ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘হাম নেহি জিতেঙ্গে, হামারা মর্জি’

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০০২ সালে শুরু হওয়া পাকিস্তানের এআরআই টিভির জনপ্রিয় একটি শো ‘লুস টক’। পাকিস্তানের বিখ্যাত টিভি স্ক্রিপ্ট রাইটার আনোয়ার মাকছুদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির ৪৬ তম এক এপিসোডে বাংলাদেশের এক প্লেয়ারের ভূমিকায় শো তে উপস্থিত হতে দেখা যায় পাকিস্তানের বিখ্যাত কমেডিয়ান মঈন আকতারকে। সেখানে আনোয়ার মাকছুদের পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পর পর তিন টেস্ট হারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মঈন আকতার উত্তর দিয়েছিলেন ‘হামরা মর্জি হে হাম নেহি জিতেঙ্গে, দিস ইজ আওয়ার টার্গেট’। পুনরায় আনোয়ার মাকছুদ জিজ্ঞেস করলেও তিনি (মঈন আকতার) তার জবাবে অটুট থাকেন। এবার তিনি উত্তর দেন ‘হাম নেহি জিতেঙ্গে মতলব হাম নেহি জিতেঙ্গে’। আজ দীর্ঘ ২৪ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ কিংবা এ পুরো টি-২০ বিশ্বকাপ পূর্ব পর বাংলাদেশের ম্যাচ গুলো দেখলে ‘লুস টক’এর সেই ৪৬ তম এপিসোডটির কথা মনে পড়ে যাবে যেকোন বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তের।

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। যে ম্যাচে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে মাত্র ১১৫ রানের টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। তবে সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশকে এই রান সংগ্রহ করতে হতো ১২.১ ওভারে। আধুনিক টি-২০-তে এটি খুব একটা কঠিন না হলেও বাংলাদেশ এ রান ১২.১ ওভারে জেতা তো দূরের কথা উল্টো নির্ধারিত ওভার শেষেও এ রান তুলতে পারেনি। ১৭.৫ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ১০৫ রান। এতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে টাইগাররা। যার ফল টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।  এই ম্যাচের ফলাফলে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে দেখা গেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। 

একটি দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পাওয়ার ২৭ বছর পরও আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে সফলতার মুখ দেখেনি, নেই জয়ের তীব্র ক্ষুধা, আত্মবিশ্বাস নেই, এমনকি নেই কোন সঠিক গেমপ্ল্যান। যার উপর ভর করে দলটি সফলতার মুখ দেখবে। অথচ ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পাওয়া আফগানিস্তান পুরো বিশ্বকে চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে ম্যাচ জিততে বা আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে মনের জোড় আর আত্মবিশ্বাসই যথেষ্ট। 

বাংলাদেশ আইসিসি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা পায় ১৯৯৭ সালে। আর টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পায় ২০০০ সালের ২৬ জুন। এরপর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অর্জন কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর কি হবে তা আমরা সবাই জানি। অন্যদিকে ২০০৯ সালে ওডিআই-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে আফগানিস্তান তাদের সক্ষমতা জানান দিয়ে গেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। বিশ্বের বাঘা বাঘা দল নাকানি চুবানি খেয়েছে তাদের স্পিন ঘূর্ণিতে। এসব প্রসঙ্গ তুললে অনেকে হয়তো বলবেন, অন্যের ১০ তলা ভবন দেখে কি নিজের টিনের চালা ঘর ভেঙ্গে ফেলা উচিত? কিন্তু আসলেই একবার ভেবে দেখা উচিত ক্রিকেটে এই ২৭ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের অর্জন কতটুকু? দেশের ক্রিকেট কি আদৌ উন্নতি করেছে? নাকি ক্রমাগত ব্যর্থতার ধাক্কায় গর্তে পড়ে যাচ্ছে? এটি বিচার করার দায়িত্ব দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীর, বিসিবির। 

আসুন একনজরে দেখে নেয়া যাক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা লাভের পর বাংলাদেশের অংশগ্রহণকৃত প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের অর্জনসমূহ। 

১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদা লাভের পর প্রথম অংশগ্রহণকৃত কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এটি। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শক্তিশালী পাকিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের আগমনী বার্তা দেয়। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচে ২টি জয় তুলে নেয় টাইগাররা। তবে এই টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিতভাবেই পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থেকে বিদায় নেয় তারা। 

২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ:

এ বিশ্বকাপটি ছিলো বাংলাদেশের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। আগের বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা এই আসরে ধরে রাখতে অক্ষম হয় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে গ্রুপ-বি-তে থাকা দলটি ৬ ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে সেখান থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। 

২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

আগের বিশ্বকাপের আসরগুলো থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু হয় ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপে গ্রুপ বি’ তে বাংলাদেশের সঙ্গী ছিলো ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বারমুডা। গ্রুপ পর্বে ভারত ও বারমুডাকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গী হয়ে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে ওঠে বাংলাদেশ। তবে সুপার এইটে আবার যথারীতি হতাশা। সুপার এইটে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ টি জয় তুলতে সক্ষম হয় দলটি। এই একমাত্র জয়টি আসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে তুলনামূলক দুর্বল দল আয়ারল্যান্ডের সাথে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। 

২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ:

ক্রিকেটের সম্পূর্ণ নতুন এই সংস্করণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এ দুই ম্যাচ থেকে ১ জয় ও ১ হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে বাংলাদেশ। 

২০০৯ ও ২০১০ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

যথারীতিভাবে এই দুই বিশ্বকাপেও ব্যর্থ টাইগাররা। ক্রিকেটের বৈশ্বিক এই দুই আসরে হতশ্রী পারফর্মমেন্স করে বাংলাদেশ। দুই বিশ্বকাপেই গ্রুপ-এ তে পড়ে বাংলাদেশ। উভয় আসরে কোন ম্যাচ না জিতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে প্লেনের টিকেট কেটেছে বাংলাদেশ। 

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ:

২০১১ সালের বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীর মধ্যে ছিলো অন্যরকম উন্মাদনা। কেননা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে নিজ দেশে। কিন্তু এ বিশ্বকাপেও ক্রিকেট ভক্তদের হতাশ করেছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়ে লজ্জায় ডুবতে হয় টাইগারদের। তবে এর পরের ম্যাচগুলোতে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডকে হারালেও শেষ পর্যন্ত পরের রাউন্ডে উঠতে যথারীতি ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। 

২০১২ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

আরেকটি নতুন বছর আরেকটি নতুন টুর্নামেন্ট। দেশ তখন টু-জি থেকে থ্রি-জিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেক কিছুই পাল্টেছে। শুধু পাল্টেনি একটি জিনিস সেটি হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা। এ বিশ্বকাপেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। ২ ম্যাচের দুইটিতেই হার। ফলাফল কোন পয়েন্ট না নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফেরত আসে বাংলাদেশের টাইগাররা। 

২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

২০১২ সালের ব্যর্থতা ভুলে যেতে বাংলাদেশের কাছে আবারও সুযোগ আসে ২০১৪ সালে। কারণ এবার নিজেদের ঘরের মাঠে একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু হায় সেলুকাস! ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বাংলাদেশকে বের করবে কে? গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচের সব ক’টিতে হেবে বাদ বাংলাদেশ। সব ছাপিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭১ রানের বিশাল হার লজ্জায় ফেলে বাংলাদেশকে পুরো বিশ্ববাসীর কাছে। তাও আশার কথা এবার নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় বিমানের টিকেট কাটতে হয়নি টাইগারদের। 

২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

বিশ্বকাপের এই আসরে গ্রুপ পর্বে গ্রুপ-তে খেলে বাংলাদেশ। এ গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ৩ জয়, ২ হার ও ১ ড্র নিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে ১০৯ রানে হেরে দেশে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে।  

২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

ভারতে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে ভালোই করে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের ২ ম্যাচ জিতে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় দলটি। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা থেকে বেরোতে নারাজ। টাইগাররা যেনো ‘লুস টক’এর সেই মঈন আকতারের কথাটি খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়ে নিয়েছে। এবারও তারা ‘হাম নেহি জিতেঙ্গে মাতলাব হাম জিতেঙ্গে’ এমন বিশ্বাসে অনঢ়। এই বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেন ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। ৪ ম্যাচের ৪টিতেই হার!

২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বৈশ্বিক কোন আসরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এই টুর্নামেন্টে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। আর এই টুর্নামেন্টে গ্রুপ-এ রানার্স আপ হয়ে সেমি ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। যদিও বৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার দুইটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ১ জয় এবং ১ ড্র মিলিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমি নিশ্চিত করে তৎকালীন মাশরাফি বাহিনী। এতে আশায় বুক বাধে দেশের হাজারও ক্রিকেট প্রেমী। তবে সেমি ফাইনালে ভারত বাধা আর পার করতে পারেনি টাইগাররা। ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হয় টুর্নামেন্ট থেকে। 

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সুখস্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডে যায় ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে। সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণের এই বিশ্বকাপে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নয়া সূর্য উদিত করে টাইগাররা। কিন্তু এরপর শুরু হয় আবার হারের বৃত্তে আটকে পড়া। ১০ দলের এই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জিততে পেরেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এক হতাশার গল্প। 

২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

টি-২০ বিশ্বকাপের এই আসরে আবারো পুনরাবৃত্তি ২০১৪ ও ২০১৬ আসরের। এ আসরেও যথারীতি প্রথম পর্ব থেকে মূল পর্বে কোন যদি কিন্তু ছাড়া উত্তীর্ণ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু মূল পর্বের ৫ ম্যাচে ৫ হার। আবার কোন অর্জন ছাড়া দেশে ফেরে টাইগার বাহিনী। 

২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপ: 

টি-২০ বিশ্বকাপের সব ব্যর্থতা ভুলে নতুন রূপে বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপে সরাসরি মূল পর্বে জায়গা করে নিল টিম টাইগার্স। এ বিশ্বকাপে তেমন আশানুরূপ ফল অর্জন করতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি উইকেটে গ্রুপ পর্বের ২ টি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ এবং টুর্নামেন্টে গ্রুপ-ডি তে ৫ নম্বরে থেকে শেষ করে টুর্নামেন্ট।

২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: 

সবশেষ ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের এ আসরে ৯ ম্যাচে মাত্র দুই জয় থেকে ৪ পয়েন্ট তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এরপর ফল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ৮ নম্বর স্থান এবং বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই বিমানের টিকেটে দেশের পথ ধরেছে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   বিশ্বকাপ   হার   জিত   লুস টক   হমরা মর্জি   নেহি জিতেঙ্গে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি খেলবেন কি?

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। যেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সহ প্রতিটি দলই নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের খেলা। যেখানে সবার আগেই পর পর তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। আর সবশেষ দল হিসেবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করে আজ শেষ আট নিশ্চিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

গ্রুপপর্বের লড়াই শেষে এবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালকে সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো। যার মধ্যে রয়েছে, তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দলের বাকি ফুটবলারদের ছাপিয়ে সবার নজর এখন চোটাক্রান্ত লিওনেল মেসির দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে মেসি পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন অনেকেরই।

মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মেসিকে পূর্ণ ফিট অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা দল। শুক্রবার (০৫ জুলাই) ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে খেলার সময় চোটে পড়েন মেসি। অস্বস্তিকে সঙ্গী করেই সেদিন খেলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।  এখন কোয়ার্টার ফাইনালেও মেসির পুরো ৯০ মিনিটে খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

কোয়ার্টার ফাইনালে দলের অধিনায়ক ও সেরা খেলোয়াড়কে মাঠে পেতে মরিয়া স্কালোনি। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছেন মেসি। বল নিয়ে অনুশীলনেও দেখা গেছে তাকে।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসিকে খেলাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি স্কালোনি। যদি কোনো কারণে মেসিকে শুরু থেকে খেলানো সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে তাকে বেঞ্চ থেকে মাঠে নামাবেন কোচ। আর মেসি বেঞ্চে থাকলে দলের অধিনায়কত্ব করবেন আনহেল দি মারিয়া।


আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   লিও মেসি   লিওনেল স্কালোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে’

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বকাপের সাফল্য-ব্যর্থতা ছাপিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাসকিন আহমেদের ঘুম-কাণ্ড।  সংবাদমাধ্যমে রটেছে, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের দিন নাকি ঘুম ভাঙেনি তাসকিনের। এমনকি ঘুম থেকে দেরিতে ওঠায় টিম বাস মিস করেন তিনি। সেই কারণে নাকি ওই ম্যাচের একাদশেও রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ককে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল সাকিব আল হাসান ও বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তাদের কথার মধ্যেও নানারকম ধোঁয়াশা ছিল। তবে এবার নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলেন খোদ তাসকিন নিজেই।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাসকিন লেখেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ এবং তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এর জন্য আমি ইতিমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের  কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭ এ উঠেছিলাম এবং ৮:৪৩ এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে আমি সকাল ৯:০০ এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০ এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০ এ। আমরা সকাল ১০:১৫ এ জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০ এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না উঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের  সিদ্ধান্ত ছিলো। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত  এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সাথে সম্পর্কিত ছিল না।

তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ আমার ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার সকল ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না তাসকিন। আর এ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ঘুমের কারণে নাকি মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।


তাসকিন আহমেদ   বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড   বিসিবি   সাকিব আল হাসান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে দেশে ফিরছে বিশ্বকাপজয়ী ভারত!

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

তবে তিনদিন পূর্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত রুট ধরে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রাটাই শুরু করা হয়নি তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এখনও রওনাই দিতে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন ‘বেরিল’-এর কারণে বার্বাডোজেই আটকে রয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী অবশেষে আজ বুধবার দেশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারছে ভারত দল। আজ বিসিসিআইয়ের তত্ত্বাবধানে জয় শাহ’র নেতৃত্বে এক বিশেষ চার্টার ফ্লাইটে কোচিং স্টাফ, খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বার্বাডোজ ছাড়ার কথা রয়েছে রোহিতদের। খবর এনডিটিভির।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পর রোববার এমনিতেও বার্বাডোজ থাকার কথা ছিল ভারতের। কারণ, ওই দিন ছিল ফাইনালের আনুষ্ঠানিক রিজার্ভ ডে। তবে এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘বেরিল’ ধেয়ে আসায় ভ্রমণসংক্রান্ত পরিকল্পনা বদলাতে হয় দলটির।

প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে বার্বাডোজ থেকে নিউইয়র্ক, এরপর দুবাই হয়ে ভারতে ফেরার কথা ছিল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। তবে এখন চার্টার ফ্লাইটে সরাসরি দেশে ফিরবেন তারা।

বিশ্বকাপজয়ী দল, তাদের পরিবার, কোচিং স্টাফ, বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাসহ প্রায় ৭০ জনের বহর আটকে পড়েছিল ‘ক্যাটাগরি ফোর’ বা চতুর্থ শ্রেণির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ওই ঘূর্ণিঝড়ে। বার্বাডোজের বিমানবন্দরও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি বলেন, শিগগির বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করছেন তারা। পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘আগবাড়িয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমি বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তারা তাদের শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। জরুরি ভিত্তিতে আমরা স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করে দিতে চাই।’

মটলি বলেন, ‘গতকাল রাতে বা আজ বা আগামীকাল বেশ কয়েকজনের (বার্বাডোজ) ছাড়ার কথা ছিল। আমরা তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করে দিতে চাই। ফলে অনুমান করছি, আগামী ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দর খুলে যাবে।’


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   ঘুর্ণিঝড় বেরিল   হারিকেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আমি কখনও বলিনি ‘আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সালটা ২০২২। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পূর্বে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টি-২০ দল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন।

একপর্যায়ে পাপন বলে বসেন ‘সবসময় এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’। সেই ঘটনার দুই বছর পর বিসিবি সভাপতি দাবি করেছেন, এ ধরনের কোনো কথাই বলেননি তিনি।

পাপন সেদিন বলেছিলেন, এতদিন যা হয়েছে তো হয়েছে। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করছি। এখন আমরা টার্গেট করেছি পরের টি-২০ বিশ্বকাপ। এটার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, ওঠা-নামা হবে। এসব পরের ব্যাপার। তবে আমরা তা মেনে নিতে তৈরি। ওটা যদি খারাপও হয়, আমরা হতাশ হব না। আমরা চাই, ভালো করুক। তবে ৬-৭ মাস পরে যেন আমাদের একটা ভালো দল দাঁড়িয়ে যায়, অন্তত ১ বছরের মধ্যে ভালো ও শক্তিশালী দল যেন পাই, এটাই লক্ষ্য। সবসময় এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ, এবারেরটি নয়।

পাপনের সেই বক্তব্য নিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয় ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ। এখনো যা চলমান। এদিকে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাজে পারফর্মেন্সের কারণে চারদিক থেকে ভেসে আসছে সমালোচনা।

এরই মাঝে গত মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিসিবি সভাপতি। সেখানে তাকে ‘আমাদের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ’ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি।

পাপন বলেন, এই যে আপনি কথাটা বললেন... আমরা খেলার আগে বলি যে নেক্সট বিশ্বকাপ। এটা কোথায় পেলেন? আমি দেখলাম এক জায়গা আমি নাকি বলছি যে...আমি জীবনে এই কথা বলিই নাই। এইগুলো বানান কেমনে? কে বানায়, আপনারা?

তিনি আরো বলেন, আমি বলছি যারা বানায়, তারা বানায় কেমনে। যা দিয়ে বানায়, এখন যদি বানানোর পর যদি কেউ প্রশ্ন করেন, আমার কিছু বলার আছে? এমন অবস্থা হচ্ছে কোনটা যে সত্যি, কোনটা মিথ্যা বলা খুব মুশকিল। আমাকে পাঠিয়ে বলে এটা কী সত্যি? আমি কীভাবে বলবো সত্যি।


নাজমুল হাসান পাপন   বিসিবি   পরবর্তী বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অলিম্পিকের জন্য আর্জেন্টিনার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো। অলিম্পিক দলে তিনজন মেজর (২৩ বছরের বেশি) ফুটবলার রাখার নিয়ম রয়েছে। সেই তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ওতামেন্ডি ও গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। তবে এ দলে জায়গা হয়নি অলিম্পিকে খেলতে ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা করা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের।

তবে, ১৮ সদস্যের এই দলে লিওনেল মেসি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ। কিন্তু পরপর দুটি বড় টুর্নামেন্টে খেলতে রাজি হয়নি মেসি।

উল্লেখ্য, কোপা আমেরিকা ফাইনাল হওয়ার ১০ দিন পর ২৪ জুলাই থেকে শুরু হবে অলিম্পিকে পুরুষদের ফুটবল। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে মরক্কো, ইরাক ইউক্রেন।

প্যারিসে অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা স্কোয়াড

গোলকিপারলিয়ান্দ্রো ব্রে, জেরোনিমো রুলি 

রক্ষণভাগমার্কো ডি সিজার, জুলিও সোলার, জোয়াকিন গার্সিয়া, গঞ্জালো লুজান, নিকোলাস ওতামেন্ডি, ব্রুনো অ্যামিওন 

মাঝমাঠএজেকিয়েল ফার্নান্দেজ, সান্তিয়াগো হেজে, ক্রিস্টিয়ান মদিনা,কেভিন জেনন

আক্রমণ ভাগজুলিয়ানো সিমিওনে, লুসিয়ানো গন্ডৌ, থিয়াগো আলমাদা, ক্লদিও এচেভেরি, জুলিয়ান আলভারেজ, লুকাস বেল্ট্রান।


প্যারিস অলিম্পিক   দল ঘোষণা   হেভিয়ের মার্চেরানো   অনূর্ধ্ব ২৩   আর্জেন্টিনা   মেসি   ডি মারিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন