বর্তমানে ভারতকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবেই ধরা হয়। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে শীর্ষেই রাখা যায় রোহিত-কোহলিদের। যার প্রমাণ মিলবে চলমান টি-২০ বিশ্বকাপেও। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে একটিতেও হারের তেতো স্বাদ পায়নি তারা। গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট টপকে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে দলটি।
তবে শক্তিমত্তার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও বরাবরই ভারতকে নিয়ে সমালোচনা হয় নানামুখী। যার মধ্যে বেশিরভাগই থাকে আইসিসি থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার। এবারের বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শিরোপার মঞ্চে চোখ রেখে বৃহস্পতিবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ভারত। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়, গায়ানায়।
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ একই ভেন্যু অর্থাৎ নিউইয়র্কেই তিনটা ম্যাচ খেলেছে ভারত। সেখানে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস গ্রুপের চার ম্যাচ খেলেছে চারটা আলাদা ভেন্যুতে। এ নিয়ে লঙ্কান সংসদও হয়েছে উত্তাল। কিন্তু আইসিসির কিছু যায় আসে না।
শুধু তাই নয়। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছলে কোন ভেন্যুতে খেলবে? বিশ্বকাপের সূচিতে এটা ছিল না। কিন্তু ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছলে খেলবে গায়ানায়, এটা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল আইসিসি! গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ যাই হোক ভেন্যু গায়না। তাহলে আর বিশ্বকাপে সব দলের সমান অধিকারটা থাকল কোথায়?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিস গেইলও মুখ খুললেন এ নিয়ে। ‘ডাফানিউজ স্প্রিট অব ক্রিকেট পডকাস্টে’ জেমি আল্টারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ক্রিস গেইল বললেন, ‘ভারতের উপর কথা বলতে পারে না কেউ কারণ ক্রিকেটটা ভারতই চালায়। ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলবে কে? ভারতকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা কি আছে কারও? না, আমার মতে কারও নেই।’
বিশ্বের সব দেশের ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলে। কিন্তু ভারতের কাউকে খেলতে দেওয়া হয় না বাইরের দেশের লিগে। গেইলের ক্ষোভ আছে এ নিয়েও, ‘ভারতের কোনও খেলোয়াড় সিপিএল বা বিপিএল খেলে না কিন্তু বিশ্বের সব খেলোয়াড় আইপিএলে খেলে। এই দুটোকে এক করুন উত্তর পেয়ে যাবেন।’
মন্তব্য করুন
এইতো কিছুদিন আগের কথা। ঘরের মাটিতে বেশ শক্ত অবস্থানে থেকেই সব ম্যাচ জিতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই অনেকে ভেবে নিয়েছিল সেবারের শিরোপা উঠবে ভারতের হাতেই। কিন্তু ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই ধরাশায়ী হতে হয়েছিল ভারতকে।
ফরম্যাট ভিন্ন হলেও সাত মাস পর আবারো বিশ্বকাপ জেতার খুব কাছে ভারতীয় দল। এবার যদি তারা হেরে যায়, তাহলে অধিনায়ক রোহিত শর্মা বার্বাডোসের মহাসাগরে ঝাঁপ দেবেন বলে মনে করেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমি মনে করি না, সাত মাসে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল হারতে পারে সে (রোহিত)। নিজের অধিনায়কত্বে যদি দুটি ফাইনাল হেরে যায় তাহলে সম্ভবত সে বার্বাডোসের মহাসাগড়ে ঝাঁপ দেবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আর কোনো আইসিসির বৈশ্বিক শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তাই আজ ভাগ্যকে ভারতের পাশে চান গাঙ্গুলী।
২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই ভারতের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় রোহিতের কাঁধে। তখন বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন গাঙ্গুলী। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ককে মুগ্ধ করেছে রোহিতের নেতৃত্বগুণ।
ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘সে (রোহিত) দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দুর্দান্ত ব্যাট করেছে এবং আশা করি, আগামীকালও (আজ) সেটা বজায় রাখবে। আশা করি ভারত জিতবে এবং তাদের স্বাধীনভাবে খেলা উচিত। তারা এই প্রতিযোগিতার সেরা দল। আমি তাদের শুভকামনা জানাই। আশা করি, কাল (আজ) কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পাবে তারা। কারণ বড় টুর্নামেন্ট জিততে হলে সেটা প্রয়োজন।’
রোহিত শর্মা ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সৌরভ গাঙ্গুলি টি-২০ বিশ্বকাপ T20 World Cup 2024 India VS South Africa
মন্তব্য করুন
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচটি দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্রোটিয়ারা চাইবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর থেকে শিরোপা বঞ্চিত ভারতীয়রাও মুখিয়ে আছে নিজেদের দ্বিতীয় টি-২০ টাইটেল জিততে।
শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা। আর খেলা দেখাবে নাগরিক টিভি।
তবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে বাধা হতে পারে বেরসিক বৃষ্টি। কারণ, টুর্নামেন্টজুড়েই বৃষ্টি খেলার স্বাভাবিক গতিতে ব্যঘাত ঘটিয়েছে। শনিবার ব্রিজটাউনেও হানা দিতে পারে বৃষ্টি। কিন্তু এরজন্য অবশ্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি বৃষ্টি হয়, তা হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ফাইনালের জন্য এক দিন রিজার্ভ ডে রাখা আছে। কোনো কারণে শনিবার পুরোপুরি খেলা না হলে বা অল্প খেলা হলে, তা সম্পূর্ণ করা যাবে রোববার।
দুই দিনেও যদি খেলা আয়োজন না করা যায়, সে ক্ষেত্রে উভয় দল যুগ্ম ভাবে ট্রফি জিতবে। না খেলেও প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
‘টাই’-এর ক্ষেত্রে অবশ্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপার ওভার হবে। যদি প্রথম সুপার ওভার ‘টাই’ হয়, তা হলে দ্বিতীয় বার সুপার ওভার হবে। যত ক্ষণ না ম্যাচের নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততক্ষণ সুপার ওভার চলতেই থাকবে।
আসলে, ২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে এ নিয়ে সতর্ক হয়েছে আইসিসি। সেবার ৫০ ওভারের ম্যাচ এবং সুপার ওভার, দু’টিই টাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেশি চার মারার জন্য জিতে যায় ইংল্যান্ড। সেই নিয়ম নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়।
এরপরেই নিয়ম বদল করে আইসিসি জানায়, ম্যাচের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে।
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা
মন্তব্য করুন
চলমান টি-২০ ব্শ্বিকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচটি দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্রোটিয়ারা চাইবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর থেকে শিরোপা বঞ্চিত ভারতীয়রাও মুখিয়ে আছে নিজেদের দ্বিতীয় টি-২০ টাইটেল জিততে।
শনিবার ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে মুখোমুখি হবে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা। আর খেলা দেখাবে নাগরিক টিভি। এর আগে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য ম্যাচ অফিশিয়ালদের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে এবারের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি। তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলব্রো। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রড টাকারকে।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রথম আইসিসি ওয়ানডে ও টি-২০ বিশ্বকাপে কোন আসরের ফাইনালে উঠলো প্রোটিয়ারা। অপর সেমিতে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে দশ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত।
এর আগে, ২০০৭ ও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলো টিম ইন্ডিয়া। ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেন ইন ব্লুজরা।
টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা
মন্তব্য করুন
চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
তবে মেসিবাহিনীর শুরুটা এবারের আসরে ভালো হলেও শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ব্রাজিলের এবারের আসরের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খায় টুর্নামেন্টের নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে পয়েন্ট খোয়ায় তারা।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিজেদের চেনা রূপে ফিরে এসেছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। তাই ব্রাজিলের সুদিন ফিরে আশার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এই কোচ। তবে প্রথমেই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিনি।
দরিভাল জুনিয়র বলেছেন, এবারই প্রথম কোন কোপা আমেরিকা, যেখানে ব্রাজিলকে টুর্নামেন্টের অন্যতম ‘ফেভারিট’ হিসেবে গণনা করা হচ্ছে না। কারণ-সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ম্যাচগুলোর ফলাফল খুব একটা প্রশংসনীয় নয়। সুতরাং আমাদেরকে দল হিসেবে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমার জন্য কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সব কিছু আগের মতোই আছে। সমর্থকরাও আমাদের ওপর আস্থা রাখছে। আমাদের কোন ম্যাচের ফলাফল টুর্নামেন্টে অন্য দলগুলোকে ভয় দেখানোর মতো হয়নি। কিন্তু এই খেলাটি আর্টের মতো; একটু একটু করেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দিকে পৌঁছাতে হবে।
সমর্থকদের উদ্দেশে এই ব্রাজিলিয়ান কোচ বলেন, যারা ব্রাজিলকে সাপোর্ট করছেন, আশা করব তারা সমর্থন দিয়ে যাবেন। আর যারা আমাদের দলকে সাপোর্ট করছে না, তারাও খুব দ্রুত আমাদেরকে সাপোর্ট দিবে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে আবারও ভালো সময় আসছে।
কোপা আমেরিকা ব্রাজিল দারিভাল জুনিয়র
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা পেলে। জীবদ্দশায় ফুটবল ভক্তদের তিনি দিয়ে গেছেন অনেক স্মৃতি। তার স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি স্মৃতি হলো তার শখের বাড়িটি। যেখানে তিনি কাটিয়েছেন জীবনের শেষ ৪০ বছর। কিন্তু সেই বাড়িটি এখন যেন পেলে ভক্তদের জন্য স্মৃতির কবরস্থান।
২০২২ সালের ২৯
ডিসেম্বর না ফেরার দেশে পারি জমান ফুটবলের এই কিংবদন্তি। পেলের মৃত্যুর পর থেকেই অবহেলা
আর অযন্তে পরে আছে তাঁর বাড়িটি। দেখভাল করার জন্য কেউ নেই।
ব্রাজিলের বিখ্যাত
পার্নামবুকো
সৈকত থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত এই বাড়িতে রয়েছে
ফুটবল সম্রাটের অসংখ্য স্মৃতি। কিন্তু বর্তমানে এই বাড়িতে চলছে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের
লুটপাট। পেলের পরিবার ও প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকায়। ফলে বিনা বাঁধায় লুটের মহোৎসব
চলছে বাড়িটি ঘিরে।
১৯৭৯ সালে নিউইয়র্ক
থেকে ব্রাজিলে চলে আসার পর পরিবার আর নিকট আত্মীয়দের কাছাকাছি থাকতে পেলে তৈরি করেছিলেন
এই বাড়িটি। বাড়িটির বর্তমান বাজারমূল্য ১১ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি
টাকারও বেশি।
বাড়িটিতে রয়েছে
১২ টি থাকার ঘর। বাড়ির সীমানার মধ্যেই রয়েছে ছোট ফুটবল মাঠ, টেনিস কোর্ট ও ফুটভলি কোর্টস, সুইমিং পুল। এছাড়া মায়ের প্রার্থনার জন্য ছোট একটি গির্জাও তৈরি করিয়েছিলেন পেলে।
কিন্তু এই বাড়িটির
এই সবকিছুই এখন নষ্ট হচ্ছে অযত্ন আর অবহেলায়। দেওয়ালের বিভিন্ন অংশ এমনকি বাড়ির সিঁড়িও ভেঙে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আসবাব পত্র। এমনকি চুরি যাচ্ছে মহাতারকার বহু ফুটবল স্মারকও।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন পেলে। সে সময় বাড়ির বিভিন্ন করা দেয় হয়নি। ফলে, গত কয়েক বছরে অপরিশোধিত সেই বকেয়া করের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। এতে বাড়িটি নিজেদের অনুকূলে নিতে পারছেন না তার সন্তানরা। বাড়ি দখলের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন রয়েছে, তা তার সন্তানদের কাছে নেই। আর রয়েছে আইনি জটিলতাও। ফলে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের সেই শখের বাড়ি।
পেলে ফুটবল কিংবদন্তি বাড়ি পেলে পেলেস বেহলা দশা স্থানীয় দুষ্কৃতি
মন্তব্য করুন
এইতো কিছুদিন আগের কথা। ঘরের মাটিতে বেশ শক্ত অবস্থানে থেকেই সব ম্যাচ জিতে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই অনেকে ভেবে নিয়েছিল সেবারের শিরোপা উঠবে ভারতের হাতেই। কিন্তু ফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই ধরাশায়ী হতে হয়েছিল ভারতকে।
চলছে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই মানেই যেন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথের আমেজ। সেটি হোক মাঠে কিংবা সমর্থকদের তর্কে। গেলবার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দি ব্রাজিলকে হারিয়েই ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। এবারের আসরেও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগেই কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।