ইনসাইড গ্রাউন্ড

বার্বাডোজে আটকা ভারত, আরেক ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বার্বাডোজে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বেরিল। এর প্রভাবে বার্বাডোজে আটকা পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি ফ্লাইটে দলটির দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে তার আগেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সতর্কবার্তা দিয়েছেন বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, চার ক্যাটাগরির শক্তিশালী হারিকেন আঘাত হানার কারণে বিমানবন্দর বন্ধ হলেও, আগামী ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা পুনরায় চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন স্কোয়াড, সহায়ক স্টাফ, বিসিসিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের পরিবার হারিকেন বেরিলের কারণে গত দুই দিন ধরে আটকে আছেন। গত শনিবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারতীয় দল। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে মিয়া মটলি বলেছেন, "বার্বাডোজ, বার্বাডিয়ান এবং এখানে থাকা সব বিদেশি অতিথিদের (যারা ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য এসেছেন) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা সৌভাগ্যবান যে ঝড়টি (বেরিল) আমাদের এখানে সরাসরি আঘাত হানেনি।"

তবে বার্বাডোজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি সময় নেই বলেও সতর্ক করেছেন বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ঘূর্ণিঝড় বেরিলের প্রভাব কাটতে না কাটতেই বুধবার (৩ জুলাই) আরেকটি হারিকেন ধেয়ে আসছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট দলসহ আটকেপড়া অন্যরা নিরাপদে বার্বাডোজ ছাড়তে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মিয়া মটলি।

সূত্র: এনডিটিভি


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ভারত   ক্রিকেট   ঘূর্ণিঝড়   বেরিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইব্রেকারে রোনালদোদের হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্স কিংবা পর্তুগাল কোনোদলই প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাংতে পারেনি ১২০ মিনিটেও। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরোর সেমিফাইনালে নাম লেখাল ফ্রান্স। 

এর আগে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট গোলশুন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে পাচটি শট থেকে পাচটিই গোল করেন ফরাসীরা। আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক বনে যাওয়া পর্তুগীজ গোল কিপার দিয়োগো কস্তা এ দিন পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৬ সংস্করণের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। সেবার তারা এই ফ্রান্সকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আজ ফ্রান্স সে প্রতিশোধ নিল। 

দ্বিতীয়বার ইউরো জয়ের মিশনে আসা পর্তুগালকে বিদায় করে দিল সাথে বিদায় করে ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদোকেও। এই রোনালদোকে হয়তো এই ইউরোর পর আর দেখা যাবে না। আর নিজের সম্ভাব্য ইউরো শেষ করলেন কোনো গোল না করেই। 

আজ ফ্রান্স-পর্তুগালের লড়াইয়ে সবাই তাকিয়ে ছিল দুই দলের দুই সেরা তারকার দিকে।। যেখানে এর আগেও একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়েছেন রোনালদো ও এমবাপ্পে। কিন্তু সবগুলোতেই ব্যর্থ ছিলেন কিলিয়ান। হোক সেটা পিএসজি কিংবা ফ্রান্সের জার্সিতে। কিন্তু আজ এমবাপ্পে আর ব্যার্থ হলেন না ব্যার্থ হতে দিলেন ফ্রান্সকে। রোনালদোর সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে এই প্রথম জয় পেলেন কিলিয়ান।

এর আগে পর্তুগাল-ফ্রান্স মুখোমুখি হয়েছে ২৫ বার। যেখানে দাপটের সাথে জয়ের পাল্লা ভারী ছিল ফ্রান্সের। তারা জিতেছে ১৬ ম্যাচ, পর্তুগালের জয় মাত্র ৬টি। 

কিন্তু অতীতে ফরাসীদের দাপট থাকলেও আজ ম্যাচে বেশ দাপট দেখিয়েছে পর্তুগাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। 

এদিন ম্যাচের শুরু আগে লড়াইয়ের আভাস থাকলেও ম্যাচ হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় ঢিলেঢালা ভাব। দুই দলই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে। 

আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের কোনো চেহারাই ভেসে ওঠেনি ম্যাচের প্রথম হাফে। এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটে এসে প্রথম শট নেয় ফ্রান্স। বক্সের বাইরে থেকে থিও হার্নান্দেজের শট ঠেকিয়ে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক।

এরপর ২৮ মিনিটে ফ্রান্সের এদোয়ার্দো কামাভিঙ্গার বক্সের বাইরে থেকে শট পোস্টের বেশ ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে গোল বঞ্চিত হয় দিদিয়ের দেশমের দল। 

এদিকে ম্যাচের ৪২ মিনিটে বক্সের কাছে ফ্রি কিক পায় পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেজের ডানপায়ের শট পোস্টের নাগাল না পাওয়ায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি রোনালদোদের।

তবে প্রথামার্ধে বল দখলের আধিপত্য দেখায় পর্তুগাল। কিন্তু গোল পোস্টে শট নিতে পেরেছে মাত্র দুটি। অপরদিকে এই সময়ে ফ্রান্স গোলপোস্ট বরাবর শট নেয় ৭টি যারমধ্যে দুটিই অন টার্গেটে।

শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনোদল। যার ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ করে দুই হেভিওয়েট ফ্রান্স ও পর্তুগাল। 

এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দুইদলই খেলা শুরু করে সমানতালে। যেখানে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল। 

ফলে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। 

তবে ম্যচের উত্তেজনা বাড়তে থাকলেও স্কোরের দেখা যেন কোনোভাবেই মিলছিল না। স্কোর না হলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে।

ম্যাচের প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধ ছিল না। এবার দুই দল গোলের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছে। এদিকে ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে দুই দলের আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়। কিন্তু সফলতা মিলছিল না কোনোভাবেই। 

এরপর ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নির্ধারিত সময় গোলশুন্য থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক সময়ে।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধও ০-০ সমতায় শেষ হয়। তবে এই সময়ে দুই দলই বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি। 

এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায়ও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুই দল। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল না পাওয়া এইখানেও ০-০ সমতায় শেষ হয়।

এরপর ফলাফল নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরোর সেমিফাইনালে নাম লেখাল ফ্রান্স।


টাইব্রেকার   রোনালদো   সেমিফাইনাল   ফ্রান্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ মিনিটের গোলে জার্মানিকে বিদায় করে সেমিতে স্পেন

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দুই হেভিওয়েট দলের লড়াই।  গ্রুপ পর্ব থেকেই খেলে আসছে দাপুটে ফুটবল।  ২০২২ বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ সাক্ষাৎটাও ১-১ সমতায় ছিল।  কিন্তু এবার আর অমীমাংসিত থাকলো না।  ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে শিরোপার লড়াই থেমে গেল স্বাগতিক জার্মানির।

স্পেন ও জার্মানি তিনবার করে ইউরোর চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে।  ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল দুটো চলমান আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে আর উত্তেজনা থাকবে না সেটা কি হয়? ফাইনালের আগেই যেন দেখা গেলো আরেক ফাইনাল।  যেখানে হেরে যাওয়া দলটার নাম জার্মানি।

তবে জার্মানি হেরে যাওয়ার আগে ম্যাচে অনেক নাটকীয় মুহুর্ত এসেছে।  তবে যত নাটকীয় মুহুর্তই আসুক না কেন।  শেষ পর্যন্ত জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হল ইউরো থেকে।  ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে জার্মানির মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরার পর জার্মানরা এরপর ম্যাচে ছিল শুধুই অতিরিক্ত সময়ের ৩০মিনিট।  শেষ পর্যন্ত নাটকীয় ম্যাচটার রেজাল্ট গেছে স্পেনের পক্ষে।  ২-১ গোলের জয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে প্রথম দল হিসেবে নাম লেখালো স্পেন।

এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ বিধায় বাড়তি সুবিধা পায় জার্মানরা।  কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম এগিয়ে রাখে স্প্যানিয়ার্ডদের।  আর সেই ফর্ম ম্যাচের ৫১ মিনিটে কাজেও লাগায় লুইস ফুয়েন্তের দল।  স্পেনকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন দানি অলমো।

এরপর ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় লিড ধরে রেখে স্পেন যখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখনই ম্যাচের একদম অন্তিম মুহুর্তে সমতায় ফেরে স্বাগতিক জার্মানি।  ৮৯ মিনিটে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলের দেখা পায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যরা।  ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়।

এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।  সেখানেও একদম শেষ বাশি বাজার আগে গোলের দেখা পায় স্পেন।  মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে আসার পথে দুই দলই আধিপত্য দেখিয়েই এসেছে।  এবারের আসরের একমাত্র দল হিসেবে চার ম্যাচের সবকটিতেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে  প্রাধান্য বিস্তার করে এসেছে স্পেন।  জার্মানি চার ম্যাচের তিনটি জিতেছে।  অন্যটি ড্র করেছে।
 
শেষবার দুই দলের বড় কোনো শিরোপা জয়েরও পেরিয়েছে এক দশক।  ২০১৪ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।  আর শেষবার স্পেন বড় সাফল্য পেয়েছে ২০১২ সালে।  সেটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে।

এর আগে দুই দলের মুখোমুখিতে ২৬ ম্যাচের নয়টিতে জয় ছিল জার্মানদের আর আটটিতে জয় স্পেনের।  বাকি আটটি ম্যাচ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়।

এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে দুই দলের লড়াইয়ে এদিন ম্যাচ শুরুর আগে থেকে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল।  যেখানে শুরু থেকেই জমে উঠতে থাকে দুই দলের মাঠের লড়াই।

ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার ৫৩ সেকেন্ডেই স্পেনের সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ার।  কিন্তু পেদ্রির দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার।  মুহুর্মুহু আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকে দুই দল।  চলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের লড়াই।  এরমাঝেই আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড পেদ্রি।

এদিকে বল দখলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখায় জার্মানরা।  এই সময়ে বল পাসেও এগিয়ে ছিল দলটি।  অপরদিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও সফল হতে পারেনি।
বলের দখল আর পাসিংয়ে জার্মানদের আধিপত্য থাকলেও গোলপোস্টে শট বেশি নিয়েছে স্পেন।  জার্মানি যেখানে স্পেনের গোলপোস্টে ৫ টি শট নিয়েছে, সেখানে স্পেন গোলপোস্টে শট নিতে পেরেছে ১২ টি।  

এভাবে দুই দলের এগিয়ে যাওয়ার আক্রমণ যেন আরও বেড়ে যায়।  কিন্ত জোরালো আক্রমণ করতে না পারায় বারবার ব্যার্থ হতে থাকে স্পেন ও জার্মানি।  শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনোদল।  যার ফলে প্রথমার্ধ ০-০ তে শেষ করে দুই হেভিওয়েট স্পেন ও ইতালি।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ স্পেন।  এবার ডি-বক্সের ভিতরে সহজ সুযোগ মিস করেন মোরাতা।  বারের উপর দিয়ে বল চলে যাওয়ায় লিড নেয়া হয়নি স্পেনের।

এরইমধ্যে দুই দল আবারও প্রথমার্ধের মতই খেলা শুরু করে সমানতালে।  যেখানে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে দুই দল।  এরপর আসে ম্যাচের কাঙ্খিত সেই মুহুর্ত।  গোলের দেখা পেয়ে যায় স্পেন।  ম্যাচের বয়স ৫১ মিনিট, ঠিক তখন সম্মিলিত আক্রমণে স্পেনকে লিড এনে দেন ফরওয়ার্ড দানি অলমো।

স্পেন এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে।  ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে পিছিয়ে পড়া জার্মানদের আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়।  

এদিকে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডি বক্সের খুব কাছে থেকে সুযোগ পায় জার্মানি।  কিন্তু স্পেন গোলকিপার বাধা হয়ে দাঁড়ালে সমতায় ফেরার অপেক্ষা আরও বেড়ে যায় হুলিয়ান নাগেলসম্যান শিষ্যদের।

এরপর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে জার্মানদের সমতা ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার।  তবে ৮২ মিনিটে স্প্যানিশ গোলকিপারের ভুলে সহজ সুযোগ কাইল হার্ভাটেজ কাজে লাগাতে না পারায় আরও একবার সমতায় ফিরতে ব্যার্থ হয় জার্মানি।

এদিকে ম্যাচের বয়স বাড়তে থাকায় স্পেন লিড ধরে রেখে খেলতে থাকে আর জার্মানরা একের পর এক আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে।

কিন্তু ঠিকএরপরই আসে জার্মানদের ম্যাজিকাল মোমেন্ট।  ম্যাচের এক মিনিট বাকি থাকতে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি।  এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামে দুই দল।  যেখানে ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে গোলের দেখা পায় স্পেন।  মিকেল মেরিনোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।  শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে চলে যায় তারা।


ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   জার্মানি   স্পেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাবর-রিজওয়ানকে যে আলটিমেটাম দিলেন সাবেক তারকা

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর যেন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। সামনের দিনে কীভাবে এগোবে দেশটির ক্রিকেট, তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দলের খোলনলচে বদলে ফেলার কথা বলেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নকভি। বাবর আজমের অধিনায়ত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নজর এড়ায়নি তার স্লো ব্যাটিংয়ের বিষয়টিও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করেননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে ফিফটি করলে বল নষ্ট করেছেন অনেকগুলো। এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাবর ও রিজওয়ানকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ।

দলের এই দুই তারকাকে নিজেদের খেলায় পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন লতিফ। তাদেরকে বদলে ফেলতে হবে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। যেমনটি করেছেন ভারতের রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। আর যদি পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে যেন তারা দল থেকে বেরিয়ে যায়, এমন আল্টিমেটাম দিয়েছেন লতিফ।

লতিফ বলেন, ‘আমি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির উদাহরণ দেবো। তারা কীভাবে নিজেদের বদলেছে তা দেখানোর জন্য। রোহিত নিজেকে ১৯০ ডিগ্রি পরিবর্তন করেছে; পরিবর্তন সম্ভব। কারণ সে একজন আদর্শ ক্রিকেটার হয়ে উঠেছে। তার আইপিএল স্ট্রাইক রেট আগে ছিল ১৩০-১৪০। কিন্তু এই বছর তা ১৬০ এ গিয়ে ঠেকেছে। বিরাট কোহলিও তাই করেছে।’

‘এই দুই ব্যাটসম্যান যদি বদলাতে পারে, তাহলে যে কেউ পারবে। আমি বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টিতে তাদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ পরিবর্তন করার জন্য ৫টি ম্যাচ সুযোগ দেবো। এবং যদি তারা তা না করে, তবে তাদের জন্য দলে কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়’-যোগ করেন লতিফ।


বাবর   রিজওয়ান   আলটিমেটাম   রশিদ লতিফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন তুরস্কের শেষ ষোলোর নায়ক

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে তুরস্ক। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের জয়ের নায়ক মেরিহ ডেমিরালকে ২ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়বাদী কায়দায় গোল উদযাপনের অভিযোগ এনে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উয়েফা।

ইউরোপিয়ান চাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর ম্যাচে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) অস্ট্রিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে তুরস্ক। ঐ ম্যাচে একাই জোড়া গোল করে দলকে জেতান ডিফেন্ডার দেমিরাল।
 
ম্যাচটিতে দ্বিতীয় গোলটি করার সময় তার করা উদযাপনকে ভালোভাবে নেয়নি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে তিনি যে প্রতীক তৈরি করেছিলেন সেটা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।
 
‘গ্রে উলভস’ গ্রুপকে ফ্রান্সে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রিয়ায় ‘গ্রে উলফ স্যালুট’ ব্যবহার নিষিদ্ধ। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর দেমিরালের বিরুদ্ধে ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে শুক্রবার (৫ জুলাই) দেমিরালের শাস্তি ঘোষণা করে উয়েফা।
 
দেমিরালের শাস্তি ঘোষণার বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, আচরণের সাধারণ নীতিমালা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া, শালীন আচরণের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করা এবং ফুটবলের দুর্নাম করার জন্য দেমিরালকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
 
দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে দেমিরালকে পাবে না তুরস্ক। দল সেমিফাইনালে উঠলেও খেলতে পারবেন না তিনি।


ইউরো   তুরস্ক   ডেমিরাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিষিদ্ধ হলেন ইংল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড়

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই উপহার দিয়ে আসছে জার্মানিতে চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলো পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে সেই রোমাঞ্চ আরও বেড়েছে। টিকে থাকা দলগুলোর এখনকার লড়াই আরও গুরুত্বপূর্ণ, হারলেই ছিটকে যেতে হবে ইউরো থেকে।

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনে দু’টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার হবে আরও দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। শনিবারের (৬ জুলাই) দুটি কোয়ার্টারে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ডের এবং নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে তুরস্কের।

এ ম্যাচের আগে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ইংল্যান্ড ও তুরস্ক। রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম এক ম্যাচ ও তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল দুই ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা) তাদের এ শাস্তির কথা এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে।

শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর বুনো উদযাপনে মাতেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম। তার এই বুনো উদযাপন ভালো চোখে দেখেনি উয়েফা কর্তৃপক্ষ। তাই তদন্ত করার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৩০ হাজার ইউরো জরিমানাও করেছে।

নিজের ওই অঙ্গভঙ্গির ব্যাখ্যাও পরে দিয়েছিলেন বেলিংহাম। ম্যাচের পর জানিয়েছিলেন, মাঠে থাকা তার বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে তিনি এটা করেছিলেন। তবে এতে ছাড় মেলেনি। শাস্তি তবুও পেতে হয়েছে তাকে।

তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে বেলিংহ্যাম নিষিদ্ধ হলেও খেলতে পারবেন কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কেননা উয়েফা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলিংহ্যামের শাস্তি এখনই কার্যকর করা হচ্ছে না। এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা আগামী এক বছরের যেকোনো ম্যাচে বাস্তবায়ন করা যাবে। তাই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারবেন এই তারকা।  

শুধু বেলিংহ্যামই নন, শাস্তি পেয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনও। স্লোভাকিয়া ম্যাচে ইংলিশ দর্শকদের আচরণ ছিল বিশৃঙ্খলাজনিত। তাদের বিশৃঙ্খলাজনিত আচরণের জন্য ১০ হাজার ইউরো এবং গ্যালারিতেই বাজির কাজে আগুন ধরানোয় এক হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হচ্ছে ইংলিশ ফেডারেশনকে।

এদিকে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে বুনো উদযাপন করায় দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তুরস্কের ডিফেন্ডার মেরিহ দেমিরাল। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করার পর উদযাপনের সময় দুই হাত দিয়ে একটি প্রতীক তৈরি করেন দেমিরাল। যা তুরস্কের উগ্র-জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত। যারা ‘গ্রে উলভস’ নামে বেশি পরিচিত।

ম্যাচের সময় গোল উদযাপনে এমন আচরণ করার অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করে উয়েফা। তদন্ত শেষে শুক্রবার তার শাস্তির ঘোষণা করে সংস্থাটি।

বেলিংহ্যাম শাস্তি থেকে বেঁচে গেলেও তুরস্কের দেমিরালের মুক্তি মিলছে না। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী শনিবার (৬ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বার্লিনের ম্যাচটি মিস করবেন তিনি। সেই সঙ্গে তুরস্ক সেমিতে উঠলে সেটিও মিস করবেন দেমিরাল। অর্থাৎ তুরস্ক ফাইনালে গেলেই কেবল খেলতে পারবেন দেমিরাল। তবে তুরস্ক যদি কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়ে তাহলে জাতীয় দলের পরবর্তী ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন দেমিরাল।


ফুটবল   ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ   ইউরো-২০২৪  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন