ইনসাইড গ্রাউন্ড

পুরোনো আর নব্য 'চোকার' এর ফাইনালে আক্ষেপ বাড়বে কার?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২০০৭ থেকে ২০১৩। কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরা অধিনায়ক খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে মাত্র ৬ বছরের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট যেন নিজেদের সোনালী সময় পার করেছে। তাদের এই প্রাইম টাইমে একই সাথে টি-২০ বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- তিনটি মেজর শিরোপা জিতেছিল তারা।

তবে সেই ২০১৩ সালে বার্মিংহামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পেরিয়ে গেছে আরও ১১টি বছর। অনুষ্ঠিত হয়েছে আইসিসির বিভিন্ন বড় টুর্নামেন্ট। তবুও ভারতের নেই কোন অর্জন। এর মধ্যে তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে একবার ফাইনালসহ দুইবার শেষ চারে গিয়ে ইতি টানতে হয়েছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রার।

ভারতের টি-২০ এর কুফাটা শুরু ঢাকায়, ২০১৪ সালে। সেবার ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভাঙে ধোনি-কোহলিদের। পরের তিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভক্তদের খুশি করতে পারেনি তারা। শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই বিশাল হারও দগ্ধ করেছে ভারতীয়দের। যার ফলে বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন ‘চোকার’ হিসেবেও কেউ কেউ ভেবে নিচ্ছেন ভারতকে।

অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের সাথে অবশ্য ‘চোকার’ শব্দটা বিশেষভাবে পরিচিত। তবে তারা ফাইনালও হারেনি কোনদিন। তাহলে তারা ‘চোকার’ কেন? উত্তরটা হচ্ছে, শেষ চারে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফেরা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল করা। এই যেমন ২০১১ সালে মিরপুরের ঘটনাই ধরা যাক। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও অপর গ্রুপের চতুর্থ র‍্যাঙ্কের দল নিউজিল্যান্ডের সাথে হেরে বিদায় নেয় প্রোটিয়ারা। ঠিক ক’দিন আগে এই মাঠেই স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৭৮ রানে অলআউট করেছিল তারা। গ্রুপপর্বে আরেক স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পর্যন্ত হয়। কিন্তু নকআউটে? সেই একই গল্প।

আপাতত বলা যায় রিয়েল ‘চোকার’ আর উদীয়মান ‘চোকার’দের ক্ল্যাসিকো এই ফাইনাল। যেখানে ভারত চাইবে ১১ বছর পর শিরোপা জিততে, আর দক্ষিণ আফ্রিকাও চাইবে ২৬ বছর পর নিজেদের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলতে।

সবমিলিয়ে চলমান টি-২০ ব্শ্বিকাপের বাকি আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামার পাশাপাশি মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নদের দেখা। যেখানে শিরোপার স্বাদ গ্রহণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে দুই অপরাজিত পরাশক্তি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রোটিয়াদের এটি প্রথম ফাইনাল। আর প্রতিপক্ষ ভারত অবশ্য সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই খেলেছে ফাইনাল। ফেভারিটের মতো খেলে এবারও ফাইনালে তারা। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে শনিবার (২৯ জুন) মাঠে গড়াবে মেগা ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

এমন এক ম্যাচ যেখানে পরিসংখ্যান, অতীত ইতিহাস, শক্তি-সামর্থ্য—কাজে দেবে না কিছুই। যারা নিজেদের সবটা নিংড়ে দিতে পারবে, শিরোপা তাদের। তাছাড়া, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা কেউই পিছিয়ে নেই কারও চেয়ে। যে কারণে অপেক্ষা জমজমাট এক লড়াইয়ের। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দুদল উঠেছে ফাইনালে।

ফাইনালের আগে ছন্দে আছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেন তিনি। তার নেতৃত্বে পুরো দলই আছে ছন্দে। গ্রুপপর্ব থেকে সুপার এইট, সেখান থেকে সেমি, কোথাও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি ভারতকে।

আর দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রা অতটা মসৃণ না হলেও ইতিহাস গড়ার পথে দলটি খেলেছে উজাড় করে। এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে দলটি যা করেছে, প্রোটিয়াদের ইতিহাসেই তো এমনটি হয়নি আগে।

সবমিলিয়ে এখন দেখার পালা, কার হাতে উঠবে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা, আর কার আক্ষেপ বাড়বে? কারণ দুই দলের জন্যই এই ফাইনালটি যেন এক প্রকার যুদ্ধ। এক দলের অপেক্ষা টানা এক দশকের আর অন্য দলের তো সারা জীবনের। তাই ভক্ত-সমর্থকসহ সকলেরই বিশেষ নজর এখন আজকের এই ফাইনালের দিকে।

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দল এখন পর্যন্ত ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত ২৬ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে জয়ী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ১১টি ম্যাচ জিতেছে এবং একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারত ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতেছে, যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২২ সংস্করণের দুই দলের মুখোমুখি হওয়া শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে জয়লাভ করে।


ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা   বিশ্বকাপ   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ, কিন্তু কোন পরিসংখ্যানে?

প্রকাশ: ০৫:৫২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুবর্ণ সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুতে সেই স্বপ্নের পথেই হাঁটছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষমেষ নিজেদের খামখেয়ালি আচরণের কারণেই সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে। ৭ ম্যাচে ৩ জয় আর ৪ হারে ইতি ঘটে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের।

বিশ্বকাপের পর এখন চলছে পরিসংখ্যান আর প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ। সংখ্যাতত্ত্বের সেই বিশ্লেষণে দেখা গেল ভিন্নরকমের এক তথ্য। পুরো বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলা দলগুলোর মধ্যে ক্যাচ নেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও।

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বাংলাদেশের ক্যাচ ধরার শতকরা সাফল্য ছিল বেশি। কমপক্ষে সুপার এইট খেলেছে এমন দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ক্যাচ নেয়ায় এগিয়ে আছে কেবল ইংল্যান্ড। ৮৭.৯০ শতাংশ ক্যাচই তালুবদন্দি করেছে জস বাটলাররা। আর ৮৭.৫০ শতাংশ ক্যাচ নিয়েছে টাইগার ফিল্ডাররা। আসরে বাংলাদেশ নিয়েছে ২৮ ক্যাচ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ২৯ ক্যাচ। দুই দলই ছেড়েছে ৪ ক্যাচ।

৩৫ ক্যাচ নিলেও অস্ট্রেলিয়া এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ক্যাচ মিস করেছে। ৭০ শতাংশ ক্যাচ ধরেছে তারা। ভারত ৪৫ ক্যাচ নিয়ে মিস করেছে ১১টি। তারা তালুবন্দি করেছে ৮০.৪০ শতাংশ ক্যাচ। তারা দুই দল আছে সবার নিচে। ৮৫ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে তিনে। ৮৩.৬০ শতাংশ ক্যাচ সফলভাবে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

আফগানিস্তান নিয়েছে ৮২.৫০ শতাংশ ক্যাচ। আর যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে ৮২.৪০ শতাংশ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে। টাইগার ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে হতাশ করলেও বল হাতে কিংবা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন, তারই যেন নমুনা দেখা গেল এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যানে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোট ৪৬ ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করামরা।

সবচেয়ে বেশি মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা ছেড়ে দিয়েছে ১৫ ক্যাচ। সব কম ক্যাচ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা লুফে নিয়েছে ১৪ ক্যাচ। মিসও সবচেয়ে কম করেছে তারাই। মোটে ৩ ক্যাচ ছেড়েছিল স্বাগতিকরা। 


টি-২০ বিশ্বকাপ   ফাইনাল   ভারত   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বেরিল’ এর কারণে এখনো বার্বাডোজেই আটকা ভারত, দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ প্রায় এক মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ২৯ জুন পর্দা নেমেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ৫৫ ম্যাচের এই মেগা ইভেন্টের শেষ হাসি হেসেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল।

তবে দুইদিন পূর্বে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নরা নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। এমনকি নির্ধারিত রুট ধরে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রাটাই শুরু করা হয়নি তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এখনও রওনাই দিতে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিকেন ‘বেরিল’-এর কারণে বার্বাডোজেই আটকে রয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে যাওয়া হারিকেন বেরিল  ইতোমধ্যে ক্যাটাগরি-৩ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে এই ঝড় ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হারিকেন ‘বেরিল’ –এর প্রভাবে ব্রিজটাউন বিমানবন্দর রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এখান থেকেই মূলত ভারতের উদ্দেশে রওনা করার কথা ছিল রোহিত শর্মাদের। বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় দলের বিমানে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে দুবাইয়ে। তার পর মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিত বিমান। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে সূচিতে বদল করতে হচ্ছে।

জটিল পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে গোটা দলকে চার্টার্ড বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ভারতের ক্রিকেট কর্তারা। তবে কবে রোহিতেরা রওনা হবেন, তা জানা যায়নি।

বিসিসিআই সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ‘বার্বাডোজ থেকে ভারতীয় দলের নিউ ইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে দুবাই হয়ে ভারতে ফেরার কথা। এখন পরিকল্পনা হল, চার্টার্ড বিমানে সরাসরি দিল্লি ফিরে আসা। দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে।’

ভারতীয় দলে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, পরিবারের সদস্য এবং কর্তা মিলিয়ে প্রায় ৭০ জন রয়েছেন। সবাই একসঙ্গে ফিরবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।  যদিও সকলকে একসঙ্গে ফেরাতে যে ধরনের বড় চার্টার বিমান দরকার তা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নেই। সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমান জোগাড় করার চেষ্টা চলছে।


ঘুর্ণিঝড় বেরিল   আটলান্টিক মহাসাগর   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোয় হাইভোল্টেজ ম্যাচে আজ দুই পরাশক্তির লড়াই

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ মাঠে গড়িয়েছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়। তবে এবার যেন আমেজটা কিছুটা ফিকে হয়ে পড়েছিল আসরের শুরু থেকে। কারণ ছিল দুই একটি ছাড়া হাইভোল্টেজ তেমন কোন ম্যাচ না থাকা।

তবে অবশেষে শেষ ষোলোয় এসে জমেছে লড়াই। গতকাল রাতে ইংল্যান্ড-স্লোভাকিয়া ম্যাচ যারা দেখেছে তারা যেন শেষ মুহুর্তের কথাটি ভুলতে পারবে না। শেষ দুই মিনিটের মধ্যে অবিশ্বাস্যভাবে ইংল্যান্ডের ফিরে আসাটা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

গতকালের মতোই আজও রয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ হাইভোল্টেজ ম্যাচ। শেষ ষোলোয় ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দল বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।

সেই সঙ্গে, নকআউট পর্বের আরেক ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে খেলবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। ওই ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১টায়।

ফ্রান্সের জন্য এই ম্যাচকে অগ্নিপরীক্ষা বলা যায়, কেননা তাদের সামনে ছন্দময় ফুটবল খেলা বেলজিয়াম। ফরাসি স্কোয়াডে ইনজুরির থাবা না থাকলেও তাদের জন্য দুশ্চিন্তা ফরোয়ার্ডদের অফফর্ম। এই অফফর্মের কারণে শুরুর একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন ব্রাডলি বারকোলা। ফিরতে পারেন গ্রিজম্যান ও মার্কাস থুরাম।

ঐতিহ্য ও শক্তিতে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স জেতার জন্যই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। হারলেই বিদায় এমন সমীকরণে বেলজিয়ামের লক্ষ্য আক্রমণাত্মক ফুটবল। তাদের সামনে তারকাখচিত ফ্রান্স। তবে কেভিন ডি ব্রুইনা, রোমেলু লুকাকুরা এখনও তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। আস্থার প্রতিদান দিতে না পারলেও জেরেমি ডকু থাকছেন শুরুর একাদশেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছেন লুকেবাকিও।

তবে হাল ছেড়ে দিতে নারাজ বেলজিয়াম কোচ দোমেনিকো তেদেসকো। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নিজেদের ওপর আস্থা রেখেই নামার পরামর্শ দিয়েছেন শিষ্যদের।


ফুটবল   ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   ইউরো-২০২৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেঙ্গালুরুতে নতুন পরিচয়ে দীনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এইতো কিছুদিন আগের কথা। ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন কিংবদন্তি দীনেশ কার্তিক। তবে এবার আরসিবি এলিমিনেটর পর্ব থকে বাদ পড়ে যায়। আর যেদিন আরসিবি এবারের আসর থেকে ছিটকে যায় সেদিনই নিজের বিদায়ের কথা জানিয়েছিলেন দীনেশ।

শুধু তােই নয়, সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা গেছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।তবে এবার আরও একটি নতুন রূপে দেখা যাবে কার্তিককে। আইপিএল থেকে অবসর নিলেও বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই থাকছেন তিনি। দলটির দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

সোমবার (১ জুলাই) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

পোস্টে বেঙ্গালুরু লিখেছে, আমাদের উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিককে নতুন করে স্বাগত জানাচ্ছি। আরসিবিতে নতুন অবতারে ফিরে আসছেন তিনি। আরসিবির পুরুষ দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন কার্তিক। ডিকে’কে ক্রিকেট থেকে দূরে রাখা গেলেও ওর থেকে ক্রিকেটকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। আমাদের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা থাকল।

বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএলে মোট ২৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। ২৬.৩২ গড়ে করেছেন ৪৮৪২ রান। বেঙ্গালুরু, কলকাতা ছাড়াও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন।

ভারতের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং ৬০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের।


দীনেশ কার্তিক   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু   ক্রিকেট   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কে?

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এবারের কোপা আমেরিকায় দুর্দান্ত ছন্দে আছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপপর্বে তিন ম্যাচে শতভাগ জয় তুলে গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে লিওনেল স্কালোনি শিষ্যরা। তবে, কে হবে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ তা জানতে অপেক্ষায় ছিল আলবিসেলেস্তারা। এবার জানা গেল সেই প্রতিপক্ষের নামও।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল ভেনেজুয়েলা। কিন্তু তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে, না রানার্সআপ সেটা জানাই বাকি ছিল। শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে পা রেখেছে ভেনেজুয়েলা। আর তাদের সঙ্গী ইকুয়েডর। এই ইকুয়েডরের বিপক্ষেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে তিন বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

জ্যামাইকাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভেনেজুয়েলা। আর মেক্সিকো-ইকুয়েডর ম্যাচটি ড্র হয়েছে গোলশূন্যভাবে। যার ফলে ইকুয়েডরের সমান পয়েন্ট থাকার পরও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে মেক্সিকোকে।

আগামী ৫ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর। টেক্সাসের এনআরজি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। পেরুর বিপক্ষে গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচে খেলানো হয়নি লিওনেল মেসিকে। জানা গেছে কিছুটা চোট রয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার। তবে, কোয়ার্টারে ইকুয়েডরের বিপক্ষে শুরু থেকেই তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে পেরুর বিপক্ষ ডাগআউটে না থাকলেও পরের ম্যাচেই ফিরছেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। মূলত চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির পর দেরিতে মাঠে ফেরার অপরাধে স্কালোনিকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।


কোয়ার্টার   আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   লিওনেল মেসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন