানের ইনিংস।

এবারের আসরে নব্বইয়ের ঘরে নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসকে নিয়ে যেতে পেরেছেন তিনজন ব্যাটার। নিকোলাস পুরান ৯৮, অ্যারোন জোন্স ৯৪* ও রোহিত শর্মা ৯২।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো রোহিত শর্মার দল। জোহানেসবার্গের পর বার্বাডোসে সুখস্মৃতি সঙ্গী হলো ভারতের।


বিশ্বকাপ   চ্যাম্পিয়ন   ভারত   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত, ধোনির আবেগঘন বার্তা

প্রকাশ: ০৯:৫১ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত। দীর্ঘ ১১ বছরের অপেক্ষার পর আইসিসির কোনো ইভেন্টে ট্রফি জিতল টিম ইন্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে আইসিসির ইভেন্টের শিরোপার গেরোটা খুলতে পেরেছে ভারতীয়রা। এই বিজয়কে পুরো ভারতের ক্রিকেট ভক্ত এবং খেলোয়াড়রা উদযাপন করেছেন, যেখানে রয়েছেন ভারতকে সর্বশেষ কোনো আইসিসি ট্রফি এনে দেওয়া অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও।

ধোনি, যিনি ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছিলেন, ইনস্টাগ্রামে তার গর্ব ও আনন্দ প্রকাশ করেছন। তিনি লেখেন, ‘বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ২০২৪। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল, শান্ত থেকে, আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে এবং যা করেছে তার জন্য ধন্যবাদ। ঘরে বিশ্বকাপ নিয়ে আসার জন্য পৃথিবীর সব জায়গার ভারতীয়দের পক্ষ থেকে বড় ধন্যবাদ। অভিনন্দন। আরও ধন্যবাদ অগ্রীম এই অমূল্য জন্মদিনের উপহারের জন্য।" উল্লেখ্য, ধোনি ৭ জুলাই ৪৩ বছর বয়সে পর্দাপন করবেন।

ভারতের এই বিজয় সাম্প্রতিক আইসিসি ইভেন্টে ধারাবাহিক হতাশার অবসান ঘটিয়েছে, যার মধ্যে দুটি টানা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে পরাজয় এবং গত বছর ৫০-ওভারের বিশ্বকাপে রানার-আপ হওয়া অন্তর্ভুক্ত। এই বিজয় ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ভারতের প্রথম প্রধান শিরোপা।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, ভারত ১৭৬ রানে সাত উইকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ করে। বিরাট কোহলি, তার শেষ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে, ৫৯ বলে ৭৬ রানের স্টাইলিশ ইনিংস খেলেন, ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কা মারেন। কোহলির পারফরম্যান্স তাকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দেয়।

ভারতের বোলাররা, আর্শদীপ সিং (২/২০) এবং জাসপ্রিত বুমরাহ (২/১৮) নেতৃত্বে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬৯ রানে আট উইকেটে সীমাবদ্ধ করে ভারতের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা নিশ্চিত করেন।

ম্যাচের পরে, কোহলি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক থেকে তার অবসরের ঘোষণা দেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার গুরুত্ব জোর দিয়ে।


বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন   ভারত   ধোনি   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বজয়ের গল্প রোহিত-কোহলিদের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮৩ তে কপিল দেব। এরপর ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির ট্রেবল। তারপর যেন সবকিছুই নিস্তব্ধ হয়ে ছিল একটা লম্বা সময় ধরে। অধিনায়কের পর অধিনায়ক বদল, ট্যাক্টিকস-কোচ-প্রতিপক্ষ সবখানেই পরিবর্তন। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছিল না। বারবার সেমি অথবা ফাইনালে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হচ্ছিল রোহিত-কোহলিদের। যার জন্য ‘নব্য চোকার’ তকমাটাও লাগার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ভারতের নামের পাশে। কিন্তু অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে টানা ১১ বছর পর শিরোপা খরা কাটলো ভারতের। আসল ‘চোকার্স’ খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নবম টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হলো রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।

শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারায় রোহিত শর্মার দল। টস জিতে ভিরাট কোহলির অর্ধশতকে ১৭৬ রানের পুঁজি পায় টিম ইন্ডিয়া। জবাবে নির্দিষ্ট ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুললে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এনিয়ে ১১ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন হল নীল শিবির।

শেষবার ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল তারা। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের পর তৃতীয় দল হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হল তারা।

এদিন ভারত শিরোপা তো জিতলোই। সাথে জিতলো কোটি ভক্তের হৃদয়। কারণ এ জয় শুধু যে তাদের দলের তা নয়। এ জয় ১৪০ কোটি ভারতীয়সহ আরও বহু ভক্তেরও। কারণ এই জয়ের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১১টি বছর। 

গতরাতে ভারত বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি সকলকে দিয়ে গেছে বাস্তব জীবনের কিছু শিক্ষা। যেখানে যেমন রয়েছে একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষের অধ্যায়, ঠিক তেমনই রয়েছে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব জয়ের গল্পও।

বাস্তব জীবনের এই শিক্ষার লিডার হলেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই আইপিএলে হারালেন মুম্বাইয়ের অধিনায়কত্ব। ব্যাটেও পাচ্ছিলেন না আশানুরূপ রান। এতে করেই অনেকে ভেবে নিয়েছিল অধিনায়ক হিসেবে তিনি শেষ। তবে কথায় আছে না, সোনাকে যতই ঘষা মাজা করো সেটা সোনাই থাকে। আর গতরাতের ফাইনালের মধ্য দিয়ে সেটিই প্রমাণ করলেন রোহিত। ক্রিকেটকে কেন ক্যাপ্টেন্স গেম বলা হয়, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হয়ে রইলো রোহিতের এদিনের সব কার্যক্রম।

শুধু রোহিত নয়, এই গল্পের মহাকাব্যিক বিরাট কোহলি। যে কোহলিকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বে সমালোচনার শেষ ছিল না, ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে যেখানে ‘বিরাট হটাও’ রোল উঠেছিল; সেই কোহলিই যেন বিশ্বজয়ের নায়ক হয়ে রইলেন। এবারের আসরে ওপেনার হিসেবে পুরো টুর্নামেন্টেই ফ্লপ ছিলেন কোহলি। তবে নিজের সেরাটা যেন শেষের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দল যখন ধুঁকছিল, ঠিক তখনই নিজের সামর্থ্যের পরিচয়টা দিলেন ব্যাট হাতে। খেললেন চওড়া এক ইনিংস।

রিশাভ পান্ট? তার তো বেঁচেই থাকার কথা না। বেঁচে থাকা যদি অলৌকিক হয়, তার পায়ে হাটা আরো বড় অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অথচ সেই মানুষটাই বিশ্বজয়ের আসরে দেখালেন পাগলাটে সব শটের বাহার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাখলেন প্রয়োজনীয় অবদান।

হার্দিক পান্ডিয়ার কথা আলাদাভাবে বলতেই হয়। স্ত্রীর কাছে প্রতারিত হলেন। আইপিএলে অধিনায়কত্ব পেলেন ঠিকই কিন্তু পারিবারিক অশান্তির ফলে দল ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যারপরনাই বাজে। বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা মানুষই ফাইনালে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। ফিরে আসার গল্পের অন্যতম বড় নায়ক তো তিনিই।

জাসপ্রিত বুমরাহ তো ম্যাজিশিয়ান। অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করে গেছেন। ভারতের চিট কোড হিসেবে দলের সবচেয়ে বড় ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় তিনি। যার জন্য পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।

সূর্যকুমার যাদব তো ফাইনাল ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ নেননি। নিয়েছেন ভারতের ১১ বছরের অপেক্ষার শিরোপা। ফিল্ডিং যে কীভাবে একটা ম্যাচকে বদলে দিতে পারে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ তিনিই।

এভাবে প্রত্যেককে নিয়ে ছোটবড় গল্প লেখা যাবে। আক্সার প্যাটেল থেকে শুরু করে শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা বা আর্শদীপ সিং... ভারতের প্রতিটি ক্রিকেটারই একেকটা চ্যাম্পিয়ন। শিরোপা জেতার যোগ্য দল তাদের চেয়ে আর কে আছে?

ক্রিকেটকে অনেকেই জীবনের সঙ্গে তুলনা করেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের শিক্ষা পাওয়া যায় একটা ক্রিকেট ম্যাচ থেকে। হারার আগে যারা হারতে জানে না, জয়টা হয় তাদেরই। যার উদাহরণ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল ম্যাচ!


বিশ্বজয়   গল্প   রোহিত   কোহলি   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পেরুর বিপক্ষে মার্তিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার দাপুটে জয়

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা।

মেসি থাকলে দলটি কতটা শক্তিশালী, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মেসি ছাড়াও যে আকাশি-নীলরা জিততে সক্ষম, সেই প্রমাণ দিল তারা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে।

ইনজুরির সমস্যা থাকায় পেরুর বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মেসি খেলবেন না তা আগেই নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে রোববার এ ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। দলের হয়ে দুটি গোলই করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ।

এদিন খেলার প্রথমার্ধে ৮০ শতাংশ বল পজিশন ধরে রেখে পেরুর গোলমুখে মাত্র ৬টি শট নেয় আলবিসেলেস্তেরা। যার মধ্যে টার্গেটে ছিল মাত্র ৩টি।

অন্যদিকে পেরু আর্জেন্টিনার গোলমুখে মাত্র একটি শট করতে সক্ষম হয়। তবে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন আর্জেন্টিনার ছক ও কৌশল বদলে যায়। একের পর এটাক করতে পারে তারা। আর দ্বিতীয়ার্ধে নামার পরপরই গোলের দেখা পান মার্টিনেজ। ৪৭ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলের হয়ে অপর গোলটিও তিনিই করেন ৮৬ মিনিটে।

গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে জয় তুলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মেসি-স্কালোনির আর্জেন্টিনা। এবার পেরুর বিপক্ষে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে গেল লিও মেসির দল।


আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   পেরু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন