বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে পুরোনো আসর কোপা আমেরিকা। যার সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা। টানা ২৮ বছর ধরে শিরোপা খরায় থাকা আলবিসেলেস্তেরা এই কোপার মধ্য দিয়েই নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে গত আসরে। সেবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জিতেছে মেসিবাহিনী।
আরও একবার মাঠে গড়িয়েছে কোপা আমেরিকার আসর। এবারও শিরোপার দৌঁড়ে এগোচ্ছে আর্জেন্টিনা। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল স্কালোনির দল।
আর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে তেমন কোনো বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে না আলবিসেলেস্তেদের। সে কারণেই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে বেঞ্চের পরীক্ষা করা ইঙ্গিত দিলেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের বড় মঞ্চে ঝালিয়ে দেখতে চান তিনি।
আসরে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই স্কোয়াডে ছিলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। কিন্তু কোনোটিতেই এই ম্যানইউ ফরোয়ার্ডকে মাঠে নামাননি কোচ। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গারনাচোকে নিয়ে বলার সময় পেরুর বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার ইঙ্গিত দেন স্কালোনি।
সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, আমরা তাকে পরখ করে দেখতে চাই কারণ সে তরুণ ও নতুন খেলোয়াড়। মাঝেমধ্যে তো মনে হয় তাকে ম্যাচে নামাতে পারি। কিন্তু ম্যাচ যখন এগোয়, তখন মনে হয়, এটা উপযুক্ত ম্যাচ নয় তাকে নামানোর। আশা করি, তরুণ ফুটবলারদের যখন সুযোগ দেওয়া হবে, তারা সেটা কাজে লাগাতে পারবে।
উল্লেখ্য, চিলির বিপক্ষে ডানপায়ে চোট পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। যদিও পুরো ম্যাচ খেলেছেন তিনি, তবে পেরুর বিপক্ষে তাকে বিশ্রাম দিতে পারেন কোচ স্কালোনি। চলতি আসরে টানা ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। রোববার (৩০ জুন) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।
আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা লিও মেসি লিওনেল স্কালোনি
মন্তব্য করুন
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন শুরু হবে শিরোপা জয়ের লড়াই। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা শুরু হবে ম্যাচটি। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত রয়েছে এই দুই দলই। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আজ কেউই কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। লড়াইটাও জমবে ভালো।
ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বার্বাডোজের কিংস্টোন ওভালে। তাই এখন আলোচনার মূল বিষয় কেমন হতে পারে দুই দলের একাদশ। টানা ম্যাচ জিতলেও ফাইনাল নিয়ে বেশ সতর্ক দুই দল। এই ভেন্যুতে সবশেষ ম্যাচে আফগানদের ১১৫ রানে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু জবাব দিতে নেমে ১০৫ রানেই গুঁটিয়ে যায় টাইগাররা। তার আগের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ১১৫ রানে অলআউট হলেও বড় জয় পায় ইংলিশরা। তবে ফাইনাল ম্যাচে ফ্ল্যাট উইকেটেই খেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই একাদশেও পরিবর্তন আসতে পারে।
গত দুই ম্যাচ দুই পেসার নিয়ে খেলেছে ভারত। গায়নায় স্পিনের সুবিধা নিতে অক্ষর প্যাটেলকে খেলা হয়। ম্যাচসেরাও হন তিনি। তবে ফাইনালে যদি এক পেসার বাড়াতে চান তাহলে জায়গা হারাতে পারেন অক্ষর। তা ছাড়া বাকি দশটি জায়গা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনায় বেশি।
বিরাট কোহলির অফ ফর্মে থাকলেও তাকে নিয়ে তাড়াচাড়া করতে চান না কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোহলির অভিজ্ঞার উপর ভরসা রাখছেন তারা।
অন্যদিকে সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের জাদেজা-কুলদ্বীপ থাকায় একজন বাড়তি পেসার নেওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রোটিয়াদের হাতে সেই সুযোগ নেই। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশব মহারাজ এবং তাব্রাইজ শামসিই মূল ভারসা।
প্রোটিয়াদের পেস ইউনিটে এনরিখ নয়কিয়ার সঙ্গে আগুন ঝরাবেন কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো জানসেন।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ : রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিভম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল/ মোহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সম্ভাব্য একাদশ : কুইন্টন ডি কক, রেজা হেন্ডরিক্স, এইডেন মার্করান, হেইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ত্রিস্টান স্টাবস, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, এনরিখ নরকিয়া ও তাব্রাইজ শামসি।
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা
মন্তব্য করুন
এইতো কিছুদিন আগের কথা। ঘরের মাটিতে বেশ শক্ত অবস্থানে থেকেই সব ম্যাচ জিতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই অনেকে ভেবে নিয়েছিল সেবারের শিরোপা উঠবে ভারতের হাতেই। কিন্তু ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই ধরাশায়ী হতে হয়েছিল ভারতকে।
ফরম্যাট ভিন্ন হলেও সাত মাস পর আবারো বিশ্বকাপ জেতার খুব কাছে ভারতীয় দল। এবার যদি তারা হেরে যায়, তাহলে অধিনায়ক রোহিত শর্মা বার্বাডোসের মহাসাগরে ঝাঁপ দেবেন বলে মনে করেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমি মনে করি না, সাত মাসে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল হারতে পারে সে (রোহিত)। নিজের অধিনায়কত্বে যদি দুটি ফাইনাল হেরে যায় তাহলে সম্ভবত সে বার্বাডোসের মহাসাগড়ে ঝাঁপ দেবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আর কোনো আইসিসির বৈশ্বিক শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তাই আজ ভাগ্যকে ভারতের পাশে চান গাঙ্গুলী।
২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই ভারতের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় রোহিতের কাঁধে। তখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন গাঙ্গুলী। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ককে মুগ্ধ করেছে রোহিতের নেতৃত্বগুণ।
ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘সে (রোহিত) দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দুর্দান্ত ব্যাট করেছে এবং আশা করি, আগামীকালও (আজ) সেটা বজায় রাখবে। আশা করি ভারত জিতবে এবং তাদের স্বাধীনভাবে খেলা উচিত। তারা এই প্রতিযোগিতার সেরা দল। আমি তাদের শুভকামনা জানাই। আশা করি, কাল (আজ) কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পাবে তারা। কারণ বড় টুর্নামেন্ট জিততে হলে সেটা প্রয়োজন।’
রোহিত শর্মা ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সৌরভ গাঙ্গুলি টি-২০ বিশ্বকাপ T20 World Cup 2024 India VS South Africa
মন্তব্য করুন
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচটি দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্রোটিয়ারা চাইবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর থেকে শিরোপা বঞ্চিত ভারতীয়রাও মুখিয়ে আছে নিজেদের দ্বিতীয় টি-২০ টাইটেল জিততে।
শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা। আর খেলা দেখাবে নাগরিক টিভি।
তবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে বাধা হতে পারে বেরসিক বৃষ্টি। কারণ, টুর্নামেন্টজুড়েই বৃষ্টি খেলার স্বাভাবিক গতিতে ব্যঘাত ঘটিয়েছে। শনিবার ব্রিজটাউনেও হানা দিতে পারে বৃষ্টি। কিন্তু এরজন্য অবশ্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি বৃষ্টি হয়, তা হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ফাইনালের জন্য এক দিন রিজার্ভ ডে রাখা আছে। কোনো কারণে শনিবার পুরোপুরি খেলা না হলে বা অল্প খেলা হলে, তা সম্পূর্ণ করা যাবে রোববার।
দুই দিনেও যদি খেলা আয়োজন না করা যায়, সে ক্ষেত্রে উভয় দল যুগ্ম ভাবে ট্রফি জিতবে। না খেলেও প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
‘টাই’-এর ক্ষেত্রে অবশ্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপার ওভার হবে। যদি প্রথম সুপার ওভার ‘টাই’ হয়, তা হলে দ্বিতীয় বার সুপার ওভার হবে। যত ক্ষণ না ম্যাচের নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততক্ষণ সুপার ওভার চলতেই থাকবে।
আসলে, ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে এ নিয়ে সতর্ক হয়েছে আইসিসি। সেবার ৫০ ওভারের ম্যাচ এবং সুপার ওভার, দু’টিই টাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেশি চার মারার জন্য জিতে যায় ইংল্যান্ড। সেই নিয়ম নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়।
এরপরেই নিয়ম বদল করে আইসিসি জানায়, ম্যাচের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে।
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা
মন্তব্য করুন
চলমান টি-২০ ব্শ্বিকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচটি দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্রোটিয়ারা চাইবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর থেকে শিরোপা বঞ্চিত ভারতীয়রাও মুখিয়ে আছে নিজেদের দ্বিতীয় টি-২০ টাইটেল জিততে।
শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা। আর খেলা দেখাবে নাগরিক টিভি। এর আগে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে এবারের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলব্রো। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রড টাকারকে।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রথম আইসিসি ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপে কোন আসরের ফাইনালে উঠলো প্রোটিয়ারা। অপর সেমিতে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে দশ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত।
এর আগে, ২০০৭ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলো টিম ইন্ডিয়া। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেন ইন ব্লুজরা।
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা
মন্তব্য করুন
চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
তবে মেসিবাহিনীর শুরুটা এবারের আসরে ভালো হলেও শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ব্রাজিলের এবারের আসরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খায় টুর্নামেন্টের নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে পয়েন্ট খোয়ায় তারা।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের চেনা রূপে ফিরে এসেছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। তাই ব্রাজিলের সুদিন ফিরে আশার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই কোচ। তবে প্রথমেই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিনি।
দরিভাল জুনিয়র বলেছেন, এবারই প্রথম কোন কোপা আমেরিকা, যেখানে ব্রাজিলকে টুর্নামেন্টের অন্যতম ‘ফেভারিট’ হিসেবে গণনা করা হচ্ছে না। কারণ-সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ম্যাচগুলোর ফলাফল খুব একটা প্রশংসনীয় নয়। সুতরাং আমাদেরকে দল হিসেবে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমার জন্য কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। সমর্থকরাও আমাদের ওপর আস্থা রাখছে। আমাদের কোন ম্যাচের ফলাফল টুর্নামেন্টে অন্য দলগুলোকে ভয় দেখানোর মতো হয়নি। কিন্তু এই খেলাটি আর্টের মতো; একটু একটু করেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দিকে পৌঁছাতে হবে।
সমর্থকদের উদ্দেশে এই ব্রাজিলিয়ান কোচ বলেন, যারা ব্রাজিলকে সাপোর্ট করছেন, আশা করব তারা সমর্থন দিয়ে যাবেন। আর যারা আমাদের দলকে সাপোর্ট করছে না, তারাও খুব দ্রুত আমাদেরকে সাপোর্ট দিবে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে আবারও ভালো সময় আসছে।
কোপা আমেরিকা ব্রাজিল দারিভাল জুনিয়র
মন্তব্য করুন
এইতো কিছুদিন আগের কথা। ঘরের মাটিতে বেশ শক্ত অবস্থানে থেকেই সব ম্যাচ জিতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই অনেকে ভেবে নিয়েছিল সেবারের শিরোপা উঠবে ভারতের হাতেই। কিন্তু ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই ধরাশায়ী হতে হয়েছিল ভারতকে।
চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।