ইনসাইড গ্রাউন্ড

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে হতাশ অজি অধিনায়ক

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটের শেষ ম্যাচ। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এই এক ম্যাচের ওপর ঝুলছিল তিন দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। কারা যাবে সেমিফাইনালে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সময় লেগেছে ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭ ওভার ৫ বল পর্যন্ত। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে আফগানরাই।

তবে এদিন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ভাগ্য ঝুলেছিল, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের। যেখানে অবশ্য এগিয়ে ছিলেন অজিরাই। কারণ এদিন ম্যাচে শুরুতে আফগানরা ভালো করলেও পরবর্তীতে বড় স্কোর করতে পেরেছিল না। আর এ কারণেই অনেকে ভেবেছিল ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে যাবে। আর বাংলাদেশ জিতলে সেমিফাইনালে যেত অস্ট্রেলিয়া।

যার জন্য এই ম্যাচ চলতে চলতেই ‘কাম অন বাংলাদেশ’ বলে লাল-সবুজের দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। পুরো দল মিলে বাংলাদেশের খেলা দেখছিলেন। টাইগারদের জয় দেখতে মরিয়া ছিলেন তারা। কিন্তু বাংলাদেশ আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ায় হতাশ হয়েছেন মার্শ।

এদিন শেষ চারের লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ারও।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিচেল মার্শ বলেন, 'আমরা সবাই মিলে খেলা দেখেছি। এটা অবশ্যই একটা অসাধারণ ম্যাচ ছিল, তাই না? অনেকবার খেলার মোড় ঘুরেছে। আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি (যখন বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়ে গেল)। আমরা মরিয়া ছিলাম এই টুর্নামেন্টে চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আফগানিস্তান আমাদের হারিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে এবং সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য।'

আরও বলেন, 'অবশ্যই আপনি এই টুর্নামেন্টে খেলে যেতে চান এবং আমাদের একমাত্র উপায় ছিল সেটি (বাংলাদেশের জেতা)। কিন্তু এটা আমাদের একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল এবং এর দায় শুধু আমাদের উপরই বর্তায়।'

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চোটের অভিনয় করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন গুলবাদিন নাইব। বৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের শেষদিকে ঘটেছিল ঘটনাটি! ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে পিছিয়ে। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট সংকেত দিচ্ছিলেন, সময় নিতে। সংকেত দেখার পরপরই স্লিপে থাকা গুলবাদিন মাঠে শুয়ে গেলেন, যেন কিছুটা সময় নিতে চাইলেন এই পেস অলরাউন্ডার। সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়া এই পেসার পরে মাঠে নেমে স্বাভাবিকভাবে বল করেছেন, পেয়েছেন উইকেটও। জয়ের উদযাপনে দৌড়েছেন স্প্রিন্ট অ্যাথলেটদের মতো, লাফিয়ে উঠেছেন সতীর্থদের কাঁধে।

এই কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করলেও দৃশ্যটি বেশ উপভোগ করেছেন মার্শ। তিনি বলছিলেন, 'হাসতে হাসতে আমার চোখে প্রায় পানি এসে যাচ্ছিল। দিনশেষে এটি ম্যাচে কোনো তাৎপর্য রাখেনি। আমরা এটা নিয়ে এখন হাসতে পারি এটা হাস্যকর ছিল। এটা অসাধারণ ছিল।'


বাংলাদেশ   আফগানিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিসিবির বোর্ড সভা: হাথুরুর ভবিষ্যৎ, বিশ্বকাপ ব্যর্থতাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা ইস্যুতে আলোচনা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালেই জানা গিয়েছিলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বোর্ড সভায় বসতে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় মিরপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বোর্ড মিটিংয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যতও আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমাদের বোর্ডের সভা রয়েছে। রুটিন বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়া শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজের বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। বাংলাদেশ দল যখন কোনো আইসিসি বা এসিসির আসরে অংশ নেয়, পরের সভায় পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও তা হবে।’

জানা গেছে, মঙ্গলবারের বোর্ড সভায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। যদিও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে, বোর্ডের একাংশ তাকে বরখাস্ত করার পক্ষে রয়েছে। তবে অধিনায়ক নাজমুল শান্ত তার পদে থাকতে পারেন। এছাড়া আর্থিক বিষয়গুলোও সভায় আলোচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।


বিসিবি   ক্রিকেট   বোর্ড সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলছেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ রাতে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) পঞ্চম আসরের পর্দা উঠছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে মাঠে নামবেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। তাওহীদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমান দলটির স্কোয়াডে আছেন।

সোমবার (১জুলাই) পাল্লেকেল্লেতে প্রথম ম্যাচে ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের মুখোমুখি হবে ডাম্বুলা সিক্সার্স। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

প্রথমবারের মতো এলপিএলে খেলতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। আজ ডাম্বুলার জার্সিতে এই লিগে অভিষেক হতে পারে তার। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ও আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই পেসারকে সরাসরি চুক্তিতে দলে ভিড়িয়েছে সিক্সার্সরা।

একই দলের হয়ে মাঠ মাতাবেন তাওহীদ হৃদয়ও। এই টপ অর্ডার ব্যাটার গত আসরেও এই লিগে খেলেছেন। তবে সেবার তিনি জাফনা কিংসের হয়ে খেলেছিলেন। এবার দল বদলে হৃদয় খেলছেন সিক্সার্সের হয়ে।

এছাড়া আরেক বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদও থাকছেন এলপিএলে। তিনি কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন। তার দলের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার।


লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ   এলপিএল   মুস্তাফিজ   হৃদয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টারের টিকিট কাটতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল-স্লোভেনিয়া

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর হাইভোল্টেজ ম্যাচে আজ রাতে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে পর্তুগাল। এই ম্যাচের জয়ী দল পাবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। দুই দলই ম্যাচটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তবে পরিসংখ্যান ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্লোভেনিয়াকে নিয়ে বেশ সতর্ক পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। কারণ, তারা চায় না শেষ ষোলোর লড়াইয়ে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়তে।

ফ্রাঙ্কফুর্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্টিনেজ বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি জীবন-মরণ ম্যাচ।’ 

বেলজিয়ামের কোচ থাকার সময় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মার্টিনেজের। তিনি বলেন, ‘আমরা স্লোভেনিয়াকে ভালোভাবে চিনি। ইউরোপের সব দলই মানসম্পন্ন এবং সবাই জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সামান্য ভুলই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করতে পারে। স্লোভেনিয়া অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিপক্ষকে বোকা বানাতে সক্ষম। তাদের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

এর আগে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। সে সম্পর্কে মার্টিনেজ বলেন, ‘সেটি ছিল প্রীতি ম্যাচ। কিন্তু এই ম্যাচটি সম্পূর্ণ আলাদা। এটি স্লোভেনিয়ার জন্য ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত, কারণ তারা শেষ ষোলোতে খেলছে। আমরা তাদের সম্মান করি এবং তাদের খেলা দেখে মনে হয়, কোনো ক্লাব দল খেলছে। তারা রক্ষণভাগে অত্যন্ত শক্তিশালী।’


পর্তুগাল   স্লোভেনিয়া   ইউরো   চ্যাম্পিয়নশিপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ, কিন্তু কোন পরিসংখ্যানে?

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুবর্ণ সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষমেষ নিজেদের খামখেয়ালি আচরণের কারণেই সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। ৭ ম্যাচে ৩ জয় আর ৪ হারে ইতি ঘটে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের।

বিশ্বকাপের পর এখন চলছে পরিসংখ্যান আর প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ। সংখ্যাতত্ত্বের সেই বিশ্লেষণে দেখা গেল ভিন্নরকমের এক তথ্য। পুরো বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলা দলগুলোর মধ্যে ক্যাচ নেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও।

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বাংলাদেশের ক্যাচ ধরার শতকরা সাফল্য ছিল বেশি। কমপক্ষে সুপার এইট খেলেছে এমন দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ক্যাচ নেয়ায় এগিয়ে আছে কেবল ইংল্যান্ড। ৮৭.৯০ শতাংশ ক্যাচই তালুবদন্দি করেছে জস বাটলাররা। আর ৮৭.৫০ শতাংশ ক্যাচ নিয়েছে টাইগার ফিল্ডাররা। আসরে বাংলাদেশ নিয়েছে ২৮ ক্যাচ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ২৯ ক্যাচ। দুই দলই ছেড়েছে ৪ ক্যাচ।

৩৫ ক্যাচ নিলেও অস্ট্রেলিয়া এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ক্যাচ মিস করেছে। ৭০ শতাংশ ক্যাচ ধরেছে তারা। ভারত ৪৫ ক্যাচ নিয়ে মিস করেছে ১১টি। তারা তালুবন্দি করেছে ৮০.৪০ শতাংশ ক্যাচ। তারা দুই দল আছে সবার নিচে। ৮৫ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে তিনে। ৮৩.৬০ শতাংশ ক্যাচ সফলভাবে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আফগানিস্তান নিয়েছে ৮২.৫০ শতাংশ ক্যাচ। আর যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে ৮২.৪০ শতাংশ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে। টাইগার ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে হতাশ করলেও বল হাতে কিংবা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন, তারই যেন নমুনা দেখা গেল এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যানে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোট ৪৬ ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করামরা।

সবচেয়ে বেশি মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা ছেড়ে দিয়েছে ১৫ ক্যাচ। সব কম ক্যাচ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা লুফে নিয়েছে ১৪ ক্যাচ। মিসও সবচেয়ে কম করেছে তারাই। মোটে ৩ ক্যাচ ছেড়েছিল স্বাগতিকরা। 


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বেরিল’ এর কারণে এখনো বার্বাডোজেই আটকা ভারত, দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

তবে দুইদিন পূর্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত রুট ধরে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রাটাই শুরু করা হয়নি তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এখনও রওনাই দিতে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন ‘বেরিল’-এর কারণে বার্বাডোজেই আটকে রয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে যাওয়া হারিকেন বেরিল  ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি-৩ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে এই ঝড় ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হারিকেন ‘বেরিল’ –এর প্রভাবে ব্রিজটাউন বিমানবন্দর রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এখান থেকেই মূলত ভারতের উদ্দেশে রওনা করার কথা ছিল রোহিত শর্মাদের। বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় দলের বিমানে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে দুবাইয়ে। তার পর মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিত বিমান। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে সূচিতে বদল করতে হচ্ছে।

জটিল পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে গোটা দলকে চার্টার্ড বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ভারতের ক্রিকেট কর্তারা। তবে কবে রোহিতেরা রওনা হবেন, তা জানা যায়নি।

বিসিসিআই সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ‘বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় দলের নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে দুবাই হয়ে ভারতে ফেরার কথা। এখন পরিকল্পনা হল, চার্টার্ড বিমানে সরাসরি দিল্লি ফিরে আসা। দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে।’

ভারতীয় দলে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, পরিবারের সদস্য এবং কর্তা মিলিয়ে প্রায় ৭০ জন রয়েছেন। সবাই একসঙ্গে ফিরবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।  যদিও সকলকে একসঙ্গে ফেরাতে যে ধরনের বড় চার্টার বিমান দরকার তা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নেই। সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান জোগাড় করার চেষ্টা চলছে।


ঘুর্ণিঝড় বেরিল   আটলান্টিক মহাসাগর   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন